My_Mafia_Boss পর্ব-৪৪
Writer: Tabassum Riana
আসবিনা কেন? ঐ বদমাইশটা তোর মাথা খারাপ করে দিয়েছে রুহী।কিছুটা রেগেই বলে উঠে রুহান আসলাম।আপনাকে কতোবার না করেছি ওনার নামে বাজে বকবেননা।চিৎকার করে বলে উঠে রুহী। আওয়াজ নিচে রুহী।তোমার বাবা আমি। দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো রুহান আসলাম।রুহান আসলাম কে রেগে যেতে দেখে ক্যাফে থেকে বেরিয়ে আসে রোয়েন।চোখ মুছে গাড়ির দিকে পা বাড়ায় রোয়েন।এই শুনো। ড্রাইভার কে ডাকে রোয়েন।জি স্যার!!!!রোয়েনের কাছে এসে বলল ড্রাইভার। তোমার ম্যামকে কল দিয়ে বলো ওকে নিতে এসেছি আমি।জি স্যার।ড্রাইভার ফোন বের করে কল দিলো রুহীকে।
রুহী আসবে কি না বলো?রাগী গলায় বলল রুহান আসলাম।আমি কখনো আসবোনা।ফোন বেজে উঠে রুহীর।রুহান আসলামের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে কল রিসিভ করলো রুহী।হ্যালো।
ম্যাম স্যার নিতে এসেছেন আপনাকে।আমি চলে যাচ্ছি।
ওহ আচ্ছা।রুহী উঠে যেতেই ওর হাত চেঁপে ধরে রুহান আসলাম।চল মা।রুহী হাত ছাড়িয়ে নেয়।কখনোনা রাগী গলায় বলে রুহী।দ্রুত পদে ক্যাফে থেকে বেরিয়ে আসে।রোয়েন গাড়ি থেকে বেরিয়ে রুহীর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায়।কি করছিলে এখানে?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।আ আ আমি আসলে…..মাথা নিচু করে রুহী।রোয়েন রুহীর হাত টেনে গাড়িতে বসিয়ে নিজে ও বসিয়ে পড়লো।রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে ড্রাইভিং এ মন দিলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে আবার নিচে তাকায়।বাসার সামনে এসে গাড়ি থামায় রোয়েন।বের হয়ে রুহীর পাশের দরজা খুলে দিতেই বেরিয়ে আসে রুহী।রুহীর হাত টেনে ধরে রুমে নিয়ে আসে রোয়েন।জামা কাপড় বের করো। গোসল করবো গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।রুহীর মুখে বিশ্বজয় করা হাসি ফুঁটে উঠে।ঝটপট করে রোয়েনের জামা বের করে নেয় রুহী।রোয়েন ফ্রেশ হতে চলে যায়।রোয়েন বেরিয়ে এসে রুহীর হাতে তোয়ালে ধরিয়ে দিয়ে খাটে বসে রুহীর হাত টেনে ধরে কোলে বসিয়ে দেয়।চুল মুছো।রাগী গলায় বলল রোয়েন।রুহীর বিশ্বাস হচ্ছেনা।কি যে ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারবেনা রুহী।হালকা গলা পরিষ্কার করে নেয় রুহী।কিছু ব বব বলার ছিলো।মাথা নিচু করে বলে উঠে রুহী।
হুম কান খোলা আছে।গম্ভীর গলায় বলে উঠে রোয়েন।আমার বাবা এসেছে কিছুদিন আমার সাথে দেখা করতে। আস্তে করে বলল রুহী।আজ ও এসেছিলো।আমাকে নিয়ে যেতে চায় ওনি।নিশ্চয়ই রাজি হয়ে গেছো।কারন তুমি তো চলে যেতে চাও এখান থেকে তাইনা?গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন। না না সত্যি রাজি হইনি।মানা করে দিয়েছি।কেন? জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।কা কাক কারন ওনার বাবা হবার যোগ্যতা নেই।জন্মের পরপরই চলে গেছেন।কিছুটা অভিমানী কন্ঠে বলল রুহী।শুধু এই কারন?রোয়েন রেগে জিজ্ঞেস করলো।রুহী মাথা নিচু করে ফেললো।রোয়েন কিছুনা বলে রুহীর চুলের পিছনে হাত ঢুকিয়ে ওর গলায় চুমু খেলো।রোয়েনের হাতটা রুহীর ঘাড়ে পরশ বুলাচ্ছে।রোয়েনের একেএকটা নিশ্বাস রুহীকে পাগল করে দিচ্ছে।পরম মমতায় চোখ বন্ধ করে নেয় রুহী।হাত থেকে তোয়ালে পড়ে যায়।রোয়েন গলা থেকে সরে রুহীর কাঁধে উষ্ণ ভালবাসার পরশ বুলিয়ে দিতে শুরু করলো।রুহীর কোমড়ে জোরে চেঁপে ধরেছে রোয়েন নিজের সাথে।রুহীর ঠোঁটের কাছে আসতেই ওকে ছেঁড়ে দেয় রোয়েন।রুহী উঠে দাঁড়িয়ে পিছনে ফিরে দরজার দিকে পা বাঁড়ালো।পাশের রুমে চলে এলো রুহী।আজ কতো দিন পর রোয়েনের ভালবাসার পরশ গুলো পেয়েছে ও।একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করছে ওর ভিতর।
কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায় রুহী।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে চুল শুকিয়ে নেয় রুহী।রুম থেকে বেরিয়ে রোয়েনের রুমের দিকে উঁকি দেয় রুহী।রোয়েন রুমে নেই।সিড়ি বেয়ে নিচে চলে আসে রুহী।ডাইনিংটেবিলে বসে আছে রোয়েন।রোয়েনের পাশের চেয়ারে বসে পড়লো রুহী।খাবার সেড়ে রুহীকে নিয়ে রুমে চলে এলো রোয়েন।খাটে শুয়ে ফোনে কথা বলছিলো রোয়েন।ডার্কগ্রুপের লিডার আর তার পরিবারের সকল তথ্য আমার চাই।রুহী পাশে শুতেই বুকে টেনে নিয়ে রাগী চোখে তাকায় রোয়েন।রুহী মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে।রোয়েন আরো জোরে ওর মায়াবতীকে বুকের সাথে জড়িয়ে নেয়(এজন্য রুহান আসলাম হুমকি দিচ্ছিলো ধ্বংস করবে আমাকে?হাহ,আমাকে আজ ও বুঝলো না বুড়োটা।রোয়েন কি জিনিস)ভাবতেই বাঁকা হাসে রোয়েন।
বিকেলে রোয়েনের ঘুমভাঙ্গতেই পাশে রুহীকে পায়না।শোয়া থেকে উঠে বসে হাই তুলে রোয়েন।বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়।রুহী নিচে এসে রোয়েনের কফি রেডি করছে।কফি বানিয়ে উপরে যেতেই ওকে আলমারিতে চেপে ধরলো রোয়েন।রুহীর হাত থেকে কফি মগটি নিয়ে চুমুক দিলো।রুহীকে এক হাতে ধরে রেখেছে।রুহী রোয়েনের দিকে একনজর তাকিয়ে মাথা নিচু করে ফেলল।রোয়েন তো ওর মায়াবতী কে দেখেই যাচ্ছে।মায়াবতীকে দেখার তো কোন শেষ নেই।রোয়েন কফি শেষ করে টেবিলের ওপর রেখে রুহীকে কাছে টেনে নিলো।রুহী রোয়েনের দিকে তাকাতে পারছেনা।রোয়েন মুখে জমানো কফিটা রুহীকে খাইয়ে দিলো।রুহী সরে এলো থু করে ফেলতে যাবে তখনই রোয়েন ওর হাত ধরে ফেলে সবসময় এভাবে কফি খাবে।গম্গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।ক কক কেন? মাথা নিচু করে জিজ্ঞেস করলো রুহী।রুহীর দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে তাকায় রোয়েন।সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায়না।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহী রোয়েনের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে মুচকি হাসলো।রোয়েনের তো মরে যাওয়ার অবস্থা।রুহীর দিক থেকে চোখ সরিয়ে ফোন হাতে নিয়ে বেরিয়ে নিচে চলে এলো রোয়েন।
রুহী রোয়েনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।হাত দিয়ে ঠোঁট দুটোয় আলতো করে হাত ছোঁয়ালো।মানুষটার প্রত্যেকটা ভালোবাসার ছোঁয়া পাগল করার জন্য যথেষ্ট। তার বকা গুলো খুব বেশি ভালো লাগে রুহীর।কারন সেখানে ভালবাসা লুকিয়ে থাকে।রোয়েনের সামনে তার দলের একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে।স্যার তথ্য রেডি।রোয়েন চোখ ছোট করে তাকায়।কি এনেছো?গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করলো রোয়েন।
চলবে