স্বামীর অধিকার
পর্ব/৪
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~~
রিমি/ জানি আপনার মত ছোটলোকরা শুধু শরীর-ই চায় আর আপনাদের শরীর পেলে চলে
একটা মেয়ের চাওয়া মনের কথা গুলো বুঝার মত সুন্দর একটা মন আপনাদের নেই
আমি রিমি মুখ চেপে ধরে বললাম
আমি/ চুপ একদম চুপ কোন কথা বলবেনা শুধু এটাই মনে রাখো তুমি শুধুই আমার আর কারও নয়
আর আমাকে স্বামী বলে গ্রহন কর
রিমি/ কখনওই না কোনদিনও না
আমি/ উফফফ আর সহ্য হয়না এই একটি কথা শুনতে
বেরিয়ে পড়লাম ঘর থেকে
ফিরে আসলাম সেই রাতে
তাও আবার নেশা করে
দরজা টোকা দিতে
রিমি/ কে…..
আমি/ আমি
রিমি/ আমি কে
আমি/ আমি তোর স্বামী দরজা খুল তাড়াতাড়ি
রিমি বুঝতে পারছে এবার তাই দরজা খুললো
দরজা খুলতে আমি তার উপহার পড়ে গেলাম
রিমি/ ছিঃ ছিঃ আপনি নেশা করেছেন
শেষ পর্যন্ত নেশা করে বাসায় ফিরলেন
আমি/ হ্যাঁ আমি নেশা করছি তাতে তোর কি আমার টাকার আমি খাইছি
তোর বাবার টাকায় তো আর নেশা করিনি
আমার বাসায় আমি আসছি তুই বলার কে
রিমি চুপ হয়ে রইলো কারন সে বুঝতে পারছে মাতালরা এভাবে কথা বলে
রিমি আমাকে ঘরে নিয়ে গেলো
শুয়ে দিলো পাঁয়ের জুতাটাও খুলে দিলো
তারপর রিমি চলে যাবে এমন সময় তার হাতটা ধরে টান দিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসলাম
আমি/ কোথায় যাও আমাকে একা করে
রিমি/ আপনার মত একটা মাতাল নষ্ট মানুষের সাথে থাকার কোন ইচ্ছায় আমার নেই
আমি/ তোমার না থাকলেও আমার আছে
আসো বুকে আসো
রিমিকে জড়িয়ে ধরলাম
রিমির যেমন ইচ্ছা নেই তেমনি বাঁচারও উপায়
সেই রাতেও রিমিকে অনেক কাছে পেয়েছি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে
সকাল হয়ে এলো ঘুম ভাঙ্গতে দেখি সবকিছু এলোমেলো
মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম
হায় মাবুদ না জানি কালরাতে আবার কি করলাম
আমি/ রিমি এই রিমি
রিমি/ নেশা কেটেছে আপনার মাতাল স্বামী
আমি মনে মনে খুশি হইলাম
আর সেই খুশিতে রিমিকে কোলে তুলে গান গাইতে লাগলাম
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে
রিমি/ এই ছাড়ুন বলছি ছাড়ুন ছাড়ুন
আপনি কি জড়িয়ে ধরা ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া আর কিছুই জানেন না
আমি/ ঐ তোমার এত গা জ্বালাপোড়া করে কেন
আমার বউকে আমি ভালোবাসবো আদর করবো
কোলে তুলে নাচবো
তাতে তোমার কি
রিমি/ বউ মানে কি হুমমমম বউ মানে কি কারও স্বামী হওয়ার কোন যোগ্যতা আমিতো আপনার মাঝে দেখিনা
আমি/ দেখবে কি করে তুমি যে চোখ থাকতে অন্ধ
যাও সোনা খুব ক্ষুধা লাগছে কিছু খেতে দাও
রিমি/ বাহ্ বাহ্ বাহ্ খুব ভালোতো রাতে বললেন তুই করে আর এখন বলছেন সোনা বলে
সত্যি আপনারা পুরুষরা না সব পারেন
আমি/ এই শোন পুরুষ মানুষের এত দোষ ধরতে নেই
আর তুমি কি জন্মের পরে শুধু নিম পাতা খেলে চিনি মিষ্টি সন্দেশ এসব কিছুই তোমার পেটে পরেনি
রিমি/ এই শুনেন আমাকে যা বলার বলুন কিন্তু আমার পরিবারের কাউকে নিয়ে কিছু বলবেন না এই বলে দিলাম
যাক বাবা কি মেয়েরে এই মেয়ের সাথে কথায় কিংবা শক্তিতে নয়
ভালোবেসে তার মন জয় করতে হবে
রিমি আমার জন্য নাস্তা বানাতে যায়
আমি পিছন থেকে ডেকে তাকে হাত জোর করে বললাম
আমি/ রিমি
রিমি পিছন ফিরে তাকিয়ে
রিমি/ রিমি কি আবার কি আসলো আপনার ঐ নষ্ট মাথায়
আমি হাত জোর করে তাকে বললাম
ক্ষমা করে দিও কালরাতের ব্যবহারের জন্য
রিমি/ মুখ বাঁাকা করে বললো
রিমি/ থাক আর ন্যাকামো করতে হবেনা
নাস্তা দিচ্ছি খেতে আসুন
আমি/ রিমির আঁচল ধরে বললাম চলো
রিমি/ এটা কি হচ্ছে
আমি/ তেমন কিছুই নয় তোমার কথা শুনে মাথা ঘুরে
তোমাকে ধরে হাঁটলেতো অসভ্য বলবে
তাই আঁচল ধরে হাঁটি
রিমি/ ছাড়ুন খেতে দিচ্ছি বলে ভাববেন না আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি
আমি চাইনা কেউ আমার জন্য না খেয়ে থাকুক তাই ইচ্ছা না থাকলেও খেতে দিচ্ছি
টেবিলে গিয়ে দেখি ওমা পিঠা
আমি/ পিঠা কে বানালো
রিমি/ এ ঘরের চাকরানীটা
আমি খেতে খেতে বলি
আমি/ সেটা আবার কে
যাইহোক পিঠাটা দারুন হয়েছে আরও দারুন হতো যদি বউটা তার হাতে খাইয়ে দিতো
রিমি/ হুহহহহহ শখ কত
আমি/ এদিকে আসো তো
রিমি/ কেন
আমি/ আরে আসোইনা
রিমি এক পাঁ দু পাঁ করে আসে
আমার পকেটে হাত দাও
রিমি/ কি…..
আমি/ আরে হাত দাওতো
রিমি হাত দিতে ৫টাকার ১টা কয়েল পেল
রিমি/ এ ৫টাকার কয়েল এটা দিয়ে আমি কি করবো
আমি/ কাজের মেয়েটাকে দিয়ে দিও আর বলবে
তোমার ভাইজান তোমার হাতে বানানো পিঠা খেয়ে তোমাকে এই ৫টাকা বকশিষ দিয়েছে
রিমি বেলুনের মত ফুলতল লাগলো
আর বলে
রিমি/ কি আমি কাজের মেয়ে আর এই ৫টাকা আমার বকশিষ তবেরে আজকে তোমাকে আর ছাড়বোনা
রিমি আমাকে মারার জন্য ছুঁটতে লাগলো
আমিও এ ঘর ও ঘর ছুঁটা বেড়াই
রিমি/ দৌড়াও কেন তুমি না পুরুষ মানুষ একটা মেয়েকে এত ভয় পাও কেন
আমাকে তাড়া করতে গিয়ে হঠাৎ করে রিমি পাঁ মঁছকে পড়ে যায়
রিমি/ উহহহহ মা গো আহহহহ
আমি/ কি হলো সোনা ব্যথা কি খুব বেশি পেলে
চলবে….???