স্বামীর ভালোবাসা part : 23
লেখিকা সুরিয়া মিম
!
আমার কথা শেষ হতে না হতেই উনি হনহন করতে করতে বেড়িয়ে যায়,
!
আর সাথে সাথে আমার ফিক করে হাসি পেয়ে যায়,
……….
তাই আমি হাসতে হাসতে আমার পরাণের পরাণ দুটো কে বুকে জড়িয়ে নেই,
……..
তারপর ওদের আদর করে ঘুম পারিয়ে,
ওনার আনা লাউ শাকের ভর্তা,ভাজি,ঝোল ইত্যাদি দিয়ে ভাত গুলো খেয়ে ফেলি,
এবং লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে হেয়ার ড্রাইয়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে,
…..
দুজনের মাঝে গিয়ে শুয়ে পরি,
!
ইদানীং আমার পরাণের পরাণ দুটো খুবি দুষ্টু হয়ে গেছে,
…..
এদিক ফিরে শুবে ও দিক ফিরে শুবে,
সবশেষে তাদের হাত পা সব আমার গায়ে তুলে দিবে,
আর পুরো কোলবালিশেরর মতো আমাকে জড়িয়ে থাকবে,
…
আর আমি যদি তাদের হাত পা সরাতে যাই,
,,,,,,,
মাগো মা আল্লাহর ওয়াস্তে এ্যা এ্যা এ্যা করে কান্না জুড়ে দিবে,
!
তখন আবার তাদের সামলাতে সামলাতে তেরো টা বেজে যাবে আমার,
!
তারপর আমার পরাণের পরাণদের গালের চুমু খেয়ে ওদের জড়িয়ে ঘুমিয়ে পরি আমি,
!
মাঝরাতে ঘুমঘুম চোখে চেয়ে দেখি,
!
উনি আমার কোলের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা পরাণের পরাণ দুটোর গালে আলতো করে চুমু একেঁ দিচ্ছে,
!
ঢং দেখলে গা জ্বলে যায় আমার,
আল্লাদে বাঁচোনা?
তাই না?
!
ঢং আর আল্লাদ দুটোই ছাড়াচ্ছি তোমায় দাও তুমি মিস্টার ইমান খান,
!
তাই আমি তাকে ধাক্কা মেরে তাকে বিছানা থেকে ফেলে দেই,
!
কি সমস্যা কি আপনার?
আপনি আমার দুধের শিশুর সাথে নোংরামো করছেন কেন?
!
আমি তো একটু আদর করেছি ,
!
লিসেন আমার বাচ্চার জন্যে আমি যথেষ্ট,
……
আপনার কোনো আদরের প্রয়োজন নেই তাদের,
!
তাই প্লিজ ওদের থেকে দূরদূরে থাকবেন কেমন?
!
তুমি?
!
কি তুমি?.
!
ভালোয় ভালোয় বলছি এখান থেকে চলে যান প্লিজ,
!
নাহলে কিন্তু আমি লঙ্কা কান্ড বাধিয়ে ফলবো বুঝলেন?
!
কি হলো চুপ করে আছেন কেন?
যান এখান থেকে চলে যান,
আমি আপনাকে জাস্ট আর নিতে পারছিনা বুঝলেন?
!
না সেটুকু বোঝার ক্ষমতা আল্লাহ আপনাকে দেয়নি?
!
আমি যাচ্ছি,
চলে যাচ্ছি এখান থেকে,
!
হ্যা যান যান তাড়াতাড়ি যান,
…………..
বিপদে পরে এখানে এসে উঠেছি,
সেই সুযোগ, সুযোগের সৎ ব্যাবহার করছেন তাই না?
!
চলে যাবো আমি এখান থেকে,
চাইনা আমার আপনার দেওয়া নিরাপত্তা গট ইট?
!
আপনি নিজেই তো আমার জন্যে ক্ষতিকর তো নিরাপত্তা দিবেন কার থেকে হুমমম,
!
আমি চলে যাচ্ছি,
আমি আসবো না তোমাদের কাছে,
……
আমি সরি,
আমার ভুল হয়ে গেছে,
!
তারপর উনি আমার রুম থেকে কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়,
!
আর আমি দরজা লাগিয়ে ,
আবারো আমার পরাণের পরাণ দুটো কে বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পরি,
!
পরেরদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে শাওয়ার নিয়ে,
নামাজ পরে আমি কিচেনে চলে যাই,
!
তারপর বাসার সকলের জন্যে ব্রেকফাস্ট বানাই,
…..
আর নিজের জন্যে গ্লুকোজ বানিয়ে রুমে চলে যাই,
!
সেখানে গিয়ে দেখি,
উনি,
……..
আমার পরাণ দুটো কে কোলে জড়িয়ে ওদের সাথে দুষ্টুমি করছেন এবং হাসাহাসি করছেন,
!
কোন অধিকারে? আর কোন সাহসে? উনি বারবার আমাদের কাছে ছুটে ছুটে আসেন?
আর কেনই বা আসেন?
!
উনি ওনার কোনো অধিকার নেই?
না আমার ওপরে না আমার সন্তানের ওপরে,
!
তখনি কিছু একটা পরে যাওয়ার শব্দ হয়,
!
শব্দ শুনে উনি দরজার দিকে তাকিয়ে,
……
হঠাৎ করে আমাকে দেখে,
ভূত দেখার মতো চমকে যায়,
!
সাথে সাথে উনি আমাকে আমতা আমতা করে বলেন,
………
আসলে তুতততমি ছিলে না,
আর ওরা একা একা খেলছিল,
তাতাতাই আমি এখানে এসেছি ,
!
তা ভালোই হয়েছে,
এখন আপনি আসতে পারেন,
!
ইয়ে মানে একটা রিকোয়েস্ট করবো?
!
কি?
!
আমি কি এখানে থাকতে পারি?
!
না থাকার দরকার নেই?
!
প্লিজ একটু থাকি না প্লিজ?
!
সোজা কথা আপনার কানে যায়না?
তাই না?
!
একটু একটু প্লিজ?
!
এই আমি কি আপনার সামনেই আমার বাচ্চাদের খাওয়াবো হুমমম?
!
হ্যা না মানে প্রবলেম কোথায়?
!
প্রবলেম টা আপনি মিস্টার খান,
তাই প্লিজ আমার বাচ্চা দুটো কে রেখে চলে যান প্লিজ,
!
আমি একটু ওদের সাথে থাকি না প্লিজ,
!
এই আপনি দেখতে পাননা আমার বাচ্চা দুটো কাঁদছে?
খিদে পেয়েছে ওদের,
কি চান কি আপনি?
… . ।।।।
আমার বাচ্চা দুটো কে কি না খাইয়ে মারতে চান?
!
আমার কথা শুনে উনি ওদের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে চলে যায়,
!
তারপর আমি ওদের দুধ খাইয়ে ছেলে কে ঘুম পারিয়ে,
মেয়ে কে নিয়ে পাইচারি করতে থাকি,
!
পাইচারি করতে করতে ওনার রুমের সামনে এসে দেখি,
…..
উনি সোফায় শুয়ে হাত-পা গুটিয়ে বাচ্চাদের মতো ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন,
!
তবে তাতে আমার কি?
আমি যা হাড়িয়েছি তার তুলনায় আপনারর কষ্ট কিছুনা মিস্টার খান?
!
ভালোবাসতাম আমি আপনাকে,
সেই আপনি আমার ভালোবাসার অমর্যাদা করেছেন,
মিস্টার খান,
……..
আমার বিশ্বাস, ভরসা ভালোবাসা নিয়ে খেলেছিলেন আপনি,
. । . । . । .
আমি আপনাকে ক্ষমা করবো না কখনওই না,
!
তখনি হঠাৎ করে ময়নাপাখি ছুটে এসে বলে,
!
সাহেব আরিয়ান সাহেব কে এই মাএ তার গাড়ি নিয়ে বাসার গেট দিয়ে ঢুকতে দেখলাম,
…..
উনি তো এসে পরলো বলে,
এখন কি হবে?
!
কিছু হবে না তোমার বৌ রানী ও বাবুদের নিয়ে,
রুফ গার্ডেনে চলে যাও,
বাকি টা আমি সামলে নিবো,
!
তারপর ময়নাপাখি তাড়াতাড়ি আমাকে আমার বেবি সহ বাসার ছাদে নিয়ে যায়,
!
তারপর আরিয়ান যেন সন্দেহ না করে,
তাই ময়নাপাখি কে নিচে পাঠিয়ে দেই,
!
তখনি বাসার কলিং বেল বেজে ওঠে,
!
আর ময়না খুবি স্বাভাবিক ভাবে গিয়ে দরজা খুলে বলে,
!
আরে সাহেব আপনি?
!
হ্যা আমি তোমাদের সাহেব কোই?
!
সাহেব তো ঘুমে?
!
কি ও এতো ঘুমোয় ক্যান?
!
জানিনা সাহেব?
মনে হয় শরীর টা ভালা না ,
তাই মটকা মেরে মেরে পরে পরে ঘুমচ্ছে সাহেব,
!
তবে মেগো বৌ রানী থাকলে হের ঘুম এক্কেরে ছুটাইয়া দিতো,
!
ওমা তাই?
!
হ সাহেব, আমনে বাহিরে খাড়াইয়া আছেন কেন?
ভিতরে আহেন?
!
ভিতরে এসে কি করবো?
ডিরেক্ট তোমার স্যরেরর রুমে যাবো,
!
তাই আরিয়ান সাথে সাথে এক দৌড়ে ইমানের রুমে চলে যায়,
!
আর গিয়ে দেখে ড্রিংকের বোতল বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে ও,
!
তাহলে আমি ঠিক মিশকা এখানে নেই,
থাকলে ওর আর এ অবস্থা হতো না হুমম?
!
তবু ও বাসার অন্যরুম গুলো তে একবার চোখ বুলতে হবে,
!
তাই ও ইমান কে ডেকে তুলে অফিসের বাহানায় এ ঘর ও ঘর করে চোখ বুলতে থাকে,
!
কিন্তু,
কোথাও কোনো কিছু খুজে পায় না ও,
!
তখন ইমান ওকে কাঁদতে কাঁদতে বলে,
!
ভাই তোর ভাবি কে খুজে দেনা ভাই,
…….
ওকে না পেলে আমি শেষ হয়ে যাবো?
!
আমি এখনো আমার বাচ্চাদের মুখ দেখিনি জানিস?
!
তোর ভাবি কোথায়?
তুই ওকে খুজে এনে দে না ভাই?
…..
তাহলে আমি মিশকা কে বিয়ে করতে চেয়েছি,
এতো কান্ড ঘটিয়েছি তার ও কিছুই জানেনা?
!
তাহলে তো ভালোই,
দ্যাট মিনস আমার মিশকা এখানে নেই?
!
আমি কতো আশা নিয়ে এসেছিলাম,
সব আশায় জল ঢেলে দিলো ও?
!
মিশকা এখানে থাকলে ইমানের অবস্থা আরো ভালো হতো,
এভাবে দেবদাস হয়ে ঘুরত না ও হা হা হা,
!
শালা দেবদাস তো আমি তোকে বানাবো দাড়া তুই দাড়া,
!
তারপর কথা বলতে বলতে সিরির কাছে আসতেই,
হঠাৎ করে আরিয়ান স্লিপ করে দোতলা থেকে গড়াতে গড়াতে ফ্লোরে পরে যায়,
!
আর সবাই সাথে সাথে,
তাদের ওর পরে যাওয়া দেখে মুচকি মুচকি হেসে দেয়,
চলবে