#Revenge_of_love
#Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_4
রাফি গাড়িতে বসে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নন্দিতার দিকে । রাফির এভাবে তাকিয়ে থাকার কারনটা হলো নন্দিতার হাত ধরে রেখেছে একজন পুরুষ যেটা দেখে রাফির রাগের মাত্রাটা আরো বেড়ে যায়। কিন্তু অন্য দিকে নন্দিতা বলে।
“আমি ঠিক আছি আর মলম দিতে হবে না”
অচেনা পুরুষটি বলেন, “কি বলছেন কি? কোথায় ঠিক আছেন আপনি,,আপনার হাতের পাতাটা অনেকটা ছিলে গেছে। ভ্যাগিস আমার ব্যাগে ঔষধটা ছিলো তাই দিতে পারলাম,, আর আপনি রাস্তায় এভাবে দৌঁড়াছিলেন কেন যদি আরও বড় কিছু হয়ে যেতো তখন।”
“আমি একদম ঠিক আছি।”
ঠিক তখনেই রাফি নন্দিতার সামনে এসে দাঁড়ায়। নন্দিতা রাফিকে দেখে নন্দিতার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে কিন্তু পরক্ষণে হাসিটা উধাও হয়ে যায় রাফির চোখের দিকে তাকিয়ে। কারন রাফির চোখ দুটো ভয়ংকর দেখাচ্ছে,, নাকটা রাগে ফুলিয়ে রেখেছে, চোয়াল শক্ত করে রেখেছে। নন্দিতার বুঝতে বাকি রইলো না রাফি কেন এতটা রেগে আছে। নন্দিতা সাথে সাথে অচেনা লোকটার হাত থেকে নিজের হাতটা সরিয়ে নিয়ে ঢোক গিলে বলে।
“রাফি আমার কথাটা শুনো তুমি ভুল ভাবছো।”
রাফি তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে, “ওয়াও জাস্ট ওয়াও এত্ত সুন্দর একটা সিন আমি দেখতে পাবো আমি ভাবতেই পারি নি, এই সিনটা দেয়ালে বাধিয়ে রাখার মতো তাই না।”
নন্দিতা রাফিকে বুঝানোর চেষ্টা করে বলে, “রাফি আমার কথাটা শুনো ও রকম কিছুই না।”
রাফি কন্ঠে তেজ এনে বলল, “তাহলে কি?? বল আমাকে,, এখন কি তুই রাস্তা ঘাটেও প্রেম লিলা শুরু করবি। তুই ভুলে যাচ্ছিস তুই এখন রাফি তাজওয়ারের ওয়াইফ আগে যা করেছিস করেছিস কিন্তু এখন তুই। কি সর্ম্পক ওর সাথে তোর?”
অচেনা পুরুষটি বলেন, “মিস্টার আপনি ভুল ভাবছেন,, ওনার সাথে আমার কোনো সর্ম্পক নেই, ওনি হাতে ব্যথা পেয়েছেন তাই আমি…. ।”
রাফি ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে, “শাট আপ জাস্ট শাট আপ! আপনার কাছ থেকে কৌফত চেয়েছি আমি। তাহলে আপনি কেন কথা বলছেন?
কথাটা বলে রাফি নন্দিতার দিকে চোখ রাঙিয়ে বলে, “আর তুই তোর এসব প্রেম লীলা শেষ হয়ে থাকলে চল আমার সাথে।”
রাফি কথাটা বলে রাগে নন্দিতার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে গাড়িতে তুলে। অচেনা লোকটা এসব দেখে মনে মনে বলে ওঠে, “আরে এতো পুরাই সাইকো একটা মাুনষ।”
রাফি নন্দিতাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। নন্দিতার আর বাবার বাড়িতে যাওয়া হলো না। রাফি বাড়ির সামনে এসে নন্দিতার হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় নিজের রুমে সকলের সামনে দিয়ে। আর বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে কেউ কিছু বলতেও সাহস পাচ্ছে না রাফির রাগী ফেইস দেখে।
রাফি নন্দিতা ঘরে এনে নন্দিতাকে ছুড়ে ফেলে ফ্লোরে। এভাবে ফেলে দেওয়াতে মনে হচ্ছে নন্দিতার শরীরের সব কিছু ভেঙ্গেই গেছে। রাফি দরজাটা লাগিয়ে নন্দিতাকে টেনে তুলে, নন্দিতার গলাটা চেপে ধরে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে দেয়।
“রাফি প্লিজ ছাড়ো আমার খুব লাগছে।”
খুব কষ্টে করে নন্দিতা কথাটা বলে। রাফি দাঁতে দাঁত চেপে বলে।
“লাগুক লাগার জন্যই তোকে ধরা, ইচ্ছে করছে তোকে খু’ন করে ফেলতে। কিন্তু তা আমি করবো না তোকে তিলে তিলে আমি মারবো।”
বলেই নন্দিতাকে ছেড়ে দেয় নন্দিতা কাশতে কাশতে নিচে বসে পড়ে, চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। রাফি আবারো নন্দিতাকে তুলে বাহু চেপে ধরে বলে।
“আমার ভাবতেও ঘৃনা লাগে নিজের প্রতি,যে তোর মতো একটা মেয়েকে আমি নিজের সবটা দিয়ে ভালোবেসে ছিলাম। আসলে তুই একটা কি বলবো আমি তোকে, তুই বলে দে তোকে আমি কি বলবো।”
“রাফি তুমি আমাকে ভুল বুঝছো ওই লোককে তো আমি চিনিই না ওনি আমাকে সাহ….।”
নন্দিতা আর কিছু বলতে পারলো না সাথে সাথে নন্দিতার গালে ঠাস করে চড় মেরে বসে রাফি। চড়টা এতটাই জোরে ছিলো যে নন্দিতার ফর্সা গালে পাঁচ আঙ্গুলের দাগ বসে গেছে।
“এতোটা বেহায়া কি করে হতে পারিস তুই,,হুম কি করে? ও হে বুঝতে পেরেছি আমি তোকে র্স্পশ করে নি,, তাই তোর এখন পরপুরুষের স্পর্শ দরকার তাই তো।”
“রাফি কি বলছো এসব। আমাকে এতোটা নিচে নামিয়ে দিও না প্লিজ।”
রাফি দাঁত চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, “তবে যাই হয়ে যাক না কেন তোকে আমি কোনো দিনও ডির্ভোস দিবো না। তোর জীবনটা আমি নরকে পরিণত করবো। সারা জীবন তুই কষ্ট ভোগ করবি বুঝলি।”
রাফি নন্দিতাকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। নন্দিতা ফ্লোরে বসে ডুকরে কান্না করতে করতে বলে।
“রাফি তুমি আমাকে ভুল বুঝছো। তুমি এতোটা রগচটা কি করে হয়ে গেলে? আমার কথাটা না শুনেই তুমি… ”
নন্দিতা আর রুম থেকে বের হয় নি, নন্দিতা ফোন করে বাবা মাকে কোনো মতে বুঝ দিলে এটা বলে “রাফির কাজ পড়ে গেছে তাই আসতে পারবে না। এখন একা গেলেও মানুষ দুই চারটা কথা বলবে তাই আর যাওয়া হয় নি।”
এর মাঝে নন্দিতাকে রাফা অনেক বার জিঙ্গেস করেছে কি হয়েছে কিন্তু নন্দিতা কিছু না বলে কথাটা কাটিয়ে দিয়েছে। তাই আর বাসার কেউ কিছু জানতে চায় নি তবে এটা বুঝতে পারছে নন্দিতা আর রাফির মাঝে কিছু একটা হয়েছে। রাফির মা বাবাও এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে তাই ওনারও এ বিষয়ে কথা বলে নি। আসলে ছেলে বউয়ের সমস্যাটা তারা দুজনেই মিটিয়ে নেক এটায় চায় ওনার।
______
রাত প্রায় এগারোটা বাজে রাফি এখন ও আসে নি বাসায়। নন্দিতা ঘরের লাইট না জ্বালিয়ে বসে আছো তবে চাঁদের আলোতে ঘর আলোকিত হয়ে আছে। এর কিছুক্ষন পরেই রাফির গাড়ির শব্দ শুনতে পায় নন্দিতা। কিন্তু তখনও নন্দিতা এভাবেই বসে থাকে। রাফি কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে ঘরে ঢুকে। কিন্তু রাফির দিকে তাকিয়ে তো নন্দিতা চরম অবাক হয়। কেমন দুলছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে ড্রিংক করে এসেছে। দারোয়ানের সাহায্যে রাফি কোনো মতে ঘরে আসে। রাফির এমন অবস্থা দেখে নন্দিতা রাফির কাছে গিয়ে বলে।
“কি হয়েছে তোমার? তুমি ড্রিংক করেছো?”
রাফি কিছু না বলে এক নজরে নন্দিতার দিকে তাকিয়ে থাকে। রাফির মুখশ্রী দেখে মনে হচ্ছে এই বুঝি কেঁদে দিবে দিবে ভাব। রাফি আচমকাই নন্দিতাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে দু হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। এভাবে শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দম বন্ধ হয়ে যাওয়া মতো অবস্থা নন্দিতার আর এর সাথে নন্দিতা কিছুটা শকড হয় রাফির এহেন কান্ডে। নন্দিতা মিহি স্বরে বলে।
“রাফি কি হয়েছে তোমার?”
রাফি ক্ষীণ গলায় বলে, “নন্দিতা আমি খুব খারাপ তাই না, খুব বাজে মানুষটা আমি তাই না। যে সব সময় তোমাকে কষ্ট দেয়, দুঃখ দেয়, আঘাত করে। জানো তোমাকে কষ্ট দিলে তোমার থেকে আমি দ্বিগুন কষ্ট পাই, তোমার চোখের কোণে পানি দেখলে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না,, তাই তোমাকে আঘাত দেওয়ার পরেই আমি তোমার থেকে দূরে সরে যাই। কারন তোমার কাছ থাকলে যে নিজেকে শক্ত রাখতে পারি না, তোমাকে কষ্ট দিতে গিয়ে যে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি নন্দিতা। তোমাকে তো আমি ঘৃনা করতে চাই কিন্তু পারি না বিশ্বাস করো, হয়তো এখনও তোমাকে ভালোবাসি তার জন্য।”
নন্দিতা কিছু বলে না চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে শক্ত হয়ে আর চোখ দিয়ে না চাওয়া সত্বেও পানি পড়ছে। রাফি নন্দিতাকে নিজের বাহুডোর থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে নন্দিতার মুখটা নিজের দু হাত দিয়ে আবদ্ধ করে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চোখের জলটা মুছে দেওয়ার সময় নন্দিতা আর্তনাত করে উঠে ব্যথায়। কারন গালে যে রাফির দেওয়া পাঁচ আঙ্গুলের দাগ বসে গেছে। রাফি হুট করে নন্দিতার চড় দেওয়া গালে গভীর ভাবে চুমু করে বসে। নন্দিতা কেঁপে উঠে রাফির এহেন কান্ডে, সারা শরীরের লোমকূপ গুলা দাঁড়িয়ে যায়। তল পেট মুচরে উঠে, শিরদাঁড়া বেয়ে অদ্ভুদ এক নাম না জানা শিহরণ বয়ে যায়। রাফি গভীর স্বরে বলে।
“খুব কষ্ট পেয়েছো তাই না এভাবে আঘাত করার জন্য। সরি বিশ্বাস করো রাগ উঠে গিয়েছিলো তখন। তোমাকে অন্য কারোর সাথে দেখলে মাথা ঠিক রাখতে পারি না আমি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি নিজের। আর কোথায় ব্যথায় দিয়েছি আমি তোমাকে গলায় তাই তো।”
কথাটা বলেই রাফি হুট করে নন্দিতার গলায় মুখ ডুবিয়ে একের পর এক চুমু দিতে থাকে। নন্দিতার দম বন্ধ হয়ে আসছে রাফির এহেন কান্ডে। আর নন্দিতার এটাও বুঝতে বাকি নেই যে রাফি নিজের মাঝে নেই। যদি হুশে থাকতো তাহলে রাফি কোনো দিনও এমন করতো না। তাই নন্দিতা রাফিকে নিজের থেকে সরানোর জন্য বলে।
“রাফি আ… আমি ঠিক আছি আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না বিশ্বাস করো।”
নন্দিতার কথা যেনো রাফির কানে পৌঁছায় নি বরং রাফি নন্দিতার গলায় আরও গভীর ভাবে মুখটা ডুবিয়ে দিয়ে নন্দিতার কোমড় ধরে নিজের আরো কাছে টেনে নিয়ে নেশাক্ত গলায় বলে।
“জানো তোমাকে কতোটা কাছে পেতে ইচ্ছে করে, মন চায় তোমার মাঝে নিজেকে অজীবন ডুবিয়ে রাখি। মন চায় তোমাকে আদরে আদের ভরিয়ে রাখি।”
কথাটা বলে গলা থেকে নিজের মুখটা উঠিয়ে নন্দিতার দিকে মায়াবী চোখে তাকিয়ে থাকে আর ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে আর ছাড়চ্ছে। রাফি প্রত্যেকটা তপ্ত নিঃশ্বাস আছড়ে পড়ছে নন্দিতার সারা মুখে। রাফির এই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাঝে এক অস্থিরতা কাজ করছে মনে হচ্ছে, যেটা নন্দিতা খুব ভালো করেই বুঝতে পারচ্ছে। রাফি হুট করে ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে নন্দিতার ঠোঁটের আশপাশ স্লাইড করা শুরু করে দেয়। তাতে নন্দিতার তো নাজেহাল অবস্থা, না পারছো সইতে না পারছো দূরে সরে যেতে। রাফি নরম গলায় বলে।
“আচ্ছা নন্দিতা তুমি এতো নরম কেন বলো তো একেবারে তুলার মতো! আচ্ছা তোমার ঠোঁট গুলা এত লাল কেন বলো তো ইচ্ছে করে খেয়ে ফেলতে।”
এ কথাটা শুনা মাত্রই সারা শরীর কেঁপে উঠে নন্দিতার। রাফি ঠোঁট ফুলিয়ে আবারো বলে।
“আচ্ছা নন্দিতা তুমি এমন কেন?”
নন্দিতা দুর্বল গলায় বলে, “কেমন আমি?”
রাফি কাঁদো কাঁদো গলায় বলে, “আমাকে একটুও ভালোবাসো না তুমি, কেন ভালোবাসো না? আমি তো তোমাকে খুব ভালোবাসি। তুমি কি আমাকে ভালোবাসো না?
নন্দিতা শুকনো ঢোক গিলে বলে, “রাফি তুমি ঠিক নেই। তুমি শুয়ে পড়ো অনেক রাত হয়েছে।”
“না আমার উত্তর চাই মানে চাই। সবসময় পালিয়ে যাও কেন বলতো? কই আগে তো পালাতে না? বলো না প্লিজ ভালোবাসা আমাকে।”
নন্দিতা কিছুক্ষণ নিচের ঠোঁট কাঁমড়ে ধরে বলে, ” হুমম বাসি খুব ভালোবাসি।”
রাফি মাথা দুলিয়ে বলে, “সত্যি ভালোবাসো।”
“হুমম”
“মিথ্যা কথা একটুও ভালোবাসো না আমায় ভালোবাসলে তো আমাকে আদর করতে কিন্তু তুমি আমাকে একটুও আদর করো না।”
“তুমি তোমার হুসে নেই তাই এমন বলছো। কিন্তু আমি জানি এগুলা তোমার মনের কথা। কিন্তু…. ”
রাফি টানটান হয়ে দাঁড়িয়ে বলে, “কে বলেছে আমি হুসে নেই আমি এক দম ঠিক আছি। অল্প একটু মদ খেয়েছে।”
“ঠিক নেই তুমি।”
রাফি নন্দিতার ঠোঁট তর্জনী রেখে বলে, “হুসসসসসস এতো কথা বলো কেন তুমি? ঠিক আছে তোমাকে আদর করতে হবে না আমাকে আমি করি তোমাকে আদর।”
নন্দিতার বুক দুরুদুরু বুক কাঁপছে কিন্তু তারপর নিজেকে সামালে নিয়ে মুদৃ স্বরে চিৎকার করে বলে।
“কি করতে চাইছো কি তুমি রাফি? নিজের হুশে ফিরো।”
রাফি নন্দিতাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই নন্দিতার গোলাপি ওষ্ট জোড়ায় নিজের ওষ্ট ছুঁয়ে দিয়ে নন্দিতার কোমড় আঁকড়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। একে অন্যের ভারি নিঃশ্বাস মিলিত হয়ে যায় মুহূর্তের মাঝে। নাক মুখ কুচকে নেয় নন্দিতা। মদের গন্ধে গা গুলিয়ে আসছে নন্দিতার। নিজেকে রাফির বাহুডোর থেকে ছাড়াতে চাইলেও ছাড়াতে পারছে না। কিছুক্ষণ পর রাফি নন্দিতাকে নিজে থেকে ছেড়ে দেয় কিন্তু নন্দিতাকে শ্বাস নেওয়ার সময় টুকু না দিয়েই রাফি হুট করেই নন্দিতাকে কোলে তুলে নেয়। নন্দিতা ভয়ে ভয়ে বলে।
“রাফি প্লিজ আমাকে নামাও। এমন কিছু করবে না তুমি।”
রাফি অস্পষ্ট স্বরে বলে, “সব করবো আমি আজকে তোমার সাথে।”
রাফি নন্দিতার কথার কোনো পাত্তা না দিয়ে নন্দিতা কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুয়েই দিয়ে। রাফি নেশায় বিভার হয়ে আছে। রাফি নন্দিতার উপরে নিজের সর্ম্পূন ভার দিয়ে নন্দিতার গলাতে মুখ ডুবিয়ে দিয়ে। নন্দিতা চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করে উঠে।
“এটা ঠিক হচ্ছে না, আমায় রাফিকে আটকাতে হবে। ও না হয় নিজের হুশে নেই কিন্তু আমি তো হুশে আছি। আমি চাই না এভাবে রাফি আমার কাছে আসুক না ওকে আটকাতে হবে।।
নন্দিতা রাফির বাহুতে হাত রেখে রাফিকে সরানোর চেষ্টা করে বলে, “রাফি প্লিজ ছাড়া আমাকে।”
হঠাৎ করেই রাফির শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে, রাফির কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে নন্দিতা বুঝতে পারে ঘুমিয়ে পড়েছে। নন্দিতা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে রাফি ঘুমিয়ে যাওয়ায় জন্য। কিন্তু নন্দিতা উঠতে গেলে বাঁধলো এক ভেজাল রাফি এমন ভাবে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে রেখেছে যে নন্দিতা বেচারি উঠতে পড়ছে না। হাতির মতো মানুষটা যদি নন্দিতার মতো একটা মশার উপর শুয়ে থাকে তাহলে উঠে বসা একটু কষ্টের বিষয়।
নন্দিতা ভ্রু কুচ করে বলে, “হায় আল্লাহ আমি আজকে মরেই যাবো। ওরে রাফিরে আজকে আমাকে তুমি মেরেই ফেলবে।”
তারপরও নন্দিতা অনেক কষ্টে রাফির শক্তপোক্ত বাহুডোর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে জোরে জোরে শ্বাস ফেলে বলে।
“উফফ এখন একটু শান্তি লাগছে। এই বেডায় যদি সবসময় আমার উপরে এসে শুয়েই পড়ে তাহলে আমি আলু ভর্তা হয়ে যাবো নিশ্চিত। কি খায় এই লোক এতো ভারি কেন?”
নন্দিতা জোরে জোরে কয়েকটা শ্বাস নিয়ে রাফির দিকে তাকায়। কেমন নিষ্পাপ বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে, চুল গুলা উষ্কখুষ্ক হয়ে আছে। নন্দিতা নিজের হাত দিয়ে রাফির চুল গুলা ঠিক করে দেয়। নন্দিতা বসা থেকে উঠে রাফির পায়ের জুতা গুলো খুলে রাফিরে উপরে চাদর দিয়ে চলে আসার সময় রাফির কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিয়ে সরল গলায় বলে।
“আমি জানি রাফি তুমি আমাকে এখনও ভালোবাসা শুধু উপরে উপরে রাগ দেখাও কিন্তু মনে মনে আসীম ভালোবাসা আছে আমার জন্য।”
#চলবে______