My_Mafia_Boss_Husband Part: 28

0
3338

My_Mafia_Boss_Husband Part: 28
Mafia_Boss_Season2

Writer:Tabassum Riana
,,,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন রুহীর সংসার খুশির পাশাপাশি উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।নতুন সদস্য আসার খুশিতে বাসা জমজমাট হয়ে গেছে রোয়েনের।আনিলা বেগম আজমল খান আনাম এসেছে সেই বিকেলে।মিষ্টি ফল দুধ সহ বাবুর জামা কাপড় ও নিয়ে এসেছে।আনিলা বেগম মেয়ের খাটে মেয়ের পাশে বসে আছেন।কি কি করতে হবে?খেতে হবে এসব বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন।
,,,,,,,,,,,,,,রুহী ও বাধ্য মেয়ের মতো মায়ের কথায় মাথা ঝাঁকাচ্ছে। আনামের বুকের ধুকপুকানি বেড়ে গেলো তখনই যখন রুমু এসে রুহীর রুমে ঢুকে গেলো।আন্টি ভালো আছেন?আনিলা বেগমের দিকে মুচকি হেসে বলল রুমু।
,,,,,,,,,,,,,,,,,হ্যা মামনি ভালো আছি।তুমি কেমন আছো রুমু?
,,,,,,,,,,,এইতো আলহামদুলিল্লাহ আন্টি।রুহীর দিকে তাকালো রুমু।
,,,,,,,,,,,হঠাৎ রুমুর গলার দিকে চোখ পড়তেই ঠোঁট টিপে হেসে মাথা নিচু করলো রুহী।বুঝতে পেরে গলায় উড়না টেনে নিলো রুমু।আচ্ছা তোমরা গল্প করো আমি আসছি।বলে উঠে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন আনিলা বেগম।রুহী একলাফে রুমুর কাছে এসে বসলো।আরে আরে রুহী আস্তে আস্তে!!!!! এতো লাফাচ্ছিস কেন?কিছুটা রেগে গেলো রুমু।
,,,,,,,,,,কিছু হবেনা।তোর গলায় ওটা কিসের দাগ?ঠোঁট কামড়ে হাসলে রুহী।
,,,,,,,,,,,কোনটা?অন্যদিকে তাকিয়ে বলল রুমু।ওড়না দিয়ে ঢেকেছিস আমি দেখার সাথে সাথে সেটা।বলেই একগাল হাসলো রুহী।
,,,,,,,,,,ওহ ওইটা।বোলতা কামড়েছে।বলেই হালকা হাসলো রুমু।রুমু কিছু লুকোচ্ছিস না তো?রুমুর দিকে কিছুটা গম্ভীর ভাবে তাকালো রুহী।তোর থেকে কি লুকাবো?মাথা নিচু করে বলে উঠলো রুমু।কিছুক্ষনের মাঝেই গল্পে মেতে উঠলো রুহী আর রুমু।

,,,,,রুহী কিছু খাবে?দরজা দিয়ে মাথা ঢুকিয়ে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
,,,,,,,মাথা নাঁড়লো রুহী।রোয়েন এসে রুহীকে ধরে ঠিক মতো বসিয়ে দিলো।রুমু রোয়েন আর রুহীকে দেখছে।এখনই এতো করে রোয়েন। বেশ ভালোই লাগছে ব্যাপারটা রুমুর।আপনারা গল্প করুন বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,রাতের খাবার সেড়ে সবাই বেরিয়ে গেলো।কিন্তু আনাম কোন এক কাজে রোয়েনের বাসায় কিছুক্ষনের জন্য থাকলো।রুহী কে ঘুম পাড়িয়ে আনাম আর রোয়েন বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। আনাম পিছন থেকে দুটো বিয়ারের বোতল বের করলো।নিন রোয়েনের দিকে একটা বোতল ধরে বলল আনাম।
,,,,,,,,,,মাথা নাড়লো রোয়েন।ছেড়ে দিয়েছি।বলে উঠলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,আমার বোনের ভয়ে?হো হো করে হেসে উঠলো আনাম।
,,,,,,,,,,,ভয়ে না ওকে ভালোবেসে ছেড়েছি।হালকা হেসে আকাশের দিকে তাকালো রোয়েন।আনাম একের পর এক ঢোক গিলে যাচ্ছে।চোখের কোনায় জমে উঠা জ্বলজ্বলে অশ্রু গুলো চোখ এড়ালো না রোয়েনের।
,,,,,,,,,,আপনাদের লাভ স্টোরি টা বলা যাবে?রোয়েনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো আনাম।
,,,,,,,,,,হোয়াই নট?রুহীর সাথে প্রথম দেখা হতে শুরু করে প্রত্যেকটা মুহূর্তকে বর্ননা করলো রোয়েন ওর হৃদয়ের প্রত্যেকটা অনুভূতি দিয়ে যা রুহী ওকে দিয়েছে।
,,,,,,,,,,রোয়েনের কথা গুলোয় চোখের অশ্রুগুলো আরো মোটা হয়ে এলো আনামের।শুধু গড়িয়ে পড়ার অপেক্ষা। তারপর ও নিজেকে সামলে হো হো করে হেসে উঠলো আনাম।তাই বলি পাগলি এতোটা শান্ত হয়ে গেছিলো কি করে?রাহিনকে বাথরুমে আটকে রেখেছিলে।ব্যাপারটা সেইরকম লেগেছে আমার।বলেই হেসে দিলো দুজন।
,,,,,,,,,,আনামের দিকে এক নজর তাকিয়ে বড় নিশ্বাস নিয়ে সামনে তাকালো রোয়েন।জানো আমি এতিম ছিলাম।তোমার বোনকে পাওয়ার পর থেকে সব পেয়ে গেছি।মা পেলাম তোমার মতো ছোট ভাই পেলাম,সুন্দর একটা পরিবার পেলাম।বাবা হবো সেটার অনুভূতি সবার উর্ধে।সন্তুষ্টির হাসি দিয়ে আনামের দিকে তাকালো রোয়েন।
,,,,,,,,,,আচমকাই রোয়েনকে জড়িয়ে ধরলো আনাম।চোখ জোড়া গোপনে মুছে নিলো আনাম।হাসার পিছনে কান্নাটাকে আড়াল করার চেষ্টা আর কতো করবে?যতো আড়াল করবা ততোই কষ্টটা গভীর হবে।বলে উঠে রোয়েন।রোয়েনের কথা শুনে আনাম সরে এলো রোয়েন থেকে।
,,,,,,,,,,,,,কি বললেন?প্রশ্ন করে উঠে আনাম।প্রেমে পড়েছো তাইনা?খুব কষ্টে ও আছো সেটা তোমার অশ্রু গুলো বলে দিচ্ছে।চোখ মুছে নেয় আনাম।বলতে পারো আমাকে।অন্তত কিছুটা হলে ও কষ্টলাঘব হবে।বলে উঠে রোয়েন।
,,,,,,,,,,,রোয়েনের দিকে ছলছল চোখে তাকালো আনাম।রুমুর সাথে ওর প্রত্যেকটা মুহূর্তের কথা বলতে লাগলো আনাম।কথা গুলো বলার সময় চোখের পাতা ভিজে গেলো আনামের।
,,,,,,,,,,ভুল করেছো খুব বড় ভুল করেছো।রুমু তোমার ওপর খেপে ছিলো।তারওপর তুমি যে কাজটা করলে তারপর কি তোমার মনে হয়েছে সব ঠিক হবে?ঠিক হওয়ার বদলে আরো দূরত্ব বাড়বে তোমাদের মাঝে।ধীরে সুস্থে হ্যান্ডেল করতে পারতে বিষয়টা।বুঝলাম খুব ভালোবাসো ওকে।কিন্তু ভালোবাসার অপমান করেছো আনাম।
,,,,,,,,,,,,,কি করবো রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনি।বলছিলো আমি ওর কেউ না।যার তার সাথে ইচ্ছা থাকতে পারবে।কিন্তু রুমু তো আমার।ও কি করে অন্য কারো হতে পারে?ওর কথা গুলো বুকে কাঁটার মতো বিধছিলো।খুব রাগ হচ্ছিলো তাই এমন করে ফেললাম। জ্বলজ্বলে চোখে বলল আনাম।
,,,,,,,,,,,এখন যতো দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে ফেলো রুমুকে।কিন্তু কাউকে জানাবে না।কারন তোমার বিয়ে ফয়সাল চৌধুরীর মেয়ে লিজার সাথে ঠিক হয়ে আছে।এখন বিয়ের কথা জানলে রুমুর জীবন ঝুঁকিপূর্ন হয়ে য়াবে। আনামের কাঁধে হাত রেখে বলল রোয়েন।মাথা ঝাঁকালো আনাম।হঠাৎ রিংটোনের শব্দে দুজনের ঘোর কাঁটলো। আনাম দ্রুত ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,হ্যালো আনাম তোর মাকে লং ড্রাইভে নিয়ে যাচ্ছি।ফিরতে দেরি হবে।রোয়েনের বাসায় থেকে যা।রুহীর খেয়াল রাখবি।বলে উঠে আজমল খান।
,,,,,,,,,,ওকে।রোয়েনের দিকে তাকিয়ে কিছুটা চিন্তিত মুখে বলল আনাম।কান থেকে ফোন রেখে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে আনাম।
,,,,,,,,,,,এনি প্রবলেম?ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।
,,,,,,,,,,মাকে নিয়ে লং ড্রাইভে যাচ্ছে বাবা।বলে উঠলো আনাম।বাবার মাথায় কি চলছে বুঝতে পারছিনা।কি করতে চাচ্ছেন ওনি?বাট যা করতে যাচ্ছেন its very dangerous.বলে উঠলো আনাম।
,,,,,,,,,,,ওনাকে ওনার কাজ করতে দাও।বাট আমার আর তোমার মাঝে সব ঠিক হয়ে গেছে সেটা কাউকেই বুঝতে দেয়া যাবেনা।তোমার বোনকে ও না।
,,,,,,,,, ওকে ব্রো?মুচকি হেসে বলল আনাম।যাও ঘুমোতে যাও।আনামের কাঁধে হাত রেখ বলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,,জি। আপনি ও ঘুমোতে যান।দরজার দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে বলল আনাম।
রুমে চলে এলো রোয়েন।গুঁটিসুঁটি মেরে শুয়ে আছে রুহী।রুহীর পাশে এসে শুয়ে রুহীর কপালে চুমো খেয়ে বুকে জড়িয়ে নিলো রোয়েন।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে