Revenge of love Part-05

0
1034

#Revenge_of_love
#Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_5

রাফির শিয়রের পাশে বসে আছে নন্দিতা আর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাফির মুখ পানে। বেডের পাশের টেবিল ল্যাম্পের আলো পড়াতে রাফি মুখের এক সাইড ভাল করে দেখে যাচ্ছে। নন্দিতা হেসে উঠে রাফি হা করে ঘুমিয়ে থাকার স্টাইল দেখে। নন্দিতা আলতো হাতে রাফির নাকের ডগা টেনে দেয়। এই কাজটা নন্দিতা আগে প্রায়ই করতো যখন রাফি রাগে নাক ফুলিয়ে নন্দিতার দিকে তাকিয়ে থাকত। এই কাজটা ছিলো নন্দিতা মেইন অ’স্ত্র রাফির রাগ কমানোর। রাগ করে যখন রাফি নাক ফুলিয়ে রাখতো তখন নন্দিতা হাসিমুখে যখনেই রাফির নাক টেনে দিতো তখন কিভাবে কিভাবে যেন রাফির রাগটা ভেনিস হয়ে যেত। কিন্তু এই কাজটা রাফির সাথে এখ. করতে সাহস পায় না। আগের এই ছোট ছোট মিষ্টি মুহূর্তগুলো নন্দিতা ভীষণ‌ মিস করে ভীষণ। নন্দিতা বেডের মাথার সাথে মাথাটা হেলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে‌ নেয়। মনে পড়ে যায় প্রথম বারের মতো রাফির সাথে দেখা হওয়ার ঘটনাটা।

২০১৮ সাল, নন্দিতা প্রথম বারের মতো এতো বড় শহরে আসে। কিছুটা ভয় কিছুটা জড়তা কাজ করছে নিজের মনের মাঝে। নতুন শহর, নতুন ভার্সিটি‌ আর এক নতুন জীবন কিভাবে ম্যানেজ করবে তা নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছে।

ভার্সিটির গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে নন্দিতা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে। নিজেকে শান্ত রাখার জন্য জোরে নিঃশ্বাস ছেড়ে ভার্সিটির গেইট পেরিয়ে ভার্সিটির ভেতরে ঢুকে। পুরো ভার্সিটিটা এক বার নজর বুলিয়ে নেয় নন্দিতা। কত্ত স্টুডেন্ট ভার্সিটির আলিতেগলিতে বসে আছে। নন্দিতা যতো ভেতরে যাচ্ছে ততই অবাক হচ্ছে ভার্সিটি দেখে। সে যে এমন একটা বড় ভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পাবে কল্পনা করতে পারে নি। গুটিগুটি পায়ে নন্দিতা হেটে যাচ্ছে ঠিক তখনেই পাশ থেকে বলে উঠে।

“এই যে সাদা ড্রেস ওয়ালী সিনিয়রদের যে সালাম দিতে হয় জানা নেই বুঝি।”

নন্দিতা যে ভয়টা পেয়েছিলো সেটাই হলো শেষমেষ রেগিং এর শিকার হতে যাচ্ছে না তো। নন্দিতা দু হাত দিয়ে ব্যাগের ফিতা চেপে ধরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। নন্দিতাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলে।

“এই যে সাদা ড্রেস ওয়ালী এদিকে আসুন। সিনিয়রদের ডাকে সাড়া না দেওয়া কিন্তু ঘোর অন্যায়।”

নন্দিতা ঢোক গিলে পাশে তাকিয়ে দেখে চার পাঁচটা ছেলে একটা ওয়ালের উপরে পা ঝুলিয়ে বসে আছে আর তার দিকে তাকিয়ে বাকা হাসচ্ছে। নন্দিতা ভয়ে ভয়ে তাদের কাছ গিয়ে দাঁড়াতে ছেলেগুলার মাঝে নেহাল নামের ছেলেটা বলে।

“সালাম দাও সিনিয়রদের।”

নন্দিতা গলার স্বর চিকন করে বলে, “আস-সালামু আলাইকুম।”

ছেলেগুলা সবাই এক সাথে সালামের জবাব দেয়। নেহাল আবারো বলা শুরু করে।

“নাম কি?”

“নন্দিতা আনজুম।”

“ফাস্ট ইয়ার!”

“জি”

নেহাল আর কিছু বলতে তখনেই শিহাব আরেকটা ছেলেকে নিয়ে এসে তার কাঁধে হাত রেখে বলে।

“একটা মুরগি পেয়েছি দোস্ত।”

শিহাব কথাটা বলে নন্দিতার দিকে তাকিয়ে বলে, “ও‌মা তোরাও দেখি একটা মুরগি পেয়ছিস।”

নেহাল বাকা হেসে বলে, “আর বলিস না এই সাদা মুরগি আমাদের সালাম না দিয়েই চলে যাচ্ছিলো তাই সালাম দেওয়ার ট্রেনিং দিচ্ছি।”

নন্দিতা শিহাবের পাশে দাঁড়ানো ছেলেটার দিকে আড় চোখে তাকায়। ছেলেটাও ভয়ে ভয়ে নন্দিতার দিকে তাকায়। নেহাল ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বলে।

“কি নাম?”

“জি সুমন।”

নেহাল বা অন্য কেউ কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাশভারি একটা কন্ঠ ভেসে আসে।

“কি হচ্ছে এখানে?”

ছেলেগুলা সামনের দিকে তাকাতেই ভয় পেয়ে সাথে সাথে ওয়াল থেকে নেমে নেহাল বলে।

“কিছু না রাফি ভাই আমরা তো শুধু…”

রাফি নেহালকে কথা বলতে না দিয়েই‌ বলে, “শুধু রেগ দিচ্ছিলি।”

নেহাল থতমত খেয়ে বলে, “না ভাই আমরা তো শুধু কথা বলচ্ছিলাম।”

রাফি গলায় তেজ এনে বলে, “কথা বলা শেষ হয়ে থাকলে ক্লাসে যা। আর হে পরের বার যেন তদের না দেখি জুনিয়রদেরকে রেগ না দিতে।”

রাফির কথাটা শোনার সাথে সাথে ছেলে গুলা মাথা নাড়িয়ে এখান থেকে দৌঁড়ে চলে যায়। নন্দিতার জানে পানি আসলো যেন। ভেবেছিলো রাফিও হয়তো তাকে রেগ দিবে কিন্তু রাফি তাকে বাঁচালো রেগিং এর হাত থেকে।

রাফি নন্দিতার দিকে তাকাতেই চোখ বড় বড় করে, “তুমি এখানে!”

নন্দিতা রাফির দিকে তাকিয়ে হতবাক হয়ে বলে, “জি।”

রাফি পাগলের মতো হঠাৎ করে হেসে উঠে। নন্দিতা অবাক চোখে একবার রাফির দিকে তো আরেকবার সুমনের দিকে তাকায়। নন্দিতা মনে মনে বলে উঠে, “এই ছেলে পাগল নাকি, এভাবে হাসচ্ছে কেন হঠাৎ করে?”

রাফির এখনো বিশ্বাস‌ হচ্ছে না তার সামনে যে‌ নন্দিতা দাঁড়িয়ে আছে। কেমন যেন স্বপ্ন স্বপ্ন লাগছে সব কিছু যে মেয়েকে রাফি প্রায় পনেরো দিন ধরে পাগলের মতো খুজে বেড়াচ্ছে। সে মেয়ে কি না ষোল দিনের মাথায় এসে রাফিকে দেখা দিলো। পনেরো দিনের আগের ঘটনা।

গোধূলি বেলা তখন, সূর্য প্রায় পশ্চিম দিকে অস্ত যাবে যাবে ভাব। রাফি তখন জ্যামের মাঝে বসে আছে বাইক নিয়ে তার পাশেই সিয়ামও নিজের বাইক নিয়ে বসে আছে। দুজনেরই চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ প্রকাশ পাচ্ছে। হঠাৎ করে চিকন মেয়েলি কন্ঠের স্বর কানে আসতেই পাশ ফিরে ফুটপাতের দিকে তাকায় রাফি। মেয়েটির দিকে তাকাতেই চোখ আটকে যায় রাফি। সূর্যের সোনালি আলো মেয়েটির মুখে পড়াতে বার বার হাত উঁচু করে সূর্যটাকে আড়াল করার প্রয়াস করছে। মেয়েটির পাশেই একটা ছোট বাচ্চা দাঁড়িয়ে আছে আর সেই বাচ্চাটিকে মেয়েটা বার বার প্রশ্ন করছে, “কি খাবে বলো?” বাচ্চাটির পোশাক দেখেই বুঝা যাচ্ছে বাচ্চাটি টুকাই। মেয়েটির এমন উদারতা দেখে আনমনেই রাফির ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠে। এতোক্ষণের বিরক্তকর ভাবটা যেন নিমিষেই বিলীন হয়ে যায় রাফির চেহারা থেকে। পাশ থেকে সিয়াম তিরিক্ষি মেজাজে বলে উঠে।

“এই জ্যাম কবে ছুটবে ভাই?”

রাফির কোনো রেস্পন্স না পেয়ে সিয়াম রাফির বাইকে লাথি মেরে বলে।

“আরে ওই! তোকে আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি তো?”

রাফি রাশভারি গলায় বলে, “উফফ! বিরক্ত করবি না তো দেখতে দে।”

সিয়াম রাফির কথা শুনে সামনে থাকা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে বলে।

“উমম! মেয়েটি তো মাশআল্লাহ দেখতে সুন্দর আছে দোস্ত।”

মেয়েটি বাচ্চাটিকে কিছু খাবার কিনে দিয়ে চলে যাওয়ার উদ্যত হতে নিলেই রাফি বাইক থেকে নেমে যায়। সিয়াম তা দেখে বলে।

“আরে আরে কই যাচ্ছিস তুই বাইকটা এমন জ্যামের মাঝে রেখে?”

রাফি কিছু না বলেই বাইক থেকে নেমে‌ মেয়েটি যে গলিতে ভেতরে ঢুকছে রাফিও সেই গলির ভেতরে ঢুকে। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হলো না অনেক খুজাখুজি করেও মেয়েটিকে আর চোখের দেখা দেখতে পেলো না রাফি। বিষন্ন মুখ নিয়ে ফিরে আসে রাফি। রাফিকে দেখে সিয়াম রাগারাগি শুরু করে দেয়।

“ওই তোর কি মাথাটা পুরো গেছে। জানিস তোর এই হাতি মারা বাইকটার জন্য কতো গালিগালাজ খেয়েছি মানুষের কাছে সাথে বাইকের চাবিটাও নিয়ে চলে গেছিস।”

রাফি বাইকে উঠতে উঠতে বলে, “বন্ধুর জন্য একটু গা’লি গা’লা’জ খেলে সওয়াব হয় বুঝলি।”

এর মাঝে এক রিক্সাওয়াল বলে, “ওই মিয়া তাড়াতাড়ি আপনের মোটরসাইকেল এইনতে সরান। না হলে হুলিশ আইসা নিয়া যাইবো।”

রাফি বাইকে চাবি ঢুকিয়ে বাইক স্টার্ট দেয়। এর পর থেকে শুরু হয় রাফির পাগলামি প্রত্যেকটা দিন রাফি এমন সময় এই জায়গাতে আসে শুধু মাত্র মেয়েটিকে এক নজর দেখার জন্য। নিজেই নিজের এমন কার্যক্রম করার জন্য ভীষণ অবাক হতো। কিন্তু মেয়েটির আর দেখা পায় নি কিন্তু শেষমেষ সেই মেয়েটির দেখা পেলো আজকে।

পনেরো দিনে এসব কর্মকান্ড মনে পড়তেই হাসি পেয়ে যায় রাফির। রাফি নিজের হাসি থামিয়ে বলে, “সরি! আসলে নিজের করা একটা কাজ মনে পড়তেই হাসি উঠে গেছে কিছু মনে করো না।”

নন্দিতা মাথা নড়িয়ে বলে, “না না ভাইয়া কিছু মনে করি নি।”

রাফি রাশভারি গলায় বলে, “প্রথম দেখাতেই ভাইয়া বানিয়ে দিলে‌ আমাকে‌।”

নন্দিতা মুখ ছোট করে বলে, “না মানে তাহলে‌ কি বলে ডাকবো?”

রাফি মুচকি হেসে বলে, “কিছু বলে ডাকতে হবে না যাও ক্লাসে যাও দুজনে। আর‌ কোনো প্রবলেম হলে নির্দ্বিধায় আমাকে বলবে কেমন আমি হেল্প করবো।”

সুমন আর নন্দিতা মাথা নাড়িয়ে দুজন দুজনের ডিপার্টমেন্টের দিকে চলে যায়। রাফি ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে নন্দিতার যাওয়ার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এমন সময় রাফির পাশে থেকে একটা মেয়েলি কণ্ঠস্বর ভেসে আসে।

“মেয়েটা কে রাফি?”

রাফি পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে দিয়া দাঁড়িয়ে আছে চোখে মুখে বিরক্তিকর ছাপ নিয়ে। মনে হচ্ছে যেন দিয়ার মুখে কেউ করলার জুস টেলে‌ দিয়েছে তাই এমন করে রেখেছে মুখটা। রাফি দিয়াকে পাত্তা না দিয়ে “কেউ না বলে” পকেটে হাত গুজে এখান থেকে চলে যায়। দিয়ার প্রতি রাফির এমন অবহেলা করতে দেখে দিয়া নাক ফুলিয়ে বলে।

“কত দিন আমাকে এভোয়েড করে চলবে তুমি রাফি। এক দিন তো ঠিকেই আমার জালে ধরা তোমাকে দিতেই হবে। আর মেয়েটা কে যার দিকে তুমি এমন অদ্ভুদ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে। তোমার দৃষ্টি বড্ড অন্য রকম লাগছে রাফি।”

_____

রাফি ক্যান্টিনে বসে কফি খাচ্ছে আর মাঠের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসচ্ছে। আজকে রাফি ভীষণ খুশি মন চাইছে পুরো ভার্সিটির সকলকে বিরিয়ানে খাওয়াতে। তার এতো দিনের পরিশ্রম আজকে সফল‌ হলো। এমন সময় রাফির কাঁধে চাপড় মেরে সিয়াম চেয়ারে বসতে বসতে বলে।

“কিরে মামা? তোর মুখে এমন লজ্জা লজ্জা হাসি লেগে আছে কেন? কাহিনী কি?”

রাফি কফির মগে চুমুক দিয়ে বলে, “তুই গেজ করতো তো কি কাহিনী হতে পারে?”

“উমম! কারো প্রেম পড়েচ্ছিস নাকি আবার।”

রাফি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলে, “প্রেমে তো পড়েছি অনেক আগে, সেই গোধূলি বেলায় দেখা মেয়েটির প্রেমে।”

সিয়াম দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে, “ভাই তুই আর ওই মেয়েকে খুজে পাবি না বুঝলে তাই গোধূলি বেলায় দেখা মেয়েটিকে ভুলে যা।”

“কে বলছে খুজে পাবো না ওলরেডি পেয়ে গেছি আর মেয়েটি এখন আমার চোখের সামনেই আছে।”

সিয়াম চোখ বড় বড় করে বলে, “কি? কোথায় মেয়েটি?”

বলেই মাঠের দিকে তাকাতেই হতভম্ব হয়ে যায় নন্দিতাকে দেখে। বার কয়েক চোখের পলক ফেলে রাফির দিকে তাকিয়ে অবিশ্বাস্য গলায় বলে।

“ভাই তোর গোধূলি বেলায় দেখা মেয়েটি আমাদের ভার্সিটিতে পড়ে আর আমরা এই কলেজের সিনিয়র হয়ে সেটা জানি না।”

“ও নতুন ভর্তি হয়েছে আর‌ আজকেই প্রথম ভার্সিটিতে এসেছে তাই জানতাম না।”

“তোর কপাল আছে ভাই মেয়েটা তোর নাগলের ভেতরেই আছে।”

এমন সময় নন্দিতার পাশে এসে সুমন দাঁড়াতেই সিয়াম বলে উঠে।

“ওই ছেলেটা কে? চল দেখি গিয়ে।”

“না দরকার নেই বসে থাক।”

সুমন নন্দিতার কাছে এসে বলে, “হাই! সকাল বেলা ঘটনাটার জন্য নিশ্চয়ই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তাই না।”

নন্দিতার পাশে দাঁড়ানো সুহা সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায় সুমনের দিকে। সুহার সাথে নন্দিতার আজকে বন্ধুত্ব হলো। সুহা নন্দিতার কানে কানে বলে, “কে রে ছেলেটা?”

নন্দিতা ফিসফিসিয়ে বলে, “সকালের ছেলেটা।”

সুহা ছোট করে বলে, “ও”

নন্দিতা মুচকি হেসে বলে, “একটু তো ভয় পেয়েছিলাম।”

“হুম। আচ্ছা আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি।”

সুহা সুমনের কথা শুনে ভ্রু উঁচু করে বলে, “কেন? আমাদের সাথে আপনারা বন্ধুত্ব করা কি দরকার এতো স্টুডেন্ট থাকতে ভার্সিটিতে?”

“না এমনি এই ভার্সিটিতে নতুন আসলাম তাই বলচ্ছিলাম আর কি।”

সুহা দ্রুত গলায় বলে, “ওকে ওকে ফ্রেন্ড হলাম আজ থেকে আমার।”

সুহা কথাটা বলেই নন্দিতার হাত ধরে বলে, “চল এখন।”

কিছু দূরে যেতেই নন্দিতা অবাক হয়ে বলে, “এমন করলি কেন?”

“তুই এই শহরে নতুন তাই একটু বুঝেশুনে পা ফেলবি আর ছেলেদের একদম বিশ্বাস করবি না বুঝলি।”

“হুম”

নন্দিতাকে কলেজ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেই রাফি ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে নন্দিতার পিছু নেওয়া শুরু করে। অর্ধেক রাস্তা আসতেই সুহা আলাদা হয়ে নন্দিতার থেকে। এখন নন্দিতা একাই হেঁটে চলছে। হঠাৎ করেই মনে হলো‌‌‌ কেউ ওর পিছু নিয়েছে ও হাঁটলে পেছনের মানুষটি হাঁটে ও থামলেও সেই লোকটিও থামে। নন্দিতা ভয় পেয়ে যায় কিন্তু নিজের বুদ্ধি কাটিয়ে লোকটিকে ধোকা দিয়ে চলে যায়।

এদিকে রাফি নন্দিতাকে হারিয়ে কোমড়ে হাত রেখে বলে উঠে, “বড্ড চালাক তো মেয়েটা কিভাব ধরে ফেললো সবটা!”

#চলবে_____

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে