অভিনয়ে হলেও ভালোবাসি।পার্ট ০৪
#jannatul_ferdous
কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে রাগিনীর হাত ধরে পাশেই বসলো রোদ।কিছুক্ষনের মধ্যেই রাগিনীর জ্ঞান আসতেই রোদ খাবার এনে খাইয়ে দিলো রাগিনীকে।তারপর ঔষধ খাইয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।রাগিনী রোদের হাত ধরে ঘুমিয়ে পরলো।
রোদ-ঘুমন্ত রাজকুমারীটা আমার আরো সুন্দর।তোকে অনেক ভালোবাসি।
হঠাৎ করেই রোদ রাগিনীর একটা ঘুমন্ত মুখের ছবি তুললো।
রোদ-সত্যিই ঘুমন্ত রাজকুমারী তুই আমার।অনেক ভালোবাসি তোকে।
তারপর সারাটা রাত রাগিনীর পাশে বসে ছিলো।ভোর রাতে চোখ লেগে এলো রোদের।
সকালে রাগিনী ঘুম থেকে উঠতেই দেখলো রোদের বুকে শুয়ে আছে রাগিনী।রোদ জড়িয়ে ধরে রাখছে রাগিনীকে।রোদের দিকে তাকাতেই রাগিনী দেখলো সে ঘুমিয়ে আছে।উঠতে গিয়েও উঠতে পারলো না রাগিনী,শরীরটা কেমন জানি লাগলো তার।চুপচাপ রোদের দিকে তাকিয়ে আছে সে।সকালের রোদ এসে রোদের চোখে মুখে পরতেই মুখের উপর হাত দিলো রোদ।
রাগিনী-রোদ এই রোদ সকাল হয়ে গেছে তো।
রোদ-উফফ আম্মু আরেকটু ঘুমাতে দাও।যাও তো এখান থেকে।
রাগিনী-আল্লাহ এ বলে কী।আমি নাকি…..ওই আমি রাগিনী।মাথা পুরা গেছে।
রোদ-রাগিনী মানে রাগিনী এই তুমি এখানে কি করে।
রাগিনী-তুমি আনছো।
রোদ-আমিই তো আনছি।
রাগিনীর দিকে তাকাতেই রোদ দেখলো সে রাগিনীকে জড়িয়ে শুয়ে আছে রোদ।আর রাগিনী রাগী মুড নিয়ে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে।
রোদ-এভাবে তাকাও কেন ভয় লাগে তো।
রাগিনী-আমার ড্রেস চেঞ্জ করালো কে?
রোদ-ইয়ে মানে আমি।কিন্তু আমি কিছু দেখি নাই।
রাগিনী-আমাকে এখানে আনলো কে?
রোদ-আমি।
রাগিনী-আমি তো কালকে সাদা ড্রেস পরছিলাম।মানে তুমি আমার??????
রোদ-কান্না করো না আমি কিছু দেখি নাই।
রাগিনী-আমি তোমার বুকে কী করি।
রোদ-ভোর রাতের দিকে আমার চোখ লেগে গেছিলো।
রাগিনী-আমি আম্মুর কাছে যাবো।
রোদ-বিয়ে করবে আমাকে রাগিনী?আমি জানি তুমি অভিনয়ে না সত্যিই আমাকে ভালোবাসো।
রাগিনী-না এটা হয় না।
রোদ-তাহলে কেনো কাল এত স্বপ্ন দেখিয়েছিলে?
রাগিনী-মানে?
রোদ-ঘুমের ঘোরে তুমি বার বার বলছিলে তোমাকে ছেড়ে না যেতে।ভালো বাসো তুমি আমাকে।
রাগিনী-আ..আমি মা..মানে……
রোদ-প্লিজ রাগিনী সারাজীবন এই দুহাতে আগলে রাখবো তোমাকে।
রাগিনী-স্যার আমাকে যেতে হবে।
রোদ-উঠো না তোমার শরীর এখনো দূর্বল।
রাগিনী-আমি পারবো।
উঠে হাটতে গিয়েই রাগিনী মাথা ঘুরে পড়ে যেতে নিলে রোদ এসে ধরে।
রোদ-বলছি উঠতে না তারপরেও উঠলে।
রাগিনী-আমাকে নিয়ে এত ভাবতে হবে না।
রোদ-ভালোবাসি তাই ভাবছি।আর কেনো অভিনয়ের আড়ালে ভালোবাসাটা লুকিয়ে রাখছো জানি আমি।নিশাতের জন্য তাই না।
রাগিনী-আমি এত কিছু শেয়ার করতে বাধ্য না।
রোদ-আমি জানি সবটা রাগিনী।ওর চিকিৎসা সহ সব খরচ আমি নিবো।
রাগিনী-টাকার বিনিময়ে রাগিনীকে কিনতে এসেছেন।ভাবতেও পারিনি আপনার এতটা নিচ মানুষিকতার মানুষ।
রোদ-ভালোবাসার মানুষটাকে কাছে রাখতে চাই।আচ্ছা তোমার ফোন বাজতেছে ধরো।
রাগিনী-আম্মু বলো।
রাগিনীর আম্মু-তুই কই মা।নিশু কেমন জানি করছিলো,আমি ডাক্তারের কাছে আনছি।ডাক্তার বলছে ৫লাখ টাকা না হলে চিকিৎসা করাবে না।
কথাটা শুনেই রাগিনী ফ্লোরে বসে গেলো।চোখ দিয়ে অঝোরে পানি গড়িয়ে পরতে লাগলো।
রোদ-কী হইছে রাগিনী।রাগিনী প্লিজ বলো।
রাগিনী-আমার নিশুপাখিটা হাসপাতালে।
রোদ-আচ্ছা চলো।
রাগিনী-আমি যেতে পারবো।আপনাকে যেতে হবে না আমার সাথে।
রোদ-একদম চুপ।আমি যাবো মানে যাবোই।
রাগিনী-বললাম তো।
রোদ-রাগিনী চুপ থাকতে বলেছি,আমি গাড়ি বের করছি তুমি আসতে পারবে??
রাগিনী-হুমম।
চলবে……✌
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আর অনেকেই বলেন বড় করে লিখতে।লিখতে হলে নিয়মিত গল্প দিতে পারবো না।এখন রোজা আপনারা তো বুজেন।রোজার সময় ব্যস্ততা সবার-ই থাকে।তারপরেও যদি বড় পার্ট চান তাহলে নিয়মিত গল্প দিতে পারবো না।