psycho_is_back?
season2 part_11
#apis_indica
ঘুম ভাঙ্গতেই অনেক লেট হয়ে গেছে আজ।।১১ টা বাজে।।অফিস থেকে আজ ছুটি নিয়েছি।।বিছানার সাইড থেকে ফোনটা হাতে নিলাম।।ফোনটা ওফ হয়তো চার্য শেষ।।ফোনটি খুলে চার্যে দিলাম।।তখনি টুং করে মেসেজ বেঁজে হাতে নিয়ে দেখি আননোন নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে।।
মেসেজে,,
“Assalamu Alaikum!!
kemon acho jaan??
ghum kmn holo??
আমি মেসেজ দেখে যেন আকাশ থেকে পরলাম।।এ কোন বনমানুষ? আল্লাহমালুম।।হয় তার গফ বা বফকে মেসেজ দিতে গিয়ে আমাকে দিয়ে ফেলছে।।তাই আমি লিখে দিলাম,,
—“wrong number ”
অপাশ থেকে সাথে সাথে মেসেজ আসলো,,
—“No write number ”
আমি মেসেজ দেখে অবাক বেটা বলে কি??আমি জিগাসা করলাম,,
—-apni amk chinen?
—-hm..
—-ami apnk chini?
—-hoyto abar noyto!!
—-eita kmn kotha?
—-normal kotha!
তখন মাথায় আসলো, ব্যক্তিটি স্ত্রী লিঙ্গ না পুংলিঙ্গ?? তাই সাথে সাথে জিগাসা করলাম,,
—-you male na female?? ?
আপাশ থেকে আসলো কত গুলো,,
—-??????
—-hasen kn??
—-tumi asolai pagol kuhu!
মেসেজটি দেখে অবাক।। এখন আমি কনফার্ম, ব্যাক্তিটি আমাকে চিনেন।।আমি বললাম,,
—-apni k?
ও পাশ থেকে কোনো মেসেজ নেই।।তাই কল দিলাম, রিং হচ্ছে ধরছে না কেউ।।
কিছুক্ষণ পর কল কেঁটে দেয়।।আর একটা মেসেজ আসে,,
—- your psycho lover?
আমি কিছুক্ষণ থম মেরে রইলাম।।তারপর আবার কল করলাম।।নাম্বার বন্ধ।।পরে ভাবলাম হয়তো কেউ মজা করছে।।তাই আর কিছু না ভেবে ওয়াশরুমে চলে গেলা।।বের হওয়ার সময় একটি টাওয়াল পেচিয়ে বের হলাম।।তার পর কেবিনেট থেকে একটি ফুল হোয়াইট ড্রেস বের করলাম।।বিছানায় রেখে অন্য টাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে লাগলাম।।তখনি আরেকটা মেসেজ আসলো।।চেক করলাম সেই আনোন নাম্বার।।মেসেজ ওপেন করতেই আমি বিস্ময়ের শেষ চুড়ায়।।
—-you looking so sexy..!!
—-mane??
—-sotti tumk khub hot lagche…!!
—-ki bolte chaichen apni?
—-aitai bina kapor a sudu ekta toylate tumk khub hot and sexy lagche…?
আমি মেসেজটি পরে থ হয়ে গেলাম।।চোখ বড় বড় করে মেসেজটি দেখছি।।সাথে সাথে কাপর নিয়ে ওয়াশরুমে দৌড় লাগাই।।
পুরো ঘর খুজা শেষ কোথাও তো হিডেন ক্যামেরা পেলাম না।।তাহলে কি ভাবে বলছে এসব ওই লোক।।তোখন আবার মেসেজ আসল,
—-খুঁজা শেষ!
—-মানে!
—-এই যে সি সি ক্যামেরা খুঁজলে? পেলে?
—-আপনি আমার রুমে ক্যামেরা লাগিয়েছেন?
—-হয়তো বা! আবার নাও?
—-কি বলতে চাইছেন?
—-কিছু না তোমাকে হোয়াইট ড্রেসে খুব মায়াবী লাগচ্ছে।।
—-কে আপনি ভাই????এটার কোনো মানে হয়? আপনি জানেন এর জন্য আমি কেস করতে পারি??
—-হুম জানিতো বাট তুমি জানো না! আমার নামে কেস করার জন্য আমার নাম জানতে হবে।।
সত্যিতো এর নাম তো জানি না আমি।।এখন নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছা করছে।।হুহ!!
আমি আর মেসেজের রিপলাই করলাম না।।
ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেলাম।। নিচে এসে দাড়াতেই একটি লোক এগিয়ে আসে আমার কাছে আর বলতে লাগে,,
—হাই আমি বিহান!
—তো?
—-আপনি আমাকে চিন্তে পারেননি?
—-না তো?
—-এটা আমাদের বাসা..!
—-ওহো বাড়িওয়ালা আপনি?
—-জ্বি! এতদিন দেশের বাহিরে ছিলাম পড়াশুনার জন্য।।কাল রাতেই ফিরেছি।।আর আপনাকে কাল বেলকনিতে দেখি।।আপনি মেবি কাঁদছিলেন?
লোকটির গায়ে পরা বুঝা যাচ্ছে এমন মানুষ দু চোখে দেখতে পাড়ি না আমি।। কিন্তু এদের সাথে হ্যান্ডেল কিভাবে করা লাগে তা জানা আছে।।
তাই বললাম,,
—-ওহ তাহলে আপনি সেই,, আনোয়ার নানা ভাইয়ে ছেলে।।বিহান মামা।। ভালই হলো চলে এসেছেন।। নানা ভাই অনেক বলতো আপনার কথা।।
লোকটা মুখ কাচু মুচু করে বলতে লাগে,,
—-জ্বি আচ্ছা তাহলে আসি।।
খুব মজা লাগচ্ছিল লোকটির কাজে।।
হাসতে হাসতে জান শেষ।।তখনি ফোন টুং করে বেঁজে উঠে,,
—–এত কি কথা ছেলেদের সাথে তোমার?
—–আমার ইচ্ছে! আপনার কি?
—–আমার কি না! আরেক দিন দেখলে হাত পা ভেঙ্গে দিব..!!
—-যা ইচ্ছে করেন গে।। আমি ভয় পাইননা আপনাকে বুঝলবন হুহ!!
সেদিন অনাথ আশ্রমে যাই।।সবাইকে নিয়ে দুপের লান্চ করে তাদের সাথে সারাটা দিন কেঁটে যায় আমার।।
পরেরদিন সকালে রেডি হয়ে চলে আসি অফিসে।।আজ অফিসে কিছু ক্লায়েন্ট আসেছ বাহির থেকে।।
আমি তাদের আপ্যায়নে ব্যস্ত।। তাদের দিক ড্রিংস দেয়া সময় নিসাদ নামের একটি লোক আমার হাত ধরে বলতে লাগে,,
—-মেম আপনি বসুন আমরা করে নিবো।।
আমি লোকটির থেকে হাত ছাড়িয়ে বলতে লাগি,,
—-না না সমস্যা নেই আপনারা বসুন।।
তখনি লিনা এসে বলতে লাগে,,
—-কিহু বারিশ স্যার তোমাকে ডাকচ্ছেন।।
—-আসচ্ছি।।বলে চলে গেলাম তার রুমে,,যে দেখি স্যার তার সিটে বসে চোখ বন্ধ করে আর হাতে ওয়েট পেপার ঘুরাচ্ছেন।।কাপালের রং দুটো ফুলা।।
—–মে আই কামিং স্যার।
স্যার তার দু আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন ভিতরে আসার জন্য।। আমি ভিতরে ঢুকতেই অটোমেটিকলি দরজাটা বন্ধ হয়ে গেল।। এমন হওয়াতে কিছুটা হকচকিয়ে যাই আমি।।
স্যার ততখনে উঠে এসে আমার সামনে দাড়িয়ে বলতে লাগেন,,
—-কেমন আছেন মিস কুহু!!
স্যারের এমন কথায় কেমন আশ্চর্য লেগে যাই আমি।।এখন বিকেল হতে চলল, সকাল থেকে ২০০ বারের মতো তার সাথে দেখা কই একবারো তো জিগেস করলেন না কেন আছি।।এখান কেন জিগাসা করছেন “কেমন আছি “? অদ্ভুত!
আমি তার দিকে ভ্রু কুচকে বললাম,,
—-স্যার আর ইউ ওকে?
স্যার মুচকি হেসে বললেন,
—এতক্ষন ছিলাম মিস..!! বাট এখন নেই!
—-মানে??
স্যার হাসলো।। স্যারের হাসিটা কেমন রহস্য লাগছে।।স্যার বললেন,,
—মিস কুহু! যদি আপনার সব চাইতে প্রিয় জিনিসে কেউ হাত দেয়, তাহলে আপনি কি করবেন?
—-আমি তো তার হাত পুড়িয়ে ফেলবো..!!
—-গুড মিস..!!
—-এটা কেন জিগেস করলেন স্যার?
—-কিছু না মিস..!!
বলে স্যার আমার হাতটা ধরলেন।।স্যারের এমন কাছে আমি হতভম্ব।। স্যারের কাছ থেকে হাত সরাতে নিতেই স্যার জোরে ধরলেন আর তার কাঁধ সাইকো দের মতো বাঁকা করলেন।।আর বললেন,,
—-মিস আমার হাত গুলো খুব সুন্দর।।আল্লাহ তালা নিশ্চয়ই এ হাত গুলো বানানোর জন্য এক্সট্রা টাইল নিয়েছেন।।সো যাকে তাকে এই হাত ধরতে দিয়ে না।।
বলে বের হয়ে গেলেন তিনি রুম থেকে।।
আমি তার এমন কাজে অবাক আর বিস্ময় নিয়ে চেয়েই রইলাম।।
মিটিং চলছে।।লিনা প্রেজেন্টেশন দেখাচ্ছে।।বারিশ বসে তার দু পাশে নিশাত আর তার সাথী।। আর কুহু।।লিনার প্রেজেন্টেশনে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বারিশের তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিশাতের দিক।।হটাৎ করেই নিশাত চিৎকার করে উঠে,,সাথে সাথে সবাই দাড়িয়ে যায়।।নিশাতের হাতে গরম কফি পরে যায়।।সে হাত ধরে দাড়িয়ে চিৎকার করছে।।আর বারিশ সবার অগোচরে হাসলো।। আর মুখে বলল,,
—-সরি মিষ্টার নিশাত আমি দেখেনি।। হটাৎ হাত লেগে কিভাবে..!!
বারিশকে কিছু না বলতে দিয়ে নিশাত বলতে লাগে,,
—-ইটস ওকে স্যার কিছু মনে করি নি আমি।।
বারিশ লিনাকে বলে,,
—-উনাদের নিয়ে যান আর হাতে মেডিসিন লাগিয়ে দিন।।
লিনা চলে গেল।।আমি অবাক হয়ে সবটা দেখলাম।।আমি স্পষ্ট দেখেছি স্যার ইচ্ছা করে তার হাত গরম কফি ফেলে দিছেন।। এমন কেন করলেন??
রুমে এখন আমি আর বারিশ স্যার।। স্যার আমার দিক ঘুরে কিছু ঝুকে বলতে লাগেন,
—-অবাক হওয়ার কিছু নেই মিস।।আপনি যেমন আপনার প্রিয় জিনিসে হাত দিলে তার হাত পুড়িয়ে ফলতেন ঠিক তেমনি উনি আমার জিনিসে হাত দিয়েছেন তাই পুড়িয়ে দিয়েছি।।বলে চলে গেলেন।।উনার কথার আগা মাথা কিছু বুঝলাম না।।ইদানীং স্যারকে কেমন যানি সাইকো সাইকো মনে হয়।।
সেদিন রাতে বাসায় আসতেই শুনি টিনা বলল,,
বাড়িওয়ালা নানা ভাইয়ার ছেলের হাত কে জানি ভেঙ্গে দিয়েছে।।সে তখন নাকি পার্কিং লট ছিল।।আর হুড়মুড় করে কতগুলো লোক এসে মুখে কাপর বেধে তার একটি হাতে ইচ্ছা মত বাড়ি দিয়ে ছে।। আমি শুনে থম মেরে রইলাম।।
তখন আসলো আবার মেসেজ,,
—-আমার জিনিসে নজর দিলে কাউকে আমি এত সহজে ছাড়ি না।।আসা করি বুঝতে পেরেছো??
“ইওর সাইকো লাভার “?
এখন আমার ভয় লাগচ্ছে যা মজা ভেবে উড়িয়ে দিয়েছি তা যে কতটা সিরিয়াস ছিল এখন বুঝছি।।
to be continue…?
( আমি খুব অসুস্থ, আজ দিতে চাইছিলাম না।।তা দিলাম, জানি না কি লিখেছি।। একটি কথা, ইউসুফ কই বারিশ কে? বারিশ ইউসুফ নাকি? তার বাবা, মা কই সব ধীরে ধীরে জানবেন প্লিজ অধৈর্য হইয়েন না।। সব যদি এক সাথে বলব দি..! তাহলে স্টোরি একদিনেই শেষ হয়ে যাবে।।আপনারা কি চান স্টোরি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাক? তাহলে বইলেন তাই হবে..!!)