My_Mafia_Boss পর্ব-৫৩
Writer: Tabassum Riana
রুহীর চোখ বেয়ে দুফোঁটা অশ্রুজল গড়িয়ে পড়লো।রোয়েন রুহীর কপালে চুমো খেয়ে কপালের সাথে কপাল লাগালো।রুহী মুচকি হেসে মাথা নিচু করে আছে।রোয়েন সরে এলো।ওকে ও রুহীর পাশে বসানো হলো।রোয়েনের গালে কপালে হলুদ লাগিয়ে দিচ্ছে সবাই।রুহীকে ও হলুদ লাগানো হচ্ছে।রাত ২টো পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলল।খাবার শেষ করে সবাই যার যার বাসায় চলে যেতে শুরু করলো।রুহী ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে গয়না গুলো খুলছে।রোয়েন ফ্রেশ হয়ে এসে রুহীর দিকে পলকহীনভাবে ভাবে তাকিয়ে আছে।আজ হলুদ পরীর মতো লাগছে বৌটাকে।রুহীর কাছে এগিয়ে এসে ওর গলাজড়িয়ে ধরেছে রোয়েন।রুহী মাথা নিচু করে নিলো।
যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।বলে উঠলো রোয়েন।হুম।রুহী উঠতে যেয়ে ও পারছেনা।রোয়েন ছাড়ছেনা।রোয়েন মুচকি হাসছে রুহীর দিকে তাকিয়ে।কি বললাম ফ্রেশ হয়ে আসো।ভ্রু কুঁচকে বলল রোয়েন।না ছাড়লে কি করে যাবো? মাথা নিচু করে বলল রুহী।রুহীর কাঁধে চুমো দিয়ে সরে এলো।রুহী উঠতে যেয়ে কপালে হাত দিয়ে ধরলো।চোখ বন্ধ করে আছে।যেন খুব খারাপ লাগছে।সব ঠিক আছে রুহী? গম্ভীর কন্ঠে প্রশ্ন করলো রোয়েন।কিছু বলতে গেলেই রুহী মুখ চেপে ধরে ওয়াশরুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো।রোয়েন দরজা নক করছে জোরে জোরে ঠিক আছো?কি হয়েছে?চিৎকার করে বলল রোয়েন।ভিতর থেকে বমির শব্দ আসছে।রুহী!!!!চিৎকার করে (রোয়েন)।রুহী কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এলো।শাড়ীর আঁচল মুখ মুছতে মুছতে।
কি হলো?রুহীর পিছু নিতে নিতে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
রুহী খাটে গিয়ে বসলো।মাথা ঘুরে ব বব বমি আসছে আমার।মাথা নিচু করে বলল রুহী।
মিষ্টি অনেক খেয়েছো তাই হয়ত।রুহীর মাথায় হাত রেখে বলল রোয়েন।রুহীকে বুকে টেনে নিয়ে শুয়ে পড়লো রোয়েন।পরদিন সকাল ঘুম থেকে উঠে রুহীকে নিজের বুকে আবিষ্কার করলো রোয়েন।মায়াবতীর কপালে চুমো খেয়ে বালিশে শুইয়ে দিয়ে উঠে ওয়াসরুমে চলে গেল।ফ্রেশ হয়ে এলো রোয়েন।রুহী রুমে এসে বলল আপনার নাস্তা রেডি।রোয়েন রুহীর দিকে একপলক তাকিয়ে বলে উঠলো কাল রুহান আসলামের পরিবার নির্বংশ করে দিয়ে আসছি।ক কক কি বলছেন এসব?কাঁপা কাঁপা গলায় প্রশ্ন করলো রুহী।এয়ারপোর্টে একটা কালো জ্যাকেট ওয়ালা লোককে খেয়াল করেছিল? বারবার আমাদের দেখছিলো।হুম ঐযে লম্বা চুল ওয়ালা মাথা নিচু করে বলল রুহী।
হুম।সে তোমার ভাই।রুহান আসলামের বড় ছেলে।রুহী ছলছল চোখে রোয়েনের দিকে তাকালো।বড় ভাই!!!কেমন করে জানলেন?রুহী প্রশ্ন করে উঠলো।যেদিন তুমি রুহান আসলামকে মেরেছিলে।সেদিন আবার ও গিয়েছিলাম ক্যাফেতে।আর তখনই প্রথম দেখা হয়।তারপর খবর লাগিয়েছি।একনাগাড়ে কথা গুলো বলল রোয়েন।ওদের প্ল্যান সম্পর্কে জেনে গিয়েছিলাম।তারা ডেকোরেটর হিসেবে ঘরে ঢুকতে চেয়েছিলো।আমার অনুপস্থিতিতে সবাইকে মেরে ফেলতো।রোয়েন রুহীর দিকে ফিরে বলল।রুহীর চোখ জোড়া বেয়ে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।কি হলো কাঁদছো কেন?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।কই আমি ঠিক আছি।চোখ মুছে বলল রুহী।হুম।রুহীর হাত ধরে নিচে চলে এলো ওরা।নাস্তা সেড়ে নিলো দুজন।আজ বিকেলে মেহেদী আর সঙ্গীত অনুষ্ঠান।রুহীকে গাঢ়ো নীল বর্নের লেহেঙ্গা পরানো হয়েছে।চুল গুলো পিঠের ওপর ছড়িয়ে আছে।খুব হালকা সাজ নিলে ও অসম্ভব সুন্দর লাগছে।রোয়েনের মায়াবতী যেন আরো মায়াময় হয়ে উঠেছে।
রোয়েন আর নুহাশ পাশাপাশি সোফায় বসে আছে।রুহীর হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিচ্ছে দুটো মেয়ে।অনেক গুলো মেয়ে নাচ্ছে।তার সাথে আনিলা বেগম ও নাচছে।মেহেদী লাগানো শেষ হলে রুহীর পাশ থেকে মেয়ে গুলো চলে গেল।নুহাশ গিটার নিয়ে রুহীর সামনে এসে বসলো।অবন্তী রোয়েন কে টানতে টানতে রুহীর পাশে বসিয়ে দিলো।শালী একটা গান গাও।গিটার হাতে নিয়ে বলল নুহাশ।ভাইয়া আমি পারিনা। মাথা নিচু করে বলল রুহী।পারিনা বললে হবেনা শালি গেতে তো হবেই।রোয়েন রুহীকে দেখছে।রুহী মাথা নিচু করে আছে।কি করবে বুঝতে পারছেনা।রুহী গেয়ে শুনিয়ে দে। অবন্তী বলে উঠলো।আড় চোখে রোয়েনের দিকে তাকালো রুহী।ওকে ছোট্ট করে বলল রুহী।নুহাশ গিটার বাজাতে শুরু করেছে।
main jaan ye vaar doon
har jeet bhi haar doon
keemat ho koi tujhe
beintehaa pyaar doon
saari hadein meri, ab maine tod di
dekar mujhe pataa awaargi ban gaye
kya khoob rab ne kiya
bin maange itna diya
warna hai milta kahaan
hum kaafiron ko khuda
hasratein ab meri tumse hain jaa mileen
tum duaa ab meri aakhiri ban gaye
থামলো রুহী।পুরো শরীর কাঁপছে ওর।রোয়েন অবাক চোখে মায়াবতীকে দেখছে।এতো ভালো গাইতে পারে বৌটা।
বাহ শালী চমৎকার।অসাধারন মাইন্ড ব্লোয়িং।হাত তালি দিতে লাগলো নুহাশ।
থ্যাংকস ভাইয়া।
আরে রোয়েন ভাই কিছু বলেন।আপনার বৌ কতো ভালো গায়।নুহাশ রোয়েনের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো।
কি বলবো।অসাধারণ হয়েছে রুহীর দিকে তাকিয়ে বলল। রুহী রেয়েনের দিকে এক নজর তাকিয়ে মাথা নিচু করলো।
চলবে