স্বামীর ভালোবাসা part : 31

0
3443

স্বামীর ভালোবাসা part : 31

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
মিশকা তোকে এতো চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন?
!
নাথিং,
!
আমাকে লুকিয়ে কোনো লাভ নেই রে,
……
তুই ইমানের কারনে ভয় পেয়ে আছিস?
!
রুহান তুই জানিস আজকে উনি আমাকে ফলো করছিল,
!
তুই ওকে দেখেছিস?
!
নাহহ শুধু অনুভব করেছি,
!
তা তেই এতকিছু?
….
কাছে পেলে কতকিছু হতো তাই না?

একদম বাজে কথা বলবি না কেমন?
!
ও আর আগের মতো নেই,
!
মানে?
!
অতীতের ইমান ও এখন কার ইমানেরর মধ্যে আকাশ পাতালের তফাত,
!
তোঁ আমি কি করবো?
…..
সেটা আমার দেখার বিষয় না বুঝলি,
!
তাহলে আমাকে চাহিয়া চাহিয়া দেখ,
!
রিয়া,
!
হ্যা বল,
!
তোর এই উটকো ঝামেলা টাকে নিয়ে যা প্লিজ,
!
কি গো তুমি আসবে?
না আমি এসে নিয়ে যাবো?
!
নিজের দুটো পা আছে নিজের পায়ে হেটে আসছি কেমন?
!
হুমম ওকে আর বিরক্ত করোনা কেমন?
!
সেটা তোমার থেকে আমি ভালো জানি,
!
মাম্মা আমরা স্কুলে যাবো না?
!
না বাবা,
!
কেন?
!
আমি দুদিন ফ্রি আছি,
তাই তোমাদের সাথে সময় কাটাতে চাই,,
!
ও আচ্ছা তাহলে তো অনেক ভালো,
…..
ইয়ে কি মজা?
!
দুষ্টু পাখি দুটো,
দুষ্টুমিতে ভরা মাথা,
!
হা হা হা,
!
দুদিন পর মিশকা ওদের স্কুকে ড্রপ করে বেকারি তে চলে যায়,
!
হঠাৎ করে টিফিন পিরিয়ডে ইমান এসে
ওদের টিফিনে ভাগ বসায়,
…..
তখন দুটো ওর কান টেনে ধরে বলে,
…….
খাবার চুড়া খাবার চুরি করা যাবেনা মাম্মাম তোমার জন্যে ও টিফিন করে পাড়িয়েছে,
!
ওমা তাই?
!
হুমমম,
!
তোমরা তোমাদের মাম্মাম কে কি বলেছ?
যে সে আমার জন্যে ও টিফিন করে পাঠিয়েছে?
!
মাম্মাম কে বলেছি দাড়িয়ালা আঙ্কল লোভা নম্বর ওয়ান শুধু আমাদের টিফিন খেয়ে ফেলে,
!
কি এভাবে আমার প্রেস্টিজ পাংচার করছ তোমার?
!
জ্বি জ্বি জ্বি,
!
দুষ্টু পাখি,
!
আঙ্কল হা করো আমরা তোমাকে খাইয়ে দেই কেমন?
!
হ্যা মা অবশ্যই,
…….
মিহাদ মিশান খাইয়ে দিচ্ছে আর ওর চোখ থেকে জলের ধারা বইছে,
…..
ইসসস,
ওরা এতো কিউট, না জানি আমার ছেলেমেয়ে দুটো কিউট?
!
আঙ্কল তুমি কাঁদছ কেন?
!
জানো মা আল্লাহ তোমাদের দোয়া কবুল করেছেন,
!
তাই?
!
হ্যা দুদিন আগে আমি তোমাদের আন্টি কে গাড়ি তে করে কোথাও একটা যেতে দেখেছি,
.।।…..
তোমরা জানো তোমাদের আন্টি এখানে আছে,
!
কোথায় দেখি না তো?
!
মানে এ শহরে আছে,
!
ও আচ্ছা,
তোমার বাড়িতে আমাদের নিয়ে যাবে আঙ্কল?
!
হ্যা চলো এখনি চলো,
…….
তারপর ইমান ওদের বাসায় নিয়ে যায়,
……
বাসায় গিয়ে ওরা বাসা টাকে ঘুরে ঘুরে দেখত থাকে,
…..
ঘুরতে ঘুরতে ওরা ইমানের বেড রুমে চলে যায়,
……
সাথে সাথে ওদের মাম্মামের ছবি ওয়ালে দেখে চমকে যায়,
……
তখন মিশান মিহাদ কে বলে,
…..
আপি মাম্মামের সাথে উনি কে?
ওই ছোটো বাবু তো আমরা,
….
কিন্তু ওই বড়লোক টা কে?
….
আরে বাবারা তোমরা এখানে?
আমি তো বাড়িময় তোমাদের খুঁজে বেড়াচ্ছি সোনারা
!
ও তাই?
!
জ্বি বাবাই?
!
আঙ্কল এই ছবি গুলো কাদের?
!
মা ছবি গুলো তোমার আন্টি ও আমার,
!
মানে উনি তোমার বৌ?
!
হ্যা বাবা,
!
তোমার বৌ টা অনেক সুন্দর,
!
আমি জানি,
হা হা হা,
!
আঙ্কল ছবিতে তোমাকে কিউট লাগে,
!
কেন?
!
দাড়িগোঁফ নাই তাই,
!
ওরে দুষ্টু,
হা হা হা,
!
আঙ্কল,
!
হ্যা বাবাই,
!
তোমার একটা পিকচার দিবে প্লিজ?
!
কেন?
!
বাসায় নিয়ে যাবো, তাই আরকি,
!
আচ্ছা বাবা এখনি দিচ্ছি,
!
দাড়িগোঁফ ছাড়া দিয়ো কেমন?
!
আচ্ছা মা ঠিক আছে,
হা হা হা,
…..
তারপর ইমান ওদের একটা ছবি দিয়ে দেয় আর ওরা সেটা নিয়ে বাসায় ফিরে যায়,
…….
রাতে মিশকা ঘুমতেই বিচ্ছু দুটো এ্যালবাম বেড় করে,
ইমানের ছবির সাথে ওই ছবি মিলিয়ে দেখতে শুরু করে,
!
কিছুক্ষণ মিলিয়ে ঝুলিয়ে দেখার পর দুজনে বলে ওঠে,
…..
মাম্মাম আর পাপাই,
!
মাম্মাম পাপাই একসাথে কেন থাকে না?
রুহান আঙ্কল রিয়া আন্টির মতো?
!
আমি জানিনা আপু?
!
আঙ্কলের কাছে জিজ্ঞেস করবো?
!
হ্যা চলে পাপাই কে ফোন করি,
!
রাত বারো টায় হঠাৎ করে ইমানের ফোন বেজে ওঠে,
…..
হন্তদন্ত হয়ে ফোন রিসিভ করে বলে,
….
কি হয়েছে মা তোমরা ঠিক আছো তো?
!
হ্যা আছি,
শোনো পাপাই মাম্মাম তোমার সাথে কেন থাকেনা?
!
মেয়ের কথা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে বলে,
…..
আমি তো খারাপ কাজ করে ছিলাম তাই আমার সাথে থাকে না,
……
থাকবে কেন?
তুমি তো পচাঁ,
বলে ফোন কেটে দেয় মিহাদ,
!
ফোন কেটে দেওয়ার সাথে সাথে ইমান ডুকরে ডুকরে কাঁদতে শুরু করে,
!
স্যারর আপনি কাঁদছেন কেন?
!
সকালে যে পিচ্চি দুটো কে নিয়ে এসেছিলাম,
….
ওরা ফোন করে আমাকে পাপাই বলে ডেকেছে,
মনে হলো আমার সন্তানেরা আমাকে পাপাই বলে ডেকেছে,
!
স্যরর আপনি কষ্ট পাইয়েন না ছোটো মানুষ হয় তে বুঝতে পারেনি,
….
আপনি যখন ম্যামের খোজ পেয়েছেন,
আশাকরি বাচ্চাদের ও খুজে পাবেন,
!
পরেরদিন ভোরের আলো মিশকার মুখে এসে পরতেই ওর ঘুম ভেঙে যায়,
…..
আর ঘুমঘুম চোখে চেয়ে দেখে যে,
….
বিচ্ছু দুটো ওর গালে গলায় ঠোঁটে কপালে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে,
!
তখন ও ওদের আদর করে জড়িয়ে ধরে বলে,

কি হলো পাখিরা?
!
মাম্মাম আজকে আঙ্কলেরে বার্থডে মনে আছে?
!
হ্যা বাবা কেক ও রেডি তবে তোমার আঙ্কলের নাম কি?
সেটা তে লেখা হয় নি?
!
তার নাম হচ্ছে ইমান,
!
ইমানন?
!
হ্যা গাল ভরা দাড়িয়ালা ইমান,
!
ও হ্যা এনার তো আবার গাল ভর্তি দাড়ি,

আর উনি কত স্মার্ট দাড়ির “দ” ও রাখবেনা নিজের গালে হা হা হা,
!
কি হলে মাম্মা?
!
কিছুনা বাবা,
যেতে হবে কখন?
!
রাতে?
আঙ্কল বলেছে রাতে যাবো কালকে আসবো,
!
ওকে পাখিরা,
!
সন্ধায় বার্থডে কেকে নাম লিখে,
শাওয়ার নিয়ে বেরতেই দেখি,
…..
আমার মেয়ে আমার জন্যে নীল সাড়ি চুড়ি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
!
নীল সাড়ি চুড়ি পরিনা বছর ছয়েক ধরে তবে আজ পরবো আমার ছেলেমেয়ের মুখের দিকে চেয়ে,
!
তাই ওদের পছন্দ করা সাড়ি চুড়ি ওর্নামেন্টস পরে হালকা সাজুগুজু করে ওদের নিয়ে বেড়িয়ে পরি,
!
তারপর ওদের সেই আঙ্কলের বাসায় গিয়ে পৌঁছই,
!
তখন স্টাফরা এসে বলে,
!
ম্যাম স্যর মিটিং এ গেছেন একটু পরেই এসে পরবেন,
…..
আপনি ততক্ষণে বাড়ি টা ঘুরে ঘুরে দেখুুন,
আমরা বাবুদের দেখে দেখে রাখছি,
!
থ্যাংকইউ,
!
ওয়েলকাম,

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে