#seeing_with_you
Episode – 17 #third_person
Writer- Zaira Insaan
অফিসে অনেক কাজ থাকাতে নাস্তা না করেই সকাল সকাল বেরিয়ে যায় মুরাক। এদিকে মোমো চোখ বুলিয়ে চারপাশে খুজতে লাগলো মুরাক কে সে জানে না যে মুরাক অফিসে। মোমো গিয়ে দাদির সাথে কথা বলতে লাগল পাশে মাহিরাও বসে আছে। হঠাৎ এ সময়ে ইভানের কল দেখে ব্রু কুটি করে মোমো, রিসিভ করে সে অপাশের কথা শুনে “কিহ” বলে উঠে দাঁড়ায় এ পরের কথা গুলো শুনে সে থমকে যায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে, ইভান তাড়াতাড়ি ফোন কেটে দেয়। মোমো কে এভাবে থাকতে দেখে দাদি ও মাহিরা ঘাবড়ে যায় মাহিরা তার কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করে,, কি হয়েছে? গা কাঁপছে তার গলায় আওয়াজ যেন দলা বেঁধে আঁটকে গেছে তাও কাঁপা কাঁপা কন্ঠে আস্তে করে শব্দ উচ্চারণ করে,, “আব্বু”। বলেই দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। দাদির ও মাহিরার বুঝতে বাকি রইল না যে কি ঘটল…।
।।।।।
।।।।।
অফিসের জরুরি কাজ শেষ করেই বাসায় ফিরলো মুরাক। ঘরে ঢুকতেই দেখে তার মা রাবেয়া ও দাদা দাদি টেনশনে বসে আছেন আশেপাশে মাহিরা ও মোমো কে দেখা যাচ্ছেনা সে এগিয়ে গিয়ে রাবেয়া কে উদ্দেশ্য করে বলে,, বাকিরা কই? আর তোমাদের এমন দেখাচ্ছে কেন? রাবেয়া ছেলের কাছে এসে বলেন,, মুনতাহার আব্বু এক্সিডেন্ট হয়েছে। মুরাক চোখ তুলে তাকিয়ে বিস্ময়কর কন্ঠে বলে,, কিহ? রাবেয়া মাথা নেড়ে বলে,, মাহিরা ওর সাথে গেছে, তোর আব্বু জরুরি কাজে চাচার বাড়ীতে গেছে তাই সে আসতে পারছে না, তুই গিয়ে দেখে আয়”।
মুরাক বিচলিত কন্ঠে বলে,, তো আমাকে আগে জানাওনি কেন? রাবেয়া একটু তেজি গলায় বলে,, তোকে আমি কতবার কল দিছি, তুই এখন মোবাইল চেক কর, কর! মুরাক মোবাইল বের করে দেখে ১৫ বার কল ৭টা মেসেজ! সাইলেন্ট মোডে থাকায় সে জানতে পারিনি রাবেয়া দিকে এক পলক তাকিয়ে সে বেরিয়ে যায়।
হসপিটাল পৌঁছে দেখে ও ইভানের মা রোকেয়া কান্না করছেন পাশে মাহিরা বসে পিঠে হাত বুলিয়ে শান্ত্বনা দিচ্ছে ইভান এপাশ ওপাশ হেটে যাচ্ছে কোথাও মোমোকে দেখা যাচ্ছেনা দেখে আরও ঘাবড়ে যায় মুরাক। সে গিয়ে ইভানের সামনে দাঁড়ায় ইভান কান্না করে বলে,, আব্বু, আব্বু আজ সকালে জামাল খান যাচ্ছিলেন রোড পার হওয়ার সময় বেখেয়ালি হয়ে রোডের মাঝখানে দাড়িয়ে গেলেন পাশ থেকে বড় বাস আসছিল আ..আমি আব্বুকে চিল্লিয়ে কিছু বলতে যাবো তা..তার আগেই আব্বুর…। বলে জোরে শ্বাস নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে মুরাক তাকে কাছে টেনে নিয়ে জরিয়ে ধরে ইভান কান্না করতে করতে বলে,, আপা ওই রুমে..। বলে সরে দাঁড়ায় ইভান মুরাক গিয়ে রুমে ঢুকে পড়ে মোমো শুয়ে আছে বেডে চোখ বন্ধ করে কাছে গিয়ে দেখে হাতে স্যালাইন লাগানো। পিছন থেকে দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে পিছনে ফিরে রোকেয়া ভাঙা ভাঙা আওয়াজে বলে,, ও খবরটা শুনে দূর্বল হয়ে বেহুঁশ হয়ে যায় এখনো উঠছে না তাই ডাক্তারে ওকে স্যালাইন দিছে।” মুরাক এসে রোকেয়া কিছু বলার আগে মোমোর হুঁশ ফিরে আস্তে করে “উহ” করে উঠে দুজনেই তাকায় রোকেয়া গিয়ে মোমোর মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে চুমু দেয় মোমো পুরোপুরি চোখ খুললো উঠে বসতে চাইলে মুরাক তাকে সাহায্য করে উঠে বসায়। মোমো বসে মাকে উদ্দেশ্য করে বলে,, আব্বু…। রোকেয়া তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,, ডাক্তার এখনো কিছু বলেনি। নার্স রুমে ঢুকে বলে,, আপনারা এখন যান রোগিকে রেষ্ট নিতে দিন সে এখনো দূর্বল।” মুরাক মাথা নেড়ে হ্যা জানায় তারপর রোকেয়া কে নিয়ে বেড়িয়ে আসে।
কিছুক্ষণ পর ডাক্তার আসে ডাক্তারকে দেখে সবাই উঠে দাঁড়ায় মুরাক গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই বলে,, I’m sorry!! ওনাকে বাঁচাতে পারিনি।” বলেই চলে যায় রোকেয়া আবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ইভান ও মাহিরা তাকে সামলাচ্ছেন মুরাক গিয়ে মোমোর কেবিনে ঢুকে দেখে মোমো তার দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে কান্না থামাচ্ছে সে সবই শুনে নিল মুরাক এগিয়ে আসতেই মোমো হাত স্যালাইন এক ঝটকায় টান মারে হাত থেকে গড়গড় করে রক্ত পড়ছে সে গা থেকে চাদর সরিয়ে উঠে দাঁড়ায় মুরাক রক্ত দেখে এগিয়ে আসতেই মোমো পাশ কেটে চলে যেতে নিলো মুরাক তার দুবাহু চেপে ধরে সামনে দাঁড়া করায় তারপর বলে,, এসব কি করছো মোমো, দেখ তোমার হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
মোমো ছটফট করতে করতে বলল,, ছাড়ুন আমি আব্বুর কাছে যাব, ওই মরা ডাক্তারকে আমি মেরেই ফেলব হাজার টা কেস এ দবিয়ে রাখব মরা ছরা ডাক্তার।” বলে হু হু করে কেঁদে ওঠে মুরাক কে জড়িয়ে ধরে মুরাক নিচের দিকে তাকায় ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ফ্লোরে লেগে আছে এখনো তার হাত থেকে রক্ত পড়ছে মুরাক মোমোর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল তার বুক মুচরে যাচ্ছে তার কান্না দেখে।
মাহিরার কল করাতে রিদান দ্রুত হসপিটাল আসে। সে মাহিরা কে ডেকে নেয় মাহিরা গিয়ে বলে,, ডাক্তার বাঁচাতে পারিনি ওনাকে, অতিরিক্ত রক্ত চলে যাওয়াতে এমন হয়ছে ওনি প্রথমে স্টোক করেছিল তারপর এক্সিডেন্ট হয়েছে।” রিদান ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে তারপর আশেপাশে তাকিয়ে বলে,, মুনতাহা কই?
“ওই রুমে” চোখ দিয়ে ইশারা করে বলে মাহিরা। রিদান সেই রুমের দিকে অগ্ৰসর হয়। রুমে ঢুকতেই দেখে মোমো মুরাক কে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কাঁদছে আর মুরাক এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আরেক হাত দিয়ে মাথা বুলিয়ে দিচ্ছে এটা দেখে ব্রু কুটি করে নেয় রিদান। মুরাক ব্যস্ত স্বরে বলে,, শান্ত হও মোমো, তোমার থেকে স্ট্রোং থাকতে হবে এভাবে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না, আমি আছি এবং সবসময় থাকব শান্ত হও।” লাস্ট লাইন শুনে চোয়াল শক্ত হয়ে গেল রিদানের হাত শক্ত করে মুষ্টিবদ্ধ করে নিল মুরাক রিদানের দিকেই পিঠ দিয়ে আছে ফলে সে রিদানকে দেখতে পারছে না কিন্তু রিদান মোমো ও মুরাক দু’জনকেই ভালো ভাবে দেখতে পারছে। মোমো কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে,, আমাকে ছেড়ে যাবেন নাতো? ওর কথা শুনে ব্রু জোরা সোজা হয়ে যায় রিদানের অনেক অবাক হয় সে। মুরাক এবার দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলে,, না তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।” রিদানের মাথা আবার গরম হয়ে যায় এ মুহূর্তে তার থেকে মুরাক কে মারতে ইচ্ছা করছে তাও সে নিজেকে কন্ট্রোল করলো কেননা সে হসপিটালে সিন ক্রিয়েট করতে চাচ্ছে না। সে বেরিয়ে আসে ওখান থেকে। বাহিরে এসে দাঁড়ায় রিদান বেশ কিছুক্ষণ পর মুরাক বেরিয়ে আসে রিদানকে দেখে সে চমকে যায় তাও সে চোখ সরিয়ে নিল। কিছুক্ষণ পর আবরার হোসেন এর লাশ বের করা হয় যা দেখে রোকেয়া ও ইভান কেঁদে দেয় মোমো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। লাশটি কে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় সাথে রিদান ও মুরাক ও যায় তাদের সাথে। জানাযার নামায পড়ে কিছু লোক কবর খুড়া শুরু করে তারপর কিছুক্ষণ পরেই লাশ দাফনের কাজ সম্পন্ন করে যে যার বাসায় চলে যায় মুরাক ও রিদান মোমোর বাড়িতে ঢুকতেই দেখে আত্নীয় স্বজনের কান্নার রোল পড়ছে মোমো নিজের রুমে মাথায় ওড়না দিয়ে বারান্দার দিকে তাকিয়ে আছে। মুরাক চলে আসার সময় রিদানের দিকে তাকায় রিদান ওর দিকেই চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে সে বুঝলো না রিদান কেন এমন করছে। পাশে মাহিরা মুরাকের হাত ঝাঁকি দিয়ে বলল,, ভাইয়া বাসায় চল। মুরাক মাথা নেড়ে ওকে নিয়ে গাড়িতে ওঠে বসল তার পর সে তার বাসার দিকে রওনা দেয়।
(চলবে…)
#seeing_with_you
Episode – 18 #জেনে_গেল_নাতো
Writer – Zaira Insaan
মূর্তির মত সোজা হয়ে বসে মোমো আশেপাশে কোন আওয়াজে তার কানে ঢুকছে না। হঠাৎ কি থেকে কি হয়ে গেল অতিরিক্ত খুশিতে থাকলে দুঃখ তো আসেই।
নিপা এসে বাসায় ঢুকল ইভান চেয়ারে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে রোকেয়া এখনো চোখের জল ফেলছে নিপা কে দেখে উঠে নিজের রুমে চলে যায় সে, নিপা গিয়ে ইভানের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে হাত রাখে ইভান ওর দিকে তাকিয়ে ঝপ করে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলে,, আমি ওই মুহূর্তে ছিলাম সব আমার সামনেই ঘটল কিন্ত আমি আমার আব্বুকে বাঁচাতে পারিনি সব দোষ আমার, নিপা সব দোষ আমার”। নিপা মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,, কিছুতেই তোমার দোষ নেই, এবার কান্না থামিয়ে বসো। ইভানকে বসিয়ে গালে হাত রেখে বলে,, আর কান্না করিও না নাহলে তোমার আব্বুর কবরে আজাব পড়বে, আঙ্কেল এর জন্য তাহাজ্জুদে দোয়া করিও।” ইভান মাথা নাড়ে নিপা সরিয়ে মোমোর রুমে ঢুকে মোমোর পাশে বসে হঠাৎ তার চোখ যায় মোমো হাতের দিকে হাতের রক্ত শুকিয়ে জমাট লেগে আছে নিপা মোমোর পিঠে হাত রেখে ধীরে কন্ঠে বলে,, আপু। মোমোর হুশ ফিরে পাশে তাকায় নিপা বসে আছে তার পাশে নিপার গলা জড়িয়ে ধরে সে নিপা ও তাকে জড়িয়ে ধরে মোমো ছেড়ে নিপার দুহাত ধরে কাঁদো কাঁদো গলায় বলে,, জানো নিপা আমি যখন চাকরি পেয়েছিলাম আব্বু তখন কি বলল জানো বলল কি, আমি হলাম আব্বুর ডান হাত আর ইভান হলো বাম হাত আমরা দুজনেই সবসময় আব্বুর পাশে থাকব কিন্ত এখন আমাদের ছেড়ে প্রথমে কে চলে গেছে এটা বেমানান না? নিপা একটু চিন্তা করে বলে,, আপু আল্লাহ্ উত্তম পরিকল্পনাকারী হয়ত এখন একটু কষ্ট দিয়ে পরে তোমার জন্য বেস্ট কিছু রাখছে, আমারও আব্বু নেই তাই তোমার দুঃখ টা আমি বুঝতে পারছি এখন আর কান্না করিও না থামো আর বিশ্বাস করো আল্লাহ্ তোমার জন্য ভালো কিছু রাখছে”। মোমো মাথা নিচু করে আছে নিপা উঠে মোমো কে জরিয়ে ধরে চলে যায়।
মোমোর হঠাৎ মনে পড়ে মুরাকের কথা- “তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না” তারপর মোমো কিছু একটা ভালোভাবে বুঝতে পারলো।
।।।।।
।।।।।
সকাল,,,,,,,
নাস্তা না করেই অফিসের জন্য বেড়িয়ে যায় মুরাক সে শুধু একটাই চিন্তা করছে মোমো কি অবস্থা এখন, কিন্তু এ মুহূর্তে তো সে এখন মোমোর বাসায় যেতে পারবেনা রাতভোর না ঘুমিয়ে শুধু এটায় চিন্তা করছিল সে।
অফিসে পৌঁছে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সে।
এদিকে কালকের ঘটনাতে এখনো মেজাজ বিগড়ে আছে রিদানের রাতে না ঘুমিয়ে শুধু একটার পর একটা সিগারেট টানছিল সে তাই সকালে তার গলা ব্যথা হয়ে গেল তাও এটাতে তার কোন কিছু জায় আসে না রাগে গজগজ করে ঘর থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে বসে হাই স্পিডে গাড়ি চালানো শুরু করল গন্তব্য এক মুরাকের অফিস।
কেবিনে বসেই ল্যাপটপে মনোযোগ সহকারে জরুরি কাজ করছিল মুরাক এসময় কেবিনে হনহন করে ঢুকে পড়ে রিদান। রিদানকে দেখে চমকে যায় সে তাও হাসি মুখে দাঁড়ায় বলে,, এই রিদান তুই আমি তো ভাবছিলাম…। পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই রিদান এসে সজোরে থাপ্পর লাগিয়ে দেয় তার গালে আচমকা এমন হওয়াতে তাল সামলাতে না পেরে চেয়ারের সাথে ধাক্কা লেগে নিচে পড়ে যায় সে। ঠোঁট কেটে রক্ত বেরিয়ে আসে টেবিলের সাথে কপাল ঘেঁষে লম্বা করে কেটে যায়। মুরাক দুই আঙুল দিয়ে ঠোঁট ও কপাল ছুঁয়ে দেখে রক্ত, রিদান এসে তার কলার ধরে এক হেঁচকায় টেনে উঠায় মুরাক এখনো বুঝতে পারছে না কেন সে এমন করছে তাই ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে তার দিকে রিদান তার কলার ধরে দেওয়ালের সাথে ধাক্কা দিয়ে বলে,, তোর সাহস কিভাবে হয় মোমো কে ছোঁয়ার মোমোর দিকে নজর দেওয়ার”। বলেই আবার ধাক্কা মারে, দেওয়ালের সাথে তার মাথায় বারি খায় দুই বার বারি খাওয়াতে মাথাটা বেশ ব্যথা করছে তার মাথায় এক হাত দিয়ে ঘষতে লাগলো আর বুঝতে পারলো রিদানের কথা। রিদান এসে আবার তার কলার ধরে ঝাঁকি দিয়ে বলে,, তোর লজ্জা করে না আমারিই…। মুরাক চোখ গরম করে বলে,, কলার ছাড়!! রিদান ছাড়ছে না দেখে মুরাক ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় তারপর বলে,, ভালোবাসি আমি ওকে আর আমি ওকে ছাড়বো না”। রিদান ব্রু কুঁচকে ফেলে একটু পর বাঁকা হাসি দিয়ে বলে,, তোর অতীতের কাজ গুলো যদি তাকে জানিয়ে দেই? মুরাক ব্রু কুঁচকে ফেলে রিদান শয়তানি হাসি দিয়ে বলল,, কেন তোর মনে পড়ছে না মনে করিয়ে দিব? মুরাকের কুঁচকানো ব্রু আরো কুঁচকে গেল। রিদান হালকা জোরে করে বলে,, শেফালী। মুরাকের ব্রু জোরা সোজা হয়ে যায় রিদান বাঁকা হেঁসে আরো বলল,, তোর এক্স গার্লফ্রেন্ড শেফালী যার সাথে রুম ডেট করেছিলি”। মুরাকের মেজাজ বিগড়ে গেল রাগ নিয়ে বলে,, ওর ব্যাপারে কিছু বলবি না মোমো কে।’ রিদান বাঁকা হাসি দিয়ে বলল,, আমি তো বলবোই।” বলে চলে যেতে নিলে মুরাক এসে তার কলার চেপে ধাক্কা মেরে সোফায় বসিয়ে দিয়ে ঝুঁকে বলে,, তুই যদি এমন কিছু করছ সত্যি বলছি তুই যে এখন দাঁত কেলানি দিচ্ছোস এ সব দাঁত হাতুড়ি দিয়ে ভাঙব, Now Get lost!!
বলে সরে দাঁড়ায় সে রাগে ফুঁসছে রিদান তার দিকে চোয়াল শক্ত করে তাকায় তারপর বেরিয়ে যায়। রিদান বেরিয়ে আসার সাথে সাথে সবাই তার দিকে তাকায় কিন্তু রিদান সোজা হেঁটে চলে যায়। ভিতরে মুরাক ভয়ে ঘেমে একাকার অবস্থা তার শুধু একটায় ভয় যদি সে মোমো কে হারিয়ে ফেলে। মুরাক আর সেখানে না থেকে বাসায় চলে যায়।
মুরাক বাসায় এসে মোমো কে বারবার কল দিচ্ছে কিন্তু মোমোর ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে সে অতিরিক্ত ঘাবড়ে যায়। অতিরিক্ত ভয়ে সে বসে পড়ে। মোমো সবকিছু জেনে গেল নাতো….?
(চলবে…)