অভিনয় হলেও ভালোবাসি পর্ব-০১
লেখা-Jannatul ferdous.
কলিং বেল বাজতেই রিত্ত গিয়ে দরজা খুলতেই রাগীনি ভিতরে আসলো।এসেই জোরে জোরে কান্না শুরু করে দিলো।কান্নার শব্দে রান্না ঘর থেকে বের হলো রোদ,রিত্তের মা।
রাগিনী-আমার এটা কী সর্বনাশ হলো।আপনি আমাকে বাঁচান।আপনি না বাঁচালে আমি মরেই যাবো।
রোদের আম্মু-কি হইছে বলো মা।কাঁদছো কেনো?
রাগিনী-আমি আপনার ছেলের মা হতে যাচ্ছি।
রোদের আম্মু-আমার ছেলের মা মানে রোদের বাবা কী আবার বিয়ে করছে।আমার কপাল পুড়লো গো এই বয়সে।
রাগিনী-ইয়ে মানে আপনি যা….
রোদের আম্মু-চুপ থাকো।যা রিত্ত তোর বাবাকে আসতে বল।আজকেই আমি আমার বাপের বাড়ি চলে যাবো।
রোদের আব্বু-ডাকতে হবে না এসে গেছি।এত চিৎকার চেচাঁমেচি করছো কেন?
রোদের আম্মু-তুমি এই হাটুর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করলে রোদের আব্বু, ছি! ছি! ছি!
রোদের আব্বু-আমি মানে কাকে বিয়ে করলাম আমি?
রোদের আম্মু-এখন কিছুই জানো না।এই তো মেয়েটা তোমার চোখের সামনে।আমি আজকেই বাবার বাড়িতে চলে যাবো।
রোদের আব্বু-আরে রাগিনী তুমি এখানে?
রোদের আম্মু-এতক্ষন তো ওকে চিনোই না।তুমি এটা করতে পারলে?
রোদের আব্বু-রাগিনী এসব কী বলতেছো তুমি?
রাগিনী-সরি স্যার আমি বলতে চাইছিলাম আমি আপনার ছেলের সন্তানের মা হতে চলছি।
সবাই একসাথে-কি???
রাগীনি-হুমম
রোদের আম্মু-এটা তো সুখবর।রিত্ত ফ্রিজ থেকে মিষ্টি আন।
রাগিনী-এখন আপনার ছেলে আমাকে মানতাছে না।আমার তো মরা ছাড়া কোনো উপায় রইলো না।মা আপনার পায়ে আমাকে একটু জায়গা দেন।
রোদের আম্মু-এসব বলে না মা।আমি যখন বলছি তোমাদের বিয়ে হবে মানে হবে।তোমাকে আমার খুব পছন্দ হইছে।
রাগিনী-সত্যি মা।
রোদের আম্মু-হুমম তোমাদের বিয়ে ধুমধাম করে দিবো।তার আগে তোমার পরিবারের সাথে কথা বলি।
রাগিনী-মা আব্বু তো মানবে না।
রোদের আম্মু-আমি বলবো।মানতেই হবে।
রাগিনী-আচ্ছা মা আমি এখন আসি।
রোদের আম্মু-দাঁড়াও রোদ এখন-ই চলে আসবে।বলবো তোকে তোর বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসতে।
রাগিনী-ঠিক আছে মা।
কিছুক্ষনের মধ্যেই রোদ বাসায় ডুকতেই রোদের মা রোদের সামনে এসে দাঁড়ালো।
রাগিনী-স্যার অভিনয় করতে এসে তো আমার চাকরি নিয়ে টানাটানি হয়ে যাবে।স্যার যে রাগী আল্লাহ জানে আমার কী হয়।
রোদের আব্বু-চুপ থাকো রোদের আম্মু শুনলে আমাদের দুইজনকেই ঝাড়ু দিয়ে মারবে।
রাগিনী-স্যার আমি বিয়ে করবো না ওই বদমেজাজী, গুমড়ামুখোকে।
রিত্ত-আপু কিছু বলছো?
রাগিনী-না না আমি কী বলবো।
;
হঠাৎ করেই রোদ এগিয়ে এসে হাত ধরে টেনে নিয়ে উপরে নিয়ে চলে গেলো।দরজা বন্ধ করে দিয়েই রাগিনীর দিকে এগিয়ে আসলো।
রাগিনী-আমি কিছু করি নাই।আমি আম্মুর কাছে যাবো।
রোদ-তুমি তো আমার বউ হবে।এটা তো তোমার রুম।দেখো পছন্দ হয়েছে কিনা।
রাগিনী-আমি আম্মুর কাছে যাবো।
রোদ-আরে এত আম্মু আম্মু করো কেনো?
রাগিনী-আপনি একটা রাক্ষসের মত।আমি বাড়ি যাবো।
রোদ-আরে রাক্ষস কেনো হবো।যতই হোক তুমি আমার সন্তানের মা হতে চলছো।খুশির খবর তো তাই মিষ্টি মুখ করাতে এনেছি এখানে।সবার সামনে তো করাতে পারবো না।
বলেই রোদ রাগিনীকে আর কিছু বলার সুযোগ দিলো না।তারপর হাত দিয়ে কোমড়ে ধরে রাগিনীর ঠোঁটে আলতো করে কামড় দিতেই রাগিনী রোদকে সরিয়ে পেলতে চাইলো।রোদ আরো শক্ত করে ধরলো রাগিনীকে।
৫মিনিট পর…….
রোদ রাগিনীকে ছেড়ে বিছানায় গিয়ে বসে পরলো।রাগিনী এক জায়গায় মুর্তির মতোই দাঁড়িয়ে রইলো।চোখ দিয়ে পানি পরছে।
রোদ-রেডি থেকো,আজকে রাতেই তোমাকে বিয়ে করবো।
রাগিনী-আমি করবো না।
রোদ-কেনো আমাদের বাবুটার কথা ভাবো।
রাগিনী-আমি সব অভিনয় করছি।
রোদ-এখন অভিনয় টাকেই সত্যি করতে হবে।তাই রেডি থাকবে।আর যদি আমার কথার ব্যতিক্রম হয় তো এখন যা করলাম তার থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবে।
রোদের কথা শুনে রাগিনী থ হয়ে গেলো।অভিনয় করতে এসে কী বিপদে ফেসে গেলো রাগিনী।
চলবে…….