MR AND MRS WHATEVER পর্ব-০৭ও০৮

0
1924

#MR AND MRS WHATEVER
পর্ব:7+8
#লেখিকা-Arshi khan

অনেক কিছুর হিসাব দিতে হবে তোমাকে মেরি জান। অনেক কষ্টে তোমাকে খুজে পেয়েছি।তোমার করা প্রতিটা কাজের জন্য তোমাকে কষ্ট পেতে হবে।আর আমি আমার দেওয়া প্রমিস রাখব।যতোটা কষ্ট তুমি ওকে দিয়েছিলে তার থেকে হাজার গুন কষ্ট তোমার পেতে হবে।আর সেই জন্য আমি আমার সব প্রনথা ব্যবহার করব।আমি এসব ভাবতে ভাবতেই সিগারেট এর ধোঁয়া মুখে নিয়ে ওর কাছে চলে গেলাম আর ওকে আমার সাথে চেপে ধরে ওর অধরে আমার অধর চেপে ধরে ওর মুখের ভেতর সিগারেট এর ধোঁয়া ছাড়তে লাগলাম। ওর চোখ গুলো মুহূর্তেই লাল হতে লাগল। ও নিজেকে ছাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও আমার শক্তির সাথে পেরে উঠেনি।আমি ওকে এবার ফেলে বিছানার সাথে চেপে ধরে ওর পেটে জ্বলন্ত সিগারেট চেপে ধরলাম। এইবার ও ওর সব শক্তি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।যেহেতু ওর অধর আর হাত আমার দ্বারা আবদ্ধ তাই ও নিজেকে ছাড়াতে অক্ষম।সিগারেট টা চেপে ধরার কারণে ওর পেটেই নিভে গেল।এইবার আমি সিগারেট ফেলে ওর পেটে মধ্যে হাত রেখে জোড়ে চাপ দিলাম।এতে ওর পুড়ে যাওয়া যায়গার থেকে মাংস উঠে গেল। ওর চোখের থেকে নোনাজল গড়িয়ে পড়তে লাগল। এতে আমার মনে আনন্দ রা পাখা মেলে উড়তে ব্যস্ত।এবার আমি ওর অধর জোড়া কামরে ধরলাম। ঠিক তখনই ওর অধর ছেড়ে দিলাম যখন রক্তের নোনা সাধ আমার মুখে লাগল। আমি ওকে ছেড়ে উঠে সোজা হয়ে বসে আরেকটা সিগারেট ধরলাম।
উঠে শাড়ি পাল্টে আস।(আশরাফুল সিগারেট ফুকতে ফুকতে)

এত্তক্ষণ এর করা অত্যাচার গুলো ঠিক কি কারণে করল তা আমার বোধগম্য হল না।আমি আমার শক্তি কে ব্যবহার করেও ওর থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারিনি।ওর দেওয়া আঘাত গুলো বেশ কষ্ট দিচ্ছে আমাকে।পেটের চামড়া উঠে যাওয়ার কারণে সেখানে জ্বলছে খুব। আমার এত্ত কষ্ট হচ্ছে বলে বুঝাতে পারছিনা।তাও আমি উঠে বসলাম। হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে ঠোঁটের রক্ত মুছে নিলাম। ও এত্তক্ষণ যা করল তার জন্য ওর মধ্যে কোন অনুসূচনা নেই বললেই চলে।এত্ত টা নিষ্ঠুর মানুষ কে স্বামী ভাবতেই ঘৃণা লাগছে।আমি উঠে সোজা লাগেজ থেকে একটা থ্রিপিস নিয়ে ওয়াশরুম চলে গেলাম। ও বসে হয়তো সিগারেট ফুকছে আর ভাবছে কখন আমি বের হব আর ওর ভোগের পন্য হব।তা হবে না আশরাফুল আমি আর দশটা মেয়ের মতো তোমার অত্যাচার সহ্য করে থাকব না।বিয়ে করেছ বলে আমার সাথে এমন ব্যবহার করা উচিত হয়নি তোমার। শুধুমাত্র তোমার মায়ের জন্য আজকে আমি বিয়ে করতে রাজি হয়েছি। আর তুমি আমাকে কষ্ট দিতে ব্যস্ত। এসব ভাবতে ভাবতেই ফ্রেস হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলাম আর সোজা গেট খুলে বাইরের উদ্দেশ্য মাত্র একপা বের করেছি ওমনি আশরাফুল এসে আমাকেই পেছনের থেকে জড়িয়ে টেনে ভেতরে নিয়ে এসেছে।
ছাড় বলছি খবরদার আমাকে টাস করবেনা আমি এখনি বাড়ি চলে যাব।তোমার অত্যাচার সহ্য করার জন্য আমি বিয়ে করতে রাজি হয়নি!তোমার মা চাইছিল তাই রাজি হয়েছি।আর তুমি কোন কারণ ছাড়াই আমাকে টর্চার করছ?(চিৎকার করে নুসরাত)

তোর এত্ত কথা শুনার জন্য তোকে বিয়ে করনি!তোর এই সৌন্দর্যের গরিমা ভাঙ্গতেই তোকে বিয়ে করেছি।আর তা আমি করেই ছাড়ব। আমি ও দেখি তোর রূপের কত্ত তেজ?
বলেই এক হাতে গেট লক করে ওকে কোলে তুলে এনে খাটের উপর ফিকে মারলাম। ও ব্যথার কারণে উঠতে পারল না।আর এইদিকে আমি ওর উপর আমার পুরো শরীরের ভার ছেড়ে দিয়েছি।ওকে ওর অমতে আমার করেছি।ওর সৌন্দর্যের গরিমা কে ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে আমি সক্ষম। ও অনেকক্ষন যাবত নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে।না নড়ছে আর না কোন সারা শব্দ আছে।ওর চোখ জোরা উপরের পাখার মধ্যেই আবদ্ধ। ও নিশ্চুপ চোখের জল বিসর্জন দিচ্ছে আর পলকহিন ভাবে পাখার দিকে তাকিয়েই আছে।কিন্ত ও নিজেকে রক্ষা করার সব চেষ্টাই করেছে।আমি ওকে ওমন ভাবে রেখে উঠে বসলাম। তারপর ওয়াশরুম গিয়ে ফ্রেস হয়ে বাইরে এসে জামাকাপর পড়ে নিলাম। ওর এখন ও কোন নড়ন চরন নেই।আমার তাতে কি আমি গিয়ে এক সাইটে শুয়ে পড়লাম। আর একটা সময় ঘুমিয়ে পড়লাম। (মনে মনে আশরাফুল)

এর জন্য তোমাকে অনেক বড় শাস্তি পেতে হবে Mr Whatever। আমার সাথে করা প্রতিটা অন্যায় এর ফল খুব এই খারাপ হবে দেখে নিও।আমার কেন জানি নিজের আব্বুর প্রতি ঘৃণা লাগছে।তার জন্য হয়তো আমার আজকে এত্ত কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে।কি জন্য এমন করল ও!(নুসরাত মনে মনে)

সকাল ছয়টা

শরীরের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে বেশ রাতেই ঘুমিয়েছি বলা চলে।হঠাৎই মনে হল কে জানি আমাকে খুব জোড়েই জড়িয়ে ধরেছে।ঘুমের মধ্যেই এমন হলে হঠাৎই দম বন্ধ মনে হয়।আমি চোখ জোরা খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছি।কিন্ত মনে হচ্ছে শরীরের তাপ গরম আর মাথা ও ভার মনে হচ্ছে। তাই অনেক কষ্টে একটু চোখ খুলতে পেরেছি।আমাকে জড়িয়ে ধরা শরীরটা আস্তে সরে গেল। আর উঠে বসে আমার কপালে ও গলাতে হাত রেখে কিছু পরখ করার ট্রাই করতে চাচ্ছে। আমার শরীরের প্রতিটা শিরা উপোশিরা যেন শিতে কাপন ধরে নাচানাচি করতে ব্যস্ত। এইদিকে ঠোঁট আর পেটের জ্বালা যেন দ্বিগুণ বেড়েছে।আমার পাশের নিষ্ঠুর মানুষটি উঠে দুইটা ঔষধ এনে আমাকে উঠিয়ে খাওনোর ট্রাই করছে ।কিন্ত এই পাষান মানুষটির হাতে পানিও খাব না আমি এমনটাই মনে মনে ভেবে মুখ জোর করে বন্ধ করে রেখেছি।(নুসরাত মনে মনে)

তোর কি মনে হয় তোর জ্বর দেখে আমি বেকুল হয়ে তোকে ঔষধ খাওতে আসছি।ভুলে যা এসব রোমান্টিক কিছু আমার ধারা পসিবল না।এক কাজ কর নিজেই নিজের শরীর কে সুস্থ করেনে।কারণ এই শরীরে যে আরো অনেক ধকল নেওয়ার বাকি আছে।আর হ্যা ঔষধ খেয়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে এখনি আমার কাছে আসবি।আমার তোকে এখন দরকার।
বলেই ওকে কোল থেকে ফেলে বারান্দার দিকে চলে আসলাম। এসে একটা চেয়ার এ বসে সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।(আশরাফুল মনে মনে)

আমার শরীর খারাপ তাও ঐ অমানুষ টার কাছে কোন সহানুভূতির সৃষ্টি করতে পারেনি।তারমানে ওর মনে আমার জন্য আছে গভীর ঘৃণা।কিন্ত ঠিক কি কারণে?(নুসরাত মনে মনে)

***********(চলবে)**********

পর্ব:8

ওর শরীরের গন্ধ আমাকে মাতাল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আর ওর এই জ্বরের শরীরের মধ্যেই আমার করা অত্যাচার গুলো আরো দ্বিগুণ কষ্ট দিবে ওকে।ওর শরীরের প্রতিটা অংশে আমার কামরের দাগ স্পষ্ট। ওর রূপের গরিমা চুরমার করতে আমি সক্ষম। ওকে কষ্ট দিতে দিতে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য এইতো এত্ত কাঠ ক্ষর পুরিয়ে ওকে বিয়ে করা।ওকে ওর অবস্থান এ ফেলে আমি শাওয়ার নিয়ে রেডি হয়ে ডাইনিং রুমে চলে আসলাম।
আম্মু জলদি খাবার দাও অনেক ক্ষুধা লেগেছে।(আশরাফুল মরিয়ম বেগম এর উদ্দেশ্য)

নুসরাত কোথায়?(মরিয়ম বেগম মুচকি হেসে)

ওর শরীর ভাল লাগছেনা তাই রেস্ট করছে।তুমি বরং আমার সাথে খেয়ে নাও।ও পরে খাবে।(আশরাফুল মরিয়ম বেগম এর হাত ধরে)

কিন্তু নতুন বউ রেখে খাওয়া খুব এই আনইজি লাগছে।তুই বরং ওর আর তোর খাবার ঘরে নিয়ে যা।আমি এখানে খেয়ে নিচ্ছি। (মরিয়ম বেগম খাবার বাড়তে বাড়তে)

বিয়ে না হতেই পর করে দিচ্ছ?(মুখ গোমরা করে আশরাফুল)

এমনটা না।তবে ও নতুন মানুষ আর বাচ্চা মেয়েটাকে রেখে কিভাবে খাই বল তুই?(মরিয়ম বেগম আশরাফুল এর গালে হাত রেখে)

আচ্ছা দাও খাবার ওকে রুমে দিয়ে আসি।(আশরাফুল মুচকি হেসে)

তোরটাও দেই?(মরিয়ম বেগম)

না দরকার নেই আমি তোমার সাথেই খাব।ও রুমে খেয়ে নিবে।
আম্মু ওর জন্য খাবার বেড়ে দিল তা আমি আম্মুকে দেখিয়ে রুমে নিলাম ঠিকি কিন্তু ওকে না দিয়ে বাইরে গিয়ে আরেক বাড়ির ছাদে কাক দের দিকে ফিকে মারলাম। কাক গুলো রুটি ছিড়ে খেতে লাগল। সব কাক কা কা করে চিৎকার করে পুরো এলাকা গরম করে তুলেছে।এতে করে আরো অনেক কাক এসে হাজির হল। আমি মুচকি হেসে বারান্দার গেট লাগিয়ে রুমে প্রবেশ করলাম। খাটের দিকে খেয়াল করে দেখি জীর্ণ অবস্হাতেই নুসরাত বিছানায় পড়ে আছে।চোখ জোরা বন্ধ। শরীর ফর্সা হওয়ার কারণে জ্বরে গাল গুলো লাল হয়ে গেছে।একদিনেই বেশ অসুস্থ দেখাচ্ছে। এটাইতো চাই আমি। ওর সৌন্দর্যের গরিমা একেবারে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দেওয়ার পর এই আমি সফল হব।এখন যাই ব্রেকফাস্ট টা করে নেই।নাহলে আম্মু আমাকে ডাকতে এখানে আসলে ওকে দেখে আমাকে মেরেই ফেলবে।আমি গিয়ে ব্রেকফাস্ট করে আসলাম। আম্মু একটু রেস্ট নিচ্ছে। আমি এই ফাকে রুমে এসে দেখি সেই একি হালে ও শুয়ে আছে।এখন এইতো সুযোগ মাথার মধ্যেই দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেল। ওকে ঐ অবস্হাতেই কোলে তুলে ওয়াশরুম নিয়ে দার করিয়ে এক মগ পানি নিয়ে ওর মাথায় ঢেলে দিলাম।ও অনেক কষ্টে চোখ জোড়া খুলে আমার দিকে অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করল।ওর চোখ জোরা দেখে এখন পাষান এর ও মন গলে যাবে।কিন্ত আমার মন যে কোন গলার বস্তু না।এই মনটা পাথর এর তৈরি তাই ওর ইনোসেনস লুক আমার কাছে কোন ব্যাপার এই না।আমি ওকে আরো কয়েক মগ পানি ঢেলে দিলাম। এইবার ও যেন নিজের দিকে খেয়াল করল।(আশরাফুল মনে মনে)

জ্বরের শরীরে ব্যথা যেন হাজার গুন বেড়ে যায়।তাই দাড়িয়ে থাকার শক্তি টুকু ও যেন উধাও হয়ে গেছে।ওর এই নিষ্ঠুর কাজের জন্য আমার মনে ওর প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হচ্ছে। ও আমার জ্বর ছাড়ানোর জন্য উঠে পরে লেগেছে ।মনে হচ্ছে এই জ্বর পিটিয়ে তারাবে তারপর আবার টর্চার করার প্রস্তুত নিবে।(নুসরাত মনে মনে)

ওর করা টর্চার এর মাত্রা ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে।আমার সহ্যের সীমা লঙ্ঘন করলে ওকে ও এর ভুক্ত ভুগি হতে হবে।চুপ আছি এর মানে সারাজীবন চুপ থাকব এমন না।ওকে বলতেই হবে কেন কেন ও এমন করছে?(নুসরাত ভাবতে ভাবতে)

শাওয়ার শেষে রুমে এসে ভিজা অবস্হাতেই দাড়িয়ে আছি।আমার লাগেজ এর উপর আশরাফুল বসে আছে।ভিজে থাকার কারণে শরীরে হাড় কাপানো শিতের অনুভুতি পাচ্ছি এই গরমেও।ও এক কথায় জামাকাপর দিবেনা সেই জন্য এই লাগেজ এ বসে আছে।আমি ভিজা কাপর খুলে যে কিছু পরব তাও নেই।ওর আলমারির চাবি ও ওর কাছেই।তাই আমাকে এই অবস্হাতেই দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেক সহ্য করেছি আর না এই ভেবেই শরীরের ভেজা কাপর খুলে ওর মুখের উপর ফিকে সোজা কাথা জড়িয়ে পেচিয়ে বসে পড়লাম। ও আমার জামাগুলো ফ্লোরে ফিকে তেড়ে আমার দিকে এসে আমাকে খাটের উপর চেপে ধরল। তারপর!(নুসরাত শকড)

***********(চলবে)**********

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে