My_Mafia_Boss পর্ব-৯
Writer:Tabassum Riana
রোয়েনঃ রুহীকে ধাক্কা দিয়ে চলে এলাম।ভীষন রাগ হচ্ছিলো নিজের ওপর।যখনই দেখা হয় অকারনেই রাগ দেখাই ওর ওপর।ভালো লাগছেনা গাড়ির কাছে এসে জানালায় হাত খুব জোরে বাড়ি দিলাম।জানালার কাঁচ ভেঙ্গে হাতে ঢুকে রক্ত বের হচ্ছে।ব্যাথা অনূভব হচ্ছিলো না রুহীকে চোখের পানি গুলো খুব কষ্ট দিচ্ছিলো আমায়।দলের লোকেরা দৌড়ে এসে আমার হাত চেপে ধরলো।
স্যার একি করলেন?চলেন ঔষধ লাগিয়ে দেই।
রোয়েনঃ না লাগবেনা ঠিক আছি আমি।
স্যার ব্লিডিং হচ্ছে অনেক।
রোয়েনঃ রাগ সামলাতে পারলাম না। বললাম না ঠিক আছি এতো কথা বলছিস কেন চিৎকার করে বলে গাড়িতে উঠে বসলাম।
রুহীঃ গাছের সাথেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। কেন এমন করেন ওনি?শুধু রাগ করেন ধমক দেন।থ্যাংক ইউ তো দিয়েছিলাম।চোখের পানি মুছে নিলাম স্নিগ্ধাকে দেখে।
স্নিগ্ধাঃ কিরে এখানে কি করছিলি?
রুহীঃ কই কিছু না তো।ভিতরে চল ম্যাম রাগ করবেন।
স্নিগ্ধাঃ হুম চল।দুজনে রুমে চলে এলাম।রুহীর মন ভালো মনে হচ্ছেনা।রুহী কিছু হয়েছে তোর?
রুহীঃ না কিছু হয়নি।কেন বল তো?
স্নিগ্ধাঃ না এমনিই মনে হলো।
রুহীঃ ওহ।চল ডাইনিং এ যাই।।
স্নিগ্ধাঃ হ্যা চল।
আনিলা বেগমঃ খাটে আধশোয়া হয়ে পান চিবোচ্ছি মনের সুখ মিটিয়ে।বর টা বড্ড ঘাড় তেড়া কোন কথাই শুনতে চায়না আজ কাল।রুহীর বিয়ে রোয়েনের সাথেই হবে।তাহলে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়া যাবে এ ছেলে থেকে।টিভির চ্যানেল চেঞ্জ করে শুয়ে পড়লাম।আফজাল রুমে এসে পাঞ্জাবী একটানে খুলে ফেলল।পেটে হাত বুলাতে বুলাতে খাটে এসে বসলো।
আফজাল সাহেবঃ আনিলা!!!রোয়েনের বিষয়টা ভেবে দেখলাম। ছেলেটার কথা বার্তা ভালো লেগেছে আমার।দেখতে ও বেশ সুন্দর আমার রুহী মামনির সাথে বেশ মানাবে।কাল যেয়ে ওর সাথে কথা বলে আসবো।
আনিলা বেগমঃ একেবারে নিয়ে এসো।বিয়েটা দিয়ে দিও এবার।
আফজাল সাহবেঃভীষন অবাক হলাম আনিলার মুখে রুহী কে বাসায় আনার কথা শুনে।ওকে সত্যিই আনতে বলছো?
আনিলা বেগমঃ তোমার কি মনে হচ্ছে ফাজলামো করছি আমি? চেঁচিয়ে উঠলাম।
আফজাল সাহেবঃ তুমি যখন বলছো তাহলে নিয়ে আসবো।
আনিলা বেগমঃ হুম।খুব তাড়াতাড়ি বিয়েটাও দিয়ে দিও।
আফজাল সাহেবঃ কিছু না বলে শুয়ে পড়লাম।
রোয়েনঃ স্কুলের সামনে গাড়ি নিয়ে বসে আছি মায়াবতীর অপেক্ষায়।একটা নজর দেখতে পারলেই যেন শান্তি।
রুহীঃ স্কুলের সামনে এসে রিক্সা থামালাম।টাকা দিয়ে গেটে ঢুকতে যাব তখনই খুব পরিচিত একটি গাড়ি দেখতে পেলাম।কই জানি দেখলাম মনে করার চেষ্টায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি। ঠিক তখনই গাড়ি থেকে গুন্ডাটা নেমে এলো।ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।এক চুল পরিমান ও নড়তে পারছিনা।ওনি আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন।সানগ্লাস টা খুলে একটু নাড়াচাড়া করে শার্টের কলারে ঝুলিয়ে দিলেন। ডার্ক ব্লু কালারের শার্টের ওপর ব্ল্যাক ভেস্ট আর ব্ল্যাক জিন্স প্যান্ট পরেছেন।এতো হ্যান্ডসাম লাগছিলো বলার মতো না।
রোয়েনঃ রুহী কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ধমক দিয়ে বললাম ক্লাশে না গিয়ে এখানে কি করছো?
রুহীঃ ন ন না ম ম মানে যাচ্ছি বলে সামনে ফিরে হাঁটতে লাগলাম।পিছনে ফিরলাম না।ওনার বকা গুলো কেন জানি খুব কষ্ট দায়ক হয়। মেনে নিতে পারিনা।দৌড়ে ক্লাশে চলে এলাম।পিছনের একটি সিটে বসে রইলাম।
নিশিঃ রুহী সামনে এসে বসো?
রুহীঃ হুম বসছি।নিশির পাশে এসে বসলাম।
রোয়েনঃ উফ শিট।আবারো রাগ দেখালাম।গাড়িতে উঠে বসলাম। ড্রাইভারকে বললাম অফিসে নিয়ে চলো।গাড়ি চলতে শুরু করলো।
রুহীঃ ক্লাশ সেরে এতিম খানায় ফিরে আসতেই রুমে মামাকে দেখতে পেলাম।মামা আপনি?
আফজাল সাহেবঃ ভালো আছিস মা?
রুহীঃ জি ভালো।কেমন আছেন আপনি?
আফজাল সাহেবঃ শুনলাম পড়া শুনা করছিস।কেমন চলছে সব?
রুহীঃ ভালো মামা। আপনি বসুন ফ্রেশ হয়ে আসছি আমি।
আফজাল সাহেবঃ ঠিক আছে মা।
রুহীঃ জামা নিয়ে বাথরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।মামার পাশে এসে বসতেই ওনি আমার হাত ধরলেন।
আফজাল সাহেবঃ একটা কথা বলি মা রাগ করবি?
রুহীঃ না মামা বলেন।
আফজাল সাহেবঃ একটা সম্বন্ধ এসেছে তোর জন্য।ছেলেটাকে ভালো মনে হয়েছে।কথা বার্তা ভালো। কেউ নেই তার।
রুহীঃ আমার মতো এতিম?মামার দিকে তাকিয়ে বললাম।
আফজাল সাহেবঃ বড় নিশ্বাস নিয়ে বললাম হুম। এখন সে তোকে পছন্দ করেছে বিয়ে করতে চায়।
রুহীঃ কি করে সে?
আফজাল সাহেবঃ বিজনেস করছে।
রুহীঃ ওহ।আমার আঠারো বছর সামনের মাসে হবে।।
আফজাল সাহেব ; রোয়েন অপেক্ষা করবে।
রুহীঃ রোয়েন!!ঐ গুন(এখন বললে আমাকে যদি মেরে ফেলে?যে রাগ তার)ঢোক গিলে নিচের দিকে তাকালাম।
আফজাল সাহেবঃ কিরে মা কিছু তো বল?
রুহীঃ (মামার কাঁধে এভাবে বোঝা হয়ে থাকতে চাইছিনা।মমামি তো দেখতেই পারেননা।রোয়েন সাহেব বিয়ের পর যদি মেরে ফেলেন তাহলে ও সমস্যা নেই তবে মামীর কটু কথা শুনার থেকে মুক্তি পাওয়া তো যাবে)আপনি যা ভালো মনে করেন।
আফজাল সাহেবঃ তাহলে প্যাকিং করে নে।এক্ষুনি বের হবো।
রুহীঃ উঠে পড়লাম।প্যাকিং করে সবার থেকে বওদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম মামার সাথে।
চলবে
Next part kobe asbe