My_Mafia_Boss_Husband Part: 7
Mafia_Boss_Season2
Writer:Tabassum Riana
,,,,,,,,,,,,,,,,,,ড্রিংক শেষে উঠে পড়লো ওরা দুজন।রুহীর হাত ধরে নিচে নামতে লাগলো রোয়েন।নিচে নেমে আসতেই শামীম আর রফিক রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালো। রুহী গার্ডেনে আমার জন্য ওয়েট করো।গম্ভীর কন্ঠে বলল রোয়েন।ওকে। রুহী গার্ডেনের চলে যেতে লাগলো।রোয়েন রফিক আর শামীমের দিকে তাকালো। কই রাহিন এখন?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।বাথরুমে আটকায় রাখছি স্যার।রোয়েন বাঁকা হাসলো।গুড জব।প্ল্যান মতো সব হয়ে যাওয়া চাই।আর এখন আমি থাকছিনা পার্টিতে। তোরা দুজন খেয়াল রাখবি।বিশেষ করে আজমল খানের ওপর।গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।জি স্যার রফিক বলে উঠলো।রোয়েন ওদের পাস করে গার্ডেনে চলে এলো।রুহী বসে আছে দোলনায়।রুহীর পাশে এসে দাঁড়ালো রোয়েন।রুহীকে একটানে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,কি করছেন কি?নামান প্লিজ রুহী চেঁচাতে লাগলো।শশশশশ এতো চিৎকার করছো কেন?।তোমাকে খুন করতে নিচ্ছি না।সো জাস্ট রিল্যাক্স।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহীকে নিয়ে গাড়িতে যেয়ে বসলো রোয়েন।আমরা কোথায় যাচ্ছি রোয়েনের দিকে প্রশ্ন করলো রুহী।আমার বাসায়।ড্রাইভ করতে করতে বলল রোয়েন।ওহ। অপর পাশে ফিরে তাকালো রুহী।গাড়ি থামলো রোয়েনের বাড়ির সামনে গাড়ি থামলো। কিছু শর্ত পালন করতে হবে তোমায়।রোয়েন রুহীর দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলল।শ শর্ত?অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো রুহী।ইয়েস শর্ত।তোমাকে সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।কি শর্ত পালন করতে হবে?রুহী রোয়েনের একটু কাছে এসে বলল।রুহীর ঠোঁটের ওপর হালকা চুমু খেলো রোয়েন।কিছুটা হকচকিয়ে সরে এলো রুহী। শুনো ফাস্ট অফ অল স্মোক ড্রিংক ছাড়তে হবে।মেয়ে হয়ে থাকতে হবে,এসব গেঞ্জী জিনস পরা ছাড়তে হবে,চুল গুলো আঁছড়ে রাখবে,সময়মতো খাবার খাবে,নিজের খেয়াল রাখবে। গম্ভীর কন্ঠে বলল রোয়েন।মাথা ঝাঁকালো রুহী।গাড়ি থেকে বেরিয়ে রুহীকে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।আরে কি করছেন কি নামান আমায় বলছি নামান।চিৎকার করে বলতে লাগলো রুহী।
,,,,,,,,,,,সাট আপ।গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,সাট আপ করবো না।নামিয়ে দিন।রুহী আবার ও চিৎকার করে বলে উঠলো।রুহীকে নিয়ে ছাদে চলে এলো রোয়েন।রুহীকে নামিয়ে দিলো।পুরো ছাদ জুড়ে ফুলের গাছ দিয়ে ভরা।ছোট্ট একটা সুইমিংপুল ও আছে।রুহীর হাত টানতে টানতে ছাদের কোনায় দাঁড় করালো রোয়েন।সেখানে বেতের দুইটি চেয়ার আর টেবিল রাখা আছে।রোয়েন ফোন বের করে কাজের লোক কে কল দিলো।
,,,,,,হ্যালো স্যার। অপরপাশ থেকে কাজের লোকটি বলে উঠলো।
,,,,,,,,,,,,এককাপ কফি নিয়ে এসো।বলে কান থেকে ফোন সরিয়ে নিলো রোয়েন।বেতের চেয়ারে বসে পড়লো।বসো অপর চেয়ারটি দেখিয়ে বলল রোয়েন।
রুহী অপর চেয়ারে বসে পড়লো।কিছুক্ষন পর কাজের লোকটা কফি দিয়ে গেলো।কফির মগটি রুহীর দিকে ধরলো রোয়েন।
,,,,,,,,, আপনি খাবেননা? রোয়েনের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো রুহী।
,,,,,,,,,আগে তুমি খেয়ে নাও।ভ্রু কুঁচকে বলল রোয়েন।
রুহীর কফির মগে একটু চুমুক দিতেই টেনে নিলো রোয়েন।(কেমন আজিব তো?এভাবে কেউ টেনে নেয়?)ভাবতে থাকে রুহী।রুহী যেদিকে মুখ লাগিয়ে কফি খেয়েছিলো সেদিকটায় ঠোঁট বসিয়ে কফিতে চুমুক দিলো রোয়েন।রুহীর কেমন যেন মনে হচ্ছে যে রোয়েন ওকে কিস করার ভান করছে।
,,,,,,,,,,,,,রোয়েন মগটুকু রুহীর দিকে ধরলো।
,,,,,,,,,,আ আমি খাবো না।রুহী অসহায় ভঙ্গিতে বলল।
,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন চোখ রাঙ্গিয়ে তাকালো রুহীর দিকে।রুহী মগটি হাতে নিয়ে অপর জায়গায় চুমুক দিতেই কাপটি ঘুরিয়ে দিলো রোয়েন।এদিকে চুমুক দাও আগের জায়গাটি দেখিয়ে বলল রোয়েন।রুহী আবার ও চুমুক দিলো।
কফি খাওয়া শেষে রুহীর হাত টেনে কোলে বসিয়ে দিলো রোয়েন।রুহীর রুহীকে একটানে কোলে বসিয়ে দিলো রোয়েন।ইয়াল্লাহ কি করছেন?রুহী আঁৎকে উঠলো।
,,,,,,,,, সাট আপ।এনভায়রনমেন্ট এর আনন্দ নাও। বলে রুহীর কোমড় শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো রোয়েন।
রুহীর বুক ধুকপুক করছে।কেমন এক অজানা অনুভূতি জাগছে ওর মনে।রুহীকে কোলে শুইয়ে দিলো রোয়েন।
আজ তোমায় গল্প শুনাবো।রুহীর চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বলল রোয়েন।রোয়েন গল্প বলছে।রুহীর চোখ জোড়া ভিজে গেলো। রুহীর দিকে তাকাতেই বুকের এক কোনে চিনচিনে ব্যাথা উঠলো রোয়েনের।রুহীকে উঠিয়ে বসিয়ে নিজের দিকে ফিরালো রোয়েন।কি হলো?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,রুহী মাথা নাড়লো
,,,,,,,,রোয়েন রুহীর দিকে ঠোঁট এগিয়ে ওর চোখেরপানি শুষে নিলো।রুহীর বুকে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।রোয়েন একটু সরে এসে রুহীর গলায় মুখ ডুবালো।উষ্ণ ভালোবাসায় রুহীকে ভরিয়ে দিতে লাগলো রোয়েন।রুহীর পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে।এ কাঁপুনি মায়াবতীর মায়াময় নেশায় আরো পাগল হচ্ছে রোয়েন।রুহীর ঘাড়ে এসে থামলো রোয়েন।রুহীর থেকে একটু সরে এসে ওর ঠোঁটে হালকা ছোঁয়া লাগাতেই চোখ খুলল রুহী।আ আ আমার ঘুম আসছে। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল রুহী।রুহী উঠে যেতেই টানদিয়ে বসিয়ে দিলো রোয়েন।আই ওয়ান্ট দিস রাইট নাও।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহীর দিকে এগিয়ে চোখ বন্ধ করলো রোয়েন।রুহী আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়িয়ে ধীর পায়ে ছাদ থেকে বেরিয়ে গেলো।কারোর ছোঁয়া না পেয়ে চোখ খুলে তাকালো রোয়েন।কই গেলো এই মেয়ে আশেপাশে খুঁজতে লাগলো রোয়েন।ঠিক সেই মুহুর্তে মেসেজ এলো ওর ফোনে।রুহী মেসেজ পাঠিয়েছে।
“বুদ্ধু বানায়া,,, বাড়া মাজা আয়া হি হি হি।
চলবে