স্বামীর ভালোবাসা part : 33
লেখিকা সুরিয়া মিম
!
ওনার বা হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পরছে,
!
আপনি কাঁদবেন না প্লিজ,
…..
দেখি আপনার হাত টা দেখি?
……
কে শোনে কার কথা?
……..উনি শুধু আমাকে জড়িয়ে বাচ্চাদের মতো কাঁদছেন,
……
আর একটা কথাই বলছেন,
………..
তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো?
বলো না বলো আমাকে ছেড়ে চলে যাবেনা তো?
….
কি হয়েছে ওনার?
উনি এভাবে পাগল পাগল করছেন কেন?
কিছুই বুঝতে পারছিনা আমি?
….
ম্যাম স্যরের সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম আছে,
….
স্যর এখন কাঁদছেন পরে হাইপার হয়ে নিজেকে আঘাত করে বসবেন,
!
মাম্মাম তুমি পাপাই কে ক্ষমা দাও না সোনামণি,
…..
দেখো পাপাই কেমন করছে?
!
তুতুতুতুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও না সোনা,
.
আমি ভালো হয়ে গেছি,
.
আমাকে গত পাঁচ বছরে কেউ ব্যবহার করেনি,
,
আমি এই পাঁপাপাচ বছর ধরে নিজেকে তোমার যোগ্যা করে তুলেছি,
.
তুমি আমার কাছে ফিরে এসে আমাকে আগের মতো ভালোবাসো না সোনা,
…..
বলো না বাসবে আমাকে আগের মতো ভালো?
….
আমার এই অন্ধকার জীবনে আলো হয়ে আসবে তুমি?
বলো না সোনা বলো না,
!
মাম্মাম বলো না তুমি বলো না,
… ….. …..
কেন তুমি চুপ করে আছে?
!
মাম্মাম পাখি বলে দাও না সোনা প্লিজ,
!
আমি সারাজীবন তোমার পায়ের কাছে পরে থাকবো,
….
তোমার মতো হয়ে থাকবো,
তুমি যা চাইবে তাই হবে,
!
আমি যা চাইবো তাই হবে?
তাহলে শুনুন,
………
আমি তো সেদিনি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম,
যেদিন আমি আপনাকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম,
….
কেন আপনাকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম জানেন?
….
কারন আমার মনে হয়ে ছিল,
আমি আপনার সাথে আর এক মুহূর্ত ও কাটাতে পারবোনা তাই,
…
আপনি জানেন আমার ওখানে দমবন্ধ হয়ে আসছিল,
…
তাই আমি আমার বাচ্চাসহ পালিয়ে এখানে এসেছি,
!
এখন তোমার দমবন্ধ হয়ে আসবেনা,
পালিয়ে ও বাঁচতে হবে না,
…
আমরা সুস্থ ও সুন্দর ভাবে খোলা হাওয়ায় বসবাস করবো,
..
তুমি বলো তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে নাতো?
!
নাহহহ যাবো না?
!
সত্যি?
!
হ্যা,
!
আমাকে ছুঁইয়ে বলো?
!
সবার সামনে আপনি আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন,
….
আমার হাত টা নিজের গালে চেপে ধরে আছেন,
……
তবুও বাচ্চাদের মতো ছুঁইয়ে দিতে বলছেন?
!
হুমম দাও,
….
তারপর আমি ওনার মাথায় হাত বুলতে থাকি,
…
তখন আমার পাখি গুলো আমাদের জড়িয়ে ধরে বলে,
….
মাম্মাম হ্যাপি হ্যাপি ফ্যামিলি তাই না?
!
হ্যা বাবা তাই,
….
চলো পাপাই কে ধরে রুমে নিয়ে চলো,
.।.।.
চলো,
……..
কেউ আছো ফাস্টএইড বক্স থাকলে নিয়ে এসো প্লিজ,
!
হ্যা ম্যাম এখনি নিয়ে আসছি,
!
দেখি একটু শান্ত হয়ে বসুন আপনার কোর্ট ও শার্ট টা খুলে দেই,
…..
শার্ট কোর্ট টা খুলে দেওয়ার,
পরে ফাস্টএইড বক্স থেকে স্যাভলন নিয়ে ক্লিন করে দেখি,
…….
উনি ওনার হাত কেটে বড়বড় করে মিশকা লিখেছে,
!
তখনি আমার পাখি দুটো ওদের মুখ চেপে বলে,
!
মাম্মাম পাপাই কি তোমার বয় ফ্রেন্ড?
!
কেন?
!
তাহলে পাপাই তার হাত কেটে তোমার নাম “মিশকা” লিখেছে কেন?
!
আসলে তোমার মাম্মাম কে দেখতে ইচ্ছে করছিল তাই,
!
ওম্মা তাই বলে তোমার হাত কেটে আমার মাম্মাম কে দেখেছ?
!
হুমমম,
!
ব্যথা করে নাই?
!
না,
!
একটু ও না,
!
না মা,
!
তুমি জানো আমাদের পাশের বাসার ফিফা আপু ওর বয় ফ্রেন্ডের জন্যে হাত কেটে ছিল,
তাই তো ভাবছি তুমি ও মাম্মার বয় ফ্রেন্ড,
হা হা হা,
!
হা হা হা
!
ওরে হাসি,
হাসি আর ধরে না,
……….
আর এই যে আপনি সুস্থ হয়ে বসুন হাতে ঔষধ লাগিয়ে দিচ্ছি,
!
মাম্মাম তুমি স্কুল টিচারের মতো পাপাই কে বকছ কেন?
!
ওনা কে বকছি তোমাদের ধরে পেটাবো কেমন?
….
না বাবা থাক আমরা যাই,
…..
তারপর ওরা চলে যায়,
….
তখন উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
…
তুমি আমাকে আবারো ছেড়ে চলে যাবে নাতো?
…
না যাবো না,
!
হঠাৎ করে আবারো আমাকে জড়িয়ে কাঁদতে শুরু করেন,
!
কি হলো কাঁদছেন কেন?
বললাম তো যাবো না,
!
জানো সেদিন তোমাকে কতক্ষণ ফলো করেছিলাম,
….
আমার মেয়েছেলে আমার চোখের সামনে একবছর ধরে ছিল,
..
আর আমি এমন অপদার্থ বাবা যে নিজের সন্তান কে চোখের সামনে দেখে আদর করে ও চিনতে পারিনি,
!
জানো ওদের গা থেকে আমি তোমার গন্ধ পেতাম,
…..
তবু ও ইগনোর করে চলে যেতাম,
!
হয়েছে বুঝেছি,
এখন চলেন প্লিজ,
!
কোথায়,
!
বারে তুমি জানেনা মাম্মাম তোমার জন্যে কেক বানিয়েছে এনেছে পাপাই,
!
তুমি?
!
হ্যা চলুন সবাই আপনার জন্যে ওয়েট করছে,
!
তারপর আমরা নিচে চলে যাই,
আর উনি আমার বানানো কেক কেটে বার্থডে সেলিব্রেট করে,
!
পরে আমার পাখি দুটো গানবাজনা শুনে নাচানাচি করে,
!
রাত দশটা নাগাত আমার পাখি দুটো চিকেন ফ্রাই খাওয়ার বায়না করে,
…..
তাই ওদের চিকেন ফ্রাই করে খাওয়াতে শুরু করি,
!
তখন কেউ আমার আচল ধরে টান দেয়,
…..
পেছনে ফিরে দেখি,
….
উনি ও ওদের মতো আমার হাসে খেতে হা করে দাঁড়িয়ে আছে,
!
তাই আমি ওনার মুখে লেগপিস টা পুরে দেই,
!
আর সাথে সাথে উনা আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে,
!
পুরুষ মানুষ এতো কাদেঁ তা হয় তো চোখের সামনে না দেখলে বুঝতাম ,
!
আপনি আবারো কাঁদছেন কেন?
…..
দেখুন আমার বাচ্চা দুটো চুপ মেরো গেছে,
!
তাহলে বলো আমার না আমাদের বাচ্চা দুটো চুপ হয়ে গেছে,
!
ওই তো ওই আর কি?
!
মাম্মাম ঘুমু আসছে?
!
আসছে তো বাবা,
কিন্তু আমি তোমাদের কোনো ড্রেস নিয়ে আসিনি,
!
তুমি নিয়ে আসনি তো কি হয়েছে?
!
আমি তো কিনে রেখেছি ওদের ড্রেস তোমার সাড়ি,
!
তারপর উনি আলমারি থেকে ওদের ড্রেস ও আমাকে এটা নীল সাড়ি বের করে দেয়,
!
তখন আমি ওদের হাতপা মুছে নতুন ড্রেস পরিয়ে দেই,
!
পরে আমি গিয়ে শাওয়ার নিয়ে ওনার দেওয়া সাড়ি টা পরে আসি,
!
এসে দেখি ওরা ওনার পেটের ওপরে বসে দাড়ি নিয়ে দুষ্টুমি করছে,
……
আমাকে দেখেই হাসতে হাসতে ছেলে টা বলে,
!
মাম্মাম পাপাই এর দাড়ি গুলো K.G.F মুভির হিরোর মতো তাই না?
!
মনে তো হয়,
!
পাপা তুমি কি মুভির হিরো?
!
না আমি তোমার মাম্মামের…..
!
কি?
!
ওই তো তোমাদের হিরো,
!
শোনো মাম্মাম পাপাই অনেক দিন তোমার কাছে ঘুমোয় না,
…..
তাই আমি ভাইয়া ও পাপা আমাদের মধ্যে তুমি ঘুমবে কেমন?
!
সব গুলো শয়তান একটা ও ভালো না,
!
কি হলো মাম্মা?
!
কিছুনা,
শুয়ে পরো আমি ঘুম পারিয়ে দিচ্ছি,
!
তারপর আমি ওদের মাঝে গিয়ে শুয়ে পরি,
আর তখনি উনি আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,
….
আর ছেলেমেয়ে দুটো কোলের মধ্যে ঢুকে পরে,
!
আজ অনেক দিন পরে উনি আমার এতো টা কাছে এলো,
….
ওনার গরম নিঃশ্বাস এসে আমার গায়ে পরছে,
এবং আমার শরীর টাকে ভয়ে কাঁপিয়ে তুলছে,
!
তাই আমি বাবু দের ঠিক করে শুইয়ে দিয়ে,
………
ওনার দিকে ফিরে ওনার ব্যথা হাত টা আমার কোমরের ওপর সরিয়ে দেই,
!
তুমি ঘুমো নি?
!
নাহহহ আপনার ব্যথা হাত টা ঠিক রাখুন না হলে আবারো ব্যথা লেগে রক্ত বের হবে,
!
আমি বলি কি আমি তোমাদের মাঝে ঘুমবো বাবুরা কাঁদলে উঠে যাবো,
….
মানে আমি একটু তোমার মুখোমুখি হয়ে শুতে চাই,
…..
আমি কিছু করবো না সত্যি বলছি,
!
আচ্ছা ঠিক আছে,
…..
তারপর উনি আমাদের মাঝে এসে শুয়ে পরে,
!
আর আমি ওনার জায়গায় এসে শুই,
!
ওনার মুখোমুখি হয়ে শুতেই উনি আমার পাখি দুটোর মতো কোলের মধ্যে ঢুকে পরে,
!
ব্যাটা এতো বদ আমার বাচ্চা দুটো কে এক মাইল দূরে সরিয়ে রেখে আমার কেলের মধ্যে এসে ঢুকে পরল,
!
পাগল যেন কোথাকার?
…
হা হা হা,
!
!
!
চলবে