My_Mafia_Boss পর্ব-.৩
Writer:Tabassum Riana
রুহী অবন্তীর রুমে খাটে বসে আছে।অবন্তী ওয়াশরুমে গেল ফ্রেশ হতে। রায়ানের নজর ঠিক লাগেনি রুহীর।অবন্তী আপুকে জানাতে হবে কোন কিছু ঘটার আগেই কথা গুলি ভাবছিলো রুহী। তখনই দরজায় নদুজনে ক পড়ে।খাট থেকে নেমে দরজা খুলে রুহী।রায়ান দাড়িয়ে আছে।রুহীকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখলো রায়ান।কিছু না বলে ভিতরে ঢুকতেই অবন্তী বের হলো বাথরুম থেকে।রায়ান ভাই আপনি?জি অবন্তী তোমার সাথে কথা ছিলো।কি কথা অবন্তী প্রশ্ন করলো।মাথায় হাত দিয়ে কি যেন মনে করার চেষ্টা করলো রায়ান হঠাৎ বলে উঠলো মনে আসছেনা।আসি আমি রুহীর দিকে আড় চোখে তাকিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল রায়ান।রুহী নিচে তাকিয়ে খাটে এসে বসলো। প্রচন্ড বুক কাঁপছিলো রুহীর আজ যদি অবন্তী না আসতো ওর সাথে কি হতে পারতো স্বপ্নে ও ভাবতে পারছেনা রুহী।রুহীকে দেখে অবন্তী বলে উঠে কি হয়েছে তোর?কিছুনা আপু। রুহী বালিশ নিয়ে শুয়ে পড়ল।অবন্তী ও রুহীর পাশে শুয়ে পড়ে।গভীর রাতে রুহীর মনে হতে থাকে কেউ যেন ওর পুরো শরীরে হাত বুলাচ্ছে।বালিশটা বুকে জোরে চেপে ধরে থাকে রুহী বুক কাঁপছে।পেট ছেড়ে হাত বুকে আসতেই রুহী উঠে অন্ধকারে কোন একটা পুরুষ ছায়াকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে দেখলো।অবন্তী বেঘোরে ঘুমুচ্ছে।রুহী একটু পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়লো।উড়না বুকে জড়িয়ে নেয় ভালো মতো।
৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ সকালে ঘুম ভেঙ্গে উঠে রুহী।ঘড়ি চেক করে দেখলো ছয়টা বাজে।ওয়াশরুমে ঢুকলো ফ্রেশ হওয়ার জন্য।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে চুল বেঁধে নিলো রুহী।পাকঘরে চলে আসে নাস্তা বানাতে।কাল রাতের বিষয়টি মাথা থেকে কোনভাবেই সরাতে পারছেনা। কে ছিলো সে?রায়ান ভাই নয়তো?কি করবে সে কাকে বলবে?কেউ যদি বিশ্বাস না করে?
রোয়েন ঘুমিয়ে আছে।ফোনে কল এসেই চলেছে। ওর লোকেরা কল করছে।ঘুমের মধ্যে ফোন কানে দিলো রোয়েন কি প্রবলেম রাগী গলায় বলে উঠলো।স্যার ১২টা বাজে আসবেননা আপনি?বারবার কল করছো রিসিভ হচ্ছেনা দেখে বুঝতে পাচ্ছোনা ঘুমুচ্ছি আমি?ডোন্ট কল মি এগেইন।সময় হলে আমি আসবো।
স্যার ঐ লাশটার ব্যাপারে কি করবেন?সেটাও আমাকে বলতে হবে?ফালায় দেয় কোথাও বলে ফোন কেঁটে আবার ও বালিশ চেপে শুয়ে পড়লো ও।
রুহী বেশ কিছুক্ষন ধরে চুপচাপ বসে আছে।অবন্তী ওর পাশে এসে বসলো কি হয়েছে রুহী? কি নিয়ে অতো ভাবছিস?কাল থেকে দেখছি মন ভালো নেই তোর।কিছু হয়েছে?না আপু কিছু হয়নি।সত্যি তো রুহী?জি আপু। ওকে চল শপিং এ যাই।মামী বকা দিবে ভয়ার্ত কন্ঠে বলল রুহী।আমি আছিনা?চল রেডি হয়ে নেয়।খাট থেকে উঠে জামা নিয়ে ওয়াশরুমে গেল রুহী।রুহী আর অবন্তী মার্কেটের সামনে দাড়িয়ে আছে।আপু আমরা কি এখানে দাঁড়িয়ে থাকবো?আরে নাহ ও আসবে?কে নুহাশ ভাই হালকা হেসে বলল রুহী।হুম।হায় গার্লস সরি লেট হলাম নুহাশ এসে ওদের পাশে দাঁড়ালো। হায় রুহী।ভালো আছেন ভাইয়া?হুম। তুমি কেমন আছো? ভালো।নুহাশ ভিতরে যাই চলো অবন্তী বলে উঠলো।
হ্যা চলো। ওরা রুহীকে জোর করে বেশ কিছু জামা কিনে দিলো অনুষ্ঠানে পরার জন্য।
পরদিন অবন্তীর গায়ে হলুদ আর দুদিন পর বিয়ে।রাতে রায়ান আনিলা বেগমের কাছে এলো ফুপু!!!!কিরে রায়ান?একটা কথা ছিলো।আনিলা বেগম শোয়া থেকে উঠে বসলো বল কি বলবি?রুহী কে বিয়ে করতে চাই।রুহী কে বিয়ে করতে চাস অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো আনিলা বেগম।জি ফুপি।পাগল হয়ে গেছিস তোর ফুপা জীবন ও রাজি হবেনা। তাইতো তোমাকে বলছি।যদি ফুপাকে রাজী করাতে পারো তাহলে পঞ্চাশ হাজার টাকা পাবে।পঞ্চাশ হাজার!!!!চোখ বড় বড় করলো আনিলা বেগম।হুম ফুপু ভেবে দেখো। নিশ্চিন্ত থাক তোর ফুপাকে রাজি করাবো আমি।এইতো আমার লক্ষী ফুপু।আসি তাহলে ঠিক আছে?হ্যা শুয়ে পড়লো আনিলা বেগম।আফজাল কে যে করে হোক রাজি করাতে হবে।পরদিন সন্ধ্যা সবাই রেডি হচ্ছে। রুহী কাজ সেরে রুমে এলো।অবন্তীর কিনে দেয়া হলুদ জামদানী শাড়ী পরে নিলো।চুল গুলো কে বেনী করে এক পাশে ছেড়ে দিলো। দুহাত ভর্তি লাল চুড়ি কপালে লাল টিপ।চোখে কাজল। অসম্ভব সুন্দর লাগছে রুহীকে।অবন্তী ও পার্লার থেকে ফিরে এসেছে।রুহীকে দেখে বলতে লাগলো বাহ বোনটাকে তো দারুন লাগছে।থ্যাংকস আপু তোমাকে ও সুন্দর লাগছে।হুম খাটে বসলো অবন্তী।
উফ আনিলা কি শুরু করলে বলো তো?তোমার ভাইয়ের ছেলের চরিত্র ভালো না। আমি এমন ছেলের সাথে রুহীর বিয়ে দিবোনা। যে মেয়ের বাপের চরিত্র ভালো না সে মেয়ে আর কতো ভালো হবে?তুমি ওকে নিয়ে কোন কথা বলোনা আনিলা।এতো শতো বুঝিনা আফজাল রায়ানের সাথে রুহীর বিয়ে হবে নাহলে আমি চলে যাবো।এসম্পর্কে পরে কথা বলবো আমরা রুম থেকে চলে গেলেন আফজাল সাহেব। অবন্তীকে হলুদ দেয়া হচ্ছে। রুহী খেয়াল করছে রায়ান ওকে ধরার চেষ্টা করছে।রুহী সরে সরে দাঁড়াচ্ছিলো বারবার।একসময় আর না পেরে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয় রুহী।
অনুষ্ঠান শেষে রুমে ফিরে আসে অবন্তী।কিরে চলে এলি যে?ভালো লাগছিলো না আপু অসুস্থতার ভান করে শুয়ে থাকলো রুহী। রুহীর কপালে হাত দিলো অবন্তী জ্বর তো নেই। নাহ আপু জ্বর না এমনিই ভালো লাগছেনা।ওহ শুয়ে থাক।হুম চোখ বন্ধ করলো রুহী।সেদিন রাতে ও শরীরে কারোর হাতের ছোঁয়া পাচ্ছিলো রুহী।আজ ভাবলো চিৎকার করবে চিৎকার করতে নিলেই একটি হাত মুখ চিপে ধরলো।হাত পা ছিটাতে লাগলো রুহী।কামড় দেয়ার চেষ্টা করছিলো। হঠাৎ অবন্তী নড়ে উঠায় মানুষটি দৌড়ে পালিয়ে গেল।রুহী উঠে বসে। চোখের কোনা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে।
Uh pls Royen stop it darling.you are gonna kill me now.You should stop your mouth for god sake.Doneউঠে পড়লো রোয়েন take your dress and get out.মেয়েটি নিচে বসে জামা নিয়ে দৌড়ে চলে গেল।বাথরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নেয় রোয়েন।মেয়েদের প্রতি আসক্তি আছে ওর। তবে সকালের আলো ফুটতেই আসক্তি ও চলে যায়।রাতের অন্ধকারে কতো মেয়েকে বিছানায় নিয়েছে রোয়েন তার ইয়ত্তা নেই। তবে একজনকে একবারই।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে রোয়েন।সাদা নাইটড্রেস টা পরে ড্রয়ারে গান গুলোকে একবার চেক করে নেয়।
তিনদিন পর অবনীর বিয়েটা ও হয়ে যায়।আনিলা আেগম প্রত্যেকদিনই অাফজাল সাহেবের কান বয়রা করে ফেলেছে রায়ান আর রুহীর বিয়ে নিয়ে।লোকটা বড় ঘাড়তেড়া কিছুতেই মানছেননা।পরদিন ঠিক করলেন রুহীকে দিয়ে আসলেন ওর অর্ফানেজে।মেয়েটি ভীষন কাঁদছিলো মামা কে ধরে।নিজেও চোখের পানি আটকাতে পারেননি।রুহী কে বুঝিয়ে সুঝিয়ে চলে এলেন ঘরে।
রুহী রুমে চলে এলো।জামাকাপড় গুছিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল।
রোয়েন ওর রুমে বসে আছে টেবিলের ওপর দুপা তুলে।সিগারেটের ধোঁয়া নাক ছাড়ছে ও।ওর একজন লোক এসে জানালো জামাল (রোয়েনের চাচা)এসেছেন।আসতে দাও।জামাল সাহেব রোয়েনের সামনের চেয়ারে বসলেন। পা সরিয়ে ঠিক করে বসে আরেকটি সিগারেট ধরালো কি চান?বববল ছিলাম কি ত তোমার ততো বিয়ে ক করা উউচিৎ নয় কি?আগে ও বলেছিলাম এখনো বলছি Don’t interfare in my personal life is that clear? হুম তবে কাউকে পছন্দ করোনা?রোয়েন কাউকে ভালবাসবে এমন কেউ জন্ম নেয়নি get out.ঠিক আছে জামাল সাহেব উঠে চলে গেলেন।
চলবে