seeing with you part-27+28

0
1700

#seeing_with_you
Episode – 27 #সিদ্ধান্ত
Writer – Zaira Insaan

কেবিনে দরজার টোকা পড়তেই চোখ উঠায় তাকায় রিদান রিতু দাঁড়িয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসছে ভেতরে ঢুকে চেয়ারে পা দুলিয়ে বসে পড়ে। রিদান তাকে দেখে জিজ্ঞেস করে,, কোথার থেকে এলি মহারানী? রিতু হেঁসে দেয় বলল,, ঢাকা থেকে পরশু এলাম এখন তোমার বাড়ির থেকে আসছি।” রিদান বলে,, ওহ আচ্ছা আমিও এই কয়েক দিন রাজশাহী ছিলাম কালকেই ফিরেছি, তো বল কি খবর তোর? রিতু পা দুলাতে দুলাতে মুচকি হেসে বলল,, আমার কি খবর হবে তোমার খবর বলো।” রিদান মুচকি হেসে বলল,, কিছু না সব ঠিকঠাক।” রিতু আবারো মুচকি হেসে বলল,, হুমম রাহাত আমাকে সব বলল রিদান ভাই।” রিদান না বুঝে বলে,, কি বলল রাহাত তোকে? রিতু এবার পা দুলানো বন্ধ করে সিরিয়াস হয়ে বলল,, মোমো কে পছন্দ করো তাই না? রিদান বেপরোয়া হয়ে সাথে সাথে উত্তর দিলো,, হ্যা করি, তো?‌ রিতু টেবিলে হাত রেখে বলল,, কখন থেকে এসব চলছে? আর সে তো জানেই না।”
রিদান চেয়ারে হেলান দিয়ে বলে,, প্রথম থেকেই আর হ্যা সে জানেই না আমি ওকে পছন্দ করি তো কি হইছে তোর? রিতু আড়চোখে তাকায়,, আমার বান্ধবী কেই পছন্দ করে ফেললা রিদান ভাই এটা তো ঠিক না!”
রিদান ফিক করে হেসে বলল,, তো তোকে পছন্দ করব নাকি? রিতু কাঁধের কাছ থেকে চুল উড়িয়ে বলল,, করতে পারো আমিও কিন্তু অনেক সুন্দর।” রিদান মুচকি হাসি দিলো। রিতু আবারো সিরিয়াস হয়ে বলল,, তুমি বলে শেফালী নামে একটা মেয়েকে ঘরে থাকতে দিছিলা? রিদান ব্রু উঁচু করে বলল,, তাহলে রাহাত তোকে এটাও বলে দিল, হ্যা থাকতে দিছি সবই তো জানোস বারবার জিজ্ঞেস করছিস কেন যা বাসায় গিয়ে ঘুমায় যা।” রিতু এবার একটু রেগে বলল,, তো শেফালীর সাথে মিলে এতো প্লেন করার কি আছে যা বলার মোমো কে একলা ডেকে বলো আজব, কাহিনীর মধ্যে ভিলেন হয়ে যাচ্ছো কেন? রিদান এবার ফাইল সরিয়ে বলল,, যা এখান থেকে মাথা খারাপ করিস না, মোমো কে বলতে পারলে অনেক আগেই বলে দিতাম বলব শুধু সময়ের অপেক্ষা।” রিতু একটু ঠান্ডা মাথায় বলল,, কেন কি হয়েছে? রিদান বলল,, ওই মুরাক দাড়োয়ান এর মতো মোমোর পিছে লাগিয়ে থাকে বলব কেমনে?
রিতু আর কিছু বললো না চুপচাপ বসে রইল। আসলে সে বলবে কি অবস্থাটাও তো উদ্ভুত। রিতু আর কিছু না বলে চলে আসলো।
।।।।।
।।।।।
রিতু হুড়মুড় করে মোমোর বাসায় এসে রোকেয়া কে জিজ্ঞেস করল,, আন্টি মোমো কোথায়?
রোকেয়া মোমোর রুম দেখিয়ে বলেন,, ও রুমেই আছে।’
রিতু উপরে উঠে সরাসরি দরজা ঠেলে ঢুকে পড়লো। মোমো আয়নার সামনে চুল আঁচড়াতে ব্যস্ত ছিল রিতু রুমে দেখে চিরুনি রেখে পিছে ফিরলো। রিতু গরম হয়ে বলল,, তুই এতো কিছু করে ফেললি আমাকে বলার একটুও প্রয়োজন মনে করলি না।’ মোমো না বুঝে বলে,, কি করলাম? রিতু আরো রেগে জোরে বলল,, রিলেশন, মুরাকের সাথে রিলেশন।” তার জোরে বলাতে সে আতকে উঠে তাড়াতাড়ি এসে রুমের দরজা বন্ধ করে রিতুর মাথায় চাটি মেরে বলল,, এই বলদ আস্তে বল চিল্লাস কেন, আম্মু শুনে ফেলবে তো।” রিতু চেঁচিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই মোমো তার মুখে হাত দিয়ে বলে,, প্লিজ যা জিজ্ঞেস করার তা আস্তে করে জিজ্ঞেস কর প্লিজ।” রিতু এক ঝটকায় হাত সরালো তারপর আস্তে বলল,, এসব কখন থেকে চলছে?
মোমো দরজার দিকে তাকিয়ে বলল,, অনেক দিন ধরে।’
রিতু এবার তার বাহু ধরে নিজের দিকে তাকিয়ে বলল,, রিদান ভাই তোকে পছন্দ করে।” মোমো এক ব্রু উঁচু করে হাত ছাড়িয়ে বলল,, জানি।’ রিতু আবারো বলল,, জানোস তবে…।’ মোমো কথা অর্ধেক রেখে বলল,, তো কি করব ও আমাকে পছন্দ করে আমি করিনা প্লিজ যা এখান থেকে ভাল্লাগছে না।”‌ রিতু চোয়াল শক্ত করে বলে,, যা করবি কর মুরাক কে বিয়ে কর কিন্তু এসবের মধ্যে যেন রিদান ভাই কষ্ট না পায় বলে দিলাম।” রক্তু চোখে তাকায় তারপর ঠাসস করে দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে যায়। মোমো হা হয়ে যায় তার ব্যবহারে।
।।।।।
।।।।।
রাত,,,,,,
সবাই খাবার টেবিলে খেতে বসল। রোকেয়া গম্ভীর মুখে খাবার খাচ্ছেন ইভান ও মোমো রোকেয়ার দিকে তাকিয়ে একে অপরের দিকে তাকায়। ইভান ইশারায় জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে! মোমো না সূচক মাথা নেড়ে জবাব দেয় সে জানে না কি হয়েছে তার মার। রোকেয়া খাবারের মাঝখানে দুজনের দিকে তাকায় তারপর মোমো কে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করেন,, মুরাক কে পছন্দ করো? মোমো এক ধ্যানে খাবার খাচ্ছিল এমন প্রশ্ন শুনাতে গলায় খাবার আঁটকে কাশি উঠে যায়। কাঁশতে কাঁশতে তার মায়ের দিকে তাকালো সে গম্ভীর মুখোভাব নিয়ে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। ইভান ব্রু কুঁচকে দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে এমন প্রশ্ন কেন করল তার মা সে এটা বুঝতে পারছে না। কিছুক্ষণ পর মোমো গলা ঝেড়ে মিইয়ু গলায় বলে,, আম্মু আসলে..।
রোকেয়া বলেন,, সব শুনছি সকালে আমি তোর আর রিতুর কথাবার্তা, এখন যা বলবি সব সত্যি বলবি নাহলে তোর খবর আছে।” মোমো ভয় পেয়ে যায় সে আশা করিনি এতো তাড়াতাড়ি তার মা জেনে যাবে দু তিনবার ঢোক গিলে চোখ বন্ধ করে এক নিঃশ্বাসে সব সত্য বলে দিল সেই প্রথম থেকেই। ইভান হা হয়ে যায় এতো কিছু হয়ে গেল সে জানেই না কিন্তু রোকেয়ার কোন রিয়েকশন নেই মনোযোগ দিয়ে সব শুনলেও। কথার শেষে মোমো পানি খেতে লাগল ভাত তরকারি সব ঠান্ডা হয়ে যায় কেউই খাচ্ছেনা শুধু একে অপরের দিকে চাওয়া চাওয়ি করতে লাগল। ইভান অবাকের রাজ্য পৌছে যায় অবাকের ভঙ্গিতে বলল,, তুই? তুই তো সবসময় বলছ আমি কখনো রিলেশন ভিলেশন করব না ডায়রেক্ট বিয়ে করব তাহলে এখন?

মোমো রাগি চোখে তাকায় এ মুহূর্তে সে আগুনের মধ্যে ঘি ঢালছে, মোমো পিটপিট চোখে রোকেয়ার দিকে তাকায় রোকেয়া শান্ত চোখে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে এটা দেখে মোমো আরো ঘাবড়ে যায় কেননা তার মা যখনি রেগে যায় এভাবেই শান্ত মার্কা চেহারা করে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে। ইভান একবার মোমোর দিকে আরেকবার তার মায়ের দিকে তাকাচ্ছে। রোকেয়া সামনের দিকে তাকিয়ে বলেন,, কালকে তোর মামা ও চাচা কে ডাকব তুই কালকে মুরাক কে বাসায় ডেকে আনবি তার সাথে কথা হবে।” বলে চলে যেতে নিলে মোমো দাঁড়িয়ে বলে,, কেন তারা মুরাকের সাথে কি কথা বলবে? রোকেয়া তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেন,, তোর আব্বা এখন আর বেঁচে নেই এখন যা করার আমার ও তাদের করতে হবে তো যা বলছি তা তুই মেনে চলবি, বুঝলি!” বেশ জোরে ধমকে সুরে বলেন তার মা রোকেয়া। মোমোর ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে।

(চলবে…)

#seeing_with_you
Episode – 28 #তারা
Writer – Zaira Insaan

মিষ্টি রোদের আলো হাসছে। মসৃণ বাতাসে একটু করে পর্দা ফাঁক করে এক ফালি নরম রোদ ছুঁয়ে দিল মোমোর মুখখানি। পিটপিট করে চোখ খুলে আশেপাশে চোখ বুলালো সে, বিছানায় আধশোয়া হয়ে পড়ে আছে সে। উঠে বসল গতরাতে কথা ভেবে একরাশ দুশ্চিন্তা ছেয়ে গেল তার মনে। তার ফোনের দিকে চোখ যায় ফোন উঠিয়ে মুরাকের নাম্বারে কল দিতেই সেই বারবার কথা ফোন বন্ধ* কিছুটা হতাশ হয় সে কেননা গতরাতে তার মায়ের সাথে বলা কথাগুলো মুরাক কে জানায়। কিন্তু মুরাক কোন উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে অফ করে রেখেছে। কি হবে এখন? তার মামা ও চাচা তো তার সাথেই কথা বলবে, মুরাকের এমন বেপরোয়া ভাবে ব্যবহার দেখে কিছুটা রাগ হয় মোমোর। হঠাৎ দরজায় টোকা পড়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে দরজা খুলে দিল মোমো সাথে সাথে হুড়হুড় করে ঢুকে পড়লো রুপালি, রুহি, রাহিনী, মোহিনী। তাদের দেখে বুঝে গেল তার মামা ও চাচা বাড়িতে আসছে নিচে উঁকি দেয় বড়রা সবাই কথা বলছে। রুহি মোমোর হাত টান দিয়ে বলল,, কেমনে পটায়ছো জিজুকে? বলো বলো।” সাথে সাথে সবাই হেঁসে দেয়। মোমো মনে মনে বলতে লাগল,, তোর জিজুর কোন খবর নাই রে!
নিচে বড়রা সিরিয়াস হয়ে এমন ভঙ্গিতে কথা বলছে যেন মুরাক আসলেই তাকে হত্যা করবে। এদিকে তার কাজিনরা তার সাথে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতে চলছে। মোমোর অসহ্য লাগলেও কিছু করার নেই চুপ করে বসে থাকা ছাড়া। রুপালি তো বলেই বসল,, আহারে সারাবছর প্রেম করবে না বলে বলে কি করে বসল মুনতাহা দিদি।’ মোমো কটাক্ষ চোখে তাকায় রুপালি চুপ করে যায়। মোহিনী তাকে ধাক্কা দিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগল,, মুনতাহা দিদি বলনা তোমাদের প্রেমের গল্প হে হে হে।” মোমো গরম হয়ে দাঁড়িয়ে বলে,, আর যদি তোমরা ফালতু কথা বার্তা বলো আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না।” রাহিনী তোয়াক্কা না করে বলল,, হুহহ প্রেম করে আবার ঢং দেখাচ্ছে।” মোমো রক্তু চোখে তাকাতেই সবাই মিলে রাহিনীকে চুপ করালো। মোমো বারান্দায় গিয়ে রেলিং এ হাত রেখে হতাশ গলায় বলল,, প্লিজ তাড়াতাড়ি আসো নাহলে সবাই মিলে আমার বারোটা বাজাবে।”
________________
নিচে কলিং বেল বাজতেই মোমোর মামি নাহিদা এসে দরজা খুলল। বেলের আওয়াজ পেয়ে মোমোর কাজিনরা হুমড়ি খেয়ে নিচে উঁকি দিল তাদের জ্বালায় মোমো ও দেখতে পারছে না কে আসছে। বাহিরে মুরাক কফি কালারের শার্ট ও কালো প্যান্ট পড়ে বরাবরের মতই সুন্দর করে আসছে। মুরাক কে দেখা মাত্রই খিলখিল করে হেসে দিল মোমোর কাজিন গুলো। রুহি তো তার দিকে চোখ রেখেই মোমো কে বলল,, ও মুনতাহা দিদি এটা তোমার বয়ফ্রেন্ড ইশশ্ কত সুন্দর।”
মোহিনী তো বলেই বসল,, আমার আম্মুকে বলব এর মত যেন সুন্দর ছেলের সাথে আমার বিয়ে দেয় ইশশ্ ক্রাস খায়ছি।” মোমো তাদের কথা শুনে ঘৃণ লাগতে শুরু করলো, এমন করার কি আছে আজব! মেয়েগুলো পুরো মরে যাচ্ছে। মোমো রেগে তাদেরকে রুমে ঢুকিয়ে দিল। মুরাক ভেতরে আসতেই সবাই দাঁড়িয়ে যায় মুরাক সবাইকে মুখে সালাম করলো একে দেখে চাচা আবুল বলেন,, বসো এখানে! মুরাক মুখে হাসি রেখেই মাথা নেড়ে বসল। উপরে মোমো ভয়ে নখ কামড়াতে লাগলো কি না কি প্রশ্ন করে বসে তার মামা চাচারা। মোমোর মামা মাহবুব গম্ভীর হয়ে জিজ্ঞেস করেন,, নাম কি তোমার? মুরাক মুচকি হেসে বলল,, মুরাক মেহরাব।”
চাচা আবুল চোখ কুঁচকে জিজ্ঞেস করেন,, কি কাজ করো? চাকরি নাকি বিজনেস?

মুরাক বলল,, জ্বি বিজনেস করি।” সবাই একে অপরের দিকে তাকায়।

চাচা আবুল আবার জিজ্ঞেস করেন,, কিসের বিজনেস?
মুরাক বলল,, কাপড়ের বিজনেস, এ শহরে বড় কম্পানি আছে।”

মামা মাহবুব একটু চিন্তা করে জিজ্ঞেস করেন,, তোমার বাবা কি করেন আর কখন থেকে কম্পানি চালাচ্ছো?
মুরাক মুখে হাসি রেখেই উত্তর দেয়,, আব্বু অনেক আগেই অবসর নিয়েছেন আর আমি পড়ালেখা পাশাপাশি আব্বুর বিজনেস দেখাশোনা করতাম এখন সবকিছু বোঝার পর থেকে কম্পানির দায়িত্ব টা আমাকে দিয়ে দিছেন।”

চাচা আবুল ব্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করেন,, ঘরবাড়ির কি অবস্থা? মুরাক প্রশ্নটা শোনার পর আপনাআপনি ব্রু উঁচু হয়ে যায় এভাবে কেউ জিজ্ঞেস করে ঘরবাড়ির কি অবস্থা?

মুরাক আবারো মুখে হাসি টেনে বলে,, এ শহরে বাংলো ৩ফ্লাট ২ গন্ডা জমি , ঢাকায় ধানমন্ডিতে ১ফ্লাট ও কাপড়ের ২টা শো রুম আছে।” তার কথার শুনার সাথে সাথে সবার চোখ বড়বড় হয়ে যায় সবাই একে অপরের দিকে তাকাতে লাগল। মুরাক উপরের দিকে তাকায় মোমো তার দিকেই তাকিয়ে আছে ভয়ে বেচারির বেহাল অবস্থা, মুরাক সবার দিকে আড়চোখে তাকায় তারপর কেউ না দেখার মত মোমো কে চোখ মারে, মোমোর চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় এমতাবস্থায় ও সে মশকরা করছে মুরাক ঠোঁট চেপে বাঁকা হাসে আর মনে মনে বলে,, এখন তো তারা মানবেই, না মেনে কোথায় যাবে হুহ।”

মামা মাহবুব তাকে মাথা থেকে পা অব্দি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে একটু গলা ঝেড়ে জিজ্ঞেস করেন,, বয়স তো বেশি মনে হচ্ছে না ২৫,২৬ এই লাগছে সত্যি কি সবকিছু শুধু তুমি দেখা শুনা করো?

মুরাক জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলে,, না সবকিছু আমি দেখি না আমার বোন মাহিরাও দেখাশোনা করে।

পেছন থেকে মামি নাহিদাও বলে উঠেন,, তোমার বোন ও আছে? কিসে পড়ে সে?

মুরাক চোখ এড়িয়ে বলে,, অর্নাসের সেকেন্ড ইয়ারে।’

পেছনে মামি চাচিরা বাহ্ বা করতে লাগল। চাচা আবুল ও মামা মাহবুব রোকেয়ার দিকে তাকান তিনি শান্ত চোখে মুরাকের দিকে তাকিয়ে আছেন। মুরাক উপরের দিকে তাকাতেই তার দৃষ্টি অনুসরণ করে রোকেয়া ও উপরে তাকান আবার রোকেয়া দৃষ্টি অনুসরণ করে সবাই উপরের দিকে তাকায়। সবার দৃষ্টি মোমোর দিকে পড়তেই সে হচকচিয়ে যায় লজ্জা পেয়ে সে সাথে সাথে রুমে ঢুকে পড়ে।
তার চলে যাওয়াতে মামা মাহবুব আবার মুরাক কে জিজ্ঞেস করেন,, মোমো কে কিভাবে চিনো তুমি? মোমো রুম থেকে হালকা উঁকি দেয়।
মুরাক বলে,, ও তো নার্স ওকে হায়ার করেছিলাম আমার দাদির খেয়াল রাখার জন্য, তখন ওর সাথে দেখা হয় আমার।”

চাচা আবুল বলেন,, তোমার সাথে যদি ওর বিয়ে না দেয়?

মুরাক মেজাজ খারাপ হয়ে যায় ব্রু কুঁচকে গম্ভীর গলায় বলে,, বিয়ে না দেওয়ার কারণ? ওকে সবচেয়ে বেশি আমি ভালো রাখব, আমার চেয়ে কেউ ভালো রাখতে পারবে বলে আমার মনে হয় না, ওর সব আশাও আমিই পূরণ করব, ওকে ভালোবাসি বলেই এখানে আপনাদের সামনে বসে ইন্টারভিউ দিচ্ছি, তারপরও বলছেন বিয়ে দিবেন না।”

মুরাক যে রেগে যাচ্ছে সেটা টের পেল মোমো, সে উপর থেকে ইশারা করে তাকে ঠান্ডা হতে বলছে নাহলে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার জায়গায় আরো খারাপ হয়ে যাবে। মুরাক তার দিকে তাকিয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাগ দমালো।

চাচা আবুল আবারো বলেন,, আজকে এতটুকু কথা বলে ভেবেয়ু না যে আমাদের মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দিব তোমার সম্পর্কে যাচ বিচাচ করব তারপর চিন্তা করব তোমাকে ওর সাথে বিয়ে দিব নাকি, এখন যেতে পারো!”

মুরাদ উঠে দাঁড়ালো তারপর মোমোর দিকে এক পলক তাকিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। মোমো তার চলে যাওয়ার দিকে তাকায় তারপর নিচে তাকাতেই দেখে সবাই ওর দিকেই তাকিয়ে আছে মোমো মাথা নিচু করে পা টিপে রুমে ঢুকে যায়।

(চলবে…)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে