#MR AND MRS WHATEVER
পর্ব:9
#লেখিকা-Arshi khan
কিছুক্ষণ আগেও আশরাফুল আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে।অনেকক্ষন ভেজা জামা পড়ার কারণে যখন আমি শীতে কাপছি তখন ও আমার লাগেজে বসে গেম খেলছিল।তাই আমি রাগ করে আমার ভেজা জামা টা খুলে ওর উপর ফিকে মারি।এতে ও আরো রেগে যায় আমার পেটের ক্ষত স্থান এ আবার হাত দিয়ে চেপে রক্ত বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে।তারপর রক্ত বের হওয়ার পর ও উঠে আবার গিয়ে বসে পড়ে।আমি ভাল মতো কাথা জড়িয়ে শুয়ে আছি।শরীরে জ্বর এর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।এদিকে সকাল থেকে না খেয়ে শরীর খুব দূর্বল লাগছে।আমার আব্বুর প্রতি ঘৃণার মাত্রা আরো বাড়তে লাগল। কারণ টা হল সে তার এক্স কে খুশি করতে আমার বলি দিয়েছে।তার এই ভালোবাসার কারণে আমি আর আম্মু সর্বদাই অবহেলিত। আর এই যে বিয়ে দিয়ে দিল কালকের থেকে একবার ও কল করে একটু খোঁজ ও নেইনি।কেমন আছি?কি খাচ্ছি?খোঁজ নিবেই বা কেন সে তার ঘার থেকে আমাকে নামিয়ে মুক্ত হতে পেরেছে যে।এসব ভাবছিলাম হঠাৎই দেখি আশরাফুল আমার পাশে বসে সিগারেটে খাচ্ছে। কালকে রাতের থেকে এই জিনিস টাকে আমার খুব ভয় লাগে। আগে ঘৃণা করতাম আর এখন ভয় লাগছে।আমি ভয়ে একটু সরে আসলাম সাইটে তারপর কাথা মুড়ি দিয়ে রাখলাম। কিন্ত ও আমার কাথা সরিয়ে আমার মুখে ধোঁয়া টা ছাড়ল।আমি এখন ও ভয়ে চুপসে আছি।আবার জদি সিগারেট চেপে ধরে তো!(মনে মনে নুসরাত)
নাও এটাতে একটা টান দাও।(আশরাফুল নুসরাত এর মুখের সামনে সিগারেট নিয়ে)
আপনি কি পাগল এমন করছেন কেন?আর প্লিজ বলবেন কেন আর কোন অপরাধের শাস্তি আমাকে দিচ্ছেন?(নুসরাত সরে বসে)
আরে বেবি জানতে পারবে।একটু সবুর কর।আর জানার জন্য পুরো লাইফ এই পড়ে আছে যে।এখন একটু সিগারেটে টান দাওতো জলদি।(আশরাফুল নুসরাত এর উদ্দেশ্য)
আমি পারি না কান্না করে দেই এমন অবস্হা ।কিন্ত বরাবর এই আমার কান্না লুকিয়ে আমি ওর দিকে তাকালাম। তারপর আস্তে চোখ বন্ধ করে নিলাম। আমি জানি এতে ও টর্চার করবে।কিন্ত আর যাইহোক সিগারেট খাওয়া পসিবল না আমার জন্য। আমার সামনে ও খাওয়ার কারণে আমার বমি আসছে।আর নিজে খেতে গেলে আমি মরেই যাব।(নুসরাত মনে মনে)
কি হল কি বলছি শুনতে পাওনি?(আশরাফুল নুসরাত এর চুল ধরে)
আমি নিশ্চুপ এই থাকলাম।ও অনেকক্ষন ডাকল।যদিও গাল চেপে, চুল টেনে কিন্ত আমার সারা শব্দ না পেয়ে ও আমার কানে জোড়ে কামর বসিয়ে দিল। এইবার ও আমার কোন রিয়াকশন না দেখে আমার গলা ও হাতের পার্স চেক করল ।আর হার্টবিট ও চেক করল পরে কোথায় যেন চলে গেল। আমি আর নিতে পারছিনা।একদিনেই এত্ত কষ্ট দেওয়ার কোন মানে আছে।কারণ ছাড়া কেউ কোনদিন এমন করতো না।নিশ্চিত কোন বড় কারণ আছে আর তাই জন্য ও এমন করছে।ওর আম্মুর আর আমার আব্বুর রিলেশন এর ব্যাপার না এইটা।এইটা এমন কিছু যা আমার অবগত নয়।কিন্ত আমি কারো এমন ক্ষতি করিনাই যে আমার এত্ত কঠিন শাস্তি পেতে হবে।এসব চিন্তার মধ্যেই অনেক টা সময় পার করলাম। অনেকক্ষন পরিবেশ ঠান্ডা লাগছে।আইমিন ঐ বেটা মনে হয় ঘরে নাই।আমি এই ফাকে ড্রেস পড়ে নেই।যেই ভাবা সেই কাজ আমি আগে চোখ খুললাম খুলে দেখি রুমে কেউ নাই।তাই জলদি উঠে দৌড়ে আগে গেট লক করেছি তারপর লাগেজ খুলে একটা ড্রেস বের করে পড়ে নিলাম। ওর থেকে বাঁচার জন্য গেট নাহয় লক করলাম ।কিন্ত খাবার টা পাই কোথায়?ফ্রেন্ড দের কল করব যদি ডেলিভারী দিতে আসে তখন ঐ বেটা আমার খবর করে ছাড়বে।কিন্ত তাই বলে না খেয়ে থাকা খুব কষ্টকর।আমি আর না খেয়ে থাকতে পারছিনা। খুদার কারণে শরীর কাপছে।আমি তাই রুম থেকে বের হয়ে আম্মুর রুমে আসলাম।
আম্মু আমার খুদা লাগছে। আপনি কি আমাকে কিছু খাবার দিতে পারবেন?(নুসরাত মরিয়ম বেগম এর উদ্দেশ্য)
আরে নুসরাত এসো বস।তোমার মুখটা এমন শুখনো দেখাচ্ছে কেন?সকালে খাওনি?(অবাক হয়ে মরিয়ম বেগম)
হ্যা মানে খাবারে তেলাপোকা পড়েছিল তাই খেতে পারেনি।(আপনার ছেলে খাবার দিলে তো খাবার।ঐ বেটার জদি খবর না করি আমার নাম ও নুসরাত না।কিন্ত ওর শক্তির সাথে আমি পেরেই উঠি না।মনে মনে নুসরাত)
আচ্ছা তুমি বস আমি খাবার এনে দিচ্ছি। (মরিয়ম বেগম বলেই রান্নাঘরে চলে আসলাম)
আম্মু খাবার আমার হাতে দিতে দেরি আমার খেতে দেরি হয়নি।উনি অবাক চোখে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।তাতে আমার কি পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি। পেটে খাবার না থাকলে হাজার সুখ ও সুখ মনে হয়না।আর খাবার থাকলে হাজার কষ্ট ও যেন কিছুই মনে হয়না।আমি খাবার খেয়ে হাত ধুয়ে আম্মুর সাথেই বসে থাকলাম। কালকে যেহেতু আম্মুকে হসপিটালাইজ করা হবে তাই প্রয়োজনীয় জিনিস আমি ব্যাগে ভরে নিচ্ছি। আম্মুর সাথে আমি কথা বলছি আর কাপর গুছিয়ে নিচ্ছি।হঠাৎই আশরাফুল এসে আমার মুখ চেপে ধরল পেছন থেকেই। আমি আম্মুর দিকে তাকিয়ে দেখি আম্মু ঘুম ।এত্তক্ষণ তাহলে একলাই বকবক করলাম আমি।এইদিকে ওনাকে দেখতে দেখতে আশরাফুল আমাকে টেনে রুম থেকে বাইরে নিয়ে আসছে।খবিশ টা মুখ এত্ত জোরে ধরছে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই হাতে কাপর বসিয়ে দিলাম।
খবিশ বেটা মেরে ফেলতে চাইছ?হ্যা মারার পর আরেকটা বিয়ে করবে তাইনা?মেরে বালি চাপা দিয়ে দিব বলে রাখলাম। (নুসরাত আশরাফুল এর উদ্দেশ্য হালকা চিৎকার করে)
খুব সাহস বেড়েছে দেখছি।তোমার এত্ত সাহস আসল কিভাবে আমার হাতে কামর দাও?(নুসরাত এর হাত চেপে ধরে আশরাফুল)
ছাড় বলছি। খবরদার আমার সাথে লাগতে আসবে না অনেক সহ্য করেছি আর না।আমাকে কি ইনোসেনস ভাবস তাহলে একদম ঠিক ভাবছ আমি খুব এই সহজ সরল।হিহি।(নুসরাত নিজেকে ছাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে হাসতে হাসতে)
কামর কেন দিলে তার উত্তর দাও?(নুসরাত কে জোরে ধমক মেরে আশরাফুল)
তুমি কাল থেকে শখানেক কামর মেরেছ।আমি তো মাত্র একটাই মারছি তাও ছোট করে।আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল তাই।আর আমি মারা গেলে তুমি টর্চার কাকে করবে সেইটা ভেবেই কামর টা মারছি।(ঠোঁট উল্টে নুসরাত)
জাস্ট সেট আপ ইউ স্টুপিট গার্ল। গেট লসট ডাফার।(চিৎকার করে আশরাফুল)
হুম।
স্টুপিট, ডাফার তোর মাথা শালা খবিশ। যদি পারতাম তোরে গ্রিল করে খাইতাম। আমাকে কষ্ট দিতে দিতে আমার জ্বর আনলি তো তোর থেকে একবার শুধু জানতে পারি কোন কারণে এমন করছিস তারপর দেখবি নুসরাত কি জিনিস। (মনে মনে নুসরাত)
এই মেয়েটার মারা যাওয়ার কথা শুনে আমার কেন খারাপ লাগছিল?আমি তো চাই ওকে কষ্ট দিতে দিতে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে। কিন্ত ওর মুখে এই কথাটা শুনে আমার কেন এত্ত টা খারাপ লাগছে।ওর প্রতি কি আমার করা অত্যাচার খুব বেশিই হচ্ছে। না একদম না ওর জন্য শুধু ওর জন্য আমার ছোট ভাই
মৃত্যু বরণ করতে বাধ্য হয়েছে।ওর লাসটা দেখার সুযোগ ও পাইনি আমি।আব্বু আম্মুর সেপারেট হওয়ার কারণ ছিল আব্বুর হঠাৎই দ্বিতীয়বার বিয়ে। আম্মুর কোলে তখন ছোট্ট আবির।দুই ভাইকে নিয়ে আম্মু বেরিয়ে আসে।কিন্ত দ্বিতীয় পক্ষের বেবি না হওয়ার কারণে আব্বু আমাদের দুইজন এর মধ্যেই একজন কে পাওয়ার জন্য আব্বু কেস ফাইল করে।আমি বড় ছিলাম তাই জেতে চাইনি।কিন্তু আবির কে ভরণ পোষণ এর নাম করে জোর করে আব্বু নিয়ে যায়।সে সময় ওর চারবছর বয়স।আর আমার বারো বছর এর ছিলাম। ওকে কোনদিন দেখা ও করতে দিতো না ওনারা।তবে একবছর আগে হঠাৎই আমরা জানতে পারি ও মারা গেছে।সেই সময় আমি ইন্ডিয়াতে ছিলাম। ওর লাসটা ও আমরা দেখতে পারিনি।পরে ওর কিছু জিনিস আম্মু নিয়ে আসে।আর সেখানে একটা ডাইরির মধ্যে প্রথম আমি আবির আর নুসরাত এর ছবি দেখি।ডাইরির অর্ধেক এই ছিল ওর ড্রিম গার্ল কে নিয়ে। আর ফেমেলির ও সবার কথা লেখা ছিল। আর সেই ড্রিম গার্ল টা যে নুসরাত তা আমার বুঝতে বাকি ছিল না।একটা নোটে ও ড্রিম গার্ল এর সম্পর্কে লিখেছিল।আর তাই অনেক খোঁজ করেছি ওর।কিন্ত কোন ভাবেই পাচ্ছিলাম না।তবে আম্মু যখন ওকে খুজে বের করে আমাকে বিয়ে করানোর জন্য সেই সময়ে আমার রাগে মাথা কাজ করছিল না।আমি চাইনি ওকে বিয়ে করতে।আমি চাইছিলাম ওকে সবার সামনে ছোট করতে।কিডনাফ এর সব প্লান ও করে ছিলাম। কিন্ত আম্মুর কথাতে বিয়ের জন্য রাজি হয়েছিলাম।আর ভাবলাম এটাই বেস্ট হবে ওকে সারাজীবন কষ্ট দেওয়ার জন্য ।ছাদে দাড়িয়ে এসব ভাবছিলাম আর নুসরাত কে কিভাবে কিভাবে আরো কষ্ট দেওয়া যায় তা চিন্তা করছিলাম।(আশরাফুল মনে মনে)
পরের দিন সকালে
কালকেও একি ভাবে আশরাফুল আমাকে কষ্ট দিয়েছে। ওর রাগের কারণ টা এখন ও আমার জানা হয়নি। আমরা আম্মুকে নিয়ে হসপিটাল এ এসেছি ওনাকে ভর্তি করা হয়েছে কিছুক্ষণ আগেই।আব্বু আর আম্মু ও এসেছে।আমার তাদের সাথে কথা বলার কোন ইচ্ছে নেই।তারা এই দুইদিন একটা বার ও আমার খবর নেইনি।এতে করে আমার আব্বুর প্রতি আগের অভিমান গুলো আরো জাগ্রত হয়েছে।আমার কপাল এত্তটা খারাপ যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।আমাকে ভালোবাসার মানুষের অভাব নেই.RJ NUSRAT কে সবাই খুব ভালবাসে।কিন্তু নুসরাত জাহান কে তার আপন মানুষ গুলো এই ভালোবাসে না।আমার লাইফের ইম্পরট্যান্ট দুইজন যাদের ভালোবাসার খুব দরকার তারাই আমাকে ভালোবাসে না।আব্বুর টা আমার অজানা নয়।তবে আশরাফুল এর টা আমার অজানা।আব্বু এসে আমার কোন খোঁজ নেই নি সে আম্মুর (মরিয়ম বেগম)এর খবর নিচ্ছে। আর আম্মু (রিতা বেগম)কয়েক বার এসে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্ত আমি সরে সরে থেকেছি।লাগবেনা আমার এমন কাউকে যারা বিয়ে দিয়েই তাদের দ্বায়িত্ব শেষ ভেবে মেয়ের কোন খবর নেইনি।
অপারেশন থিয়েটারে আম্মুকে নেওয়ার সময় দুইজন পুরুষ এর আত্মিচিৎকারে পুরো হসপিটাল কেপে উঠেছিল। আর তারা একজন আমার আব্বু অন্যজন স্বামী।আমি নিজের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবলাম আমার আর আম্মুর মধ্যেকার পার্থক্য। তার জন্য যারা কান্না করছে সেই দুইজন পুরুষ আমাকে কাদিয়ে এসেছে সর্বদাই। আমি কোন কমপেয়ার করব না।তার ছেলে তার আম্মুর জন্য কান্না করবে এটা নরমাল। তবে আমার আব্বু কেন করছে তা মোটেও নরমাল না।
অপারেশন হওয়ার চার ঘন্টা পর আম্মু প্রথম চোখ খুলল আর সবার সাথে কথা বলল।মানুষটা কত্ত টা ভাল তা একদিনে আমি খুব ভাল এই দেখেছি।আমার আর আম্মুর লাইফ কিছুটা সেম।দুইজন এই ভালোবাসার জন্য সব করতে পারি। কিন্ত ভালোবাসাটাই পাইনা।আর যাদের কাছে ভালোবাসার আকাঙ্খা না করি তারাই ভালোবাসার সাগরে ডুবিয়ে রাখতে চায়।(নুসরাত মনে মনে)
মঙ্গলবার
কালকে আম্মুকে বাড়িতে আনা হয়েছে।এখন উনি অনেকটাই সুস্থ। এই কয়েকদিন আমি আম্মুর সাথে হসপিটাল ছিলাম তাই আশরাফুল এর কোন টর্চার সহ্য করতে হয়নি।আজকে রাতে স্টুডিও তে যেতে হবে কিন্ত আশরাফুল যেতে দিবে মনে হয়না।আসলে এই বাড়ির কেউ যানেনা আমি রেডিওতে কাজ করি।আশরাফুল একটা কাজে বাইরে গেছে এই সুযোগ। আমি আম্মুকে খাইয়ে ওনার পাশে বসলাম।
আম্মু একটা কথা বলি?(নুসরাত মরিয়ম বেগম এর উদ্দেশ্য)
হ্যা বল। (মরিয়ম বেগম )
আমি রেডিও তে জব করি।সেটা তোমরা জানো?(নুসরাত মরিয়ম বেগম এর উদ্দেশ্য)
হ্যা জানিতো তোর আম্মু বলেছিল। ও আজকে তো মঙ্গলবার তোর শো আছে তো।কিন্ত?(মরিয়ম বেগম মনমরা হয়ে)
কিন্তু কি?(নুসরাত অসহায় কন্ঠে)
আশরাফুল জানেনা তোর কাজটার ব্যাপারে আমি বলি নাই ওকে।তুই এক কাজ কর স্টুডিও তে চলে যা ও আসার আগে।ও আসলে বলব আমার সাথে রাতে থাকবি।জলদি চলে আসবি কিন্ত।(মরিয়ম বেগম মুচকি হেসে)
থ্যাঙ্কস এ লট আম্মু তুমি খুব ভাল। (বলেই আম্মুর কপালে চুম্বন করলাম নুসরাত)
হ্যা এখন তো ভাল হবোই।যাও জলদি।(মরিয়ম বেগম মুচকি হেসে)
আমি রেডি হয়ে আম্মুর থেকে বিদায় নিয়ে স্টুডিও এর উদ্দেশ্য রওনা হলাম। এখন বাজে সারে আটটা।শো শুরু হবে আরো আধা ঘন্টার পর। এই ফাকে আমি চ্যানেল এর ওনার এর সাথে কথা বলে নিলাম । আজকে আমার লাইফের ইম্পরট্যান্ট কয়েক জন এর গল্প শুনাব সে নিয়ে কথা বলে নিলাম। তারপর নয়টার সময় শো শুরু করলাম।
আসসালামুয়ালাইকুম,নমস্কার, আদাভ এভরিওয়ান ।আশা করি সবাই খুব ভাল আছেন?আমি RJ NUSRAT আছি তোমাদের সাথে LOVE IS LIFE এর আরেকটা নতুন এপিসোড নিয়ে।আজকে তোমাদের সাথে শেয়ার করব ভালোবাসার আরো কিছু গল্প। যা শুনে কারো কাছে খুব ভাল লাগবে কারো কাছে বোরিং লাগবে বাট আমি তাও শুনবো।আজকে স্টুডিও তে না কোন গেস্ট আসছে আর না কোন মেইল। তাহলে তোমাদের আমি কিভাবে গল্প বলব।ভাবছ তো সবাই । ভাবাভাবি বাদ দিয়ে চিল কর।কারণ RJ NUSRAT আজকে তোমাদের তার লাইফের ইম্পরট্যান্ট কিছু মানুষদের ভালোবাসার গল্প গুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছে। SO STAY TIUN LOVE IS LIFE WITHIN RJ NUSRAT ফিরে আসছি পাচঁমিনিট এর বিরতির পর। (নুসরাত মুচকি হেসে)
**************(চলবে)**************