#MR AND MRS WHATEVER
পর্ব:10
#লেখিকা-Arshi khan
Welcome to my show love is life এর নতুন আরেকটা এপিসোড এ ।পাচঁমিনিট এর বিরতির পর আমি RJ NUSRAT ফিরে এসেছি ভালোবাসার নতুন কিছু গল্প তোমাদের সাথে শেয়ার করতে।আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করব আজকে এই দুইটা লাভ স্টোরি শেয়ার করার ।জদি সময় সাপেক্ষ হয়তো।তো চল শুরু করা যাক আমার প্রথম ভালোবাসার গল্প টা।আমার এই গল্পের মূল চরিত্রে রয়েছে আমার আব্বু, আম্মু আর আমার শাশুরী।ও বলা হয়নি আগের সপ্তাহে আমার বিয়ে কমপ্লিট হয়েছে।আর আমার শাশুরী খুব অসুস্থ ওনার জন্য সবাই দোয়া করবেন। এখন আসি মূল গল্পে।
1:1984সালের দিকে আমার আব্বু আর শাশুরী আম্মু কবি নজরুল কলেজে পড়ালেখা করতেন।আম্মু ছিল ইন্টার এর স্টুডেন্ট আর আব্বু অনার্স এর।যাইহোক তাদের প্রথম দেখা হয় অডিটিরিয়াম এ নবীন বরণ এর সময়।আমার শাশুরী আম্মু মাসাআল্লাহ দেখতে ছিলেন। ঐ সময় খুব কম সংখ্যক মেয়ে কলেজ পড়তেন।তাই তাদের উপর ছেলেদের উৎকন্ঠা কাজ করতো বেশি।আমার শশুরীকে দেখে আব্বুর খুব পছন্দ হয়ে যায়।প্রায় তিনমাস ঘোরার পর উনি আব্বুর প্রপোস এ রাজি হয়।তারপর তাদের প্রেম শুরু হয়।যেমন কলেজ এ এসে দেখা করা,চিঠি আদান প্রদান করা ইত্যাদি।হঠাৎই একদিন আম্মু কলেজ আসা অফ করে দেয়।কারণ ওনাকে আমার নানা শশুর বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল। সেই সময় মেয়েদের কথা শোনার প্রয়োজন মনে করতেন না।তাই যখন দেখতে এসে আমার শশুর ওনাকে পছন্দ করে নানা আম্মুকে না জিজ্ঞেস করেই বিয়ে ঠিক করে দেন।আর স্টাডি ও অফ করে দেয়।এক সপ্তাহ সময় নিয়ে তাদের বিয়ে হয়।অন্য দিকে আব্বু তো তাকে না দেখতে পেরে বেকুল হয়ে যায়।একদিন দুইদিন করে একমাস পার হয়ে যায়।তার আসার কোন খবর নেই। হঠাৎই একদিন আম্মু কলেজ যায় সার্টিফিকেট এর জন্য ।সেইদিন আব্বু কে আম্মু জানিয়ে দেয় তার বিয়ের কথা।আব্বু এরপর স্টাডি বাদ দিয়ে নেশার জগতে লিপ্ত হয়।আমার দাদা অনেক কষ্ট করেও তাকে ফেরাতে পারছিল না।প্রায় পাঁচ টা বছর উনি নিজেকে নেশার জগতের মধ্যেই ডুবিয়ে রেখেছিল।কিন্ত 1995 এর দিকে দাদুর হঠাৎই অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে আব্বুর বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয় আমার আম্মুকে। কারণ আব্বুর ছোট দুই ভাই বোন কে দেখে রাখার জন্য হলেও কাউকে দরকার ছিল।
গল্পের মাঝে নিচ্ছি একটু ব্রেক। ফিরে আসছি পাচঁমিনিট এর বিরতির পর। STAY TIUN LOVE IS LIFE WITHIN RJ NUSRAT (নুসরাত সবার উদ্দেশ্য)
অন্যদিকে
রিতা রিতা শুনে যাও এদিকে। (চিৎকার করে মামুন জামান)
কি হল কি এমন চিৎকার করছেন কেন?(ঘরের থেকে দৌড়ে ডাইনিং রুমে এসে রিতা বেগম)
তোমার মেয়ে এগুলো কি শুরু করেছে?আমার মান ইজ্জত ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার জন্য এইকি ও রেডিও তে কাজ করছে?(চিৎকার করে মামুন জামান)
কি করেছে টাকি?(রিতা বেগম ভিতু সুরে)
সে তার স্টুডিও তে হাজার হাজার মানুষ কে আমার আর মরিয়ম এর গল্প শোনাচ্ছে। আর এখন আমার আর তোমার গল্প বলবে বিরতির পর। ওকে কল করে থামাও নাহলে আশরাফুল এসব শুনলে অনর্থ হয়ে যাবে।(মামুন জামান দাঁতে দাঁত চেপে)
হ্যা হ্যা কল করছি।
আমি তাড়াতাড়ি ফোন হাতে নিয়ে কল করলাম কিন্ত মেয়েটার ধরার নাম এই নেই।ও ভুলেই গেছি ও শো শুরুর আগে সাইলেনট করে নেয় ওর মোবাইল। এখন কি হবে মেয়েটা কি সব বলে দিবে তাহলে যে এই মানুষটার মনে খুব আঘাত পাবে।(মনে মনে রিতা বেগম)
কি হল কল করো একটা কল করতে এত্ত সময় লাগে নাকি!(মামুন জামান চিৎকার করে)
কল করছি না ধরলে আমি কিকরে শো অফ করতে বলব?(রিতা বেগম চিন্তিত কন্ঠে)
আমি বলেছিলাম বলেছিলাম ওকে এই কাজ করতে হবে না।এখন আমার মান সম্মান সব নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।কেমন মেয়ের জন্ম দিয়েছ তুমি?(চিৎকার করে মামুন জামান)
আমার আর কিছু বলার ভাষা নেই।আমি নিস্তব্ধ থাকলাম। কারণ অবুঝ কে বুঝানো সম্ভব না।বলুক আমার মেয়ে সব বলুক।আমার মেয়েটার মনের কষ্ট গুলো ও সবার জানা উচিত। আমি কল না করে 98:2 Fm চালু করলাম স্পিকার দিয়ে । ওর ও শুনা উচিত ওর অন্যায় গুলোর কথা।(মনে মনে রিতা বেগম)
রেডিও স্টেশন
Welcome to my show love is life. ফিরে আসলাম পাচঁমিনিট এর বিরতির পর আমি RJ NUSRAT। এরপর এর কাহিনী তে চলে যাচ্ছি সরাসরি।
1:আব্বু আম্মুকে দায়ে পরে বিয়ে করেন।উনি তার প্রথম ভালোবাসাকে ভূলতে পারেননি কোনদিন। আমার আম্মুকে উনি সব কিছুই দিতেন ভালোবাসা বাদে।আম্মু ছিল গরিব ঘরের মেয়ে। ছয় বোন এর সংসার চালানো খুব কষ্টকর ছিল নানার কাছে। তাই অল্প বয়সেই সব মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিত।আর সে সময় অল্প বয়সে বিয়ে হতো।আম্মুর বয়স ছিল মাত্র পনের।আর আব্বুর প্রায় ত্রিশ পেরিয়ে গেছিল।মাত্র পনের বছর বয়সে পুরো সংসার এর হাল আম্মুর উপর পরার কারণে সে নিজের যত্ন নিতে ভুলে যান।বিয়ের চার বছরেও আম্মুর বেবি না হওয়ার কারণে সমাজের সকলে খুব করে অপমান অপদস্থ করত। আম্মুর কিছু করার ছিল না।আব্বু চাইতো না কোন বেবি হোক।কিন্ত আম্মু সবার মুখ বন্ধ করার জন্য আব্বুর পায়ে পরে একটা বেবি নেওয়ার জন্য। পরে আম্মুর কথাতে আব্বু রাজি হয় বেবি নেওয়ার জন্য। তারপর আল্লাহর রহমতে আমার জন্ম হয়।আমাকে পেয়ে আম্মুর খুশির সীমানা ছিল না।কিন্ত আব্বু আমাকে পছন্দ করতো না।আর না এখন করে।হয়তো এই কথা গুলো শেয়ার করার কারণে আম্মুর উপর তার রাগ এর বর্ষণ হচ্ছে। কিন্ত তাও আমি আজকে বলব।আর একা কষ্ট নিতে পারছিনা আমি।হ্যা সবাই ঠিক শুনতে পাচ্ছ আমি তোমাদের RJ NUSRAT যে সবার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য খুঁজে খুঁজে ভালোবাসার গল্প বের করি সে নিজেই তার বাবার ভালোবাসার থেকে বঞ্চিত। আমার আব্বু কোনদিন আমাকে আদর করে বলেনি মা তোমার কি লাগবে,মা আস তোমাকে খাইয়ে দেই,মা আস তোমার আম্মু অসুস্থ তোমাকে স্কুলে পৌঁছে দেই,মা তোমার চুল গুলো একটু বেনি করে দেই,ঐখানে মেলা বসেছে একটু ঘুরতে নিয়ে যাই,কোনদিন খাবার এনে বলেনি এটা আমার জন্য, কোনদিন কোন খেলনা ও কিনে দেননি।এসব নাহয় বাদ সে আমার জন্য কোনদিন স্কুলের কাজে ও যেতেন না ।সর্বদাই সে টাকা দিয়ে সব কাজ সেরে ফেলত।তার কাছে আমি কোন ভালোবাসা না পেলেও হাজার বার বকা খেতে হয়েছে কারণে-অকারণে।তার চোখের বিষ ছিলাম আমি।সরি সরি একটু ইমোশনাল হয়ে গেলাম। মাফ করে দিও প্লিজ সবাই।এখন এই কথা গুলো সাইটে রেখে আরেকটা গল্পে যাচ্ছি তার আগে নিয়ে নিব ছোট্ট একটা বিরতি।বিরতির পর ফিরে আসছি RJ NUSRAT STAY TIUN LOVE IS LIFE. (নুসরাত )
বিরতির ফাকে
নুসরাত তোর লাইফের এই কথাগুলো কেন কোনদিন বললি না?তোর কথা শুনে হাজার দর্শক কান্না তে ভেঙ্গে পড়েছে।সবাই তোর ফেসবুক পেজে কমেন্ট করছে।তোর বাবার শাস্তি চাইছে। (লারা নুসরাত এর ফ্রেন্ড স্টুডিও)
এসব কি সব সময়ই বলা যায়।আজকে বলার একটা কারণ আছে তাই বললাম। এখন আমি শো অন করব তোর সাথে পড়ে কথা বলছি। (নুসরাত লারার উদ্দেশ্য)
ওকে।(বলেই বেরিয়ে আসলাম লারা)
আবার শো শুরু করেই সেকেন্ড গল্পটা শেয়ার করলাম। এই গল্পের মানুষটা আমার সবটা জুরেই বিচরণ কারি ছিল। আমার আসক্তি আমার নেশা আমার আবির আমার ভালোবাসার আবির। দুইবছর আগে।
2:দুইবছর আগে আমি প্রথম এই রেডিও তে কাজ করার কথা ভাবি।জাস্ট বিকজ RJ ABIR এর জন্য। ওর শো টা ছিল হরোর বেজ এর।ও সকল হরোর স্টোরি কালেক্ট করে তা প্রতি বুধবার শুনাতো।ওর শো এর নাম ছিল #জদি_ভুত_আসে(জাস্ট কাল্পনিক)।ওর শো শোনার আগ্রহ ছিল কারণ ওর কন্ঠ ছিল মাসাআল্লাহ ।ওকে এফবিতে নক করে ও আমার তেমন কোন লাভ হয়নি।তাই আমি জকি তে কাজ করার কথা ভাবলাম। ভাগ্য ভাল ছিল সেই সময় একটা শো এর জন্য মানুষ খোঁজা হচ্ছিল। আর আমার ভাগ্য আরো ভাল ছিল তাই বেশি কষ্ট করতে হয়নি।আমার ভয়েস টা গড গিফটেড বলা চলে। স্টুডিও তে কাজ করার কথা বললে আব্বু মানতে চায়নি।কিন্ত আমার জেদ কে আমি প্রাধান্য দিয়ে আমি কাজ শুরু করি।কিন্ত আবির এর সাথে দেখা করার আর চান্স হয়ে উঠে না।কারণ আমার শো মঙ্গল আর বুধবার। আর আবির এর শো শুক্রবার তাও রাত বারোটার দিকে।দুইমাস কষ্টের পর আমাদের স্টুডিও তে একটা ফাংশন এর আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই আমি আবির কে প্রথম দেখি।মাসাআল্লাহ কন্ঠস্বর এর সাথে মাসাআল্লাহ চেহারা ছিল ওর।বয়সে আমরা ছিলাম ছয়মাসের ছোট্ট বড়।আর আনফরচুনেটলি আমি ওর বড় ছিলাম। তাই ওর সাথে কথা বলার মানে এমন কিছু ভাবা খুব লজ্জার। কিন্ত ও নিজেই এসে আমার সাথে কথা বলে।ও এত্তটা মিশুক তাই ওর সাথে বন্ধুত্ব হতে আমার তেমন টাইম লাগেনি।তবে ভালোবাসা কোনদিন বয়স মানে না। আর এটাই আমাদের সাথে হয়েছিল। ও আমাকে প্রপোস করলে আমি রীতিমতো শকড হয়ে যাই।পড়ে আমি নিজেও আমার মনের কথা ওর কাছে তুলে ধরি।এরপর শুরু হয় আমাদের দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসা।স্টুডিও তে সবাই আমাদের জুটির নাম দেয় নিবিরাচ্ছন্ন ।কারণ আমাদের ভালোবাসা নিরব থেকে পরিপূর্ণ তা পেত।চোখের ভাষাতেই দুজন দুজনের মনের কথা বুঝতে পারতাম।আমাদের কথা মেসেজ এই হতো।মাসে একবার দেখা করতাম তাও স্টুডিও তে। হঠাৎই ও এসে আমাকে সারপ্রাইজ দিত।আর ওর মুখে যখন আমি সুনতে পেতাম O MY DREAM GIRL আমার কেন তোমাকে ছাড়া অন্য কিছুই ভাল লাগেনা।সেই সময়ে আমার খুবই হাসি আসতো।কিন্ত হঠাৎই আমাদের ভালোবাসার রং বদলাতে শুরু করে।ধীরে ধীরে ভালোবাসা তে মরিচা পড়তে শুরু করে।ওর হাবভাব কেমন খাপ ছাড়া হতে থাকে।আমার প্রতি কোন কিছু ওকে আসতে বাধা দিত।ও নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হতে শুরু করে।কিন্ত একদিন ও আমার ভালোবাসা উপেক্ষা করে সকলের মায়া ত্যাগ করে নিজের ডিপরেশন কমানে মৃত্যুর পথ বেছে নেয়।আর তারপর আমি আবার ভালোবাসার মানুষটির থেকে কষ্ট পেয়ে নিজের প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হতে লাগে।আমিও কয়েক বার চেয়ে ও পারিনি আবির এর মত করতে।সাহসে কুলোয়নি।আমি ভালোবাসার জন্য যাকে চেয়েছিলাম সে আমার হয়নি,যার একটু ভালোবাসার জন্য কান্না করতাম সেও কোনদিন ভালোবাসেনি।আর এখন থাক না বলি।ও আরেকটা কথা বললে হয়তো তোমরা আমাকে খারাপ ভাববে,অনেকে গালি ও দিতে পার কিন্ত সত্যি টা বলা জরুরী।আবির আমার হাজবেন্ড এর ছোট ভাই ছিল। আর আবির এর মৃত্যুর জন্য আমার হাজবেন্ড আমাকে দোষি মনে করে।তবে সব শেষে একটাই কথা বলার ছিল নিজের মানুষদের প্রতি ভালবাসা দিতে না পারুন একটু যত্নশীল হতে পারেন তো।তাদের একটু খোঁজ নিতে পারেন, ভুল বুঝে শাস্তি না দিয়ে আধুও ভুল ছিল কিনা জিজ্ঞেস করতে পারেন। কারণ অকারণে শাস্তি গুলো কিছুটা কাটা হয়ে রয়ে যায় মনের গহীনে।
আজকে সবাইকে কাদিয়ে ছাড়লাম।সবাই ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।আর আমি Rj NUSRAT বিদায় নিচ্ছি LOVE IS LIFE এর আজকের পর্ব থেকে।আর ফিরে আসবো আবার নতুন কোন ভালোবাসার গল্প নিয়ে।STAY TIUN আল্লাহহাফেজ(নুসরাত সবার উদ্দেশ্য)
শো শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হলাম। আজকে নাজানি কপালে কি দুঃখ আছে।এখন রাত বাজে সাড়ে এগারোটার কাছাকাছি।এত্তক্ষণে নিশ্চিত MR WHATEVER বাড়ি তে চলে আসছে।কিন্ত জদি আমার শো বাই চান্স শুনে আমাকে মেরে গরম ভাতের সাথে খেয়ে ফেলবে।এত্ত টা খবিশ কেমনে হয় মানুষ। না জেনে না বুঝে আমাকে টর্চার করিস।তোর বেটা কপালে একটা শাকচুন্নি বউ জুটবে দেখে নিস।ওমা ওর বউ তো আমি ।আমি মোটেও শাক চুন্নি না।এসব ভাবতে ভাবতেই বাঘের খাচায় প্রবেশ করিলাম।কিন্ত কথায় আছে যেখানে বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধা হয়।আমার ক্ষেত্রেও যেখানে খবিশ এর ভয় ঐখানে রাত হয়।(নুসরাত মনে মনে)
আম্মু নুসরাত এত্ত রাতে কোথায় গেছে তুমি জানোনা?(আশরাফুল মরিয়ম বেগম এর উদ্দেশ্য)
ওতো আমার রুমে এই ঘুমায়।(আমতা আমতা করে মরিয়ম বেগম)
মিথ্যা বলতে শিখে গেছে ঐ মেয়ের সাথে থেকে?বাহ বাহ কি সুন্দর গুছিয়ে মিথ্যা বলছ।তাও ঐ মেয়ের জন্য তোমার ছেলের সাথে!(আশরাফুল অবাক হয়ে রাগ দেখিয়ে)
গেছে আমি পাঠিয়েছি একটা কাজে।তোর সমস্যা তুই যা ঘুমাতে।ও আসলে আমার সাথে ঘুমাবে।(মরিয়ম বেগম রাগি সুরে)
কিছুক্ষণ পর
গেটের বারে দাড়িয়ে আছি পাচঁমিনিট যাবত। কিন্ত আম্মুর খোলার নাম ও নেই।এদিকে কল ও ধরছে না।আর কলিং বেল দিলেও সমস্যা জদি আশরাফুল বাড়িতে থাকে আমাকে কাচাঁ গিলে ফেলবে without salt. কিন্ত এভাবে আর কত্তক্ষন দাড়িয়ে থাকা পসিবল। তাই আল্লাহর নাম নিয়ে দিলাম কলিং বেল
বেলে চাপ।কিন্ত!(নুসরাত মনে মনে)
***********(চলবে)***********