#Revenge_of_love
#Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_9
বন্ধ ঘরে তিন বান্ধবী বসে আছে। তিন বান্ধবীর মাঝে দুই বান্ধবীই রুমা আর শিফা চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে আছে নন্দিতার দিকে। নন্দিতা দুই বান্ধবীর এমন দৃষ্টি দেখে দু কাঁধ নাচিয়ে বলে।
“কি হয়েছে? এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? মনে হচ্ছে যেন আমার রুপ বেড়েছে।”
রুমা মাথা নাড়াতে নাড়াতে বলে, “রুপ তো অবশ্যই বেড়েছে তোর! তা না হলে কি ওত দূর থেকে দুটো ছেলে তোর সাথে দেখা করার জন্য এই অহিদপুর চলে আসে।”
নন্দিতা তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে চোখে মুখে বিরক্তিকর ভাবে রেখে বলে, “শোন যা হওয়ার তা হয়ে গেছে এসব এখন মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দে।”
শিফা জোরে বলে উঠে, “ঝেড়ে ফেলে দিবো মানে? কখনো না এর গোড়া অব্দি যাবো আমরা তারপর ঝেড়ে ফেলবো মাথা থেকে এর আগে নয়। এখন তুই ঝটপট উত্তর দে ওই ছেলে দুটো কে?”
নন্দিতা কপট রাগ দেখিয়ে বলে, “উফ! তোরা দুজন তোদের বাড়ি যা তো রাত তো কম হলো না। আরো দেরিতে গেলে জঙ্গলের ভুত গুলা তোদের ঘাড়ে চেপে বসবে।”
রুমা বুড়ো আর মধ্যমা আঙ্গুল দ্বারা চুটকি বাজিয়ে বলে, “শোন এতো ভুতের ভয় দেখাবি না। ছোট বেলা থেকে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়েছি আর এখন তুই আমাকে এসব ফালতু ভুতের ভয় দেখাছিস। তাই এত কথা না বলে চুপচাপ বল এই দুটো ছেলে কে? কি সম্পর্ক ওই ছেলেটার সাথে তোর?”
নন্দিতা কিছু বলতে নিবে তার আগেই শিফা নন্দিতাকে থামিয়ে বলে, “একদম না! যা জানতে চাইছি সেটা বল। তাই উল্টাপাল্টা কথা বলার চেষ্টা করবি না।”
নন্দিতা জোরে নিঃশ্বাস ছাড়ে। বুঝতে পেরেছে এই দুই মেয়ে তাকে কিছুতেই ছাড়বে না সত্যিটা না জানে। তাই বলে দেওয়াই ভালো না মাথা খেয়ে ফেলবে। নন্দিতা মাথা নিচু করে বলে।
“রাফি নামের ছেলেটা আমাকে ভালোবাসে।”
শিফা কন্ঠ শক্ত করে বলে, “আরে সেটা তো আগেই বুঝতে পেরেছি যে ছেলেটা তোকে ভালোবাসে। কিন্তু ছেলেটা এত দূর এই কথাটা বলার জন্য নিশ্চয়ই আসে না। নিশ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে যার জন্য এখানে এসেছে আর তোকে সরিও বলল ওদিনের জন্য। ওদিন কি হয়েছে আর কিসের জন্য সরি বলল?”
নন্দিতা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সবটা বলল। শিফা আর রুমা সবটা হা করে শুনে শিফা নরম গলায় বলে উঠলো।
“আহা! কি ভালোবাসা?”
রুমা বলে, “হুমম রে! আর ছেলে দুটো কি হ্যান্ডসাম রে ভাই।”
“ঠিক বলেছিস একদম চকলেট বয়।”
“আচ্ছা শোন একটা তো নন্দিতাকে ভালোবাসে তাই আমি ভাবছি আরেকটাকে নিজের প্রেমের জ্বালে ফাঁসিয়ে নিবো।”
শিফা রুমার কথাটা শুনে চাওড়া হয়ে বলে, “একদম না ওইডা আমার। ওইডার দিকে নজর দিবি না তুই।”
দুই বান্ধবী কথার কাটাকাটি শুরু হয়ে গেলো। নন্দিতা জাস্ট এই দুটোকে আর নিতে পারছে না। মেয়ে মানুষের একটা স্বভাব কিছু পেলেই তা নিয়ে নাচানাচি শুরু করে দেয়া। নন্দিতা আর সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে বলে উঠে।
“তোরা চুপ করবি। নাকি আমি তোদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো এই ঘর থেকে।”
নন্দিতার এমন চিৎকার শুনে শিফা আর রুমা হতভম্ব হয়ে নন্দিতার দিকে তাকিয়ে আছে। নন্দিতা আবারো বলা শুরু করে।
“কি সমস্যা তোদের হুম কি সমস্যা? কোথাকার কোন ছেলেকে নিয়ে তোরা এমন ফালতু বকবক করছিস কেন?”
রুমা আর শিফা কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে নন্দিতার দিকে তাকিয়ে হু হু করে হেসে দেয়। নন্দিতা জাস্ট স্তম্ভিত হয়ে গেছে এই দুটোর কান্ড দেখে। রুমা হাসতে হাসতে বলে।
“তোর কি জ্বলছে নন্দিতা আমরা তোর প্রেমিক আর তোর দেবরকে নিয়ে আলোচনা করছি দেখে।”
নন্দিতা ঝাঁঝালো গলায় বলে উঠে, “প্রেমিক কিসের প্রেমিক, কার প্রেমিক? ওনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই আর হবেও না বুঝলি।”
শিফা এবার মুচকি হেসে সিরিয়াস হয়ে বলে, “দেখ নন্দিতা ছেলেটা তোকে সত্যি ভালোবাসে। না হলে কেউ এভাবে এতটা রাস্তা বাইক চালিয়ে চলে আসে। শুনেছি ঢাকা শহরে নাকি বাইকের এক্সিডেন্ট প্রচুর হয়। ছেলেটা এসব ভয় না করে তোর সাথে দেখা করার জন্য এতদূর ছুঁটে এসেছে। আর যা হয়েছে তাতে তো ওনার কোনো দোষ নেই। সব দোষ ওই দিয়া নামের মেয়েটার। আর ভাইয়া তো দিয়াকে পছন্দও করে তোর মুখ থেকেই বলা কথাটা।”
নন্দিতা শিফার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বলে, “ভাইয়া। কোন কালের ভাই তোর ওই লোকটা হুম?”
শিফা তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে, “দেখ ওনি বয়সে অনকেটাই বড় আমাদের থেকে তাই ভাইয়া বলেছি সম্মান দেখানোর জন্য। এর জন্য এতটা পেনিক হওয়ার কি আছে? আর আমার তো মনে হচ্ছে তুইও ওনাকে ভালোবাসিস।”
নন্দিতা শিফার কথা শুনে ভ্রু কুচকে বলে, “কিহ? আমি ওনাকে ভালোবাসি জীবনেও না।”
শিফা মুচকি হেসে বলে, “ঠিক আছে সময় আসলে বোঝা যাবে।”
নন্দিতা কিছু বলতে যাবে এর মাঝেই মজনু আহমেদ মেয়েকে ডাকতে শুরু করেন। বাবার এমন হাক ডাক শুনে নন্দিতা তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের হয় পেছন পেছন শিফা আর রুমাও বের হয়। নন্দিতা বাবার কাছে গিয়ে বলে।
“কি হয়েছে বাবা?”
মজনু আহমেদ শান্ত গলায় বলেন, “ছেলে দুটো কে আম্মা?”
নন্দিতা বাবার মুখে এমন কথা শুনে ধ্বক করে উঠে বুকটা। বাবা কি করে জানলো রাফি আর সিয়ামের কথা? যে ভয়টা পেয়েছিলো সেটাই হলো, এবার কি হবে? নিশ্চয়ই বাবার কানে এই কথাটা তুলে দিয়েছে কেউ। নন্দিতা নিজেকে যথেষ্ট শান্ত রাখার চেষ্টা করছে। এদিকে রুমা আর শিফা একে অন্যের মুখের দিকে দু একবার তাকিয়েছে। তিন বান্ধবী যদি কিছু বলেও দেয় তাহলে তাদের কথার মিল পাবে না। তাই রুমা আর শিফা চুপ করে থাকলো। যা বলার নন্দিতাই বলবে। নন্দিতাকে চুপ থাকতে দেখে মজনু আহমেদ আবারো বলেন।
“কি হলো আম্মা বলো?”
নন্দিতা ঢোক গিলে শান্ত গলায় বলে, “আসলে বাবা ওনারা দুজনে একটা ঠিকানা জানতে চেয়েছিলো।”
মজনু আহমেদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলেন, “ও আচ্ছা! ঠিক আছে তুমি ঘরে যাও।”
নন্দিতা মাথা নাড়িয়ে দ্রুত কদমে নিজের ঘরে চলে যায়। রুমা আর শিফা নন্দিতার ঘরে যায় নি সোজা নিজেদের বাড়িতে চলে গেছে। এখানে থাকা মানে নিজের বিপদ ডেকে আনে। নন্দিতা ঘরে ঢুকেও দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে বাবা মার কথা শোনার জন্য। জমেলা বেগম বলেন।
“কি গো! হঠাৎ এমন প্রশ্ন করলে কেন মেয়েটাকে? কিছু কি হয়েছে?”
“আর বলো না সুরেশ দূর থেকে দেখেছে নন্দিতার সাথে নাকি দুটো ছেলেকে দাঁড়িয়ে থাকতে। তাই নন্দিতাকে জিঙ্গেস করলাম ব্যাপারটা কি?”
বাবার কথাটা শুনে নন্দিতা হাফ ছেড়ে বাঁচে। বুকে হাত রেখে জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে খাটে গিয়ে বসে বিড়বিড় করে বলে।
“এ যাত্রায় বেঁচে গেছি আল্লাহ। যদি সুরেশ কাকা কাছপিঠে থাকত তাহলে তো সব কথা শুনে নিতো।”
নন্দিতা টেবিলের উপরে রাখা পানির বোতলটা নিয়ে কয়েক ঢোক পানি খেয়ে মনে মনে বলে।
“যত সম্ভব তাড়াতাড়ি করে আমাকে ঢাকা ফিরে যেতে হবে না হলে এই লোক আবারো গ্রামে আসবে আর একটা বেজাল বাঁধাবে। গ্রামের মানুষ যে কি রকম সেটা তো আমি খুব ভালো করে জানি। তালকে তিল বানিয়ে দিতে একটুও সময় নিবে। কিন্তু এই লোক জানলো কি করে আমার গ্রামের বাড়ি কোথায়? সুহা তো জানে না তাহলে কি করে জানলো? উফ! আল্লাহ আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল হলো ঢাকাতে পড়াশোনা করতে যাওয়া। না জানি এখন ঢাকায় ফিরে গেলে এই লোক আবার কি করে? উফ অসহ্যকর!”
_________
পরের দিনেই বিকেল বেলা ঢাকাতে ফিরে আসে নন্দিতা আর জমেলা বেগম। এবারও মজনু আহমেদ জোর করে স্ত্রীকে মেয়ের সাথে পাঠিয়ে দিয়েছেন। নন্দিতার সারাটা রাত ভালো করে ঘুমাতে পারে নি এটা ভেবে ভার্সিটিতে গেলে কি হবে? রাফির মুখোমুখি হলে কি হবে? সুহাকেও ফোন করে জানাইনি ও যে ঢাকাতে এসেছে। কি করে জানাবে, সুহাকে না জানিয়ে বাড়িতে চলে গেছে আর সুহার প্রত্যেকটা কল ইগনোর করে গেছে এত দিন। এখন ফোন করে জানাতে গেলে এই মেয়ে ফোনের মাঝেই নন্দিতার গলা টিপে ধরবে নিশ্চিত। তাই একেবারে সামনাসামনি না হয় সুহার সাথে কথা বলে সবটা মিটমাট করে নিবে। যা হওয়ার সামানাসামনি হবে।
পরের দিন সকাল বেলা ঠিক সময় নন্দিতা ভার্সিটিতে আসে। মুখে মাস্ক আর মাথায় ওড়না দিয়ে এক হাত ঘোমটা টেনে আসে। নন্দিতা গুটিগুটি পায়ে নিজের ডিপার্টমেন্ট চলে যায়। ক্লাস রুমে ঢুকতেই চোখ যায় সুহার দিকে বসে বসে ফোন টিপছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। নন্দিতা শুকনো ঢোক গিলে আস্তে আস্তে করে সুহার পাশে বসে পড়ে। সুহা পাশে একবার তাকিয়ে আবারো ফোন টিপাতে মনযোগ দেয় কিন্তু পরক্ষণে ভ্রু কুচকে নিয়ে পাশে তাকিয়ে বলে।
“নন্দিতা তুই!”
নন্দিতা মাস্কটা খুলতে খুলতে ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে বলে, “হুম আমি! ভালো আছিস?”
সুহা দাঁতে দাঁত চেপে বলে, “সর এখান থেকে না হলে এমন একটা উষ্টা দিবো সোজা আবার তোর বাপের বাড়ি গিয়ে পড়বি।”
নন্দিতা সুহার কথা প্রত্যুত্তরে না করে উল্টে সুহাকে দু হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলে, “সরি দোস্ত আর এমন করবো না প্রমিজ। এবারের মতো ক্ষমা করে দে। এই দেখ কান ধরছি।”
নন্দিতাকে কানে ধরতে দেখে সুহা মুখ বাঁকিয়ে বলে, “থাক এত ভাব ধরতে হবে না আমার সামনে।”
নন্দিতা কান থেকে হাত নামিয়ে আবারো সুহাকে জড়িয়ে ধরে বলে, “আমি জানি তো আমার জানু আমার উপরে রেগে থাকতেই পারে না।”
সুহা মৃদু স্বরে বলে, “তবে তোর উপরে একজন খুব অভিমান করে আছে সেটা কি তুই জানিস?”
নন্দিতা সুহার কাছ থেকে সরে এসে ভ্রু কুচকে বলে, “কে?”
“রাফি ভাই।”
নন্দিতা কিছু বলতে যাবে তার আগেই সুহা বলে উঠে, “প্লিজ নন্দিতা আমার কথাটা আগে শোন তারপর কথা বলিস। আমি জানি তুইও ভাইয়ার উপরে অভিমান করে আছিস। কিন্তু ওই দিন যা কিছু হয়েছে এতে কি ভাইয়ার কোনো দোষ আছে তুই বল? ভাইয়া তোকে ভালোবাসে এটা কি তার দোষ? ভালোবাসা জিনিসটা বলে কয়ে আসে না আপনাআপনি হয়ে যায়। তুই তো জানিস দিয়া মেয়েটা কেমন? এখন এই ঘটনাটা হওয়ার পেছনে যদি ভাইয়াকে দোষী সাব্যস্ত করিস তাহলে ভুল করছিস। আমি বলছি না তুই ভাইয়ার সাথে রিলেশনশিপে যা। আমি জাস্ট এটা বলতে চাইছি ভাইয়াকে প্লিজ ইগনোর করিস না। ভাইয়া তোকে সত্যিই ভালোবাসে আর হয়তো তুই মনে মনে ভালোবাসিস কিন্তু স্বীকার করতে চাইছিস না কিংবা বুঝতে পারছিস না।”
নন্দিতা সুহার প্রত্যেকটা কথা মন দিয়ে শুনলো। সত্যিই তো এতে রাফির কোনো দোষ নেই। তাহলে কেন শুধু শুধু রাফিকে দোষারুপ করছে। কিন্তু রাফির জন্যই তো এমন একটা ঘটনা হয়েছে। রাফি যদি তার জীবনে না আসতো তাহলে তো এমন কিছুই হতো না। আর সুহার বলা শেষের কথাটা বার বার নন্দিতার কানে বাজছে, সত্যি কি সে রাফিকে ভালোবাসে প্রত্যেকে কেন এই কথাটা বার বার বলছে?
________
ক্লাস শেষে ভার্সিটির মাঠ দিয়ে আনমনে হেঁটে যাচ্ছে নন্দিতা। মাথায় এখনো সুহার বলা প্রত্যেকটা কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। আর ভার্সিটিতে আজকে রাফিকে আশা করেছিলো কিন্তু রাফি কোনো দেখা নেই এমন কি রাফির বন্ধুবান্ধবদেরও দেখা নেই। যে লোক এত দূরে চলে গিয়েছিলো তার সাথে দেখা করার জন্য আর আজকে কিনা এত কাছে সে মানুষটা এসেছে তারপরও দেখা করতে আসছে না। ব্যাপারটা বড্ড সন্দেহজনক লাগছে নন্দিতার কাছে। হঠাৎ করেই নন্দিতার ফোন বেজে উঠে। ফোনের স্ক্রিনে আননোন নাম্বার দেখে ভ্রু কুচকে বলে।
“এটা আবার কার নাম্বার?”
পাশ থেকে সুহা বলে উঠে, “ধরে দেখ কে?”
নন্দিতা ফোন পিক করে কানে নিতেই ফোনের ওপর পাশ থেকে পুরুষালী একটা কন্ঠে ভেসে আসে, “নন্দিতা প্লিজ তুমিই একমাত্র পারো রাফিকে বাঁচাতে।”
নন্দিতা এমন একটা কথা শুনে হকচকিয়ে উঠে, “মানে কি বলছেন আপনি এসব?”
“প্লিজ নন্দিতা রাফি সু’ই’সা’ই’ড করতে যাচ্ছে। এখন একমাত্র তুমিই পারো ওকে বাঁচাতে।”
“কি বলছেন কি এসব আপনি? ওনি সু’ই’সা’ই’ড করতে যাচ্ছে আর আপনি না আটকিয়ে আমাকে ফোন করছেন।”
“না মনে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারছি না উল্টে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। এখন তুমিই ভরসা ও তোমাকে ভালোবাসে আর ও তোমার কথা নিশ্চয়ই মানবে আমার ধারণা।”
“ওনি কোথায় আছে বলুন তাড়াতাড়ি?”
“আমবাগানে আছে।”
“ঠিক আছে আমি আসছি এক্ষুণি।”
সুহা বলে, “কিরে কি হয়েছে?”
নন্দিতা জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে বলে, “আমাকে… আমাকে এক্ষুণি যেতে হবে।”
কথাটা বলেই নন্দিতা দৌঁড়াতে শুরু করে। নন্দিতার দৌঁড়ানি দেখে সুহা বাঁকা হেসে বলে।
“প্ল্যান সাকসেসফুল। এবার শুধু মুখে স্বীকার করার পালা। তুই আটকে গেছিস নন্দিতা খুব বাজে ভাবে আটকে গেছিস। এখন এর থেকে শত চেষ্টা করলেও ছুটে আসতে পারবি না।”
নন্দিতা ভার্সিটি থেকে চলে যেতেই বিশাল আর সিয়াম আড়াল থেকে বের হয়ে সুহার পাশে এসে দাঁড়ায়।
সিয়াম বলে, “তোমার বুদ্ধিটা কি শেষ পর্যন্ত কাজে লাগবে সুহা?”
সুহা মুচকি হেসে বলে, “লাগবে লাগবে নিশ্চিয়ই লাগবে। নন্দিতা তো শকড হবেই সাথে রাফি ভাইয়াও। আমার তো সিনটার কথা ভেবেই হাসি পাচ্ছে। দুজনের মাঝে কেউ কিছুই জানে না সামনে তাদের সাথে কি হতে চলেছে?”
#চলবে_________