Revenge of love Part-06

0
1104

#Revenge_of_love
#Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_6

নন্দিতা সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে বেল বাজিয়ে। নন্দিতার মা জমেলা বেগম বেলের আওয়াজ শুনে এসে দরজা খুলে দেন। নন্দিতাকে দেখে জমেলা বেগম বলেন।

“এতো দেরি হলো যে তোর?”

নন্দিতা বিছানার উপরে ব্যাগটা রেখে বলে, “প্রথম দিন তো তাই দেরি হয়ে গেছে।”

“আচ্ছা হাত মুখ ধুয়ে খেতে আয়।”

“তুমি খেয়েছো?”

“না এখনও খাই নি তোর জন্য অপেক্ষা করচ্ছিলাম।”

নন্দিতা মায়ের কথা শুনে ভ্রু কুচকে বলে, “আমার জন্য অপেক্ষা করার কি দরকার ছিলো তুমি খেয়ে নিতে। এর পরের বার আর আমার জন্য অপেক্ষা করবে না মনে থাকবে।”

“আচ্ছা বাবা মনে থাকবে এখন যা হাত মুখ ধুয়ে আয়।”

নন্দিতা গামছা নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে বলে, “মা বাবার সাথে কথা হয়েছে?”

জমেলা বেগম খাবার বাড়তে বাড়তে বলেন, “তোর বাবা দুই ঘন্টা পরপর ফোন করে খুজ নিচ্ছে। হাত মুখ ধুয়ে তোর বাবাকে একটা কল কর। তোর সাথে কথা বলতে চেয়েছিলো। তোর ফোনে কলও করেছিলো কিন্তু তুই তো আবার ফোন রেখে গিয়েছিলি।”

নন্দিতা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে টেবিলের উপর থেকে ফোন নিয়ে বাবাকে কল করে। কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পরে নন্দিতার বাবা মজনু আহমেদ কল ধরে বলেন।

“কি রে মা বাসায় চলে আসচ্ছিস?”

নন্দিতা মুচকি হেসে বলে, “হে বাবা একটু আগেই‌ আসছি।”

“কেমন লাগলো তোদের ভার্সিটি?”

“ভালো।”

“আচ্ছা শোন তোর মায়ের সাথে আজকে কিন্তু আমাকে ঝগড়া হয়েছে?”

“কি নিয়ে?”

“আমাদের মাঝে কি কথা হয়েছে বলতো? আমার মেয়ে যতদিন পড়াশোনা করবে বাইরে থেকে ততো দিন তোর মা তোর কাছে থাকবে। কিন্তু তোর মা বলে গ্রামে চলে আসতে তোকে রেখে। তোর মায়ের নাকি আমার জন্য চিন্তা হয়।”

“মায়ের সাথে সাথে আমারো চিন্তা হয় বাবা তোমার জন্য। আমি তো বলেছি আমি একটা হোস্টেলে উঠে যাই তাহলে তোমাদের কাউকে আমার সাথে থাকা লাগবে না। কিন্তু তুমি মানো না।”

“না হোস্টেলে তোকে দিবো‌ না। এসব হোস্টেলের খাওন ভালা না। দেখিস নি মজিদ সাহেবের ছোট ছেলেটার কি অবস্থা হয়েছে এসব হোস্টেলের খাওন খেয়ে। আমার আম্মার এমন হোক আমি চাই না।”

“কিন্তু বাবা তোমার জন্য চিন্তা হয় আমাদের।”

মজনু আহমেদ রেগে বলেন, “বলেছি না আমার জন্য একদম চিন্তা করবি না আমি একদম ঠিক আছি। আর ভার্সিটি থেকে এসেছি খাওয়া দাওয়া কর আমি রাখি। আমার আবার বন্দে যাওয়া লাগবো ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য।”

“বাবা তুমি খেয়েছো।”

“হু আমি খাইছি। তুই খেয়ে নে।”

“আচ্ছা।”

“ভালো করে খাওয়া-দাওয়া করবি কেমন? রাখি আম্মা।”

নন্দিতা কল কাটতেই জমেলা বেগম বলেন, “তোর বাপের অনেক স্বপ্ন তোকে নিয়ে নিজের কষ্ট হলেও সেটা হাসি মুখে মেনে নিবে। কিন্তু মেয়ে যাতে কষ্টে না থাকে সেই ব্যবস্থা যেভাবেই হোক করবেই করবে।”

নন্দিতা মুখ শুকনো করে বলে, “বাবার জন্য দুশ্চিন্তা হয়। তুমি এখানে কিছু দিন থেকে গ্রামে চলে যাবে বাবাকে না জানিয়ে।”

“তোর বাবা যদি কিছু বলে।”

“কিছু বলবে না আর আমি দেখি হোস্টেলে চলে যাবো। আর ওই মজিদ চাচার ছেলের হোস্টেলের খাবার খেয়ে কিছু হয় নি। ওসব ছাইপাঁশ খেয়ে এমন হইছে। এখন পুরো গ্রামে হোস্টেলের খাবারের দোষ বলে রটাচ্ছে।

“আচ্ছা তুই আয় খেতে বস।”

এভাবে চলতে থাকে নন্দিতার ভার্সিটির জীবন। কিন্তু ভার্সিটিতে যাওয়া আসা করার সময় মনে হয় ওকে কেউ ফলো করছে। কিন্তু যখনেই পেছনে ফিরে তাকায় কেউকে তেমন সন্দেহজনক মনে হয় না। মাঝে মাঝে রাতের বেলাতে অচেনা একটা নাম্বার থেকে কল আসে কিন্তু কথা না বলে চুপচাপ থাকে শুধু নিঃশ্বাস নেওয়ার ভারি শব্দ শোনা যায়। যখন কথা বলে না নন্দিতাই বিরক্ত হয়ে কল কেটে দেয়। বাবা-মাকে এসব ঘটনা এখনো বলে নি নন্দিতা যদি টেনশন করে তার জন্য।

এর মাঝে রাফির চাওনি নিয়ে পড়েছে এক সমস্যায় নন্দিতা। ভার্সিটির যেখানে যাক না কেন রাফিকে তার আশে পাশে দেখবেই দেখবেই। যখনেই রাফির দিকে তাকাবে তখনেই দেখে রাফি তার দিকে মন্ত্রমুগ্ধের নয়নে তাকিয়ে আছে।

দুই দিন আগের ঘটনা। নন্দিতা ভার্সিটিতে ঢুকার সাথে সাথে কোথা থেকে একটা ছেলে নন্দিতার সামনে এসে একগুচ্ছ লাল গোলাপ ধরে প্রপোজ করে বসে আর ঠিক সেই সময় রাফি কোথা থেকে এসে হাজির হয়ে ছেলেটাকে শাসানো শুরু করে। এর পর থেকে আর নন্দিতা এই ছেলেটাকে আর নিজের আশেপাশে দেখতে পায় নি। দেখতে পেলেও ছেলেটি মুখ নিচু করে চলে যায়। রাফির আরো অনেক ছোট ছোট কর্মকান্ড নিয়ে নন্দিতা অনেক চিন্তিত আছে। এমন নয় যে নন্দিতা কিছু বুঝতে পারে না কিন্তু যখনেই নিজের অবস্থানের কথা মনে পড়ে তখন হেসে এসব ভাবনা মন থেকে উড়িয়ে দেয়।

________

ক্যান্টিনে বসে আছে নন্দিতা আর সুহা। এমন সময় রাফি ক্যান্টিনে ঢুকে তার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে। নন্দিতা রাফিকে দেখে উঠে চলে যেতে চাইলে সুহা নন্দিতার হাত টেনে ধরে বলে।

–যাস না। আজকে রাফির ভাইয়ের চোখের চাওনি দেখে আমি বোঝার চেষ্টা করবো আসলেই কি রাফি ভাইয়ার মনে তোর প্রতি কোনো অনুভতি আছে নাকি নেই।

নন্দিতা ফিসফিস করে বলে, “কি বলচ্ছিস এসব সুহা? চল আমরা বাইরে যাই।”

“নাহ এক‌ পাও নড়বি না তুই। যদি নড়িস তাহলে তোর সাথে সারা জীবনের জন্য কথা বলা অফ করে দিবো।”

নন্দিতার আর কি করার চুপচাপ বসে রইলো কিন্তু ভুলেও‌ সামনের দিকে তাকাচ্ছে না। তবে আড় চোখে একবার তাকিয়েছে তাকাতেই রাফির চোখের সাথে চোখ মিলে যায় নন্দিতার। এই একটা চাওনি নন্দিতার মনের ভেতর তোলপাড় করে তুলতে সক্ষম। নন্দিতা সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নেয়। লোকটা কেন তার দিকে সবসময় এভাবে তাকিয়ে থাকে? সে কি বুঝে না নন্দিতার যে খুব অস্বস্তি হয়।

অন্য দিকে রাফি নন্দিতার এমন লজ্জা রাঙা মুখ দেখে বড্ড মজা পাচ্ছে। কেন জানি রাফির বড্ড ভালো লাগে নন্দিতাকে এভাবে জ্বালাতে। তবে আজকে ভয়ংকর ভাবে নন্দিতাকে জ্বালানোর প্ল্যান করে এসেছে রাফি। রাফি ক্যান্টিনে‌ থাকা পিচ্চি ছেলেটাকে ডাক দেয়।

“মনির শোন তো এদিকে?”

“জি ভাই বলেন।”

“একটা কাজ করে দিবি আমার।”

“কি কাজ ভাই?”

রাফি চোখ দিয়ে ইশারা করে নন্দিতাকে দেখিয়ে দিয়ে বলে, “ওই যে নীল ড্রেস পড়া মেয়েটিকে দেখছিস এই মেয়েটিকে একটা কাগজটা দিয়ে আসতি পারবি।”

“হুম ভাই পারমু।”

রাফি প্যান্টের পকেট থেকে লাল আর সবুজের সমন্বয়ে একটা কাগজ বের করে মনিরের কাছে দিয়ে বলে।

“যা দিয়ে আয়।”

মনিরকে ওদের কাছে আসতে দেখে সুহা ফিসফিস করে বলে।

“ওই‌ নন্দিতা রাফি ভাই কি লাভ লেটার পাঠাচ্ছে নাকি।”

নন্দিতা অসহায় গলায় বলে, “তোকে আগেই বলেছিলাম এখান থেকে চলে যাই কিন্তু তুই রাজি হলি না। এখন যদি কোনো প্রবলেম হয় তাহলে।”

“আরে কিছু হবে না দেখি কি হয়?”

মনির নন্দিতার পাশে এসে দাঁড়ায়। নন্দিতা মনিরকে দেখেও না দেখার ভান ধরে বসে আছে। মনির বলে।

“আপা আপনাকে এটা রাফি দিয়েছেন নেন।”

নন্দিতা কাচুমাচু হয়ে বসে আছে। কি একটা মুসিবতে পড়লো বেচারি। এর মাঝে সুহা বলে, “কি হয়েছে মনির?”

“এটা রাফি ভাই দিয়েছেন এই আপাটাকে।”

সুহা পাশ ফিরে রাফিদের দিকে তাকায়। রাফির দলের সবাই আগ্রহী চোখে তাকিয়ে আছে কি হয় দেখার জন্য।

সুহা মনিরের দিকে তাকিয়ে হাসি হাসি মুখে বলে, “তুমি আমাকে দাও কাগজটা।”

মনির নাকচ করে বলে, “আপনাকে কেন দিবো? রাফি ভাই এই আপাটাকে দিতে বলেছেন তাই ওনাকেই দিবো।”

সুহা রাগী গলায় বলে, “এতো বেশি কথা না বলে কাগজটা দে।”

কথাটা বলেই মনিরের হাত থেকে কাগজটা ছোঁ মেরে নিয়ে সুহা বলে।

“বেশি বেশি একে বারে যা এখান থেকে।”

মনিরও চুপচাপ‌ এখান থেকে চলে যায়। সুহা নন্দিতাকে খোঁচা দিয়ে বলে।

“দোস্ত লাভ লেটারটা তুই পড়বি নাকি আমি পড়ব। বুঝতে পারচ্ছিস তুই কার কাছ থেকে লাভ লেটার পেয়েছিস কলেজের মোস্ট পপুলার বয় রাফি তাজওয়ারের থেকে। আচ্ছা এ নিয়ে কটা লাভ লেটার পেয়েছিস তুই?”

নন্দিতা দাঁতে দাঁত চেপে বলে, “তুই তোর মুখটা বন্ধ কর আর এখন থেকে চল।”

“একদম না চুপচাপ বসে থাক।”

সুহা কথাটা বলে খুব আগ্রহ নিয়ে ভাঁজ করা কাগজটা খুলে। কিন্তু ভেতরে কোনো লেখা নাই। সুহা তা দেখে হতবাক হয়ে বলে।

“এটার মানে কি? এমন অর্ধেক লাল আর অর্ধেক সবুজ রঙের কাগজ দেওয়ার‌ মানে কি? আজকে কি কোনো দিবস টিবস নাকি যে তোকে এমন অর্ধেক লাল আর অর্ধেক সবুজ রঙের কাগজ দিয়েছে পতাকা বানানোর জন্য।”

নন্দিতা কি বলবে কিচ্ছু বুঝতে পারছে না। এতোক্ষণ কি ভেবেছিলো আর কি হলো? সুহা হতবাক হয়ে রাফিদের দিকে তাকায় সাথে নন্দিতাও তাকায়। রাফি বাকা হেসে বসা থেকে উঠে তাদের কাছে আসতে দেখে নন্দিতা সাথে সাথে মাথা নিচু করে নেয়। রাফি নন্দিতার কাছে এসে দাঁড়িয়ে কোমড় বাঁকিয়ে নিচু হয়ে বলে।

“একটা হিন্টস দিলাম এই‌ লাল সবুজ কাগজের মাধ্যমে। এর ধাঁধা খুজে বের করার চেষ্টা করো। আশা করি পারবে যদি না পারো তাহলে আমার কাছ থেকে এসে জেনে যাবে কেমন। আমি ভালো করে সবটা বুঝিয়ে দিবো।”

কথাটা বলে রাফি সোজা হয়ে দাঁড়ায়। নন্দিতা হা করে রাফির দিকে তাকিয়ে আছে। রাফি নন্দিতার চাওনি দেখে মুচকি হেসে যখনেই ক্যান্টিনের দরজার দিক অগ্রসর হতে নিবে তখনেই দেখে দিয়া দাঁড়িয়ে আছে আর তাদের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে আছে। রাফি দিয়ার চাওনি উপেক্ষা করে দিয়ার পাশ কাটিয়ে চলে যায়। রাফির পেছন পেছন ওর বন্ধুরাও চলে যায়। ওরা চলে যেতেই দিয়া নন্দিতার কাছে এসে চিৎকার করে বলে।

“রাফি কি বলেছে তোকে?”

নন্দিতাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই দিয়া আবারো বলা শুরু করে, “শোন একদম রাফির ধারে কাছে আসার চেষ্টা করবি না। তার ফল কিন্তু ভালো হবে না। তোকে ফাস্ট এন্ড লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি ওর থেকে দূরে দূরে থাকবি বুঝলি।”

কথাটা বলেই দিয়া হনহনিয়ে চলে যায়। ক্যান্টিনে থাকা গুটি কয়েকজন স্টুডেন্ট অবাক চোখে তাকিয়ে আছে হঠাৎ করে কি থেকে কি হয়ে গেলো। নন্দিতা আগের মতোই বসে আছে। সুহা নন্দিতার হাত ধরে বলে।

“বাদ দে তো এই সাইকোটার কথা। সবসময় বলে বেড়ায় রাফি ভাইকে নাকি ও ভালোবাসে, কিন্তু দেখ রাফি ভাই একে পাত্তাই দেয় না। তারপরও বেহায়ার মতো রাফির ভাইয়ের পিছনে পড়ে আছে।”

নন্দিতা কিছু না বলে চুপচাপ বসে আছে। সুহা তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে।

“ওই বেশরম মাইয়ার কথা চিন্তা বাদ দিয়ে এই লাল সবুজ কাগজটা নিয়ে ভাব। এর মাঝে কি অর্থ আছে এটা খুজে বের কর।”

নন্দিতা কাগজটা হাতে নিয়ে কিছু একটা ভেবে ব্যাগের চেইন খুলে তাতে কাগজটা ঢুকিয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলে।

“বাড়ি চল।”

সুহা আর কিছু না বলে বান্ধবীর পেছন পেছন যেতে থাকে। বুঝতে পারলো বন্ধবী তার ভেতরে ভেতরে বো’ম হয়ে আছে বেশি খোঁচালেই ফেটে যেতে পারে তাই চুপ থাকাটাই মঙ্গলজনক।

নন্দিতা ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে দেখে অদূরে দাঁড়িয়ে আছে রাফি। হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কি বলছে আর বাতাসে উড়তে থাকা অবাধ্য চুল গুলা ঠিক করছে। এই মুহূর্তে রাফিকে দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে নন্দিতার কাছে। এই‌ প্রথম নন্দিতা পূর্ণ দৃষ্টি ফেলে রাফিকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে। পাশে দাঁড়ানো সুহা তা দেখে মুচকি মুচকি হাসচ্ছে‌ বন্ধবী যে প্রেমে সেটা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে।

হঠাৎ করে রাফি নন্দিতার দিকে তাকাতেই‌ হকচকিয়ে উঠলো নন্দিতা। নন্দিতা দিশেহারা হয়ে সোজা ভার্সিটির গেইটের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। নন্দিতার পেছন সুহাও ছুটলো। ভার্সিটির গেইটের বাহিরে এসে বুকে হাত রেখে জোরে জোরে শ্বাস ছাড়ে নন্দিতা। সুহা নন্দিতাকে এমন করতে দেখে বলে।

“কিরে ঠিক আছিস?”

“হুমহুম ঠিক আছি আমি।”

“কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তুই ঠিক নেই।”

নন্দিতা ভ্রু কুচকে বলে, “মানে।”

“মানেটা হলো বান্ধবী আপনি প্রেম পড়েছেন তাও আবার মারাত্মকভাবে।”

“কি যা তা বলছিস?”

বলেই উল্টো দিক ফিরে হাঁটা শুরু করে নন্দিতা। সুহা মুচকি হেসে হাঁটতে হাঁটতে গানের স্বরে বলে।

“প্রেমে পড়েছে নন্দিতা, প্রেমে পড়েছে।
চেনা এক মানুষ নন্দিতাকে পাগল করেছে।”

#চলবে______

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে