My_Mafia_Boss_Husband Part: 22

0
3898

My_Mafia_Boss_Husband Part: 22
Mafia_Boss_Season2

Writer:Tabassum Riana
,,,,,,,,,,,,,,দুহাত মুঠ করে তারওপর থুতনি রেখে রক্তচক্ষু দিয়ে লোকগুলোর দিকে চেয়ে আছে রোয়েন।কিছুক্ষন যাবৎ অনবরত মিটিমিটি হেসেই চলছে তারা।হাতের বন্দুকটাকে ঠাস করে টেবিলের ওপর রাখলো রোয়েন।সাথে সাথে লোকগুলোর হাসি ও থেমে গেলো।কি হলো?এতো হাসা হাসি কি নিয়ে?চিৎকার করে উঠলো রোয়েন। লোকগুলো ও তৎখনাৎ বেরিয়ে গেলো।রফিক রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালো।স্যার আসলে আপনার কাঁটা দাগটা কে সবাই অন্য কিছু মনে করতেছে।রফিক বলে উঠলো।ভ্রু কুঁচকে রফিকের দিকে তাকালো রোয়েন।আর তুই কি মনে করছিস?রাগী গলায় বলে উঠলো রোয়েন।জানি না স্যার।মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল রফিক।That’s good সামনে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলে উঠলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,রফিক অন্যদিকে ফিরে মুচকি হাসলো।শোন ডার্কগ্রুপের প্রত্যেকটা চাল বুঝে চলতে হবে।ওদের দলে আমাদের লোক মিশানো আছে তারপরও সচেতন থাকতে হবে।টেবিলের ওপর জোরে হাত রেখে বলল রোয়েন। জি স্যার।মাথা নিচু করলো রফিক।শোন কয়দিন থাকবোনা আমার শাশুড়ির সেফটি তোদের হাতে।উঠে দাঁড়িয়ে রাগানরাগান্বিত চোখে বলল রোয়েন।জি স্যার। ওনার কোন ক্ষতি হবেনা।তা কই যাচ্ছেন?রফিক বলে উঠলো।
,,,,,,,,,,,,,হানিমুনে।আর কিছু বলতে হবে?দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।না স্যার। মাথা ঝাঁকালো রফিক।হুহ রোয়েন বেরিয়ে গেলো।আনিলা বেগম বিছানার ওপর বসে চুল আঁচড়াচ্ছেন। কোথা থেকে আজমল খান এসে আলমারি খুলে কাগজ পত্র বের করতে লাগলো।সেদিকে তোয়াক্কা না করে আনিলা বেগম চুল আঁচড়ানোয় ব্যাস্ত হয়ে পড়লেন।হঠাৎ একটা কাগজ নিচে পড়ে যাওয়ায় নিচু হয়ে কাগজটি হাতে তুললেন আজমল খান।কাগজটি হাতে নিয়ে এর ভাজ খুলতে লাগলেন আজমল খান।আনিলা বেগমের হাত টেনে ধরলেন আজমল খান।তার চোখ জোড়া যেন আগুনের গোলক হয়ে আছে।এসব কি আনিলা?কাগজটি দেখিয়ে চিৎকার করে উঠলেন আজমল খান?পড়তে পারোনা?গা ছাড়া ভাব নিয়ে বললেন আনিলা বেগম।পড়তে তো পারি।বাট তুমি কি চাইছো সেটাই বুঝতে পারছিনা।দাঁত কটমট করে বললেন আজমল।না বুঝার কি আছে?তুমি দুধ খাওয়া বাচ্চা আজমল?দাঁতে দাঁত চেপে বললেন আনিলা বেগম।
,,,,,,,,,,,,,,Don’t cross your limit Anila.চিৎকার করে বললেন আজমল খান।তুমি কি মনে করে রুহী কে সম্পত্তির ভাগ দিচ্ছো?ও কোন সম্পত্তি পাবেনা তোমার?আনামের হবে সব বুঝলে।রুহীর নাম মুছে দিবা তোমার উকিল বোন কে বলে।চিৎকার করতে লাগলো আজমল খান।আনাম যেমন আমার ছেলে রুহী ও তেমনি আমার মেয়ে বুঝলে আজমল।আর আমার সম্পত্তি আমি যাকে ইচ্ছা তাকে দিবো।তোমার কি?চিৎকার করে উঠলো আনিলা বেগম।আনিলা বেগমের গালে থাপড় বসিয়ে দিলেন আজমল।আমার ওপর কথা বলার সাহস কি করে হয় তোমার?ধমক দিয়ে উঠলেন আজমল খান।শুনো তুমি যাই বলো আমার মেয়েকে আমি সম্পত্তি দিবোই।কিছুই করতে পারবানা।কারন রুবীনা কে মেরেছো তুমি সেটা আমি জানি।আর এ কথা রোয়েন কে বললে তোমাকে শেষ করে দিবে ও।আর তোমার ছেলে তোমার কুকর্মের কথা জানলে ও তোমাকে বাবা বলতে ঘৃনা করবে।কারন তুমি খুব ভালো করেই জানো আনাম ওর মাকে বেশি ভালোবাসে।একনাগাড়ে বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন আনিলা বেগম।আজমল খান রক্তচক্ষু দিয়ে আনিলা বেগমের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।এর কিছু করতে হবে।খুব সাহস বেড়েছে।বিড়বিড় করে বলতে থাকে আজমল খান।


,,,,,,,,,,,,,,,,কলিংবেল বাজতেই সোফা থেকে উঠে দাঁড়ায় রুহী।আঁচল টাকে ঠিক করে দরজার দিকে পা বাড়ায় রুহী।রোয়েন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে রুহীর দিকে।রোয়েনের তাকানোয় খানিকটা লজ্জা পেয়ে নিচে তাকায় রুহী।রোয়েন কিছু না বলে রুহী পাস করে ভিতরে ঢুকে সিড়ির বেয়ে রুমে চলে যায়।রুহী একগ্লাস পানি নিয়ে রোয়েনের পিছু পিছু রুমে চলে আসে।রোয়েন শার্টের বোতাম খুলছে আর রুহীর দিকে একনজর তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো।রুহী রোয়েনের দিকে গ্লাস ধরলো।পানি খেয়ে নিন।আস্তে করে বলে উঠলো রুহী।রুহীর হাত থেকে গ্লাস নিয়ে টিটেবিলের ওপর রেখে দিলো গ্লাস টিকে রোয়েন।রুহী রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়িয়ে শার্ট খুলতে খুলতে বলল রাগ করেছেন?রোয়েনের দিকে একনজর তাকালো রুহী।রুহীর হাত টেনে সামনে আনলো রোয়েন।তুমি আমাকে কামড় দিয়েছো তাইনা?তো আমার ও তো একটা কিছু করতে হয়।বাঁকা হাসলো রোয়েন।ক ক কি করবেন?কাঁপা কাঁপা গলায় বলল রুহী।ঐতো তুমি যেটা করেছো সেটার শোধ নিতে হবেনা?রুহীর সামনে এসে দাঁড়ালো রোয়েন Let me decide তোমার কোথায় কোথায় লাভ বাইট দেয়া যায়।বাঁকা হেসে রুহীকে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,রুহী রোয়েনের দিকে তাকাচ্ছে আর আশেপাশে তাকাচ্ছে।হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই রুহীকে ধাক্কা দিয়ে খাটে ফেলে ওর ওপর আধশোয়া হলো রোয়েন।এ কি করছেন আপনি?ফ্রেশ হবেন তো?চেঁচিয়ে উঠলো রুহী।রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলো রোয়েন। ইচ্ছে মতো কামড়াতে লাগলো রুহীর ঠোঁট।রুহী রোয়েনকে সরানোর জন্য ধাক্কাতে লাগলো।রুহীর গলায় এসে নামলো রোয়েন।কামড়াতে লাগলো রুহীর গলায়।গলায় কামড় কিসে ভরিয়ে দিলো রুহীকে রোয়েন।রুহীর গলার থেকে সরে এসে রুহীর কানে আলতো করে কামড় লাগালো রোয়েন।আহ!!!শব্দ করে উঠলো রুহী।রুহীর পেটের ওপর থেকে শাড়ী সরিয়ে পেটে কামড় কিস দিয়ে মাথা তুলল রোয়েন।রুহী চোখ বুজে আছে।রুহীর কানের সামনে মুখ নিয়ে আসে রোয়েন। ফিসফিস করে বলে উঠলো কেমন লাগলো কামড় গুলো My dark princess?রোয়েনের কথা শুনে চোখ খুলে রুহী।আপনি পাগল?এমন কেউ করে?ভ্রু কুঁচকালো রুহী।রোয়েন বাঁকা হেসে রুহীর উপর থেকে উঠে দাঁড়ালো।আলমারির থেকে কাপড় নিতে নিতে রোয়েন বলতে শুরু করলো প্যাকিং করে নাও।কেন? রোয়েনের দিকে অবাক চোখে তাকালো রুহী।প্রশ্ন করা বাদ দিয়ে যদি প্যাকিং করলে বেশি ভালো হয় বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো রোয়েন।রুহী অবাক চোখ রোয়েনের দিকে তাকিয়ে লাগেজ বের করলো আলমারি থেকে।
,,,,,,,,,,,,,বারবার কলিংবেল বাজাতে ঘুম কিছুটা ভেঙ্গে এলো রুমুর।মুখে বিরক্তির ভাব নিয়ে বিছানা ছাড়লো রুমু।চোখে চশমা লাগিয়ে দরজার দিকে এগুলো ও।ফ্ল্যাটে একাই থাকে রুমু। এসময়ে কেউ আসার কথা না।তাহলে কে আসলো ভাবতে ভাবতে দরজা খুলে রুমু।সাথে সাথে মুখে একরাশ বিরক্তি ছড়িয়ে পড়ে রুমুর।এই এখানে কি করছেন আপনি?বাসায় আসার কি সাহস কি করে হলো আপনার?চিৎকার করে উঠে রুমু।আনাম ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল প্লিজ রুমু সব ভুলে চলো বিয়ে করে ফেলি।দেখো অন্য ছেলে হলে কালকের পর থেকে তোমার কাছে আর আসতোনা,তোমাকে কল ও করতো না।কারন তার যা পাওয়ার সেটাতো পেয়েই গেছে। কিন্তু আমি ফিরে এসেছি শুধু তোমাকে ভালবাসি বলে।প্লিজ রুমু মাফ করে দাও।এতক্ষন আনামের কথা গুলো বিরক্তি নিয়ে শুনছিলো রুমু।আনামের কথা শেষ হতেই বলে উঠলো।কি মনে করেছেন আপনি বলবেন আর আমি নাচতে নাচতে সব ভুলে যাবো?আমার বেস্টফ্রেন্ড রুহী আপনার জন্য আপনার বাবা আর মায়ের জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছে।সেটা কি করে ভুলবো আপনি।আর মাতাল অবস্থায় যে লোক আমার এত বড় ক্ষতি করতে পারে?কি মনে করে তাকে ভালোবাসবো আমি?চিৎকার করে বলতে থাকে রুমু।বেরিয়ে যান এখান থেকে।নাহলে গার্ড ডেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো আপনাকে।
,,,,,,,,বেরিয়ে যান!!!
,,,,,,,,,,প্লিজ রুমু!!!!
,,,,,,,,,,,,I said get out চিৎকার করে উঠলো রুমু।আনাম বেরিয়ে যেতে যেতে বলল।আমি আবার আসবো।তোমাকে আমার হতেই হবে।রুহী প্যাকিং করছে সাথে রোয়েন ও জিনিস পত্র এগিয়ে দিচ্ছে।কৌতহলী রুহী বলে উঠলো।কই যাচ্ছি আমরা?সিলেট।গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো রোয়েন।হানিমুন!!! আস্তে করে বলে রোয়েনের দিকে তাকালো রুহী।রুহীর মুখে হানিমুন শব্দটি শুনে রুহীর দিকে তাকাতেই রুহী মাথা নিচু করে ফেলে।মাকে জানিয়ে দিও আমরা বাহিরে যাচ্ছি।বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।রুহী মুচকি হেসে আনিলা বেগমের নম্বরে কল দিলো রুহী।
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে