স্বামীর ভালোবাসা part : 40
লেখিকা সুরিয়া মিম
!
আমি আবারো তোমার বিশ্বাস, ভরসা, ভালোবাসা অর্জন করে দেখাবো,
….
তখন তুমি আমাকে তোমার সব টা দিয়ে ভালোবাসবে,
…..
এতো টা ভালোবাসবে,
যে আমি তোমার ভালোবাসার লোভে পরে যাবো,
…..
ঠিক যেমন বিয়ের পরে পরেছিলাম,
…..
তাই হয় তো তোমার জায়গায় কাও কে বসাতে পারিনি,
….
বসালে ও তাকে মেনে নিতে পারিনি,
…..
আর এই কারনে আমি তোমাকে কারো সাথে মেনে নিতে পারিনি,
তা সে রুহান হোক বা অন্য কেউ,
…
কি হলো?
খাচ্ছেন না কেন?
….
খাচ্ছি খাচ্ছি,
…..
একটা কথা বলি,
…
কি?
…
তোমাকে না এই তাঁতের সাড়ি টায় বেশ মানিয়েছে,
..
ওওওও থ্যাংকস,
…
আশ্চর্য তুমি আমাকে থ্যাংকস বলছ কেন?
….
আমি কি তোমার জন্যে পছন্দ করে কিছু কিনতে পারি না নাকি?
…
হ্যা পারেন,
আপনার সেই অধিকার আছে,
….
আফটার অল আপনি আমার বিয়ে করা স্বামী,
আর আমি আপনার বিয়ে করা বৌ,
…..
আচ্ছা কেনোকিছু কিনে দেওয়া ছাড়া,
……..
আর কি কি অধিকার আছে আমার তোমার ওপর?
….
জানিনা,
….
ভালোবাসার অধিকার আছে আমার তোমার ওপর?
….
হ্য অবশ্যই,
আপনি আমার স্বামী আপনি তো ভালোবাসবেন,
…
কথা টা তুমি তোমার মন থেকে বলছ?
…
শুনুন মন থেকে বলার টাইম নেই আমার,
…
ঘুম পেয়েছে আমার,
আমি গেলাম,
আপনি বসে বসে খান কেমন?
…
খাওয়া হয়ে গেছে আমার,
…
তাহলে দয়া করে শুতে আসুন প্লিজ,
…..
এমনি তেও কাল সকালে আমাদের বাসায় ফিরতে হবে,
…..
তাই প্লিজ জলদি শুয়ে পরুন,
…….
ওক্কে,
…..
তারপর উনি লাইট অফ করে আমাকে জড়িয়ে শুয়ে পরে,
…
পরেরদিন সকালে আমরা বাসায় ফিরে যাই,,
….
তারপরের দিন ভোররাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যেতে চেয়ে দেখি,
….
যে উনি আমার ওপরে ওনার শরীরের সমস্ত ভার ঢেলে দিয়ে,
আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছেন,
….
হায় আল্লাহ এখন কি হবে?
এই হাতি টাকে আমি আমার ওপর থেকে সরাবো কি করে?
…
এসব ভাবতে ভাবতে
উনি একটু নড়েচড়ে ওঠেন,
…..
এই সুযোগে আমি তাকে ঠেলে পাশে শুইয়ে দেই,
..
আর উঠে গিয়ে ফ্রেস হয়ে,
নামাজ পরে কিচেনে গিয়ে ব্রেকফাস্ট তৈরি করতে থাকি,
..
হঠাৎ কিছুক্ষণ পরে চারটে ছোটো ছোটো হাত আমার পেট ছুয়ে দেয়,
….
সাথে সাথে পেছনে ফিরে দেখি,
….
আমার পরাণ দুটো শাওয়ার নিয়ে এসে,
…..
আমার সাড়ির আচল দিয়ে তাদের মাথা মুছচ্ছে ও মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিয়ে,
…
আমার মন টা রাঙিয়ে ফেলছে,
…
তাই ওদের কোলে নিয়ে আদর করে ব্রেকফাস্ট করিয়ে রুমে নিয়ে যাই,
….
আর সেখানে গিয়ে দেখি,
…..
উনি এখনো পরে পরে ঘুমচ্ছেন,
…..
যাক বাবা ঘুমচ্ছে ঘুমোক,
….
উনি অফিসে যাওয়ার আগে,
..
আমি ওনার ব্রেকফাস্ট টাও তাড়াতাড়ি তৈরি করে ফেলবো,
…
মা বাবাই তোমরা খেল আমি পাপাই এর জন্যে ব্রেকফাস্ট বানাই ঠিক আছে?
….
ঠিক আছে মাম্মাম,
….
তারপর আমি কিচেনে গিয়ে ওনার জন্যে,
…..
ভেজিটেবেল স্যান্ডুইচ বানাই,,
….
স্যান্ডুইচ বানানো শেষ হতে না হতেই উনি আমাকে পেছন থেকে চেপে ধরে,
….
আমার মুখ টা ডানদিকে ঘুরিয়ে আমার ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়,
….
তারপর আমাকে ছেড়ে স্যান্ডুইচের প্লেট টা নিয়ে,
…..
এক দৌড়ে নিচে চলে যায়,
….
তখনি নিজের সাড়ি চুড়ি ঠিক করতে করতে গাড়ির হর্নের আওয়াজ পাই,
…
আওয়াজ শুনে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি,
…
উনি গাড়ির ওপরে বসে ছেলেমেয়ে দুটো কে নিয়ে স্যান্ডুইচ খাচ্ছেন ,
….
হঠাৎ করে আমাদের চোখাচোখি হতেই,
….
ওরা সবাই আমাকে ফ্লাইং কিসস ছুড়ে মারে,
….
আর আমি লজ্জা পেয়ে ওখান থেকে ওনাদের কাছে চলে নিচে যাই,
….
তখন ছেলেমেয়ে আমার হাত ধরে গাড়িতে ওদের পাপাইের কাছে বসিয়ে দেয়,
আর হাসতে হাসতে বলে,
…
পাপাই অফিসে যাবেনা আমরা শপিং করতে যাবো,
…
আচ্ছা মা ঠিক আছে,
….
শপিং মলে যেতেই তিনজনে মিলে তিনটে তিন কালারের সাড়ি আমার গায়ে ধরে দেখতে থাকে,
….
তখন খেয়াল করে দেখি,
….
মলের স্টাফরা ওদের কান্ড দেখে হাসাহাসি করছে,
….
আর এ সুযোগে উনি ও আমার গায়ে সাড়ি ধরে দেখার নাম করে,
আমার পেটে নিজের হাত ছুঁইয়ে দিচ্ছেন,
….
ইসসসস উনি করো ছ্যাঁচড়া,
….
নিজের বৌয়ের সাথে এভাবে ছ্যাঁচড়ামো করার মানে কি?
…..
ফাজিল যেন কোথাকার?
….
হা হা হা,
…
কি হয়েছে বাবা হাসো কেন?
…..
পাপাই তোমার পেটে হাত দিয়েছে,
..
হা হা হা
চলবে