My_Mafia_Boss_Husband Part: 12

0
4519

My_Mafia_Boss_Husband Part: 12
Mafia_Boss_Season2

Writer:Tabassum Riana
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আজ তিনদিন বেশ সুস্থবোধ করছে রুহী।রোয়েন অনেক যত্ন করেছে ওর।খাওয়ায় দেয়া থেকে শুরু করে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া, রাতে শুয়ে গল্প শুনানো সব করেছে রোয়েন।রুহীকে বুক থেকে সরিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো রোয়েন।রোয়েনের একহাত রুহী জড়িয়ে ধরে রেখেছে।রুহীর হাত থেকে হাত ছাড়িয়ে ওর কপালে চুমু এঁকে দিলো রোয়েন।রুহীকে ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো রোয়েন।আজ দিনটা ও এতিমদের সাথে কাঁটাবে সবসময়ই কাঁটায় এ দিনটাতে।ফ্রেশ হতে চলে গেলো রোয়েন।ঘুম ভেঙ্গে রোয়েনকে পাশে না পেয়ে উঠে পড়লো রুহী।খোলা চুল গুলো কে খোপায় গুঁজে নিলো রুহী।রোয়েন ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসলো।খোলা বুকের ওপর তোয়ালে ঝুলানো রোয়েনের।বুকের লোমগুলোর ওপর পানির ফোঁটা জমে আছে।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রুহী দেখছে তার লুচু মাফিয়াকে। মাফিয়াটাকি ওর?আসলেই ওর।রোয়েন তো এডিকশন হয়ে গেছে ওর।অজান্তেই মনের এক কোনে জায়গা করে দিয়েছে রোয়েনকে।কলেজের মেয়েদের প্রেম করতে দেখেছিলো, ভালোবাসার মানুষের সাথে কথা বলতে দেখেছিলো,হাতে হাত ধরে পাশাপাশি হাঁটতে দেখেছিলো।নিজের কখনো এমন সুযোগ আসেনি।প্রেম ভালোবাসা কখনো হয়ে উঠেনি রুহীর।কারন প্রেমে যতো সুখ আছে তার চেয়ে বেশি কষ্ট আছে।কথা গুলো ভাবতে থাকে রুহী রোয়েনের দিজে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে।রুহীর পাশে এসে দাঁড়ালো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,কি দেখছো অমন করে?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।না কিছুনা।আপনার কফি করে আনছি ফ্রেশ হয়ে।নিচে তাকিয়ে বলল রুহী।ওকে।চুলে চিরুনী লাগিয়ে বলে উঠলো।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো রুহী।রোয়েন শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে বলে উঠলো ওয়েট।
রুহী থেমে গেলো।রোয়েন রুহীর সামনে এসে দাঁড়ালো।রুহীর চিবুকের নিচে হাত রেখে রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো রোয়েন।রুহীর পুরো শরীর কাঁপতে শুরু করেছে।রোয়েনের ঠোঁট দুটো খুব সফটলি ওর ঠোঁটে প্রবেশ করছে।রোয়েনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
চোখ বুজে নিলো রুহী।চোখের কোনা বেয়ে একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো রুহীর।রোয়েনের ঠোঁটে পানি পড়তেই চোখ খুলে নিলো রোয়েন।রুহীর থেকে সরে এলো রোয়েন।রুহী নিচে তাকিয়ে চোখ মুছে নিলো।আপনার কফি বানিয়ে আনছি দরজার দিকে আগাতে আগাতে বলল রুহী।রোয়েনের ফোন বেজে উঠতেই ফোন হাতে নিলো রোয়েন।নম্বরটাকে চিনে না ও?ফোন রিসিভ করে কানে ধরলো রোয়েন।মহিলা কন্ঠস্বর ভেসে আসলো অপর পাশ থেকে।
হ্যালো!!!!!অজানা বলে উঠলো।
ইয়েস।কে বলছেন? ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
আমার সাথে দেখা করতে হবে?খুবই আর্জেন্ট।অজানা বলল।
কোথায় আসবো?গম্ভীর কন্ঠে প্রশ্ন করে উঠলো রোয়েন।
টি টাইম ক্যাফেটাতে আসতে হবে আপনাকে।অজান বলল।
ওকে।আমি আসবো।তবে আপনি কে?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
আপনার শুভাকাঙ্খী মনে করতে পারেন।
রোয়েন ফোন কেঁটে দিলো।রুহী রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালো। আপনার কফি।রোয়েনের দিকে মগ এগিয়ে দিয়ে বলল রুহী।
রোয়েন রাগি ভাবে তাকাতেই রুহী কফির মগে চুৃমুক দিয়ে একটু খেয়ে রোয়েনের হাতে ধরিয়ে দিলো। রোয়েন বাঁকা হেসে একই জায়গায় চুমুক দিলো।
কফিটুকু শেষ করে বেরিয়ে পড়লো রোয়েন।অনেক গুলো চকলেট কিনে এতিমখানায় চলে এলো রোয়েন।

রোয়েনের গাড়ি এতিম খানার ভিতর ঢুকতেই অনেক বাচ্চা দৌড়ে এলো রোয়েনের দিকে।রোয়েন গাড়ি থেকে বেরিয়ে ড্রাইভার কে দিয়ে চকোলেট বের করিয়ে নিলো।বাচ্চা গুলো রোয়েনকে জড়িয়ে ধরলো।বাচ্চাদের সাথে বেশ ভালো সময় কাঁটে ওর।চকোলেট দিয়ে বেরিয়ে পড়লো রোয়েন।টি টাইম ক্যাফেতে বসে আছে রোয়েন।
রুহী দারাজ থেকে রোয়েন কমপ্লিট ব্লাক সুট আর নিজের জন্য কালো একটি গাউন অর্ডার দিলো।তার লুচু মাফিয়াকে সারপ্রাইজ দিবে।আজ তার জন্য অনেক স্পেশাল একটা দিন।লুচু মাফিয়াটার জন্মদিন আজ।
রুহী কেকের অর্ডার করে দিলো।আনিলা বেগম রোয়েনের সামনে বসে আছে।আপনি আমাকে ডেকেছেন কেন?রাগী গলায় প্রশ্ন করলো রোয়েন।
আনিলা বেগম কয়েকটা কাগজের ব্যাগ বের করলেন।এখানে রুহীর বার্থ,মেট্রিক সার্টিফিকেট আছে।আজমল সার্টিফিকেট গুলোতে রুহীর বয়স কমিয়ে তোমার থেকে নিয়ে আসার প্ল্যান করছে।তাই তোমার এগুলো বেশি দরকার এখন।
আমার বেশি দরকার?ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।
জি এগুলোতে আমি রুহীর আঠারো বছর করিয়ে এনেছি।রুহী নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারবে।একনাগাড়ে বলে দিলো আনিলা বেগম।
আপনি তো রুহীকে দেখতে পারেননা।এটা সবাই জানে।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।
দেখো যা করেছি সেটা আজমল কে দেখানোর জন্য।কিন্তু রুহীকে আমি অনেক ভালোবাসি।ও তো আমারই মেয়ে তাইনা?রুবিনা রুহীর মা আমার বেস্টফ্রেন্ড আজমলের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।একসময় আজমল রুবিনাকে বিয়ে করে ফেলে।যখন জানতে পারলাম ওর গোপন বিয়ের কথা তখন রুবিনা কে অনেক কিছু শুনিয়েছিলাম।কিন্তু পরে জানতে পারি আজমল আমাদের দুজনকেই ধোঁকা দিচ্ছে।কিন্তু ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছিলো।রুবিনা আমাকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলো।কথা গুলো বলার সময় আনিলা বেগমের চোখ জোড়া ছল ছল করছিলো।আমার মেয়েটা কে ভালবাসি আমি।আমি চাই ও সুখে থাক যেটা তোমার কাছে ও পাবে পাচ্ছে ও।রোয়েন সার্টিফিকেট গুলো হাতে নিয়ে নেয়।
রোয়েন রুহীকে কখনো বলো না।আমি তোমার সাথে দেখা করেছিলাম।চোখ মুছতে মুছতে বললেন আনিলা বেগম।
রোয়েন উঠে দাঁড়ালো। আনিলা বেগমের দিকে এক নজর তাকিয়ে বেরিয়ে গেলো।
ছাদ সাজিয়ে নিয়েছে রুহী।ততক্ষনে জামা ও এসেছে ওদের দুজনের।রুহী আজ রোয়েনের রঙ্গে রাঙ্গিয়ে নিলো নিজেকে।ডার্ক প্রিন্সের ডার্ক প্রিন্সেস লাগছে ওকে।লম্বা চুল গুলো কে পিঠে ছাড়িয়ে দিলো রুহী।গলায় সাদা পাথরের চিকন নেকলেস পরে নিলো।হালকা সাজ নিয়ে ছাদে উঠে গেলো রুহী।
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে