স্বামীর ভালোবাসা part : 39
লেখিকা সুরিয়া মিম
!
আমার রাগ ভাঙাতে ঘুস হিসেবে চুমু প্রদান করছে,
…..
হা হা হা,
….
মিশ এই মিশ কথা শোনো না প্লিজ
….
না শুনবো না আমার ঘুম আসছে খুব,
…
আমার কথা টা শুনে ঘুমা ও প্লিজ,
….
সরি,
গুড নাইট,
….
এই শোনো তুমি আমাকে ফেলে আবারো চলে যাবে নাতো?
…
হ্যা যাচ্ছি তুমি কি দেখতে পাচ্ছনা নাকি?
….
আসলে?
…
কি আসলে.
আমাকে ঘুমোতে দাও প্লিজ,
…..
নইলে তোমার মুখে টেপ মেরে পালিয়ে যাবো হুমম,
…
আচ্ছা পাখি ঠিক আছে,
…
কি?
ঠিক আর আছে কোথায় বলো?
..
সেই কখন থেকে বকবক করে আমার কানের মাথা খেয়ে যাচ্ছো,
এটা কি ঠিক বলো?
..
ইয়ে মানে?
….
তুমি মানে মানে করো আমি ঘুমোই কেমন?
…
আচ্ছা পাখি গুড নাইট,
…..
পাখি উড়ে যায় আর তুমি পাখি কে গুড নাইট বলো,
….
আমার ঘাট হয়েছে আমি সরি সোনা,
..
ফালতু যতসব,
…..
তারপর আমি আমার ঘুমের দুনিয়ায় চলে যাই,
…..
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি,
…
আমার ছেলেমেয়ে তাদের গালে হাত দিয়ে,
আমাকে বেশ যত্ন করে খুতিয়ে খাতিয়ে দেখছে,
….
কি দেখছ বাবারা?
…
দেখছি,
আমাদের মাম্মামের চোখ, নাক, ঠোঁট কত সুন্দর,
….
পাপাইের নাক বোচা,
ঠোঁট টা গোলাপি কিন্তু মাম্মা অনেক সুন্দর,
……
ঠিক বলেছ তোমার মাম্মাম অনেক সুন্দর,
….
হ্যা এতই সুন্দর যে আমি আমার স্বামী কে সামলে রাখতে পারিনি,
…
কিছু কি বললে তুমি?
!
নাহহ কি বলবো?
আমার কোনো কিছু বলার রাইট আছে?
…
তুমি তো বলবে আর আমি সব শুনবো,
….
তাহলে শুনুন আপনি আপনার মতে থাকবেন,
আর আমি আমার মতো ওকে,
….
তোমরা ঝগড়া করো কেন মাম্মাম আর পাপাই?
….
কোই ঝগড়া করি নাতো?
বাবা,
এমনি বলছি আরকি,
…
যাই আমি গিয়ে শাওয়ার নিয়ে আসি,
…
শাওয়ার নিয়ে এসে দেখি,
…….
বিছানার ওপরে একটা হলুদ সাড়ি লাল পাইরের তাঁতের সাড়ি রাখা,
…..
আমি তাড়াতাড়ি ওই সাড়ি টা পরে নেই,
….
পরে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে খোপা করে রিয়ার কাছে কিচেনে চলে যায়,
….
আমাকে দেখে রিয়া মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
….. ।।।…..
নাইট সো কেমন ছিল সোনা?
….
শোন তোদের মতো দুধের শিশু কে রুমের বাহিরে সোফায় শুইয়ে রেখে,
.।।…..
নাইট সো করার শখ নেই আমার,
…..
তুই জানলি কি করে?
আমরা কালকে নাইট সো করেছি?
..
রাতে পানি নিতে ডায়নিং এ এসে দেখি,
….
বাচ্চা টা সোফায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মশার কামড় খাচ্ছে,
….
তোদের যখন এতই আমাকে বললে পারতিস?
আমি ওকে আমার কাছে আদর করে ঘুম পারিয়ে রাখতাম .
….
ভুল হয়ে গেছেরে,
আমি না ছেলেটার মুখ এখনো দেখিনি,
..
দেখবি কি করে?
তুই তো চোখ থাকতেও অন্ধ,
….
দেখনা আমার গলা ধরে ঘুমচ্ছে,
….
আমি তো ভেবেছি তোর কোলে মিশান,
…
কি করতে যে তুই মা হইছ আল্লাহ মালুম?
..
সরি রে,
….
যা ভাগ,
আমি ওকে খাইয়ে দাইয়ে যত্ন করতে পারবো,
….
এমনি তেও রাইয়ান আমাকে মা বলে ডাকে,
..
তাই তুই সর আমার ছেলে কে আমি দুধ গরম করে খাইয়ে দিতে পারবো,
!
মিশের মেজাজ গরম কেন?
. …
কোই কিছুনা তো এমনি ভাইয়া,
…..
সত্যি করে বল তো কি হয়েছে?
রাইয়ান কাল কে শোফায় ঘুমিয়েছিল কেন?
….
ভাইয়া রুহান ও আমার ঝগড়ায় বিরক্ত হয়ে রাইয়ান সোফায় এসে ঘুমিয়েছে,
…
গাধী যেন কোথাকার?
আমাদের কাছে দিয়ে গেলে তো পারতিস?
….
সরি ভাইয়া বুঝতে পারিনি,
..
কি ভাইয়া কি সরি?
ছেলে টা রাতে ঘুমতে পারেনি,
…
মিশ পানি নিতে কিচেনে এসেছিল তখন ওকে নিয়ে ঘুম পারিয়েছে,
…
ছেলে টাকে মশা কামড়ে লাল করে দিয়েছে,
..
বুঝতে পারিনি ভাইয়া,
….
বুঝতে পারোনি,
তাহলে বাবা মা হয়েছিস কি করতে??
..
রুহান রিয়া দুজন দু দিকে ফিরে চুপ করে আছে,
…..
আর মিশশশ ঘুমন্ত রাইয়ান কে কোলের মধ্যে নিয়ে আদর করে ডেকে তুলে শাওয়ার করিয়ে,
….
চামচ দিয়ে ডিম দুধ খাইয়ে দিচ্ছে,
….
মাম্মাম রাইয়ানের কি হয়েছে?
ওর নাক মুখ হাত পা লাল হয়ে গেছে কেন?
..
মশা কামড়ে দিছে বাবারা,
…
ওওওওও,
….
তারপর ইমান ও রুহান কনফারেন্সের জন্যে অফিসে চলে যায়,
..
মিশশশ রিয়া সারাদিন বাচ্চাদের সাথে কাটিয়ে দেয়,
….
রাতে ওদের আসতে দেরি হচ্ছে দেখে.
রিয়া ডিনার করে অনেক কষ্টে রাইয়ান কে বুঝিয়ে নিজের কাছে নিয়ে ঘুমোয়,
….
আর মিশকা ওর বাবুদের খাইয়ে আদর করে ঘুম পারিয়ে,
ইমানের ফেরার অপেক্ষায় বসে থাকে,
….
এভাবে কিছুক্ষণ বসে বসে কাটানোর পর,
………
হঠাৎ কেউ এসে মিশশশ কে কোলে তুলে নেয়,
..
আর মিশকা ও ভয় পেয়ে যায়,
…
কিন্তু,
সাথে সাথে লাইট জ্বলে ওঠায় ইমান কে দেখে স্বস্তি ফিরে পায়,
…
তারপর ইমান ওকে বিছানায় শুইয়ে শাওয়ার নিতে যায়,
…
ইমান আসতেই ওকে সাথে নিয়ে খেতে বসে মিশশশ,
. ..
তুমি ডিনার করনি তাই না?
….
হ্যা করিনি কেন?
…
বিয়ের পরে ও তুমি আমার জন্যে এভাবে না খেয়ে বসে থাকতে,
…
সে অতীতের কথা মনে করে লাভ নেই,
চুপচাপ খেতে বসেছেন,
খেয়ে শুতে চলুন,
….
দেখি তো হা করো আমি তোমাকে খাইয়ে দেই,
….
না থাক আমি খেতে পারবো,
…
তুমি এমন করো কেন?
একটু খাও না আমার হাতে খেলে কি হবে?
…
আচ্ছা খাচ্ছি,
!
আমি কি জানিনা তুমি আমার কাছে ইনসিকিওর ফিল করো,
..
তবু ও তো আমার যত্ন করো,
..
তবে এটা আর ফিল করবেনা,
…
আস্তে আস্তে সবকিছু আবারো আগের মতো নরমাল হয়ে যাবে,
আমার বিশ্বাস,
….
আমি আবারো তোমার বিশ্বাস ভরসা ভালোবাসা অর্জন করে দেখাবো,
চলবে