প্রতিদান part1
একটা অসহায় মেয়ের গল্প
”
লেখা/হিংসুটে ছেলে
———-
”
প্লীজ আমাকে ছাড়ুন, বাঁচাও বাঁচাও(রিমা)
”
রাত ১১ টা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম।একটু দুরে রাস্তার পাশে অন্ধকার গলি এমন চিৎকার শুনে দৌড়ে গেলামা।
”
প্লীজ আমাকে ছাড়ুন।এমন শর্বনাশ করবেন না আমার(রিমা)
”
কাছে গিয়ে দেখি ২টা মাতাল ছেলে একটা মেয়ের হাত ধরে টানা হিছড়ে করছে।
”
মাতাল থাকায় ছেলে ২টা কে ঘায়েল করতে আমার খুব একটা কষ্ট হয়নী।তবে আমিও আঘাত পাইছি মাথায়।
”
কে আপনি?আর এই রাতে এখানে কেন আপনি?(আমি)
”
আমি রিমা।এই শহরে প্রথম আসছি।
”
প্রথম আসছি মানে?আপনার সাথে আর কে আছে(আমি)
”
আমার সাথে আর কেউ নাই আমি একা।(কাঁদতে কাঁদতে)
”
এই সব কিছু খুলে বলুন তো কিছু বুঝতেছি না(আমি)
”
আমার মা নেই।বাবা থেকেও নেই।মা মারা যাওয়ার পর বাবা বিয়ে করে সৎ মা চায় না আমি সংসারে থাকি।লেখাপড়াও করতে দেয় না অনেক অত্যাচার করে,আমার আর সহ্য হয় না তাই এই শহরে আসছি নিজে কিছু করার জন্য.
”
হা হা হা এই শহরে আসছেন নিজে কিছু করার জন্য? তার চেয়ে বরং এটা ভালো হতো না মা বাবার পছন্দ করা ছেলে কে বিয়ে করে ঘড় সংসারী হওয়া(আমি)
“প্রতিটা মেয়েরে তো স্বপ্ন থাকে তাই না।আর ওরা তো আমাকে যে কারো হাতে তুলে দিলে বেচে যায়(রিমা)
”
ও তার মানে আপনার ছেলে পছন্দ হয়নী(আমি)
না ঠিক তা না।আমি বললাম তো ঐ মহিলাটা চায় না আমি তার সংসারে থাকি।ওরা যে কারো হাতে তুলে দিলে বেচে যায়।ঐ সংসারে আমার কোন মুল্য নাই।যে খানে আমার ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মুল্য নাই সেখানে থাকা না থাকা একই কথা ।তাই অজানার পথে পা পাড়াইছ(রিমা)
”
কিন্তু আপনি তো মেয়ে ছেলে না আপনার পায়ে পায়ে বিপদ।এই শহরে আপনি কি করবেন?টিকতে পারবেন না।তার চেয়ে ভালো বাড়িতে ফিরে যান(আমি)
”
না আমি ঐ নরকে যাবো না।ধুকে ধুকে মরার চেয়ে এক বারে মরা ভালো(কাঁদতে কাঁদতে রিমা)
”
বুঝতে পারছি মেয়েটা অনেক কষ্টে এখানে আসছে।কিন্তু এ মেয়ে এখানে করবে টা কি
”
এই শহরে কি আপনার পরিচিত কেউ নাই?(আমি)
”
না আমার কেউ নাই এখানে (রিমা)
”
তো এখন আপনি কি করবেন কি ভাবলেন?(আমি)
”
যানি না(রিমা)
”
এটা কেমন কথা বলছেন যানি না মানে ।রাত তো অনেক হইছে(আমি)
”
আপনি যান আমি এদিকে কোথাও বাকি রাত টা কাটাবো(রিমা)
”
এই মেয়ে পাগল নাকি কইটাবে রাত এ দিকে(আমি)
”
যানি না ছাড়া কি আর কিছু বলতে পারেন না(আমি)
”
আমার জন্য আপনি কেন এত ভাবছেন?আপনি যান আমি এ দিকে কোথাও যাচ্ছি(রিমা)
”
আমি কেন আমার জায়গায় অনন্যে কেউ থাকলেও আপনাকে নিয়ে এখন ভাবতো।কারন আপনি মেয়ে।
!
নিজের পরিবারের লোক এ আমাক নিয়ে ভাবলো না আর তো আপনি(রিমা)
”
সবাই কে এক ভাবেন কেন আপনি হুম।আচ্ছা শুনুন আমার সাথে চলুন(আমি)
মানে?(রিমা)
”
মানে এই রাতে আর আপনি কই যাবেন?আমার সাথে চলুন সকালে কিছু একটা ব্যবস্থা হবে(আমি)
”
কিন্তু?(রিমা)
”
কিন্তু কি? ভয় পাচ্ছেন আমার সাথে চেতে?ভয় পাওয়ারে কথা ঘড় পোড়া গরু আগুন দেখলে ভয় করে।ভয় পাবেন না আসুন আমার সাথে(আমি)
”
|
মেয়েটা কে নিয়ে তো যাচ্ছি ।কিন্তু রাখবো কই আমি তো থাকি মেসে।মেসে মেয়ে নিয়ে যাওয়া কি ঠিক হবে।সবাই ভাববে কি? এ মেয়েকে বা একা ছেড়ে দেই কি করে।দুর যা হয় হোক যাই আগে।
”
আচ্ছা একটা কথা বলুন তো এই শহরে এসে কি করবেন বলে ভাবছেন?(আমি)
”
যানি না(রিমা)
”
উফ এই যানি না ছাড়া কি আপনি আর কিছু বলতে পারেন না?(আমি)
”
দুর কি যে করি এই মেয়েকে নিয়ে আমিও আবার কাল দেশের বাড়ি চলে যাবো।মহা বিপদ এ পড়ে গেলাম।
”
কথা বলতে বলতে মেসে চলে আসলাম।বেল বাজাতে এক বন্ধু গেট খুলে দিলো।
”
কিরে এত রাত কেন কইছি আর এটা কে?(সোহান)
”
দোস্ত শোননা এদিকে আয়।
“সোহান কে সব কিছু খুলে বললাম।
“দোস্ত সবি তো বললাম এবার তো কিছু বল(আমি)
“আচ্ছা শোন চিন্তা করিস না এখন তো সবাই ঘুম তুই আমার রুমে থাক তোর রুমে মেয়েটাকে রাখ
!
সকালে যা হয় হবে(সোহান)
“সোহানের কথা মত চুপি চুপি রিমা কে আমার রুমে নিয়ে গেলাম।
”
বুঝতেই পারছেন এটা ছেলেদের মেস।তাই আপনকে এই রাতটা এখানে লুকিয়ে থাকতে হবে(আমি)
”
আমার জন্য আপনাকে অনেক ঝামেলা নিতে হচ্ছে(রিমা)
”
আচ্ছা শুনুন কথা না বারিয়ে চুপ করে শুয়ে থাকুন আমি পাশের রুমে আছি(আমি)
”
রিমাকে আমার রুমে রেখে সোহান এর রুমে এসে…
“দোস্ত সকালে কি করবো ভাবছিস কিছু?আমার তো মাথায় কিছু আসছে না।আমি আবার কাল বাড়ি চলে যাবো।কি করবো বল না।(আমি)
“এই শোন তো এত কিছু ভাবিস না তো চল খেয়ে নে(সোহান)
”
“দোস্ত আমার তো মনে হয় মেয়েটা সকাল থেকে কিছু খায়নি ।আমি বাজারে কিছু খাইছি খাবার টা ঐ মেয়েটা কে দেই(আমি)
“ঠিক আছে তাই কর(সোহান)
”
“খাবার টা নিয়ে চুপি চুপি দরজায় গিয়ে …
“এই যে শুনছেন?ঘুমাইছেন নাকি?(আমি)
“না ঘুমাইনি আপনি আবার এখানে?(রিমা)
”
কথা না বাড়িয়ে দরজাটা লাগান আগে(আমি)
“মানে?(রিমা)
”
“আমার এমন কথা শুনে রিমা ভয় পেয়ে গেছে।রিমা কে কিছু না বলে দরজাটা লাগিয়ে দিলাম।
”
“এত ভয় পাচ্ছেন কেন? এদিকে আসুন ।সকাল থেকে মনে হয় কিছু খাননী খাবার টা খেয়ে নেন(আমি)
”
“রিমা আমার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
“কি হলো ও ভাবে কি দেখছেন আসুন খেয়ে নিন(আমি)
চলবে…..