স্বামীর ভালোবাসা part : 32

0
3651

স্বামীর_ভালোবাসা part : 32

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
থ্যাংকইউ,
!
ওয়েলকাম,
!
বাই দ্যা ওয়ে,
আপনার স্যরের পছন্দ অনেক ইউনিক ও আনকমন,
!
হ্যা ম্যাম স্যরের স্টাইল সবার থেকে আলাদা,
…..
আচ্ছা ম্যাম আপনি ঘুরে ঘুরে দেখুন আমি একটু কিচেন থেকে ঘুরে আসছি,
!
ওকে,
……
তারপর আমি একা একা পুরো বাড়ি ঘুরে দেখতে থাকি,
…..
সত্যি ওদের আঙ্কলের পছন্দ আছে বলতে হয়,
…..
খুবি ইউনিক আর অ্যান্টিক একজন মানুষ,
……
বাড়ি টাকে পুরো স্বর্গোদ্যান বানিয়ে রেখেছে,
….
অথচ এই স্বর্গে থাকার কেউ নেই ম্যাম,
!
তোমাদের স্যর একা একা থাকেন?
!
না ম্যাম,
বাড়ি দেখা শোনার জন্যে গোটা দশেক কাজের লোক নিয়ে থাকেন,
!
ওনার পরিবারে আর কেউ নেই?
!
না ম্যাম স্যরের মা-বাবা তাকে তেজ্যপুত্র করেছেন ছয় বছর আগে,
!
ও আচ্ছা,
!
মজার ব্যাপার কি জানেন ম্যাম?
!
কি?
!
এর আগে এই বাড়ি তে আপনি ছাড়া কোনো গেস্ট আসেনি,
শুধু স্যরের ম্যানেজার ও পুলিশ সুপার বন্ধু ছাড়া,
!
কেন?
!
আসলে স্যর নিজের জগতে থাকতে বেশি পছন্দ করেন তাই,
!
ও আচ্ছা,
!
ম্যাম আপনি ছাদে যাবেন?
!
হ্যা অবশ্যই বাহির থেকে দেখলাম,
ছাদ টা পুরো ফুলের বাগান,
!
আসলে আমাদের ম্যামের ফুল অনেক পছন্দ,
….
তাই তার পছন্দের ফুল দিয়ে বাগান টা সাজিয়েছে স্যর,
…..
এই আশায় যে একদিন ম্যাম ওনার কাছে ফিরে আসবে এবং তারা কাধে কাধ রেখে হাতে হাত ধরে ওখানে বসে গল্প করবে,
!
বাহহহহ,
তোমাদের স্যর তো খুবি রোমান্টিক,
!
ইয়েস ম্যাম,
ম্যামের গল্প করতেই স্যরের চেহারা বদলে যায়,
…..
স্যর খুব ভালোবাসে ম্যাম কে,
কিন্তু,
আজ পর্যন্ত সেই সৌভাগ্যবতীর সৌভাগ্যশালী মুখটা দেখা হয় নি আমাদের,
……
দোয়া রইল তোমাদের ইচ্ছে যেন তাড়াতাড়ি পূরণ হয়,
তোমাদের স্যর ও যেন তার ওয়াইফ কে ফিরে পায়,
!
আলহামদুলিল্লাহ্‌ ম্যাম,

আপনার দোয়া যেন কবুল হয় ম্যাম,
….
ম্যাম এই সিরি দিয়ে ছাদে যায়,
!
আমি চলে যেতে পারবো তুমি একটু বাবুদের দেখে রেখো প্লিজ,
!
ম্যাম বাবুদের দেখার জন্যে অন্য স্টাফেরা আছে,

স্যর বলে গেছেন আপনি আসলে আমি যেন আপনার সাথে সাথে থাকি,
!
ইটস ওকে,
আমি বাচ্চা নই নিজের কেয়ার করতে পারবো তুমি প্লিজ ওদের কাছট যাও,
!
ওকে ম্যাম,
একটা কথা বলি?
!
হ্যা অবশ্যই,
!
আপনার হাসি টা অনেক সুন্দর,
আপনার হাসির প্রেমে যে কেউ পরে যাবে,
…..
!
থ্যাংকইউ
!
ওয়েলকাম ম্যাম,
….
আমাদের স্যর ও ম্যামের হাসির প্রেমে পরেছিলেন,
!
হাউ কিউট,
!
হ্যা ম্যাম,
!
তারপর আমি ছাদে চলে যাই,
……
ছাদে গিয়ে ফুলের সুবাসে মন প্রাণ ভয়ে যায় আমার,
….
আমি এই বাগানের প্রেমে পরে গেছি,
….
মনে হয় যেন আমার ফেভারিট ফুলের মেলা বসেছে এখানে,
……
তখনি হঠাৎ করে গেট খোলার শব্দ হয়,
….
শব্দ শুনে বাগান থেকে বেড়িয়ে রেলিং ধরে তাকিয়ে দেখি,
….
বি.এম.ডব্লিউ থেকে বেড়িয়ে একটা লোক সাদা কমপ্লিট সুট পরিহিত গাল ভর্তি দাড়ি, কালো সানগ্লাস,
ও হাতে একটা ফাইল নিয়ে বাসার দিকে আসছেন,
…..
ইনি বোধ হয় ওদের সেই দাড়িওয়ালা আঙ্কল,
……….
বেটা তো সিরিয়াসলি হনুমান চোহারার এমন হাল করেছে যে,
…….
ওর কপাল ও গালের কিছু অংশ ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না,
….
তবে মনে হয় যেন আমি তাকে চিনি?
!
তখনি হঠাৎ করে উনি স্লিপ করে পরে যায়,
….
আর আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে আচল দিয়ে মুখ টা ঢেকে হা হা করে হেসে দেই,
…..
উনি তখন শুয়ে পরা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ওপরে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বাসায় ঢুকে যায়,
!
বাসায় ঢুকেই ইমান বাবুদের বুকে জড়িয়ে আদর করতে থাকে,
…..
আর তখনি মিশকার গায়ের গন্ধ ওকে পাগল করে তেলো,
….
এবং ও বাচ্চাদের বুকে জড়িয়ে আদর করতে থাকে,
!
তুমি কেমন আছে আঙ্কল?
!
ভালো মা,
তোমাদের মাম্মাম আসেনি?
!
মাম্মাম এসেছে ছাদে আছে,
তুমি গিয়ে ডেকে আসো,
!
ওকে আমি যাচ্ছি,
!
ইসস,
আমার ওনার ওপরে এভাবে হাসা উচিত হয় নি,
…..
এখন আমি ওনার সামনে যাবো কি করে?
লজ্জা করছে তো,
!
আমি কি আসতে পারি?
!
হ্যা অবশ্যই,
উনি আমার সামনে এসে দাঁড়াতেই ওনা কে আমার চিরচেনা বলে মনে হয়,
!
হঠাৎ করে খেয়াল করে দেখি,
….
ওনার চোখ থেকে জলের ধারা বইছে,
…….
আমি ওনার কাছে এগিয়ে যেতেই,
…..
উনি দৌড়ে এসে আমাকে শক্ত করে ওনার বুকের সাথে জড়িয়ে,
ওয়ালের সাথে চেপে ধরে পাগলের মতো কাঁদতে শুরু করেন,
…..
প্রথমে বুঝতে না পারলে ও উনি আমার গলায় আলতো করে চুমু খেতেই বুঝে যাই,
……
যে এনি আর কেউ না যার থেকে আমি এতকাল পালিয়ে পালিয়ে বেঁচেছি সেই,
……..
কিন্তু এই পাঁচ বছরে উনি এতো টা বদলে গেল কি করে?
!
কি ছিল?
কি হয়ে গেল?
……
তখন খেয়াল করে দেখি,
…….
ওনার চোখেরজলে সাড়ি ব্লাউজ ভিজে গেছে আমার আমার
……….
আর উনি বাচ্চাদের মতো আমাকে আকড়ে ধরে আমার বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদছেন,

আর একটা কথা বলছেন,
…..
তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও না সোনা,
ক্ষমা করে আমার কাছে ফিরে আসো সারাজীবনের জন্যে ফিরে আসো,
!
কি করবো আমি?
না আমি কাঁদতে পারছি না কিছু করতে পারছি,
……
ওনা কে এ অবস্থায় দেখে,
আমি নিজেই দুশ্চিন্তায় পরে গেছি খুব,
!
তখনি পাখি দুটো এসে বলে,
!
পাপাই তুমি মাম্মাম কে সরি বলো,
……..
মাম্মাম তুমি পাপাই কে ক্ষমা করে দাও না সোনা পাখি,
!
তখন খেয়াল করে দেখি,
…..
ওনার বা-হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পরছে
চলবে..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে