স্বামীর ভালোবাসা part : 9
লেখিকা সুরিয়া মিম
!
লাভ ইউ জিসা,
!
সাধারনত চিফ গেস্ট হিসেবে এডুকেশন মিনিস্টার,প্রাইম মিনিস্টার ও বিদেশি ইউনিভারসিটির সনামধন্য লেকচারাররা আসে এবার কি সামথিং স্পেশাল আছে নাকি হুমমম?
!
হ্যা আছে তো বেবি,
!
কে সে?
!
সেটা তো ফাংশনের দিনে জানতে পারবি,
এখন বল তোর নাম দিবো স্টেজ পারফরমেন্সেরর জন্যে আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে?
!
দিবি মানে অবশ্যই দিবি,
!
তুই না বললে ও দিবো কারন মাসফি স্যরর বলেছেন,
!
কেউ স্টেজ পারফরমেন্স করুর আর নাই করুক মিশকা করবে মাস্ট,
!
এসব কি বলছিস তুই?
ওই আধা বুইড়া খচ্চর এই কথা কয়?
আমি তো ওর দুচোখের বিষ,
তাহলে ওর এতো পেয়ার কিসের আমার উপ্রে?
!
জানিনা রে,
কিন্তু স্যরর প্রায়সময় তোর শরীর-স্বাস্থের খবরাখবর নেয়,
তোর বাচ্চাকাচ্চার খবর জানতে চায়,
!
কি যে বলো না তুই?
“এতো দেখি ভূতের মুখে রাম নাম”
!
ঠিকি বলেছিস তুই,
!
বেটা আমি কালো বলে অলওয়েজ আমাকে অবহেলার পাত্রী বানিয়ে রাখে আর আজ হঠাৎ তার এতো পেয়ার আসে কোথা থেকে আল্লাহ মালুম,
!
তখনি মাসফি চৌধুরি এসে হাজির হয়,
!
তখন ওরা সবাই চুপ হয়ে যায়,
আর মাসফি চৌধুরি মিশকার মাথায় হাত রেখে বলে,
!
কেমন আছো মা তুমি?
!
আল্লাহ যেমন রাখছে তেমন আছি স্যরর,
!
তুমি অনুষ্ঠানে স্টেজ পারফরমেন্স করবে?
!
জ্বি স্যররর,
!
তাহলে তোমার নাচের গান সিলেক্ট করে আমাকে বোলো,
!
ওকে স্যররর
!
ভালো করে প্রাকটিস করো কেমন?
!
জ্বি স্যরর,
!
তারপর উনি ওখান থেকে চলে যায়,
!
আশ্চর্য এই বেটা এতো ভালো হলো কেমনে রুহান?
!
আল্লাহ তৌফিক দান করছে বোধ হয়,
হা হা হা,
!
জানিনা আল্লাহ কি করেছে?
তবে ওনা কে দেখলেই মন থেকে ঘৃণা আসে আমার,
!
যাই হোক বাদ দে এখন আর বল পিচ্চি দুটো কেমন আছে?
!
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছে খুব,
!
সারাদিন তোকে খুব জ্বালায় তাই না?
!
নাহহহ,
আমার বাবারা অনেক শান্ত,
সারাদিন শুধু খাই আর শুই,
!
কি খায়?
!
গাধা তোরা পয়দা হইয়া যা খাইছ আমার দুটো ও তাই খায়,
!
ওহ হয় দেহি,
হা হা হা,
!
ভাগ্যিস রুহান জাহাদ চলে গেছে না হলে কি ভাবত ওরা?
!
কিছুনা দুপাটি দাঁত বেড় করে হাসতো,
হা হা হা,
!
হারামী তোরা মেয়ে জাতীর কলঙ্ক,
!
নাহহহ কলঙ্ক না গর্ভ কারন আমি ও দুটো বাচ্চা পয়দা করেছি,
!
জিসা চুপ কর হারামী,
!
আচ্ছা করলাম,
!
হা হা হা,
!
তারপর ওরা মিশকার ওর্নামেন্টসের বিজনেসের নয় মাস সাকসেসফুললি রানিং হিসেবে সবাই মিলে পার্টি করতে যায়,
!
পার্টি শেষে রুহান মিশকা কে বাসায় পৌঁছে দেয়,
!
মিশকা বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে,
নিজের আলালের ঘরের দুলাল ও দুলালী কে বুকে জড়িয়ে আদর করে দুধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দেয়,
!
তারপর সবার সাথে বসে ইউনিভারসিটি ফাংশনের স্টেজ পারফরমেন্সের জন্যে গান সিলেক্ট করে নাচের প্রাকটিস শুরু করে দেয়,
!
তোমার কি হয়েছে বাবু?
!
কিছুনা,
কালকে আমার সাথে শপিং এ যাবে?
!
যাবো না মানে?
অবশ্যই যাবো,
তুমি আমাকে বৈশাখের গিফট কিনে দিবে তাই তো?
!
হ্যা দিবো,
তবে আমাকে তোমার আব্বুর ইউনিভারসিটি তে চিফ গেস্ট হিসেবে ইনভাইট করা হয়েছে,
তাই বলছি ওখানে ভদ্রবেশী হয়ে যেও কেমন?
!
তা তো যাবো ওই আব্বুর মন জয় করতে হবেনা হুমম,
আমার আব্বু আমাকে অনেক ভালোবাসে ,
সে নিশ্চই আমাকে ক্ষমা করে দিবেন আমার করা কাজের জন্যে,
আর তোমাকে ও জামাই হিসেবে স্বীকার করে নিবেন,
!
আশাকরি এমন টাই যেন হয়,
!
হবে হতেই হবে,
শুনলাম আরিয়ান কেও ইনভাইট করা হয়েছে?
!
হুমমম আমরা একসাথে যাবো,
!
তাহলে তো ভালোই হবে,
!
দেখতে দেখতে চলে আসে ইউনিভারসিটির অনুষ্ঠানেটর দিন,
!
সেখানে চিফ গেস্ট হিসেবে উপস্থিত হয় ইমান খান তার ওয়াইফ ইশা খান,ও আরিয়ান আবরাহাম চৌধুরি,
!
ইউনিভারসিটির প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট থেকে ইমান, ইশা ও আরিয়ান কে ফুলেল সংর্বধনা ও শুভেচ্ছা দেওয়া হয়,
!
তারপর ইমান ইশার হাত ধরে ওদের বসার জায়গায় গিয়ে বসে,
!
হঠাৎ আরিয়ান ওর মুখ ফসকে বলে,
!
লুকিং সো স্টানিং,
!
কি ভাই?
!
কানা নাকি?
স্টেজে চাহিয়া দেখ,
!
স্টেজে মিশকা কে দেখে সারপ্রাইজড হয়ে যায় ইমান,
!
তখন ইমান ও আরিয়ানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আকাশ বলে,
!
উফফ,
মিশকা কে যা লাগছেনা আজ,
হালকা হলুদ কালারের সাড়ি,
রাউন্ড পাফ খোপা হালকা লিপস্টিক ওহহহ,
সব ঠিক আছে শুধু একটা জিনিস মিছিং,
আর সেটা হলো বেলি ফুলের মালা,
!
এখন এই রাতে বেলি ফুল পাবি কোই?
!
আমার পাওয়ার দরকার নেই,
!
মানে?
!
ওই দেখ রুহান বস ইউনিভারসিটির গার্ডেন থেকে বেলি ফুল তুলে নিয়ে মিশকার কাছে ছুটে যাচ্ছে,
!
আকাশের কথা শুনে ইমান আরিয়ান স্টেজে তাকিয়ে দেখে,
!
রুহান মিশকার খোপায় বেলি ফুল গুজে দিচ্ছে,
আর মিশকা ওকে চকলেট খাইয়ে দিচ্ছে,
!
এসব দেখে ইমানের মুখ টা কালো হয়ে যায়,
আর আরিয়ান হিংসায় জ্বলে পুরে যায়,
!
অনুষ্ঠান শুরু হাতেই মিশকা রুহান হোস্টিং শুরু করে দেয়,
!
হোস্টিং এর সময়ে রুহান সবাই কে হাসাতে বলে,
!
আমার বিউটিফুল কো-হোস্ট আমার সাথে কোয়াপারেট করার বদলে বারবার তার চুলের সাথে কোয়াপারেট করছেন,
আই মিন ঠিক করছেন,
!
এ কথা শোনা মাঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই হা হা করে হেসে দেয়,
!
তারপর ইউনিভারসিটির ভি.সি তার মহামূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন,
তখন মিশকা স্টেজ থেকে নেমে ওর বাবুদের বুকে জড়িয়ে আদর করে,
আর ইমান তখন ওকে দেখে মিষ্টি করে হাসি দেয় আর ভাবে,
!
আমরা এতদিন সংসার করলে হয়তো আমাদের ও দুটো বাচ্চা হতো আর আমরা ওদের অনেক ভালোবাসতাম,
!
তখনি ইশা ওকে ধাক্কা মেরে বলে,
!
তুমি কি এতো ভাবছ হুমম?
!
কিছুনা,
!
তাহলে এখনি একটা গ্রুপ ড্যান্স হবে সেটা মন দিয়ে দেখ?
!
ওকে,
!
তারপর মিশকা ও রুহানের গ্রুপ ড্যান্স শুরু হয়ে যায়,
!
ধার ধারি না পাড়াপড়শি ধারধারি না কারো,
প্রেমের পথে আসবে বাধা আসতে পারে,
আসতে পারে ঝড়ো,
!
তবু যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
তবু যদি পরান বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
ধারধারি না পাড়াপড়শির ধারধারি না কারো,
প্রেমের পথে আসবে বাধা আসতে পারে ঝড়ো,
তবুও যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
তবু যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
মনি যখন দিলাম তারে,
কিসের এতো বাধা?
সখ রাখায় শরম ছেড়ে হেলাম কেন রাধা?
লোকের কথা লোকে বলুক কি বা আসে যায় নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়,
!
তবু যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
তবু যদি পরান বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
প্রেমে পরলে ভিশন চালাক সাজে যেমন বোকা,
আমি বোকা কিংবা চালাক হবে এবার দেখা,
একবার যখন হারালো মন মনের ইশারায় নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
তবু ও যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
তবু যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায় নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
নাচের শেষ পর্যায় প্রোফেসরদের নির্দেশনা অনুসারে মিশকা রুহান স্টেজ ছেড়ে চিপ গেস্টদের সামনে এসে সালাম দিয়ে নাচ শেষ করে,
!
তখন ভি.সি মিশকা ও রুহানের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে অনেক সুন্দর হয়েছে বাবারা গোয়িং অন,
!
থ্যাংকইউ স্যরর,
!
আরিয়ান বলে,
আউটসস্টাডিং গাইজ,
!
তাতো হবেই পুরো নাচটার সময়ে আপনি গালে হাত দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে মিশকা কে দেখ ছিলেন,
!
কি?
!
কিছুনা,
!
তারপর ইমান ওদের বলে,
সিরিয়াসলি গাইজ তোমরা অনেক গ্লোয়িং পারফরমেন্স করেছো,
!
কিন্তু মিশকা তখন দেখেও না দেখার ভান করে অন্যদিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে,
!
তাই রুহান বলে,
থ্যাংকইউ স্যরর,
!
ওয়েলকাম,
লিসেন রুহান তোমার পাশের জন কে ডেকে দাও তো?
!
মিশকা তোকে ডাকে,
!
কে?
!
সামনে তাকিয়ে দেখ,
!
মিশকা তাকাতেই ইমান মুচকি হাসি দিয়ে হ্যান্ডশেখ করতে হাত বাড়িয়ে দেয়,
!
কিন্তু,
মিশকা ইমান কে আসসালামু ওয়ালাইকুম বলে,
রুহানের হাত ধরে হেচকা টান মেরে উল্টো দিকে ফিরে হাসতে হাসতে দৌড়ে স্টেজের পেছনে চলে যায়,
!
সাথে সাথে ইমান ও আরিয়ানের মুখ টা বাংলার পাঁচের মতো হয়ে যায়,
!
বাট হু কেয়াস?
আমি সেতো হেসেই চলেছি হেসেই চলেছি,
কেন হাসছি তাও জানি না?
শুধু হাসি পাচ্ছে আমার,
তাও আবার মন প্রাণ খুলে,
!
আমি মরে যাবো কখনো তোমার কাছে ফিরে যাবো না মিস্টার খান,
!
কারন আমার মনে হলো আমি ওই ওনাকে বুড়োআঙুল দেখিয়ে এসেছি,
!
হা হা হা,
চলবে
Ram is a princ man and she is nothing but a servant of Allah and if you want to get Help from god then ask to Allah and Allah Allah