অভিনয় হলেও ভালোবাসি পার্ট-০৭
#jannatul_ferdous.
অধিকার তো দেখালো শরীরের উপরে,কিন্তু মনের উপরে কীভাবে দেখাবে।রাগিনী কী আদৌ ভালোবাসবে তাকে—
এসব-ই ভাবছে এখন রোদ।এক নজরো রাগিনীর দিকে তাকিয়ে আছে রোদ
হঠাৎ চোখ মেলে তাকালো রাগিনী।কিন্তু উঠতে গিয়েই ব্যথা অনুভূত হলো।মাথা ঘুরে পড়ে যেতে নিলেই রোদ রাগিনীকে ধরে শুইয়ে দেই।
রাগিনী-আমাকে প্লিজ যেতে দাও।
রোদ-আমি কিছু করবো না রাগিনী।
রাগিনীর দিকে তাকাতেই দেখলো রাগিনীর ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছে।শরীরের আরো কিছু জায়গায়ও একই অবস্থা।রোদের চোখে পানি চলে আসলো। রেগে গিয়ে সে এতটা নির্মম হয়ে গেলো।
আস্তে আস্তে উঠে বাথরুমে ফ্রেশ হতে যেতেই মাথা ঘুরে পড়ে গেলো রাগিনী।রোদ বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে দেখলো রাগিনী অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।তুলে এনে বিছানায় শুয়ালো রাগিনীকে।তারপর ভেজা ড্রেস গুলো চেঞ্জ করিয়ে দিলো।
ডাক্তারকে খবর দিতেই তিনি এসে ঔষধ দিয়ে গেলো।জ্বরের ঘোরে আবল তাবল বকছে মেয়েটা।
রোদ-আজকে নিশাতকে দেখতে যাওয়ার কথা বলছিলো আর আজকেই এমন টা হলো মেয়েটার।
রাগিনী-আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।আমাকে আরো ভালোবাসবে তো। শুধু তোমাকেই চাই।
হঠাৎ করেই জড়িয়ে ধরলো রাগিনী রোদকে।রোদ থ হয়ে গেলো।এমনিই জ্বরের গোড়ে কি সব বকতাছে তার
উপর জড়িয়ে ধরলো।
রোদ-রাগিনী।
রাগিনী-আমাকে ছেড়ে যেয়ো না।
পরী-আম্মু,আম্মু(চিৎকার দিতে দিতে রুমে ডুকলো)
রোদ তাড়াতাড়ি রাগিনীকে ছেড়ে দিয়ে বসলো।
পরী-আম্মুর কী হইছে বাবাই?
রোদ-কিছু না।একটু জ্বর এসেছে,ঔষধ খেলেই ঠিক হয়ে যাবে।
পরী-সত্যি ঠিক হয়ে যাবে?
রোদ-হুমম।তুমি যাও তো,গিয়ে কাউকে বলো তোমার আম্মুর জন্য খাবার পাঠাতে।
পরী-আমি আনবো।
রোদ-তুমি পারবে না।
পরী-না পারবো আমি এখন-ই আনছি।
বলেই দৌড়ে বের হয়ে গেলো পরী।কিছুক্ষনের মধ্যেই খাবার নিয়ে আসলো পরী।
পরী-বাবাই খাবার খাইয়ে দাও আম্মুকে, তারপর আমার আম্মু সুস্থ হয়ে যাবে।
রোদ-হুম।
রাগিনীরও জ্ঞান ফিরে আসতেই দেখলো পরী মাথার কাছে বসে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে মাথায়।ছোট্ট মেয়েটাও কান্না করছে।
রাগিনী-পরী মামনি কাঁদছো কেনো?
পরী-আম্মু তোমাকে কে মারছে বলো আমি বকে দিবো।
পরীর কথা শুনে রোদের দিকে তাকাতেই দেখলো রোদ মাথা নিছু করে বসে আছে।
রাগিনী-কেউ মারে নি মা।তুমি সকালে খেয়েছো?
পরী-না
রাগিনী-যাও খেয়ে আসো।
পরী-খাবো তুমিও খেয়ে নিয়ো।ডাক্তার আঙ্কেল বলেছে তোমার ঔষধ খেতে হবে।
রাগিনী-আচ্ছা খেয়ে নিবো তুমিও যাও।
পরী চলে যেতেই রোদ রাগিনীর হাত গুলো নিজের হাতের মধ্যে নিলো।
রোদ-আমাকে ক্ষমা করে দাও কাল রাতে আমি বুজতে পারিনি।রাগে আমি কন্ট্রোল হারিয়ে পেলছিলান নিজের উপর থেকে।
রাগিনী-না আপনার কোনো ভুল নেই।ভুল আমার-ই ছিলো।
রোদ-তাহলে বলো ক্ষমা করে দিয়েছো।
রাগিনী-হুমম দিয়েছি।
রোদ খুশিতে জড়িয়ে ধরলো রাগিনীকে।
রোদ-অনেক ভালোবাসা তোমাকে,অনেক।আর কোনো কষ্ট দিবো না।
রাগিনী-আমি নিশাতের কাছে যাবো।
রোদ-আগে নিজে সুস্থ হও।
রাগিনী-আমি ঠিক আছি।
রোদ-না ঠিক নেই।ধরো খাবার খাও।
রাগিনী-আমার ইচ্ছে করছে না।আমার নিশুপাখিটা মনে হয় অপেক্ষা করতেছে।
রোদ-খেতে হবে।
রাগিনী-খাবো না।
রোদ-চুপ।
ধমক দিতেই রাগিনী চুপ হয়ে গেলো।রোদ খাইয়ে দিচ্ছে রাগিনীকে।আর রাগিনী বায়না ধরছে খাবে না,রোদ জোর করে খাওয়াচ্ছিলো রাগিনীকে।
হঠাৎ করেই রাগিনী হাতে কামড় বসিয়ে দিলো।
রোদ-উহু এটা কী হলো?
রাগিনী-আমি আর খাবো না।
রোদ-আর অল্প একটু।
রাগিনী-না।
রাগিনী নিজের মুখে হাত দিলো আর ইশারায় খাবে না বলছে।
রোদ-ঠিক আছে।ঔষধ খাও।
রাগিনী-আমি ঔষধ খাই না।
রোদ-খেতে হবে।
রাগিনী-এগুলা পচা।
রোদ-পচা হলে পচা খেতে হবে।
বলেই জোর করে খাইয়ে দিলো।
রোদ-চলো এবার লক্ষী মেয়ের মত ঘুমাবে।
রাগিনী-না পরীকে ডেকে আনেন।
রোদ-না এখন ঘুমাবে মানে ঘুমাবে।
রাগিনীকে শুইয়ে দিয়ে নিজে পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো।আর রাগিনী বাচ্চা মেয়ের মত গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে।
রাতেই জ্বর আরেকটু বাড়তেই রোদকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে রাগিনী।এক মূহুর্তের জন্যও কাছ থেকে দূরে সরতে দিচ্ছে না রাগিনী রোদকে।
মাঝরাতে হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠলো রাগিনী।
চলবে……
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আজকের লেখাটা হয়তো গুছানো হয় নি।আর ছোটও হইছে।তার জন্য দুঃখিত।