স্বামীর ভালোবাসা part : 19
লেখিকা সুরিয়া মিম
!
কারন এ অবস্থার জন্যে আমি নিজে দায়ী,
!
একা একা কথা বলতে বলতে সারারাত ইমান ওই মসজিদেই কাটিয়ে দেয়,
!
পরেরদিন ভোরে মসজিদের ইমাম এসে দেখে,
…..
ইমান মসজিদে ঘুমিয়ে আছে,
তাই ওকে আস্তে করে নামাজের জন্যে ডেকে তোলে,
!
ইমানো উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে নামাজ পরতে বসে,
নামাজ শেষে মসজিদের ইমাম ওকে বলে,
!
বাবা আমি জানিনা তুমি কেমন গুনাহ করেছ,
কাকে কষ্ট দিয়েছ?
…..
এবং কেন কষ্ট দিয়েছ?
……
শুধু এটাই বলবো,
যে তুমি যখন তোমার করা গুনাহের জন্যে অনুতপ্ত,
…….
তখন যার সাথে অন্যায় টা করেছ?
তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাও,
!
কারন,
তুমি তার মনে আঘাত করেছ.
……..
আর আল্লাহ মনে আঘাত কারী ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন,
……..
আল্লাহর কাছে সবচেয়ে অপছন্দীয় বস্তুু হলো মনে আঘাত কারী ব্যক্তি,
যদি ও আল্লাহ পরম করুনাময়ী ক্ষমা শীল,
!
তুমি যদি সত্যি মন থেকে অনুতপ্ত হও তাহলে তুমি তার কাছে ফিরে ক্ষমা চাও,
……..
সে তোমাকে ক্ষমা না করলে ও তোমার প্রতি নির্দয় হবে না,
!
সকাল আটটা নাগাত ইমান মিশকার বাসায় চলে যায়,
!
মিশকার পাপা না চাইতে ও ইমান কে বাসায় ঢোকার অনুমতি দেয়,
!
ঠিক তখনি মিশকা ওর পাপার জন্যে কফি বানিয়ে হলে চলে আসে,
!
সেখানে যেতেই মিশকা ইমান কে দেখে রেগে গিয়ে বলে,
!
উনি এখানে কি করছেন পাপা?
!
আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি মিশকা,
তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও,
!
আপনাকে ক্ষমা করে দেওয়ার আমি কে?
আপনি যদি ভেবে থাকেন আমি আপনার করা সমস্ত অন্যায় ভুলে গিয়ে আপনাকে গ্রহণ করে নিবো?
তাহলে ইউ আর অ্যাবসোলুটলি রং মিস্টার খান,
!
একচুয়ালি আই এম সরি আমি এতো টা দয়ালু নই,
আমি পরম করুনাময়ী আল্লাহতালার বান্দা,
তবে তার মতো করুনাময়ী নই আই এম সরি,
….
প্লিজ আপনি এখান থেকে চলে জান,
!
তুমি আমাকে ক্ষমা করে আমার কাছে ফিরে আসবেনা ইটস ওকে,
…
তবে যাদের জন্যে আজকে আমার এই পরিণতি,
তাদের আমি ছাড়বো না সোনা,
!
তারা আমায় বাধ্য করেছে তোমার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে,
…..
আমার বিয়ে করা বৌয়ের থেকে দূরে দূরে থাকতে,
অবশ্য ওদের আর দোষ কি?
আমি বোকা বোধহীন মানুষ এটা বুঝতে পেরেই ওরা আমার বোকামোর সুযোগ নিয়েছে,
!
আমাদের সাজানো সংসার কে নষ্ট করে ফেলেছে,
!
ওদের কথা আমি জানিনা,
জানতে ও চাই না,
আমি শুধু এটা জানি যে,
!
যে নারী যে পুরুষের সাথে সহবাস করে তাকে সে সবচেয়ে ভালো করে চেনে,
!
আপনি হয়তো ভুলে গেছেন যে ইশা কে বিয়ে করে আমাদের জীবনে প্রবেশ করানোর দুমাস আগে থেকেই আমি আপনার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতাম কেন জানেন?
!
কারন আপনি ওর কাছ থেকে আমার কাছে ফিরলে আমি বুঝতে পারতাম,
…….
যে আপনি অন্য মহিলার সাথে সহবাস করে ফিরেছেন,
প্রথমবার যখন আপনি একাজ টা করে ফিরেছেন,
………. সেদিন আপনি আমার কাছে এসে বসতেই আপনার আসল রূপ টা আমি দেখতে পেয়েছি মিস্টার খান,
!
আপনি কি ভাবেন?
আপনি চিট করবেন আর আমি সেটা বুঝতে পারবোনা?
!
আমি জানি আমি তোমার অপরাধী তবে আমি যানতাম না ইশা তোমার বোন,
!
সম্পর্কের সমীকরণ টা আপনার জানানা থাকলে ও সম্পর্কের বিশ্বাস ভালোবাসা ও ভরসা টা তো আপনার জানা ছিল তাই না?
….
তাহলে কেন আপনি এমন টা করলেন?
!
ইশা আমার বোন জানতেন না বলে তাই?
…….
জানলে তো আপনি অন্য মেয়ের সাথে ছিঃ,
…
আপনি ভাবলেন কি করে,
আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিবো?
!
আপনি ক্ষমা তখনি পাবেন যখন আপনি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে আমার জীবন থেকে অনেক অনেক দূরে চলে যাবেন,
!
আমি এটা কখনো করতে পারবোনা, কখনওই না,
!
তাহলে আমার সামনে থেকে দূর হয়ে যান,
কারন আমি আপনার এই মুখ টা আর দেখতে চাই না মিস্টার খান,
!
তুমি যখন চাও না আমি চলে যাবো,
তবে তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না,
!
তারপর ইমান চোখেরজল মুছতে মুছতে ওখান থেকে বাসায় ফিরে যায়,
!
সেখানে গিয়ে দেখে,
বাসা একদম নিট অ্যান্ড ক্লিন কোথাও কোনো জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে নেই,
!
হঠাৎ করে ইশা ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,
!
সারারাত কোথাকার ছিলে বেবি?
আমি তো তোমার চিন্তায় ঘুমতে পারিনি বাবু,
!
আমি ও কাল সারারাত ঘুমইনি জানো?
!
কেন?
!
এই পেপারস গুলো সাইন করে দাও তারপরে বলছি,
!
ওকে বাবু দাও,
!
ইশা পেপারস গুলো সাইন করে দিতেই ময়না পাখি ওর জিনিস পএ এনে বাসার বাহিরে ছুড়ে ফেলে,
!
এসবের মানে কি ময়নাপাখি?
!
সাহেবরে জিগান আমরা কিছু জানিনা,
!
হোয়াট ইজ দিছ বেবি?
!
ডিভোর্স হয়ে গেছে নাও ইউ জাস্ট গেট আউট ফরম হেয়ার,
!
তুমি এটা করতে পারেনা ইমান,
!
তুই দারোয়ানের সাথে বেড শেয়ার করলে আমি ও তোকে ছেড়ে দিতে পারি,
সত্যি করে বলল তো আর কার কার সাথে কি করেছিস?
!
তোমার প্রশ্নোত্তর দিতে আমি বাধ্য নই ইমান,
!
তাহলে এখান থেকে বেড়িয়ে যা নষ্টা মেয়ে যেন কোথাকার,
!
তারপর ইশা ওখান থেকে আরিয়ানেরর কাছে চলে যায়,
!
আরিয়ান ওর কাছ থেকে সব শোনার পর ওকে দূরদূর করে ওর বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়,
!
কারন ওর ফ্যামিলি দুবাই থেকে ফিরে এসেছে,
……….
নেক্সট তিন চারদিনের মধ্যেই ও এবং ওর পরিবার মিশকার জন্যে বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে যাবে,
!
তাই ও আর কোনো ঝামেলা বয়ে বেড়াতে চায় না,
!
ইমান আরিয়ানের কাছ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর ইশা ওর বাবা মানাফ চৌধুরির কাছে ফিরে যায়,
!
মানাফ চৌধুরি মেয়ের মুখে সব শোনার পরে বলেন,
!
তুমি যেটা করেছ সেটাই ফেরত পেয়েছ ইশা,
…..
আর আমারি ভুল আমি তোমাকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে পারিনি,
…..
তোমার অন্যায় আবদার গুলো কে প্রশ্রয় দিতে দিতে আমি তোমাকে নষ্ট করে ফেলেছি,
!
তোমাকে তোমার ভাইকে প্রশ্রয় দিতে দিতে নৈতিক শিক্ষা দিতে ভুলে গেছি আমি,
আর তাই তোমরা নষ্ট হয়ে পচে গেছ,
!
আব্বু তুমি তোমার মেয়ে কে এভাবে বলছ?
!
ইশার কথা শেষ হতে না হতেই মানাফ চৌধুরি ওর গালে ঠাসসস ঠাসসসস করে দুটো চড় বসিয়ে দেয়,
!
চড় খেয়ে ইশা হতভম্ব হয়ে ওর আব্বুর দিকে চেয়ে থাকে,
!
আব্বু তুমি আমায় মারলে?
!
হ্যা মারলাম,
কিন্তু এখন মেরে লাভ কি বলো?
সময় থাকতে তো তোমাদের শাসন করিনি তাই এসব দেখতে হচ্ছে আমায়,
!
!
!
চলবে