My_Mafia_Boss_Husband Part: 10

0
4608

My_Mafia_Boss_Husband Part: 10

#Mafia_Boss_Season2

Writer:Tabassum Riana
,,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েনের গলা ছেড়ে দিয়ে হাত পা ছুড়তে থাকে রুহী।রোয়েন রুহীর হাত জোড়া খাটের সাথে চেপে ধরলো।রুহীর ঠোঁটের স্বাদ নিচ্ছে নিজের ঠোঁটজোড়া দিয়ে।রুহীর ঠোঁটের কোনা বেয়ে একফোঁটা অশ্রুজল গড়িয়ে পড়লো।কিছুক্ষণের মাঝেই রুহী রোয়েনের ভালোবাসা উপভোগ করতে থাকে।রোয়েনের ঠোঁট জোড়া পরম আবেশে প্রবেশ করছে রুহীর ঠোঁটের মাঝে।রুহী ও ভালোবাসার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে।কে কাকে কতো বেশি আদর করতে পারে।
পুরো একঘন্টা চলতে থাকলো ভালোবাসার এই রঙ্গীন খেলা।রুহীর মুখে অজস্রু চুমু খেয়ে রোয়েন উঠে অন্যদিকে ফিরে হাঁপাতে থাকে।রুহী ও ঠোঁটে হাত রেখে মাথা নিচু ভাবছে পুরো ঘটনাটিকে।রোয়েন রুহীর কোমড় ধরে একটানে নিজের সাথে লাগিয়ে দেয়।রুহী চমকে গিয়ে রোয়েনের কাঁধে হাত রাখলো।
,,,,,,,,,,,,,আই থিংক নেক্সট টাইম থেকে বলতে হবেনা আমি তোমার কে?আর হ্যা আগে ও বলেছি এখনো বলছি I Don’t like disturbance in Romance. Got it? দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।


,,,,,,,,,,,,,মাথা ঝাঁকালো রুহী।রুহীর কোমড় ছেড়ে দেয় রোয়েন।যাও ফ্রেশ হয়ে নিচে এসো ব্রেকফাস্ট করবো।বলে উঠে রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,, হুম।মাথা নিচু করে বলে উঠলো রুহী।রুহীর হাত চেপে ধরে নিজের কাছে টেনে নিলো রোয়েন।রুহীর দিকে দুষ্ট হাসি দিয়ে বলতে লাগলো তোমার ঠোঁটের স্বাদ যেকোনো মিষ্টিকে হার মানায়।পুরো অমৃত।এমন স্বাদ প্রত্যেক মিনিট সেকেন্ড ঘন্টা চাই।রুহী রোয়েনের দিকে তাকালো। কি বলছে এই লোক মাথা কি খারাপ হয়ে গেলো?ভাবতে লাগলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।রুহীকে ছেড়ে দিয়ে বলল রোয়েন।রুহী ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালো। রোয়েন সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসে।কাজের লোকগুলোকে ব্রেকফাস্ট সার্ভ করতে বলে নিউজপেপার নিয়ে বসে পড়ে রোয়েন।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে রুহী।চুল গুলো আঁছড়ে নিয়ে উঁচু করে ঝুঁটি করে নিচে নেমে আসে রুহী।রোয়েন নাস্তা নিয়ে বসে আছে।রুহী রোয়েনের পাশে এসে বসে পড়ে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন একটু রুটি ছিড়ে ভাজি নিয়ে রুহীকে খাইয়ে দেয়।রুহীর চোখের কোনায় পানি জমে আসে।খাওয়াতে ব্যাস্ত থাকা রোয়েনের চোখ এড়ালো না রুহীর চোখের পানি।কি হলো কাঁদছো কেন?ধমক দিয়ে উঠে রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,এত দরদ মায়া দিয়ে কেউ খাইয়ে দেয়নি।জমে থাকা অশ্রু রুহীর গাল গড়িয়ে পড়তেই রোয়েন হাত দিয়ে ধরে ফেলে।রুহীর সামনে পানিটা শুষে নেয়।রুহী অবাক চোখে রোয়েনকে দেখছে।এমন কেন সে?যতো দেখি মুগ্ধ হয়ে যাই।তার কেয়ারিং,কিউট ভালোবাসা গুলো রুহীকে ক্ষনে ক্ষনে পাগল করে।রুহীকে খাইয়ে নিজে ও খেয়ে নেয় রোয়েন।খাওয়া শেষে উঠে পড়লো ওরা দুজন।হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠে।কাজের লোকটা গিয়ে দরজা খুলে দিলো।একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ছেড়া পুরোনো জামা গায়ে মেয়েটার।রোয়েন দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো। কি চাই?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করে উঠে রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,ভাইয়া আমারে কাজে রাখবেন?আমি অনেক একা।বাপ মা মইরা গেছে।আমার থাকার মতো কোন জায়গা ও নাই।কাঁদতে কাঁদতে বলল মেয়েটা। ততক্ষনে রুহী রোয়েনের পাশে এসে দাঁড়ালো।কি কাজ পারিস?প্রশ্ন করে উঠলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,সব কাজ পারি ভাইয়া।মেয়েটি বলে উঠলো।
আচ্ছা ঠিক আছে।ভিতরে আয়।তোর বাড়ির ঠিকানা ফোন নম্বর সব দিয়ে দিবি।রোয়েন গম্ভীর গলায় বলল।
,,,,,,,,,,,,,,,জি ভাইয়া।মেয়েটা ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল।কিছুক্ষন পর মেয়েটা নিজের ঠিকানা ফোন নম্বর রোয়েনের কাছে দিলো।এরপর যতোদিন যায় রুহীর অস্বস্তি বাড়তে থাকে।রোয়েন রুহীকে কিছু করতে বললে মেয়েটা করে দেয়। রোয়েন কফি চাইলে মেয়েটি বানিয়ে দেয়।রোয়েনের সাথে লাগালাগির চেষ্টা করা,রোয়েনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসা রুহীর সহ্য হচ্ছিলোনা।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী!!!!শার্টের বোতাম গুলো লাগিয়ে দাও তো শার্ট গায়ে জড়াতে জড়াতে বলল রোয়েন।জি দিচ্ছি কাজের মেয়েটা রোয়েনের শার্ট ধরতে এলে ভীষন জোরে থাপড় দিলো রোয়েন। রুহী দৌড়ে রুমে চলে এলো।কাজের মেয়েটা নিচে গাল ধরে বসে আছে।রুহীর দিকে রক্তচক্ষু দিয়ে তাকালো রোয়েন।কই ছিলে?এই মেয়ের এতো বড় সাহস কি করে হয় আমার কাছে এসে দাঁড়ানোর?চিৎকার করে বলতে লাগলো রোয়েন।মেয়েটা উঠে দৌড়ে চলে গেলো।রুহী রুমে ঢুকতেই রোয়েন ওর হাত চেপে ধরলো।ঐ মেয়ের এতো সাহস কি করে হয় এখানে আসার?
,,,,,,,,,,,,,,,এটা অনেক দিন ধরেই চলছে রোয়েন।আপনার চোখে পড়েনি।রুহী বলে উঠে।রুহী রোয়েনের বোতাম লাগিয়ে দিলো।রুহীর কপালে চুমু এঁকে ওর গলায় মুখ ডুবালো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,হ্যালো রাহিন ওদের আলাদা করা পসিবল না।বন্ডিং খুব শক্ত।এতোদিন চেষ্টা করে ও আমারদিকে আকর্ষিত করতে পারিনি রোয়েনকে।
,,,,,,,,,,,,,,,Kill him.রাহিন বলে উঠলো।
,,,,,,,,,,,,,কিন্তু কিভাবে?মেয়েটা ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো।তোমার ব্যাগের প্রথম চেম্বারে একটা বোতল পাবে।আই থিংক এর পর তোমাকে বেশি কিছু বলতে হবেনা।হালকা হেসে বলল রাহিন।বুঝতে পেরেছি।কাজ কমপ্লিট করে চলে আসবো।মেয়েটি বলল।
রুহীর গলায় উষ্ণ পরশ বুলাতে বুলাতে রুহীর ঠোঁটে এসে থামলো রোয়েন।শব্দ করে চুমো খেয়ে সরে এলো।
বিকেল নাগাদ ফিরে আসবো।রুম থেকে বের হতে হতে বলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,রুহী এতক্ষন অদ্ভুত একটা ঘোরে ছিলো।রোয়েন কে কেন আটকাতে পারেনা।থামানো দরকার কেন পারেনা?রোয়েনের ভালবাসা গুলো কেন মাতাল করে ওকে?ভাবতে থাকে রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,বিকেলে ঘরে ফিরে রুমে চলে আসে রোয়েন।রুহীকে নিজের কোলে বসিয়ে ওর গলায় মুখ ঘষতে থাকে রোয়েন।রুহী সরে যেতে চাইলে রাগী চোখে তাকায় রোয়েন।You know I Don’t like………থামিয়ে দিলো রুহী।আপনার কফি বসিয়ে এসেছি।নিয়ে আসি,,,,,,,,,,বলে উঠলো রুহী।রুহীকে ছেড়ে দিলো রোয়েন।পাকঘরে চলে আসে রুহী।রোয়েনের মগে কফি বানানো।মেয়েটা ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে। রুহী কফি গুলো ফেলতে গিয়ে ও ফেলে দিলোনা।আবার কফি বানাতে লাগলো।আগের বানানো কফিটাতে চুমুক দিলো।কেমন অদ্ভুত একটা স্মেল আসছে।পুরো কফিটা শেষ করে রোয়েনের কফিটা নিয়ে সিড়ির দিকে পা বাড়ালো রুহী।মাথা কেমন যেন ঘুরছে।সব ঘোলা হয়ে আসছে চোখের সামনে।রোয়েনের রুমে এলো রুহী।রোয়েনের হাতে কফিটা দিয়ে ধুপ করে খাটে বসে পড়লো রুহী মাথা নিচু করে।রোয়েন কফি খাওয়ার ফাঁকে রুহী কে আড়চোখে দেখলো।
,,,,,,,,,,,,কি হলো চুপ কেন রুহী?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,একটা ক ক,,,,,হঠাৎ মুখ খুলতেই রক্ত বমি করে দিলো রুহী।রোয়েন কফি ফেলে রুহীকে জড়িয়ে ধরলো।রুহী!!কি হইছে?চিৎকার করে বলল রোয়েন।রুহীর নাক মুখ বেয়ে অনর্গল রক্ত বেরচ্ছে।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে