স্বামীর ভালোবাসা part : 14
লেখিকা সুরিয়া মিম
!
বাট আই স্টিল লাভ ইউ বাবুনি,
হা হা হা,
!
কি হলো মা মেজাজ খারাপ বলে মনে হচ্ছে?
!
পাপা ওই আরিয়ান টা আছে না?
!
হুমম,
!
ওকে দেখলেই আমার ঝাঁটাপেটা করতে মন চায়,
!
কেন মা?
হা হা হা,
!
কারন ও উগান্ডা আদিবাসী তাই,
!
হা হা হা,
তোমাদের আজকাল কার ছেলেমেয়েদের এতো রাগ যে কিছু হলেই চৌদ্দ গুষ্ঠি কে উগান্ডা ট্রান্সফার করো,
এটা কেন কর মা?
!
গায়ে সয় না তাই,
!
হা হা হা,
!
আজকে অনেক দিন পরে পাপার সাথে মন খুলে মজা করলাম ও হাসলাম,
!
উফফ,
এখন খুবী শান্তি লাগছে আমার,
!
বিকেলে জিজু মানে জিসার বর আমাকে ও আমার বাবুদের এসে নিয়ে যায় ওদের বাসায় ওদের ছেলে জিসামের বার্থডের অনুষ্ঠানে,
!
জিসামের বার্থডে তে আমি ওকে আমার বানানো ও ডিজাইন করা শার্ট প্যান্ট ও কেক উপহার দেই,
!
তারপর সারারাত ধরে সবাই মিলে হৈচৌ করে মাঝরাতে আমি ঘুমিয়ে পরি,
তখন জিসা আমার পরাণ পাখি দুটো কে সামলে রাখে,
!
ভোররাতে জিসামের কান্না শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আমার,
তাই আমি ওকে কোলে নিয়ে পাইচারি করতে করতে ছাদে চলে যাই,
!
কিছুক্ষণ পর জিসা আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,
!
আমার ছেলে টা আমার থেকে ও বেশি তোকে পছন্দ করে তাই বলি কি?
তুই তোর দুটো আমাকে দিয়ে দে আর আমার এই ছেলে কে তুই নিয়ে নে,
!
আহারে এতো কষ্ট করে জন্ম দিয়েছি কি তোকে দিয়ে দিবো বলে?
শয়তানী জানি কোথাকার?
বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি পেতে চায়,
!
হা হা হা,
!
হাসির শব্দ শুনে দেখি,
জিজু আমার কথা শুনে হাসছেন,
!
কি হলো জিজু হাসেন কেন?
!
সক্কাল সক্কাল শালীর গলা শুনলে জিজুদের মনে যে কি হয় সেটা তুমি বুঝবেনা গো শালীকা,
!
আপনি একটা নির্লজ্জ,
!
কেন?
!
সক্কাল সক্কাল কোরানশরিফ বুকে জড়িয়ে বাঁদরামো করছেন?
আপনি তো পাক্কা জাহান্নামের বাসিন্দা,
!
হা হা হা,
!
আপনি ওখানে যাবেন আমি নিশ্চিত,
!
গেলে একা যাবো না গো শালিকা,
তোমাকে সাথে করে নিয়ে যাবো আফটার অল শালি আধি ঘড় ওয়ালী বলে কথা,
!
তাহলে আপনার জাহান্নামে ও জায়গা হবে না,
!
হা হা হা,
!
ব্যাটা অসভ্য তুই আমার সামনে আমার বেষ্টুর লগে আলগা পিরিত করো?
!
না মানে,
!
তোর মানে তোকে দেখাচ্ছি তুই একটু খাড়া,
তারপর জিসা জিজু কে মারতে মারতে রুমে নিয়ে যায়,
!
আর আমি জিসাম কে আমার বুকে জড়িয়ে হাসতে থাকি,
তখন হঠাৎ করে পাশের ছাদে নজর যেতেই দেখি,
!
ওই বাজে লোক টা আমার দিকে মলিন চোখে তাকিয়ে আছে,
!
আর ওই লোক টাকে দেখে ঘৃণা করছে আমার,
আমার বিশ্বাস হয় না যে আমি এই লোক টাকে কোনো একসময় অনেক ভালোবেসেছি,
কোন দুঃখে যে বেসেছিলাম তাই আজকে এমন দিন দেখতে হচ্ছে আমার,
!
যাই হোক আর এক সেকেন্ড ও এখানে দাঁড়িয়ে থাকবো না আমি,
তাই আমি ওখান থেকে চলে যেতে শুরু করি,
!
তোমার সমস্ত সুখশান্তি কেরে নিয়েছি বলে কি যাওয়ার আগে আমাকে অভিশাপ দিয়ে গেছ?
!
ওহহহ হ্যালো,
অভিশাপ কাও কে দিতে হয় না আল্লাহর কাছ থেকে নিজে থেকেই আসে,
আর আপনাকে অভিশাপ দেওয়ার সখ কোনো কালেই আমার ছিলো না,
কারন সেটা দেওয়ার জন্যে আমার আল্লাহ একাই যথেষ্ট গট ইট,
!
তারপর আমি জিসাম কে নিয়ে রুমে চলে আসি আর ওকে আমার বুকে জড়িয়ে শুয়ে পরি,
কারন আমার দুটো কে জিসা জড়িয়ে রেখেছে,
……
আর জিজু মানে জিসার বর সাইমুম ভাইয়া রুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে দারওয়ান গিরি করছে মানে আমাদের পাহারা দিচ্ছে,
হা হা হা,
!
পরেরদিন ইউনিভারসিটি তে গিয়ে শুনি,
!
ইউনিভারসিটি তে বৈশাখী উৎসব পালন পরা হবে,
দুদিন ব্যাপী বিশাল বড় মেলার আয়োজন করা হবে ইউনিভারসিটি তে,
!
ইসসসস,
কি মজা টাই হবে না?
আমার দুটো পাপা কে ধরে আনবে আমাকে চুড়ি কিনে দিতে,
হা হা হা,
!
হায় আল্লাহ আমি বড় হয়ে গেছি, দুটো বাচ্চার মা হয়ে গেছি তবু ও এমন বায়না করছি ,
হা হা হা,
!
কি হলো মা কি এতো ভাবো সারাক্ষণ?
!
কিছুনা মা?
!
আসলে আমার জন্যে সোসাইটি তে তোমাদের কথা শুনতে হয় এসব ভালোলাগে না আমার মাম্মা,
!
তুই কাঁদছিস কেন?
এখানে তোর কোনো দোষ নেই, তোর ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমরা তোকে ইমানের সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম আমাদের ক্ষমা করে দে মা,
!
তুমি এমন করে বলো না মাম্মা আমার এসব শুনতে ভালো লাগেনা,
!
তুমি জানো আমি ওই অসভ্য টালে কতবার ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছি?
যতবার পাঠিয়েছি ও ততবার ডিভোর্স পেপার গুলো ছিড়ে আমাকে পার্সেল করে পাঠিয়েছে,
!
হা হা হা,
আসলে ওর অবস্থা খাইতে পাইলে শুইতে চায়,
!
হা হা হা,
!
মা দেখ তো এই ড্রেস টা তোর জন্যে উগান্ডা দিয়ে আনিয়েছি,
!
পাপা?
!
কেমন হয়েছে মা?
হা হা হা
!
সাদা পরির মতো অনেক সুন্দর হয়েছে পাপা আমি কাল কেই এই ড্রেস এা পরবো,
তবে বাংলাদেশে এতো ড্রেস থাকতে উগান্ডা গেলে কেন আমার ড্রেস কিনতে?
!
আমার ছোটো মেয়ে তাই?
!
তুমি না এখনো আগের মতো দুষ্টু আছো পাপা,
!
ফাজিলের ফাজিল পাপা কে দুষ্টু বলতে আছে?
!
আলবাত আছে হা হা হা,
!
পরেরদিন সকালে আমি পাপার দেওয়া সাদা কালারের ল্যাহেঙ্গা পরে হালকা সাজুগুজু করে ইউনিভারসিটির বৈশাখী অনুষ্ঠানে যাই,
!
সেখানে গিয়ে আমি, রুহান, জিসা, জাহাদ মিলে লাল সাদা বেলুন দিয়ে স্টেজ সাজাতে শুরু করি,
স্টেজ সাজানো কমপ্লিট করে খেয়াল করে দেখি,
!
জিজু জিসাম কে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
মিস্টার ইমান খান মিসেস ইশা খান ও আরিয়ান চৌধুরি কে নিয়ে আমাদের প্রোফেসর ও লেকচারারদের সাথে আলাপ আলোচনা করছেন,
!
কেন যেন মনে হচ্ছে মিস্টার খানের অবস্থা ভালো নেই তাকে আমার কি?
!
তখন হঠাৎ আমার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খিলে যায়,
!
তাই আমি রুহান কে মজা করে বলি,
!
শোন ক্যালা খাইতে মন চায়,
!
কলা খাবি?
!
হুমম?
!
তা এতে কিছু থুইয়া ক্যালা খাবি ক্যান?
!
মন চায় তাই?
!
এতো কিছু থাকতে ক্যালা তোর মনে চাইছে?
!
হুমম,
!
নে ধর তোর ক্যালা,
!
তখন খেয়াল করে দেখি,
সবাই আমার দিকে চেয়ে মুচকি মুচকি হাসছে,
!
তাই একটা ভেংচি মেরে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলি,
!
হাসবেন যখন বোএিশ টা বেড় করে হাসুন মুচকি মুচকি হাসার মানে কি?
!
আমার কথা শেষ হতে না হতেই সবাই হা হা করে হেসে দেয়,
তারপর একটা কলা আমরা চার জনে শেয়ার করে খাই,
!
পরে ডংডং করতে করতে মিস্টার খান ও আরিয়ান চৌধুরির পেছনে গিয়ে ক্যালার ছোলা ফেলে আসি,
!
তখন রুহান এসে বলে,
এতো সুন্দর দেখায় তো হাতে পায়ে আলতা পরিস নি কেন?
!
আমি আলতা পরতে পরি না,
!
দেখি চুপ টি করে বয়,
!
ক্যান?
!
বয় তারপরে বলছি,
!
আমি বসার পরে রুহান আমার হাতে পায়ে সুন্দর করে আলতা পরিয়ে দেয়,
আর ওর পকেট থেকে এক জোড়া পায়েল বেড় করে পরিয়ে দেয়,
!
মিশকা কোথায় যেন জ্বালা পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি,
!
তখনি ধুমধাম করে কেনোকিছু পরে যাওয়ার শব্দ হয় খোয়াল করে চেয়ে দিকে একটা শয়তান আরেকটা শয়তানের ওপরে পরে গেছে,
আই মিন আরিয়ান ইমানের ওপরে পরে গেছে,,
!
কিন্তু কি নির্লজ্জ আমার ও রুহানের দিকে এমন করে তাকিয়ে আছে যেন এখনি আমাদের চিকেন ফ্রাই করে খেয়ে ফেলবে,
!
হা হা হা,
!
হাসিস ক্যান?
!
মেয়েদের দিয়ে মন ভরে না,
তাই ছেলেতে ছেলেতে শুরু হয়ে গেছে,
!
আমার কথা শুনে রুহান আমার মুখ চেপে ধরে হা হা করে হেসে দেয়,
চলবে