psycho_is_back? season2 part_12

0
2649

psycho_is_back?
season2
part_12
#apis_indica
ভোরে হাটতে বের হয়েছি আমি আর টিনা।।পেট ইদানীং মনে হচ্ছে বেরে যাচ্ছে।।টিনা তা দেখে অবশ্য বলে,,
— তোর পেট দেখে এখন সেক্সি লাগে।।আগেতো দেখাই যেতো না।।
—কি যাতা বলিস তুই??
—সত্যি বলছি দোস্ত।।রিয়ান আমাকে প্রায় বলে তোমার পেট একটু কমাও নয় তো ছুঁতে মজা লাগে না।।
—-ছিঃ কি অসভ্য কথা বার্তা বলিস তোরা?
—-ছিঃ কি আছে? তুই যখন প্রেম করবি তখন কত কথা বলবি তখন সেক্স কেমনে করে না করে? এমন কি বাচ্চা-কাচ্চার প্ল্যানিং পর্যন্ত করবি।। অার আমি এটুক বলতেই ছিঃ ছিঃ করছিস?? আর সে তুই তো? যে কিনা ইনার বিয়ের সময় খাটের নিচে থাকার প্ল্যানিং করেছিলি।। আর এখান ছি ছি করছিস?
—-দেখ তখন ছোট ছিলাম মনের মাঝে সব কিছু জানার কৌতুহল থাকেই।।আমারও ছিল?
—–তো এখন কই গেল সেই কৌতুহল?
—–দোস্ত এখন বড় হয়েছি।।আর ছেলে মানুষি করা ছেড়ে দিসি বুঝলি।।
—-হুম বুঝলাম।।চল ওই দিকটায় যাই।।

হাটঁছি নদীর পার ধরে।। টিনা রাউন্ড দিচ্ছে।।কিছুদূর দেখলাম একটি বৃদ্ধ কেমন যেন করছে।।আমি তার কাছে গেলাম।। বৃদ্ধ করে জিগাসা করলাম,,
—-দাদু আপনি ঠিক আছেন?
—-দাদু হাপাচ্ছেন।।মনে হয় শ্বাসকষ্ট আছে তার।।
তিনি আমার হাতে একটি ঠিকানা দিলেন আর বললেন,
—-আমাকে এই ঠিকানায় একটু পৌছে দিবে দাদু ভাই?
আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না| ততখােন টিনা এসে আমার পাশে দাড়িয়ে ঠিকানাটা দেখে বলল,,
—দোস্ত এখান থেকে ১০ মিনিটের রাস্তা।। চল দিয়ে আসি মনে হচ্ছে বেশি ভাল না তার অবস্থা।।
আমি হে বললাম।।তারপর একটি সি এনজি ডেকে তাকে নিয়ে রওনা করলাম।।

সিএনজি এসে থামল একটি বড় বাংলোর সামনে।। ২ তলা বাংলোর আশেপাশে অনেক সিকিউরিটি গার্ড।। বাসার নেমপ্লেট দেখে আমি থ!! এতো বারিশ স্যারের কোম্পানির নাম।।তাহলে কি এটা তার বাড়ি?

বৃদ্ধকে দেখে গার্ড ভিতরে ঢুকতে দিলেন।।
ভিতের ডুকতেই একটি মাঝ বয়সি মহিলা এসে হাজির।।মহিলার গায় গ্রীন লাইট কালারের একটি শাড়ি।। হাতে দুটো চুরি।। চুল গুলো খোপা করা।।
তিনি এসেই বলতে লাগেন,,
—-বাবা কি হয়েছে তোমার??সাথে সাথে একজন কাজের মেয়েকে ইনহেলার আনতে পাঠিয়ে দেয় দাদুর ঘরে।।ইনহেলার নেয়ার পর কিছুটা শাস্ব নেন তিনি।।
মহিলাটি তখন বলতে লাগে,,
—-কতবার বলেছি তোমাকে একা বের না হতে।। গাড়িটাও নিলে না।।আজ কিছু হয়ে গেল।।আমাদের কি হতো?
দাদু বললেন,,
—-নারে মা কিছু হবে না আমার! এখনো এই বুড়ো শরীরে জোর আছে বুঝলি?? এখনো কত মেয়েরা প্রেম নিবেদন করে জানিস??
উনার কথা শুনে আমি আর টিনা হেসে দেই।।
মহিলাটা তখন বলে উঠে,,
—-তুমি না বাবা বয়স হয়েছে কিছু দুস্টমি ছাড়ো না।।আরে তোমরা দাড়িয়ে কেন বস।।আমি খেয়ালি করি নি।।তোমরা বস।।
—-না আন্টি আজ যেতে হবে।। অফিস আছে।। পরে একদিন আসবো।।
আন্টি যেন শুনতে না নারাজ।।নাস্তা না খাইয়ে ছারবেন না তিনি।।আগত তার কথা রাখতে হল।।মহিলাটি অনেক মিশুক ভালই লাগচ্ছে তার সাথে কথা বলে।।তখনি বাহির থেকে কানে হেড ফোন গুজে কেউ প্রবেশ করলো।।তাকে দেখে আমি আর টিনা দাড়িয়ে গেলাম চমকে।।লোকটি আর কেউ না টিনার বফ।। টিনাকে থেকে থতমত খেয়ে ফললো।।টিনাও তাই।।
রিয়ান তখন আমতা আমতা করে বলল,,
—-টিনা তুমি??
টিনা বলল,,
—-তুমি এখানে?
আন্টি বলল,,
—-একে অপরকে চিনিস নাকি??
—–না মানে হে চিনি ও আমার ফ্রেন্ড হে ফ্রেন্ড।।
আন্টি সন্দিহান চোখে বলল,,
—-এত তোর হাটুর বয়সি মেয়ে ও তোর ফ্রেন্ড?
রিয়ান মাথা চুলকাতে চুলতাকে বলতে লাগে,,
—–মা তুমি সব সময় শুধু আমাকে সন্দেহ করো!!
আন্টি বললেন,,
—-কাজ গুলাই তেমন করো?
তখন দাদু বলল,,
—–নানু ভাই! এরা আজ তোর নানুর জান বাচিঁয়েছে বুঝলি।।
—-কি হয়েছিল! আতঙ্কের সুরে বলল রিয়ান!
—-বাবা আজও একা বের হয়ে গেছিল।।
দাদু বলল,
—-আজ না গেলে এত সুন্দর দুটো নাতনী পেতাম না।।

কথার মাঝেই গাড়ি এসে থামল বাহিরে।। আন্টি তখন বলতে লাগেন,,
—-ওই চলে এসে আমার ছেলে, এখন তোমার ক্লাস নিবে বাবা দেখে নিও।।
দাদু বলল,,
—-আমি তোর ওই উটকে ভয় পাইনা বুঝলি??

তখনি পিছন থেকে কেউ বলে উঠে,,
—-কে উট দাদু?
দাদু বিড়বিড় করে বলল,,
—-এসে গেছে হিটলার।।
—-এই বুড়ো তুমি কি বল আমি শুনি না? তোমাকে কত বার না করেছি একা বের হতে? এত গার্ড কি জন্য রাখি আমি, সব কটাকে আজ শিক্ষা দেব দাড়াও।।বলে সব কটা গার্ডকে এনে ঝাড়ি দিতে লাগলেন।।এক পর্যায় পিছন থেকে বন্দুক বের করে সবার দিক তাক করে বলতে লাগলেন,,
—নেক্সট টাইম যদি আপনাদের দেখি উনাকে একা যেতে দিতে সব কটা মেরে গুম করে দিব বলে দিলাম।।
আমি আর টিনা এসব দেখে অবাক।।

নাস্তার টেবিলে বসে নাস্তা করছি সবাই।। একটা জিনিসে আমি অনেক অবাক হচ্ছি স্যার এমন ভাব করছেন যেন আমাকে চিনেন না।।যেন আমি বলতে কোনো মানুষ এখানে নেই।।তাই আমিও ইগনোর করলাম তাকে।।
?
অফিসে আমার কেবিনে বসে কাজ করছিলাম তখন ল্যান্ড লাইনে কল আসে,
—হ্যালো!
—-আমার কেবিনে আসুন।
গেলাম বারিশ স্যারের কেবিনে তিনি বললেন,,
—মিস, আমার দাদুর হেল্প করেছেন তার জন্য মন থেকে অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে।।দাদু আমার জান।(কথার মাঝে স্যার আমার দুহাত তার দুহাতে ধরে) উনার কিছু হলে নিজেকে মাফ করতে পারবো না তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
—-এটা একজন পথচারী হিসেবে আমার কর্তব্য স্যার।।বলে হাত ছাড়িয়ে নিলাম।।কারণ উনি যত বার আমার হাত ধরেন তত বার আমার শরীরে আলাদা শিহরণ দিয়ে উঠে।।স্যার আসি তাহলে।।
বারিশ বলল,,
—আমার কথা শেষ হয়নি মিস।।আমাদের আজ রাতে কক্সবাজার যেতে হবে মিটিং আছে।। আপনি এখন বাসায় চলে যান।। আমি এসে পিক করে নিব আপনাকে।।
—-ওকে স্যার।।এই প্রথম কোনো ছেলের সাথে একা বের হবো ভাবতেই কেমন ভয় ভয় করছে।।

বাসায় গিয়ে রেডি হয়ে নিলাম রাত ৮ টায় স্যার এলেন।।আমিও নিচে নেমে গেলাম।।গাড়িতে স্যার ড্রাইভিং সিটে বসে।।তার পাশে খালি।।তাই পাশেই বসলাম।।স্যার হয়তো নিজে ড্রাইভ করেই যাবেন।।কিন্তু তাই বলে রাতের বেলা কেন? বুঝলাম না..!!

অনেকক্ষণ যাবৎ স্যার ড্রাইভ করছেন ভাবলেশহীন ভাবে।।তাকে দেখে মনে হচ্ছে উনি ছাড়া এই গাড়িতে কেউ নেই।।কি আশ্চর্য! তাই আমিও বাহিরের দিক তাকিয়ে রইলাম।।আমরা অনেক দূর পর্যন্ত চলে এসেছি।।মাঝে আমি এক ঘুম দিয়ে উঠে পরেছি।।রাতে তখন বাজে ১২ টা কিছু কিছু দোকান পাঠ খোলা তো কিছু কিছু দোকান পাঠ বন্ধ করে ফেলছে।। হটাৎ একটি দোকানের নেম প্লেটে চোখ যায় যেখানে লিখা সিলেট।। আমি এটা দেখে অবাক যাওয়ার কথা কক্সবাজার আর স্যার নিয়ে এসে সিলেট।।স্যারের প্লেন কি? স্যার কি আমাকে মেরে ফেলেতে এনেছেন? নাকি বেঁচে দিতে? স্যারের কি কোনো কু মতলব আছে?? ভাবতে ভাবতে হটাৎ গাড়ি থেকে যায়।।সাথে সাথে শুকনো ঢুক গিললাম।।
—-সসস্যার আআআমরা সিলেট কেন? আমরা না কক্সবাজার যাব?? (ভয়ে তুতলিয়ে বলতে লাগলাম)
কিন্তু স্যার কিছু বললেন না।। আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলেন শুধু।।তার পর তার হাত দিয়ে সামনের চুল গুলো সরিয়ে বলে উঠেন,,
—-সারপ্রাইজ বেবী।
বলে আমার কানে পিছনে কি করলেন সাথে সাথে জ্ঞান হারায় আমি।। আর কিছু মনেই নেই আমার।।
?

চোখ খুলে পিটপিট করে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করি।। আমি কই আছি।।বিছানা থেকে উঠার ট্রাই করি কিন্তু পারছি না আমার দুহাত খাটের দু পাশে হ্যান্ডকাপ লাগানো সাথে দু পায়েও।। এসব কি হচ্ছে আমার সাথে।। আর একি হাল আমার।।আমি হাত খোলার ট্রাই করছি কিন্তু পারছি না।।শুধু মুচড়া মুচরি করছি।আর চিৎকার করছি।।
—-প্লীজ হেল্প প্লীজ!!
কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ নেই।। তাহলে কি সত্যি স্যার আমাকে বেচে দিলেন?? এবার জোড়ে জোড়ে কাঁদতে লাগলাম।।আজ যদি ইউসুফ ভাইয়া থাকতো? কখনো আমাকে এ হালে পড়তে দিতো না।।তখনি খট করে দরজ টা খুলে গেল।।
আমি তাকিয়ে দেখি,,,
—-আপনি????

চলবে,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে