My_Mafia_Boss_Husband Part: 14
Mafia_Boss_Season2
Writer:Tabassum Riana
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,স্যার স্যার কি করছেন আপনি?কাজের লোকগুলো বলতে লাগলো।রোয়েন সকাল থেকেই পাকঘরে এসে নাস্তা বানানোর কাজে লেগে গেছে।মায়াবতীকে আজ নিজ হাতে নাস্তা বানিয়ে খাওয়াতে চায় রোয়েন।রুহী ঘুম ভেঙ্গে উঠে রোয়েনকে খুঁজে পায়না।শোয়া থেকে উঠে বসে রুহী।আঙ্গুল দিয়ে ঠোঁট জোড়া ছুঁয়ে নিলো রুহী।কাল কি করতে যাচ্ছিলো ও?রোয়েন না সরে গেলে কি হতে পারতো?ভেবে পায়না রুহী। বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো রুহী।জামা কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।নাস্তা বানিয়ে টেবিলে নিজ হাতে সাজিয়েছে রোয়েন।সিড়ি বেয়ে রুমে চলে এলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী চুল শুকাচ্ছে ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে।দরজার দিকে চোখ পড়তেই চুপসে গেলো রুহী।চোখ মেলাতে পারছেনা রোয়েনের সাথে।ভীষন লজ্জা হচ্ছে ওর।চুল শুকিয়ে পিছনে ফিরতেই রোয়েনের সাথে ধাক্কা খায় রুহী।রোয়েন ওর একদম কাছে এসে দাঁড়িয়ে আছে।নিচে তাকিয়ে আছে রুহী।বলা নেই কওয়া নেই রুহীকে কোলে তুলে নেয় রোয়েন।
রুহী অবাক চোখে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে আছে।রোয়েন বাঁকা হেসে রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে রুহীকে নিয়ে সিড়ির দিকে পা বাঁড়ালো রোয়েন।ডাইনিটেবিলের কাছে এনে রুহীকে নামিয়ে দিলো রোয়েন।চেয়ার টেনে রুহীর দিকে তাকালো রোয়েন। বসো। রোয়েন বলে উঠলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী মুচকি হেসে বসে পড়লো।রোয়েন রুহীর সামনে প্লেটের উপর থেকে ঢাকনা তুলে দিলো।নাস্তা দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে রোয়েনের দিকে।কি হলো পছন্দ হয়নি?গম্ভীর কন্ঠে প্রশ্ন করলো রোয়েন।না না ভালো লেগেছে।সব আপনি করেছেন?প্রশ্ন করে উঠলো রুহী।হুম চেয়ারে বসতে বসতে বলল রোয়েন।রুহী নাস্তা গুলো দেখছে।স্যান্ডুইচের ওপর সস দিয়ে স্মাইল আঁকা,আর ডিম পোচ।রুহী নাস্তা খেতে শুরু করলো।রোয়েন খাওয়ার মাঝেই রুহীর দিকে আড় চোখে তাকালো।নাস্তা সেরে দুজনে উঠে পড়লো।রুহী কলেজের জন্য রেডি হয়ে নাও।গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো রোয়েন।মাথা ঝাঁকিয়ে সিড়ির দিকে পা বাড়ায় রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন সোফায় বসে ফোনে কথা বলতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো রোয়েন।রুহী রেডি নিচে নেমে এলো।রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে রোয়েন উঠে দাঁড়ালো।রুহীকে কলেজে দিয়ে রোয়েন বেরিয়ে যায়।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী!!!!!রুমু চেঁচিয়ে উঠলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী দৌড়ে এসে রুমুকে জড়িয়ে ধরলো।রুমু রুহীর বেস্টফ্রেন্ড।কি খবর রুমু?
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,ভালো দোস্ত।চল ক্লাশে যাই।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,হুম।দুজনে ক্লাশে চলে গেলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,ক্লাশ শেষে বাহিরে বেরিয়ে আসে রুহী আর রুমু।তো রোয়েন সাহেবের বাসায় আছিস তুই?রুমু বলে উঠলো।হুম। রুহী মাথা ঝাঁকালো।আমার মনে হয় ওনি ভালোবাসেন আমাকে।মুচকি হেসে রুহী বলে উঠলো।তুই ভালোবাসিস না?রুমু রুহীর দিকে তাকিয়ে বলল।রুহী মাথা নিচু করে আছে।কি রে ভালোবাসিস না?রুমু আবার ও প্রশ্ন করে উঠলো।
জানি না রুমু।রুহী বলল।হঠাৎ রুহী আর রুমুর সামনে চকচকে কালো একটি গাড়ি এসে দাঁড়ালো। রুমু আমি আসি তাহলে গাড়ির দিকে এগোতে এগোতে বলল রুহী।রুমু হেসে হাত নাড়িয়ে বিদায় দিলো রুহীকে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী গাড়ির কাছে এসে দাঁড়াতেই রোয়েন বেরিয়ে এলো।কালো কোট সান গ্লাস ব্লাক ট্রেঞ্চ কোট, ব্লাক ডেনিম প্যান্ট।সব মিলিয়ে অস্থির লাগছিলো রুহীর কাছে রোয়েনকে।পুরোই হিরো।রোয়েন সানগ্লাসটা খুলে হাতে নিলো।ভিতরে ঢুকে বসো।আমি এক্ষুনি আসছি।বলে উঠলো রোয়েন।রুহী গাড়িতে ঢুকে বসলো।গাড়ির দরজা লাগিয়ে রোয়েন কলেজের ভিতরে চলে গেলো।রুহী গাড়িতে বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে নিয়েছে।কিছুক্ষন পরে রোয়েন ফিরে আসে।গাড়িতে ঢুকে বসে রোয়েন।গাড়িতে স্টার্ট দেয় রোয়েন।ঘরে ফিরে এসে রুহী রুমে চলে এলো।রোয়েন পিছু পিছু কিছু শপিংব্যাগ নিয়ে রুমে ঢুকে পড়লো।
রুহী ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো।
রোয়েন খাটে বসে ব্যাগ গুলো খুলছে একে একে।রুহীর দিকে চোখ পড়তেই হাত দিয়ে ইশারা করলো রোয়েন।রুহী খাটে বসে পড়লো।রোয়েন প্যাকেট গুলো থেকে কিছু জামা বের করতে লাগলো।রুহী চোখ বড় বড় করে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে আছে।সর্ট ফ্রক,থ্রি পিস,নাইট ড্রেস,জিন্স প্যান্ট, টপস। রুহীর মাথা আউলিয়ে যাচ্ছে জামা গুলো দেখে।এগুলো কার রোয়েনের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে উঠলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,ড্রেস গুলো দেখে বুঝতেই পারছো মেয়েদের।সো এগুলো আমি পরবোনা। রোয়েন দাঁতে দাঁত চেপে রুহীর দিকে তাকি বলল। তাহলে কার?রুহী অসহায় কন্ঠে প্রশ্ন করে উঠলো। তোমার। রোয়েন বাঁকা হেসে বলল।আপনি তো মানা করেছিলেন না এগুলো পরতে? অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,,ইয়েস বাট অন্যদের সামনে।আমার সামনে পরতে তো সমস্যা নাই।একানাগাড়ে বলে দিলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,কেন আপনার সামনে সমস্যা নাই কেন?কে আপনি?রুহী অন্যদিকে ফিরে বলে উঠলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন উঠে দাঁড়িয়ে রুহীর হাত হ্যাঁচকা টেনে নিজের সাথে চেপে ধরলো।রুহী চোখ বড় করে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে আছে।
Because you are mine only mine.My desire,My soul mate,তোমার সব কিছুই আমার।আমি যেভাবে সাজাবো সেভাবেই সাজবে তুমি। Because you are Royen’s Queen।দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে রোয়েন।রুহীকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রুহীর ঠোঁটজোড়া নিজের আয়ত্বে নিয়ে নিলো রোয়েন।ভালোবাসার উষ্ণ ছোঁয়ায় ভরিয়ে দিচ্ছে রোয়েন তার ডার্ক প্রিন্সেস কে।১৫মিনিট পর রুহীর থেকে সরে আসে রোয়েন।যাও একটা একটা করে পরে এসে দেখাও। ধমক দিয়ে বলে উঠে রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী চুপচাপ জামা গুলো পরে রোয়েনকে দেখাতে থাকলো। প্রত্যকবারই রোয়েন রুহীর চোখজোড়ার মায়ায় ডুবে যাচ্ছিলো।
বিকেলে রোয়েন কাজের লোকদের রান্না বসাতে বলল কারন আজ এতিম খানার বাচ্চা গুলোকে দাওয়াত দিয়েছে ও।রুহীর কাছে রোয়েন একটা প্যাকেট নিয়ে এলো।এখানে একটা শাড়ী আছে পরে নাও।গম্ভীর কন্ঠে বলল রোয়েন।রুহী মাথা নাড়িয়ে প্যাকেট হাতে নিলো।ডার্ক ব্লু কালারের একটি শাড়ী দিয়েছে রোয়েন।রুহী শাড়ীটিকে রোয়েনের মন মতো গায়ে জড়িয়ে নিলো।স্নিগ্ধ সাজে রোয়েনের মায়াবতী আরো মায়াময় হয়ে উঠেছে।সাজ শেষে নিচে নেমে আসে রুহী। বাচ্চা গুলোর মাঝে মেতে উঠেছে রোয়েন।রুহীর দিকে একনজর তাকিয়ে বাচ্চা গুলোর কানে ফিসফিসিয়ে কি যেন বলল রোয়েন।
বাচ্চা গুলো দৌড়ে রুহীর কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরলো।রুহী নিচে বসে ওদের জড়িয়ে ধরেছে।একটা মেয়ে বলে উঠলো ভাবি তোমাকে যা সুইট লাগছেনা।রুহী মেয়েটার মুখে ভাবি ডাক শুনে রোয়েনের দিকে তাকালো।রোয়েন বাঁকা হেসে উঠে চলে গেলো।
চলবে