My_Mafia_Boss_Husband Part:১
Mafia_Boss_Season2
Writer:Tabassum Riana
রফিক জলদি কর স্যার রাগ করবো নাহলে।শামীম চেঁচিয়ে বলে উঠলো।হ করতাছি করতাছি।গুদাম ঘরে তালা মারতে মারতে বলে উঠলো রফিক।অপর গুদাম ঘর গুলোয় তালা মেরে অপর লোক গুলো রফিক আর শামীমের পাশে এসে দাঁড়ালো। ওই তোরা গাড়িতে যাইয়া বয় শামীম লোক গুলোর দিকে তাকিয়ে।লোক গুলো মাথা ঝাঁকিয়ে মেইন রোডের দিকে চলে যেতে লাগলো।ঠিক তখনই অনেক গুলো বন্দুকের আওয়াজ ভেসে আসলো।রফিক আর শামীম সামনে এগোতেই দেখলো ওদের ৫,৬জন লোকের লাশ পড়ে আছে।স্যাররে কল দে রফিক।না দরকার নাই আমরা সামলাইতে পারবো।কালো একটা জিপ ওদের দিকে এসে থামলো।শামীম রফিক অন্যান্য লোকদের নিয়ে দৌড়াতে লাগলো।কিন্তু ডার্কগ্রুপের দল অনেক বড় প্রায় সবাইকে আটকাতে শুরু করেছে ওরা।রফিক কোনমতে পালাতে সফল হলো।ডার্ক গ্রুপের ডান হাত ফয়সাল আসছে।সে তার লোকদের দিয়ে রফিকদের লোকদের বেঁধে রাখছে।গুদাম ঘরের প্রত্যেকটির তালার চাবি রফিকের কাছে রয়েছে।রফিক ওদের লিডারের ডান হাত।রফিক বারবার একটা নম্বরে কল দিচ্ছে।দুইবার রিং হওয়ার পর অপরপাশ থেকে কেউ একজন কল রিসিভ করলো।
হ্যালো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
স্যার ডার্ক গ্রুপের ফয়সাল তার দল নিয়া গুদাম ঘরে আসছে।সবাইরে আটকায় রাখছে।স্যার…….টুট টুট ফোন কেঁটে গেল।স্যার…….কাঁইটা দিলো।রফিক ওদিকে একটু একটু করে এগোতে লাগলো।ডার্ক গ্রুপের লোকেরা ওদের লোকদের অনেক মারছে।শামীমের কপালে বন্দুক ধরে রেখেছে ফয়সাল।কি হলো তোদের লিডার কই?তোদের এমন অবস্থা দেখে ও আসতেছেনা।হুহ!!!!! তাড়াতাড়ি গুদাম ঘরের চাবি দে নাহলে………..ঠিক তখনই দূর থেকে একটা বুলেট এসে ফয়সালের মাথা দিয়ে ঢুকে অপরপাশ দিয়ে বেরিয়ে গেলো।সবাই ঐদিকে তাকালো।রফিক সাহস করে সেদিকে দৌড়ে এলো।ওদের দলের লোক গুলোর হাত খুলতে শুরু করলো রফিক।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,কালো একটা চকচকে গাড়ি এসে থামলো।গাড়ির গ্লাস ধীরে ধীরে খুলছে।ঠিক তখনই আরেকটা বন্দুক এসে ডার্কগ্রুপের আরেক লোকের মাথায় এসে লাগলো।জানালা দিয়ে তাকালো নামকরা মাফিয়া টাইগার গ্রুপের লিডার।গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে ওদের দিকে এগুচ্ছে।লম্বা কালো কোট।কালো চকচকে জুতো জোড়া আর সব মিলিয়ে ডেসিং লুক পাগল করে দেয়ার মতো।সানগ্লাস টা খুলে হালকা ফুঁ দিয়ে আবার পড়ে নিলো রোয়েন আহমেদ।কোটের পকেট থেকে বন্দুক বের করে অনবরত চালাতে লাগলো রোয়েন।ডার্ক গ্রুপের ৪জন পালিয়ে গেলে ও প্রায় সাত আটজন রোয়েনের বন্দুকে প্রান হারালো।এখন শুধু টাইগার গ্রুপের রফিক শামীম আর ৩জন লোক দাঁড়িয়ে আছে।রোয়েন ওদের কাছে এসে দাঁড়ালো। বন্দুক টা পকেটে ঢুকিয়ে নিলো।স্যার আজমল খান তো পুরাই বরবাদ হইয়া যাইবো।ফয়সাল সব খবরা-খবর দিতো।বলে হেসে উঠলো রফিক।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন বাঁকা হাসি দিয়ে গাড়িতে ঢুকে বসে পড়লো।ওর লোকেরা ও গাড়িতে বসে পড়লো।
রুমটির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল আনাম খান।আজমল খানের প্রথম ঘরের সন্তান।পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সিগারেটের গন্ধ এসে নাকে লাগলো আনামের।এই মেয়ে জীবন ও পাল্টাবেনা বিড়বিড় করে বলে উঠলো আনাম।রুমের দরজা খুলতেই মেজাজ চরমে উঠে গেলো আনামের।পুরো রুম অগোছালো করে রেখেছে।ইজি চেয়ারে পায়ের ওপর পা তুলে সিগারেটে টান দিচ্ছে রুহী।এসব কি চিৎকার করে বলে উঠলো আনাম।রুহী গুনগুন করে গান করছে আর সিগারেটে টান দিচ্ছে।অসভ্য মেয়ে!!!দাঁতে দাঁত চেপে বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল আনাম।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী পিছনে ফিরে আনামের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রাগে ফুঁসছে।কি যে মনে করে নিজেকে বুঝিনা।রুহী চেয়ার থেকে উঠে থ্রিকোয়াটার প্যান্ট আর কালো জ্যাকেটটা গায়ে জড়িয়ে সিগারেটে টান দিতে দিতে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।নিচে নামতেই আনিলা বেগম চেঁচিয়ে উঠলো কই যাচ্ছিস শুনি?আমি যেখানে ইচ্ছা যাই থাকি খাই আপনার আর আপনার স্বামীর কিছু যায় আসেনা। আমার লাইফে ইন্টারফেয়ার করার চেষ্টা করবেন না।হুহ। হনহনিয়ে বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে।আজমল খান ফোনে কথা বলতে বলতে ঘরে ঢুকতেই আনিলা বেগম চেঁচিয়ে উঠলেন।তোমার মেয়েকে নিয়ে আমি আর পারছিনা।কান থেকে ফোন সরিয়ে কি করেছে ও আবার?ধমক দিয়ে বলে উঠলো আজমল খান।
তারপর যা না তা শুনিয়ে দিলো অানিলা বেগম।দোয়া করো ও যেন আর ফিরে না আসে।বলে রেগে হন হন করে সিড়ির দিকে পা বাঁড়ালো আজমল খান।
চলবে