My_Mafia_Boss_Husband Part: 8
Mafia_Boss_Season2
Writer:Tabassum Riana
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আনামের রুমে অপেক্ষা করছেন আনিলা বেগম।খাটে বসে পা দুলাচ্ছেনা ওনি।ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে এসে বিছানায় মাকে বসে থাকতে দেখে খানিকটা অবাক হলো অানাম।মা তুমি?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করে বসলো আনাম।কেন আসতে পারিনা?উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললেন আনিলা বেগম।না মা তেমন কিছুনা বলো কি হয়েছে।জিজ্ঞেস করে উঠলো আনাম।
,,,,,,,,,,,,,,,পার্টিতে তোর বাবা রাহিনের সাথে কি বলছিলো?আনামের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন আনিলা বেগম।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,কেন মা?কি হয়েছে?ভ্রু কুঁচকালো আনাম।
,,,,,,,,,,,,,প্রশ্নের উত্তর চাই আনাম।শান্ত গলায় বললেন আনিলা বেগম।ওহ রাহিন রুহী কে লাইক করেছে এন্ড ওকে তার বেড পার্টনার বানাতে চায়।দ্যাটস ইট।বলে উঠলো আনাম।তা তোর বাবা কি বলল?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলেন আনিলা বেগম।
,,,,,,,,,ওর আঠারো বছর হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছে।মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল আনাম।তা তুমি জানতে চাইছো কেন মা?আনাম জিজ্ঞেস করে উঠলো।
এমনি তেই বললাম না।এত প্রশ্ন করিস কেন?রাগী গলায় বলে উঠলেন আনিলা বেগম।ছেলের দিকে রাগী চোখে একনজর তাকিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলেন আনিলা বেগম।মেসেজ টা পড়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে মেসেজের দিকে রোয়েন।রুহী ওকে বোকা বানিয়ে চলে গেছে।বেতের চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায় রোয়েন।ফোন টা পকেটে ঢুকে রুমের দিকে এগোয় রোয়েন।রুহী ঘুমিয়ে আছে।রোয়েনের ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠে।জামা কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে রোয়েন।রুহীর পাশে শুয়ে ওকে বুকে টেনে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,পরদিন সকালে ঘুমভেঙ্গে রোয়েনকে পাশে না পেয়ে উঠে বসে রুহী।কাল যা করেছিলো সেটার জন্য রাগ করেনি তো?নাকি এখনো ছাদেই পড়ে আছে।ভাবতে থাকে রুহী।উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায় রুহী।রুমে এসে খাটের দিকে তাকায় রোয়েন।বাথরুমে পানি পড়ার শব্দ হচ্ছে।খাটে এসে বসে পড়লো রোয়েন।
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে রুহী। চুল মুছতে মুছতে ড্রেসিংটেবিলের দিকে তাকাতেই খাটে বসে থাকা রোয়েনের দিকে চোখ পড়ে রুহীর।রোয়েন ওর দিকে এগিয়ে আসছে। রুহী সামনে ফিরতেই আয়নার সাথে জাপটে ধরে রোয়েন।আহ চোখ বন্ধ করে নেয় রুহী।এক চোখ খুলে রোয়েনকে দেখার চেষ্টা করছে রুহী।কাল কেন চলে এসেছিলে?ধমক দিয়ে উঠে রোয়েন।আসলে খুব ঘুম পাচ্ছিলো।বলে উঠে রুহী। রোয়েন কিছু না বলে রুহীর কাঁধের কাপড় সরিয়ে কাঁধে ঠোঁট রাখলো।রুহীর চোখ জোড়া বুজে আসে।চোখের কোনা বেয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।রুহীর গলায় ঠোঁট বুলিয়ে সরিয়ে আসে রোয়েন।রুহী কাঁধের জামা টানতে থাকে।রোয়েন পিছনে ফিরে বলতে থাকে নিচে এসে ব্রেকফাস্ট করে নাও।
হুম।রুহী মাথা ঝাঁকায়।রোয়েন রুম থেকে বেরিয়ে যায়।নাস্তা সেড়ে রুহীকে কলেজে নিয়ে আসে রোয়েন।দরজা খুলে বের হতেই রোয়েন বলে উঠে কলেজ থেকে সোজা বাসায় যাবে।বিকেলে আমার বাসায় যেন তোমাকে পাই।নাহলে,,,,,, রাগী চোখে তাকায় রোয়েন রুহীর দিকে।রুহী হালকা হেসে বেরিয়ে গেটের ভিতর ঢুকে পড়ে।রোয়েন গাড়ি নিয়ে চলে যায়।
কলিং বেলের শব্দ পেয়ে দরজা খুলে আনিলা বেগম।রুহী দাঁড়িয়ে আছে দরজার বাহিরে।কাল পার্টি থেকে কই গেছিলি? চিৎকার করে বলে উঠে আনিলা বেগম।
ফ্রেন্ডের বাসায় ছিলাম।মুচকি হেসে বলে উঠে রুহী।আনিলা বেগম কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে এলো রুহী।কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে খাটের ওপর চোখ বুজে কাল রাতে ছাদে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো ভাবছিলো রুহী।প্রত্যেকবারই রুহীর ভিতর কেমন একটা অজানা অনুভূতি খেলে যাচ্ছে।রোয়েনের বলা কথা গুলো প্রত্যেকবার ওর কানে ঝংকার তুলছে।কেমন যেন নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রোয়েনের ওপর।লোকটিই এমন খুব সহজে আপন করে নিতে পারে।ভাবতেই ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠলো রুহীর।
বিকেলে কালো একটি স্যালোয়ার কামিজ পরে নিলো রুহী। সেই সাথে রুপালী বর্নের কানের দুল। আজ নিজেকে পুরো অন্যরকম লাগছে।রোয়েন তো রুহীকে দেখে চমকে যাবে।ড্রেসিংটেবিলে থাকা ফোনটা বেজে উঠলো।লুচু মাফিয়া লেখাটা পর্দায় ভেসে উঠতেই মুখে হাসির ঝলক ফুঁটে উঠেছে রুহীর।দৌড়ে গিয়ে ফোন রিসিভ করতেই কে যেন ছোঁ মেরে নিয়ে গেলো ফোনটা।রুহী সামনে তাকিয়ে আজমল খানকে দেখতে পায়।এটা এখন থেকে আমার হাতে থাকবে।ফোন সুইচ অফ করতে করতে বলল আজমল খান।ফোন টা আমার জ্বলজ্বল চোখে বলে উঠলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,আমি জানি ফোনটা তোমার তবে আমার কাছে থাকবে।পকেটে ঢুকিয়ে কথা গুলো বললেন আজমল খান।
,,,,,,,,,,,,,,,,(রুহী)
,,,,,,,,,,,,,,,,,কই যাচ্ছিস অমন সেজে গুজে?আজমল খান রাগী গলায় প্রশ্ন করলেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,ফ্রেন্ডের বাসায়।ফোনটা দিন দেরি হচ্ছে আমার।একনাগাড়ে বলে উঠলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,,পাবেনা।রাহিন এসেছে।যাও ওর সাথে ঘুরে এসো।দাঁতে দাঁত চেপে বললেন আজমল খান।
,,,,,,,,,,,,,,,সে ভালো না।আমি যাবোনা।ছলছল চোখে বলে উঠলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,কে ভালো কে খারাপ সেটা আমি বুঝবো তুমি না।রাগী গলায় কথাটা বলে রুহীর হাত টেনে ধরলেন আজমল খান।কান থেকে ফোন সরালো রোয়েন।কেঁটে দিলো ফোন?এতবড় সাহস পেল কি করে এই মেয়ে?দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।আবার ও কল দিলো মায়াবতীর নম্বরে।ফোন বন্ন্ধ বলছে।রোয়েন বার বার কল করতে লাগলো।এই মেয়ে কি বুঝেনা ওকে ছাড়া সময় কাঁটবেনা।কি করে ঘুমাবো রাতে?ভাবতে লাগলো রোয়েন।
হাত টানতে টানতে নিচে নিয়ে এলেন রুহীকে। রাহিনের সামনে দাঁড় করিয়েছে রুহীকে আজমল খান।রাহিন নামের লোকটার ঠোঁটের কোনে কাঁটা কপালে কাঁটা।নাকে ব্যান্ডেজ।রাহিন রুহীর দিকে এগিয়ে এলো।তো মি রুহী চলুন বেরিয়ে আসা যাক।শয়তানি হাসি দিয়ে বলল রাহিন।আজমল খান রুহীর হাত খুব জোরে চেপে ধরে বলল যাও।কোন বিচার কানে না আসে যেন।রাগী গলায় বললেন আজমল খান।রুহী রাহিনের সাথে বেরিয়ে গেলো।
বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে এলো।রোয়েন একের পর একগ্লাস ওয়াইন গিলেই যাচ্ছে চোখজোড়া রক্তবর্ন হয়ে আছে যেন সব কিছু ভস্ম করে দিবে।রফিক রোয়েনের সামনে এসে বসলো।
,,,,,,,,,,,,,,স্যার কি হইছে আপনার?কাজের লোকরা বলল সারাদিন কিছু খান নাই?
,,,,,,,,,,,,,,জানি না কি হয়েছে আমার?কেন ভুলতে পারছিনা ওকে?কি এমন করেছে ও?দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,রুহী ম্যাডামরে মিস করতেছেন স্যার।হালকা হেসে বলল রফিক।
,,,,,,,,,,,,,জানিনা।কেন ওকে ছাড়া থাকতে পারছিনা?পুরো হৃদয় জুড়ে কেন ওর বিচরন?কে ও?আমার কে ও?কোথা থেকে এসেছে ও?ওকে চিনিনা।ওর পরিচয় কি?ওর পরিচয় শুধু একটাই ও রোয়েনের মায়াবতী।কথা গুলো বলার সময় রোয়েন রক্তচক্ষু জোড়া পানিতে ভরে উঠেছিলো।
স্যার খাবেননা রাখেন।গ্লাস টা সরাতে সরাতে বলছিলো রফিক।
প্লিজ আমাকে আমার অবস্থায় ছেড়ে দে।চলে যা।ভালো লাগছেনা।রাগী গলায় বলে উঠলো রোয়েন।
আজ সারাদিন রাহিনের সাথে ঘুরতে হয়েছে রুহীকে।শুধু ওকে টাচ করার চেষ্টা করছিলো রাহিন।বাসায় ফিরে এলো রুহী।রাহিন ও এসেছে ওর সাথে।কে জানি বলছিলো এ লোকটা আজ বাসায় থাকবে।রুহী দৌড়ে সিড়ি বেয়ে রুমে চলে আসে।কানের ূদুল চুড়ি খুলে ছুড়ে ফেলতে থাকে।চোখের কাজল হাত দিয়ে মুছে নেয়।বারান্দায় এসে দাঁড়ালো রুহী।চাঁদটাও যেন রোয়েনের অনুপস্থিতি সহ্য করতে পারছেনা।রুহীর চোখজোড়া ভিজে এলো।কেন তাকে মিস করছি?কে সে?বাবার শত্রু?আমার জন্য খুব স্পেশাল?রেলিংয়ে মাথা লাগিয়ে কাঁদতে থাকে রুহী।
চলবে