MEANINGLESS LIFE PARTNER Part-12

0
2031

#MEANINGLESS_LIFE_PARTNER
পর্ব:12
#লেখিকা_Arshi_khan

(HONEYMOON TIME:মধুচন্দ্রিমার সময়।রোমান্টিক পার্ট ভাল না লাগলে ইগনোর প্লিজ)

সন্ধ্যা ছয়টা বাজে
বেলকনিতে বসে রুত চা পান করছে।আমি দাড়িয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।হালকা মৃদু বাতাসে ওর চুল উড়ছে।ও নিশ্চুপ বাইরে তাকিয়েই চা পান করছে।চোখে লজ্জা খেলা করছে।অনেক বলে শাড়ি পাল্টে আমার একটা কালো শার্ট পড়াতে পেরেছি।সাথে ধুতি পাজামা।আমার সামনে থেকেও ওর লজ্জা লাগছে।সেই জন্য একটা ওরণা পেঁচিয়ে বসে আছে।ওর চা খাওয়া হলে আমি আস্তে করে ওর পাশে গিয়ে বসলাম। ওর একটা হাত হাতে নিয়ে ঠোঁটের কাছে নিয়ে চুমু খেলাম। এরপর আরেকটা হাত নিয়ে একই ভাবে চুমু খেলাম। আর ওর কিছু বোঝার আগেই ওর ওরণা নিয়ে ওর হাত বেধে দিলাম। ও অবাক হয়ে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।আমি ওকে ধরে আমার কোলেই বসিয়ে ওর দুইহাতের মাঝে মাথা গলিয়ে দিলাম।
রুত (রুতবার গলাতে মুখ গুজেই আয়ান)

এমন করে বাধলে কেন আয়ান ভাই?(রুতবা লজ্জা মিশ্রিত কন্ঠে)

আবার ভাই বললে এই পাহাড়ের থেকে ফেলে দিব গাধি কোথাকার!কতবার বলব আয়ান ভাই বলবে না।তাও কেন বল?তুমি কি জানো তোমার মুখে আয়ান ভাই টা সুনলে আমার রোমান্টিক মুডটাই নষ্ট হয়ে যায়।(রুতবার ঘাড়ে হাত দিয়ে চেপে আয়ান)

ভাল তো।এখন থেকে বেশি করে আয়ান ভাই বলে ডাকব।তাহলে অন্তত আমি তোমার রোমান্টিক অত্যাচার থেকে রেহাই তো পাব।(মজা করে রুতবা)

আমি তোমাকে অত্যাচার করি রুত?(অবাক চোখে আয়ান)

রোমান্টিক অত্যাচার বলেছি আয়ান ভাই। (রুতবা মুখ টিপে হেসে)

ওকে ফাইন আমার দেওয়া আদর ভালোবাসা যদি তোমার কাছে অত্যাচার মনে হয় তাহলে আমি আর তোমাকে অত্যাচার করব না।(বলেই রুতবার হাত খুলে রুমে চলে আসল আয়ান)

আমি মজা করছিলাম আয়ান ভাই। তুমি রাগ করে চলে আসলে কেন?(রুতবা আয়ান এর পেছনে এসে)

যাতে এখন আর তোমার উপর অত্যাচার না করি সেই জন্য। (আয়ান একটা সোফায় বসে)

এবার কিন্ত বেশি হয়ে যাচ্ছে আয়ান ভাই। আমি কিন্ত রেগে যাব।(রুতবা কোমরে হাত দিয়ে)

রুত তুমি কাকে ভয় দেখাচ্ছ আমাকে!এই আয়ান এর কথাতে যার পুরো গোষ্ঠি চলে তার বাচ্চা বউ তুমি।আর সেই তুমি আসছ আমাকে ভয় দেখাতে।বেপার টা এমন হয়ে গেল না খরগোশ এসে বাঘ কে ঘুম থেকে জাগাতে চাইছে তার সাথে লড়াই করবে বলে।আমার রাগ সম্পর্কে তোমার কোন ধারণা এই নেই রুত।আর না আমি চাই তোমার ধারণা হোক। প্রথম দিন থেকে তোমার পারমিশন ছাড়া আমি তোমার সাথে জোর করে কোনদিন কিছুই করিনি রুত। আর আজকে তুমি আমাকে বল আমি তোমাকে অত্যাচার করি।বাহ এখন আমার প্রতি আমার নিজেকে খুব জঘন্য লাগছে রুত।(আয়ান রুতবার চোখের দিকে তাকিয়ে)

আয়ান ভাই আমি ওমন ভাবে বলিনি।তুমি ভুল বুঝছ।(রুতবা আয়ান এর সামনে এসে)

থাক রুত আমাকে বোঝাতে এসো না।আমি একটু একা থাকতে চাই।(আয়ান বলেই রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম)

আয়ান ভাই কোথায় যাও?(গেটের সামনে এসে আয়ান এর হাত ধরেই রুতবা)

তোমার না জানলেও চলবে।তবে দয়া করে ঘরেই থেক।আমি চাইনা আবার তোমার উপর রাগ করে কিছু করে বসি।
বলেই বেরিয়ে গেলাম। ভালোবাসার মানুষটির মুখে এমন কথা শুনলে যে কেউ রেগে যাবে।এত্ত আদর যত্ন করেও শুনতে হল আমি নাকি ওকে রোমান্টিক অত্যাচার করি।ঠিক আছে রুত পাখি রাতের রোমান্টিক অত্যাচার এর জন্য প্রস্তুত হও ।আসলে আর কয়েক ঘণ্টার পর এই মানে বারোটা বাজলেই সাত তারিখ চলে আসবে।আর কালকেই রুত পাখির জন্মদিন ।বিয়ের পর ওর সাথে প্রথম জন্মদিন ওকে নিজের কাছে পেলাম। সেই জন্য একটু সারপ্রাইজ এর ব্যবস্থা তো করতেই হয়।ওকে হাত বেধে বের হতেই চেয়েছিলাম। কিন্ত তা আর হল না।এখন বলে তো আসলাম বের হতে না।এখন কথা রাখলেই চলে।আমি বাংলোর অন্য একটা রুম কে যত্নে গুছিয়ে সাজিয়ে রাখলাম। এখন বাজে রাত দশটার কাছাকাছি ।তাই ভাবলাম এখন রুমে যাওয়া উচিত। খাওয়ার পর ঘুমানোর ভান করব।বারোটা বাজলে আসব।তাই আস্তে করে গেট লক করে রুমের দিকে অগ্রসর হলাম। গিয়ে দেখি রুত সোফার মধ্যেই শুয়ে আছে।আমি ওর সামনে গিয়ে বসতেই বুঝতে পারলাম ও ঘুমিয়ে গেছে।তাই আর ডাকলাম না।ওর পাশে বসেই ওকে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম। এখন ও আমার শার্ট টাই পরিহিত রয়েছে। চুলগুলো এলোমেলো হয়ে উড়ে চলছে মুখের উপর। আমি ওর পুরো চুল একহাতে ধরেই সাইট করে নিলাম তারপর আস্তে ওর মাথা উচু করে চুল বাধতেই যাব ও হঠাৎই আমার দিকে তাকিয়েই ঠোঁট উল্টে কান্না করতে লাগল কোন শব্দ ছাড়াই ।মনে হল অভিমান এর কারণে বুক ফেটে কান্না করছে যার দরুন ঠোঁট গুলো বারবার কাপছে।আমিও চুল বেধে ওর মাথা পুনরায় সোফায় রেখে উঠে দাড়ালাম। সারপ্রাইজ দেওয়ার আগে এত্তটা কষ্ট দেওয়া মোটেও উচিত হচ্ছে না।কিন্ত আমি ওকে একটু অন্যরকম ভাবে নিজের কাছে চাইছি।তাই এইটুকু অভিমান করুক।(মনে)
খাবার অর্ডার করেছি এখনি চলে আসবে।গিয়ে ফ্রেস হয়ে আস।তারপর খেয়ে ঘুমাও।(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)

আয়ান ভাই আমি সত্যি অমন করে কিছু বলিনি।তুমি শুধু শুধু রাগ কেন করে আছ?(রুতবা আয়ান কে পেছনের থেকে জড়িয়ে ধরে)

যেভাবেই বল রুত সত্য টাই বলেছ।আমি সত্যি তোমাকে অত্যাচার করি বলেই বলেছ।থাক রুত আমি আর তোমাকে অত্যাচার করব না।খাবার এসে পড়েছে খেয়ে ঘুমাও।
বলেই ওকে ছাড়িয়ে গেট খুলে একটা স্টাফ এর থেকে খাবার নিয়ে গেট লক করে খাবার টেবিল এ রেখে দিলাম। তারপর ওয়াশরুম চলে গেলাম ফ্রেস হতে।ফ্রেস হয়ে এসে দেখি রুত এখন ও সেখানেই দাড়িয়ে আছে।(মনে)
রুত খেতে আস।(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য বলেই চেয়ার টেনে বসল)

আমি খাব না তুমি এই খাও।
বলেই খাটে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।খাব না ও একাই খাক। আমি মজা করে বলেছি অথচ ও রাগ করে বসে আছে।শুধু শুধু ছোট্ট একটা বিষয় কে এমন ভাবে বড় করার কোন মানেই হয়না।(রুতবা কান্না করে)

রুত এখানে এসে খাও তারপর ঘুমাও। আমি তোমাকে ডাকছি রুত।রুততততত আমি তোমাকে ডাকছি কিন্তু। (আয়ান সোফায় বসে চিৎকার করে)

খাব না আমি।তুমি এই খাও আয়ান ভাই। (রুতবা উঠে বসে কান্না করে)

আমি এখানে এসে তোমাকে খেতে বলেছি।তোমার কথা বলতে বলি নাই।আর একটা কথাও শুনতে চাইনা চুপচাপ এখানে এসে খেয়ে নাও।(আয়ান রুতবাকে ঝাড়ি মেরে)

আয়ান ভাই তুমি আমাকে শুধু শুধু বকছ কেন?(ফুফিয়ে রুতবা)

এখানে এসে চুপচাপ খেয়ে ঘুমাতে যাও।এত্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না।
এইবার চুপচাপ এসে অল্প একটু রাইস খেয়ে আবার গিয়ে খাটে শুয়ে পড়ল। আরে রুত পাখি তুমি না ঘুমালে সারপ্রাইজ টা দিব কিভাবে?সেই জন্য একটু বকা দিচ্ছি। রাগ করে না সোনা মোনা একটু পর সব রাগ কমিয়ে দিব।হানিমুন এ এসেছি একটু তো রোমান্টিক অত্যাচার সহ্য করতেই হবে।আমি ও অল্প খেয়ে লাইট অফ করে খাটে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। ও অনেক কিনারে গিয়ে শুয়েছে। এমনে সময় হলে ওকে টেনে আমার বুকে এনে ঘুমাতাম।কিন্ত আজকে এমন কিছু করব না।আমি মোবাইল টা হাতে রেখেছি টাইম দেখার জন্য।বেশ কিছুক্ষন এভাবেই থাকলাম। হঠাৎই রুত এসে আমাকে পেছনের থেকে জড়িয়ে ধরল। আমি সাথেসাথেই চোখ বন্ধ করে নিলাম। আমি ও দেখি আমার ঘুমন্ত অবস্থাতে রুত ঠিক কি কি করতে পারে।ও বেশ কিছুক্ষন আমার পিঠে মুখ গুজে ফুফিয়ে কান্না করেছে।তারপর আস্তে করে আমার উপর দিয়ে আমার সামনে চলে এসেছে।এরপর আমার একটা হাত বালিশে রেখে সেখানে শুয়ে আমার বুকে মুখ গুজে দিয়েছে এরপর অন্য হাত টা ওর উন্মুক্ত পেটের উপর রেখে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।এবার নিজেকে কন্ট্রোল করা সত্যি কষ্টের হয়ে উঠেছে।কিন্ত ওকে সারপ্রাইজ দিব বলে এখন ও ঘুমের ভান করে আছি।বেশ কিছুক্ষন পর অনুভব করলাম আমার গলাতে ছোট ছোট উষ্ণ পরশ একে দিচ্ছে এর কিছুক্ষণ পর আমার অধরে ওর উষ্ণ পরশ দিয়ে আমার মুখে হাত বুলিয়ে ফুফিয়ে কান্না করে অভিযোগ করতে ব্যস্ত হয়ে উঠল।(মনে মনে আয়ান)

আয়ান ভাই তুমি এত্ত পচাঁ কেন?আমার সাথে শুধু শুধু রাগ দেখাচ্ছ কেন?আমাকে ভুল বুঝে এমন করছ কেন তুমি?আমার যে খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার এমন ব্যবহার এ।তুমি কেন বোঝ না আমার যে তোমার আদরে এই অভ্যাস নাকি তোমার এই রাগ এর সাথে।এই আয়ান ভাই তুমি কি শুনতে পাচ্ছ?এই আয়ান ভাই শোন না?এই আয়ান ওঠো না। দেখ আমি এখন তোমাকে আয়ান ডাকছি।আমি এও কথা দিচ্ছি তোমাকে আর আয়ান ভাই বলে ডাকব না।শুধু আয়ান বলেই ডাকব। তাও উঠে কথা বল না।এত্ত ঘুম কাতুরে কেন তুমি আয়ান?(রুতবা ফিসফিস করে)

আমি নিশ্চুপ এই থাকলাম। দেখি না আর কি কি করতে পারে আমার রুত পাখি।তবে ডান হাত টা কিছুতেই কন্ট্রোল এ থাকতে চাছেনা।এমন জায়গাতে হাতটা কে রাখতে বলেছে তোমাকে রুত পাখি।রাগের ভান করেও মহা জ্বালায় পড়েছি।না পাড়ছি আদর করতে না পাড়ছি নিজেকে কন্ট্রোল করতে।উফফ এদিকে ওর ঘুমানোর ও নাম নেই ওদিকে বারোটা বাজতেও কত্ত মিনিট বাকি বুঝতে পারছিনা।এমন আরো কিছুক্ষণ রুত আমাকে জাগানোর চেষ্টা করল।আরে বোকা জাগ্রত মানুষ কে কি কোন দিন ঘুম থেকে তোলা সম্ভব। বেশ কিছুক্ষন পর ও কথা বলতে বলতে আমার বুকের ভেতর মুখ গুজে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। মনে হয় আরকি।কারণ এত্ত জলদি তো ও ঘুমানোর মানুষ না।তাই বেশ অনেকটা সময় অপেক্ষা করলাম। হঠাৎই এলাম বেজে উঠল। তারমানে বারোটা বেজে গেছে।তাই ওকে তুলে ঐ রুমে যাওয়ার কথা চিন্তা করে উঠতেই যাব রুত আমাকে ধরে শুইয়ে দিল।
কি হয়েছে?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)

কোথায় যাও?(রুতবা আয়ান এর গলা জড়িয়ে)

নাচতে যাই চল যেতে মন চাইলে।(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য বলে বসে পড়ল)

আয়ান আর কত্তক্ষন এমন রাগ করে থাকবে?প্লিজ বোঝার চেষ্টা কর আমি ওমন কিছু বলিনি যার জন্য তোমার রাগ হবে।(রুতবা উঠে আয়ান এর হাত ধরেই)

ওকে ফাইন। এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে আস।তোমাকে নিয়ে এক জায়গাতে যাব।(আয়ান রুতবার হাত ধরেই)

এত্ত রাতে কোথায় যাবে?(রুতবা ব্রু কুচকেই )

ঐ পাহাড়ের থেকে তোমাকে ফেলে মেরে ফেলব। সেই জন্য উঠে রেডি হতে বলছি যাও রেডি হয়ে আস।(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)

আয়ান ।(রুতবা আয়ান এর উদ্দেশ্য)

আরে মজা করছি।যাও ফ্রেশ হয়ে আস।একটা জায়গাতে তোমাকে নিয়ে যাব।দেরি হয়ে যাচ্ছে তো ।(আয়ান রুতবার হাত ধরে দাড়িয়ে)

আচ্ছা। (বলেই ওয়াশরুম চলে আসলাম রুতবা)

ও ফ্রেস হয়ে আসার পর আমি ও ফ্রেস হয়ে আসলাম। তারপর ওকে নিয়ে ঐ রুমের উদ্দেশ্য গেলাম।গেট খোলার আগে ওর ওরণা দিয়ে ওর চোখটা বেধে দিলাম। যদিও রাজি হচ্ছিল না।কিন্ত আমার রাগ এর কথা ভেবে রাজি হয়ে গেছে।আমি গেট খুলে ওরে দাড় করিয়ে গেট লক করে পুরো রুমের কেন্ডেল জ্বালিয়ে দিলাম। তারপর ওর সামনে গিয়ে লাইট অফ করে ওর চোখের বাধন খুলে দিলাম।ও পুরো রুমে অবাক হয়ে তাকিয়েই আছে।আমার একটা হাত খুশির কারণে খামচে ধরেছে।
কি হল রুত পাখি পছন্দ হল?(আয়ান রুতবার ঘারে মুখ রেখে পেছনের থেকে)

কখন করলে এসব?(রুতবা মাথা পেছনে ঘুরিয়ে)

তোমার সাথে রাগ এর ভান করে যখন আসলাম সেই সময়ই করেছি।তারপর রুমে গিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভান করে বুঝলাম আমার বাচ্চা বউ আমাকে কত্তটা ভালোবাসে যদিও ঘুমানোর ভান করার পর আরকি।(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য মুচকি হেসে)

তুমি কি জানো তুমি যে কত্তটা খারাপ?(রাগি লুক দিয়ে রুতবা)

হ্যা জানিতো রুত পাখি।ও বলা হয়নি happy birthday রুত পাখি।(রুতবাকে কাছে টেনে কপালে কপাল ঠেকিয়ে আয়ান)

কথা বলবা না। তুমি খুব খারাপ। (রুতবা অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে)

তাই বুঝি আমি খুব খারাপ, আমি রোমান্টিক অত্যাচার করি ।এখন তাহলে রেডি হয়ে যাও রোমান্টিক অত্যাচার এর জন্য। তবে এর আগে কেক টা কাট।তারপর যা হবে তার জন্য ও প্রস্তুত থাক।(আয়ান চোখ টিপ দিয়ে)

কচু করবা তুমি। (মুখ ভেংচি কেটে রুতবা)

দেখা যাবে।এখন কেকটা কাট।
রুতকে নিয়ে কেক কাটলাম দুইজন মিলে।তারপর ও আমাকে তুলে খাইয়ে দিল।আমি ও তুলে ওকে খাওয়ানোর বদলে ওর ঠোঁট ও গালে মেখে দিলাম। ও এই দেখে আরেকটু কেক নিয়ে আমার মুখে মাখতেই যাবে ওকে টেনে খাটের উপর বসিয়ে ওর মুখে লিক করতেই ও স্তব্ধ হয়ে চোখ বন্ধ করে বসে পড়ল।
এমন ভাবে যদি খেতে চাও তাহলে আমার পুরো শরীর উন্মুক্ত আছে।(আয়ান রুতবার কানে ফিসফিস করে)

দুর হোও লাগাম বিহিন পাব্লিক। (মুখ হাত দিয়ে ডেকে রুতবা)

আহ রুত পাখি আমার খাবার নষ্ট করছ কেন?আমাকে অন্তত খেতে দাও।(আয়ান রুতবার হাত সরিয়ে)

নো খচ্চর কোথাকার?ঐখান থেকে খাও।আমার মুখে ভুলেও লিক করবা না আমার সুরসুরী লাগে।(রুতবা মুখ ঘুরিয়ে)

তোমার কথা শুনবে কে?আমি তো এত্ত দিন আদর এই করেছি।অথচ তুমি সেই আদর কে রোমান্টিক অত্যাচার বলে আখ্যায়িত করেছ।তাই রোমান্টিক অত্যাচার টা করেই নাহয় নামটা নেই।
বলেই রুত এর হাত শক্ত করে ধরে ওর পুরো মুখে লিক করে ওর ওধর জোড়া আমার আয়ত্তে নিয়ে নিলাম। ও ততক্ষণ এ ওর হাত গুলো আমার পিঠ খামচে ধরে বসে আছে।এবার আমি ওর ঠোঁট ছেড়ে গলাতে আসতেই ও সরে দাড়িয়ে গেল ।আমি ওকে আস্তে করে আমার কাছে টেনে নিলাম। আর শার্টের ভেতরে উন্মুক্ত পেটের উপর হাত দিতেই ও ঘুরে আমার দিকে অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করল।আমি মুচকি হেসে ওকে আমার কোলেই বসিয়ে দিলাম।ও চুপটি করে আমার বুকে মুখ গুজে দিল।(মনে)
রুত পাখি মে আই?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)

নিশ্চুপ। (চোখ বন্ধ করে রুতবা)

রুত। (বেকুল কন্ঠে আয়ান)

হুম। (আস্তে করে রুতবা)

ওর ইশারা তে ওকে আমার সাথে জড়িয়ে দুইজন ভালোবাসার সাগরে ঢুব দিলাম।
বেশ রাত হয়েছে। দূর থেকে ব্যাঙ এর ও শেয়াল এর শব্দ কানে আসছে।রুত আমার বুকে চুপটি করে ঘনঘন নিশ্বাস ছাড়ছে।আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে ওকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছি।কিন্ত না ও ঘুমাচ্ছে আর না আমার ঘুম আসছে।ওর নেশা লেগেছে মনে।এ নেশা এত্ত সহজে ছাড়বার নয়।
এই রুত?(আয়ান রুতবার কপালে চুম্বন করে)

হুম। (রুতবা মাথা উচু করে)

আমি তোমাকে ভালোবাসি খুব। (আয়ান রুতবার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে)

আমিও ভালোবাসি খুব আমার এই পাজি স্বামী টাকে।(মুচকি হেসে রুতবা)

ঘুম আসছে না।(আয়ান রুতবার ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে)

আমার ও।(রুতবা আয়ান এর দিকে তাকিয়ে)

রোমান্টিক অত্যাচার করি আরেকটু?(ডেভিল হেসে আয়ান)

নো।(রুতবা লাফিয়ে বসে)

আরে রুত পাখি কোথায় যাও। দেখ তোমার আয়ান ঠিক কত্তটা রোমান্টিক অত্যাচার করতে পারে।(রুতবাকে কাছে এনে আয়ান)

আরও তিনদিন থেকে আমরা গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হলাম। পুরো ছয়দিন আমরা খুব মজা করে ছিলাম। এই দিনগুলো ভোলার নয়।এত্তটা রোমান্স কর পরিবেশ সাথে জীবন সঙ্গীর সঙ্গ এর থেকে মধুর মধুচন্দ্রিমা আর কি হতে পারে।(আয়ান)

*******************(চলবে)****************

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে