অভিনয় হলেও ভালোবাসি পার্ট ০৬
#jannatul_ferdous.
রোদ কোলে তুলে নিলো পরীকে।তারপর পাপ্পি দিতেই পরীও পাপ্পি দিয়ে জড়িয়ে ধরলো রোদকে।
রোদ-মিষ্টি মা টা আমার।
পরী-তুমিও তাহলে আমার মিষ্টি বাবাই।
রোদের আব্বু-এই যে ছোট্ট বউ টা আমার,এইদিকে আসেন।
পরী-বলো দাদু।
;
রোদের আব্বু কোলে নিলো পরীকে।তারপর রোদকে নিছে আসতে বলে পরীকে নিয়ে চলে গেলো।
রোদ ড্রয়িং রুমে আসার কিছুক্ষনের মধ্যেই রাগিনী সিড়ি দিয়ে নেমে আসছিলো।অবাক চোখে রাগিনীর দিকে তাকিয়ে আছে রোদ।
অনেক সুন্দর ভাবে সেজেছে রাগিনী।মায়াবী চোখ গুলো যেনো রোদকে বার বার রাগিনীর তাকাতেই বাধ্য করছে। গায়ে একটা লাল লেহেঙ্গা,হাত ভর্তি চুড়ি,চুলে ফুল,ঝুমকো কানের দুল,আর টিকলি দেওয়া।মনে হয় যেনো কোনো পরী নেমে এসেছে।হঠাৎ পরীর চিৎকারে রোদের ঘোর কাটে।
পরী-আম্মু
রাগিনী-এইদিকে আসো মিষ্টি মা টা আমার।
;
দৌড়ে রাগিনীর কাছে চলে গেলো।তারপর হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলো রাগিনীকে।তেমন কেউই ছিলো না বিয়েতে,রোদের কিছু ফ্রেন্ড আর রাগিনীর ফ্রেন্ড আধরা আবরার তন্নি।
শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়েই গেলো।অভিনয়ের ভালোবাসার মিলন টা হয়েই গেলো।
ওইদিকে নিশাতের অপারেশনও হয়ে গেলো।অপারেশনের পর নিশাতের জ্ঞান আসতে সময় লাগবে,তাই কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।অপারেশন হতেই রাগিনী যেতে চাইছিলো কিন্তু ডাক্তার বললো আজকে দেখা হবে না,তাই সকালে আসতে।
তন্নি আর রিত্ত এসে রাগিনীকে নিয়ে গেলো বাসর ঘরে।ফুল দিয়ে বিছানা সাজানো হলো রোদ রাগিনীর জন্য।বাসর রাত যে আজকে।
;
তন্নি রিত্ত বের হওয়ার পরেই রোদ রুমে ডুকলো।আজ সে অনেক খুশি রাগিনীকে আপন করে পাবে তাই।
অসংখ্য ফুলের মাঝে একটা মায়াবতী বসে আছে রোদের অপেক্ষায়।আজ অনেকদিন পর ভালোবাসাকে পেয়ে যাওয়ার আনন্দে ভাসছে রোদ।
কিন্তু হঠাৎ করেই রাগিনী বলে উঠলো—–
দেখেন স্যার আমি শুধু আমার বোনকে বাঁচানোর জন্যই বিয়ে করেছি।অন্য কিছু আমার পক্ষে সম্ভব না।আর আমি ডিবোর্স চাই।
রোদ-বাহ বাসর রাতে ডিবোর্স চাই তোমার।
রাগিনী-আমার যা বলার বলে দিলাম।
রোদ-ভালোবাসাটা বুজবে না।
রাগিনী-বুজার দরকার নেই।
বলেই বারান্দায় গিয়ে আকাশের চাঁদের দিকে তাকালো রাগিনী।
অনেক্ষন হয়ে গেলেও রাগিনী রুমে আসে না।তাই রোদ রাগিনীকে রুমে আসতে বলার জন্য রাগিনী বলে ডাক দিলো।কিন্তু রাগিনীর সাড়া শব্দ পেলো না।সাড়া না পেয়ে পিছন থেকে রাগিনীর কাধে হাত দিতেই রাগিনী রেগে থাপ্পড় মেরে দিলো রোদকে।
রাগিনী-আমাকে ছোঁয়ার অধিকার আপনাকে কে দিলো?
থাপ্পড় দেওয়ার জন্য রোদ প্রচুর রেগে গেলো।রাগ উঠলে রোদ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেলে।
রোদ-অধিকার আজ তোকে আমি দেখাবো আমার অধিকার কী।ভালোবাসি তোকে,তাই সব মেনে নিছিলাম।কিন্তু তুই…..
বলেই হাত ধরে টান দিয়ে কাছে নিয়ে আসলো রাগিনীকে।নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো রাগিনী।কোলে তুলে নিলো রাগিনীকে।
বিছানায় শুইয়ে দিতেই রাগিনী উঠার চেষ্টা করলো, কিন্তু হাত চেপে ধরলো রোদ।অনেক জোরে হাত ধরাতে ব্যাথায় চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসলো রাগিনীর। কিন্তু অপমান আর রাগে রোদের কোনো দিকেই খেয়াল ছিলো না।রাগিনী বুজতে পারছিলো যা ঘটতে চলছে খারাপ ঘটবে।আটকানোর উপায়ও নেই তার।চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
আস্তে আস্তে মিশে গেলো রোদ রাগিনীর সাথে।জোর করেই রাগিনীর ভালোবাসা পেতে চেয়েছিলো রোদ।কিন্তু খুব কষ্ট হচ্ছিলো রাগিনীর।কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেলো রাগিনী।
রাগিনী কান্না করছেিলো সেটা রোদ বুজতেও পারলো না।রাগে এতটাই অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো রোদ।
রাত প্রায় ৩ঃ০০টা….
রাগ কমতেই রোদ বুজতে পারলো ও যা করছে খারাপ করছে।রাগিনীর মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছে রোদ।ও তো এটা চাইনি।কিন্তু রাগিনী কী ক্ষমা করবে ওকে।
অধিকার তো দেখালো শরীরের উপরে,কিন্তু মনের উপরে কীভাবে দেখাবে।রাগিনী কী আদৌ ভালোবাসবে তাকে—
এসব-ই ভাবছে এখন রোদ।
চলবে……
আজকের লেখাটা হয়তো গুছানো হয় নি।আর ছোটও হইছে।তার জন্য দুঃখিত।