MEANINGLESS LIFE PARTNER Part-06

0
2130

#MEANINGLESS_LIFE_PARTNER (অর্থহীন জীবন সঙ্গী)
পর্ব:6
#লেখিকা_Arshi_khan

(DISTANCE LOVE:ভালোবাসার দূরত্ব)

রাতটা কেন জানি আমার কাছে সব চেয়ে বড় রাত মনে হচ্ছে। মনের কোনে নিষিদ্ধ চিন্তা খেলা করছে।বিশ বছরের ছেলের পাশে এমন বারো বছরের একটা ছোট রমনি থাকলে এমন নিষিদ্ধ চিন্তা আসবেই।কিন্ত আমি সত্যি চাইনা রুত আমার কোন হিংস্র রুপ দেখুক।বেচারি বাচ্চা একটা মেয়ে।ওর সাথে এমন কিছু হয়তো ওর মনে ডিপরেশন এর সৃষ্টি করতে পারে।ও হয়তো ঘুমিয়ে গেছে।সব চিন্তাকে মাটি চাপা দিয়ে ওর মিষ্টি চেহারার দিকে তাকিয়েই রইলাম। ব্যাপার টা জঘন্য হলে এই প্রথম আমি একটা ভুল পদক্ষেপ নিয়ে বসলাম। আমি আস্তে করে ওর আরেকটু কাছে গিয়ে হালকা হাতে ওকে জড়িয়ে ওর কপালে ছোট একটা চুম্বন করে চোখ বন্ধ করে নিলাম। আমি এতেই সন্তুষ্ট। ওর থেকে নেওয়া এইটুকু ভালোবাসা দিয়েই আমার চলে যাবে।বাকি ভালোবাসা নাহয় আমার বউ এর মাথায় যেদিন এই বোধ হবে যে এক কাথার নিচে ঘুমালেই বেবি হয়না সেদিন এই নিব।এরপর আর ও কিছুক্ষণ ওর মুখ পানে তাকিয়েই থাকলাম। কখন ঘুমিয়ে পড়লাম মনে নেই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি রুত পাশে নেই।মনে হয় উঠে গেছে।আমি ও উঠে ব্রাশ আর পেষ্ট নিয়ে মুখ ধুতে পুকুরের পাড়ে গেলাম। দেখি রুত এই ভোর সকালে গোসল করছে সামনে দাদি দাড়ানো। আল্লাহ এই বুড়ির মাথায় আর কিছু নেই নাকি।আমার বাচ্চা বউ টার জ্বর বাধিয়ে ছাড়বে।
এই বুড়ি তোমার কি কোন কাজ নেই নাকি?এই সাত সকালে রুতকে গোসল করাইতে কেন আনছ?(আয়ান দাদির উদ্দেশ্য)

দাদাভাই তুই ও গোসল টা সেরে নে।এমন করে থাকতে নেই।(দাদি আয়ান এর হাত ধরেই)

বুড়ি আমি আমার বাচ্চা বউ এর ধারে কাছেও যাইনা।আর তোমার মাথায় এসব কোথার থেকে আসে?(আয়ান দাঁতে দাঁত চেপে)

এ্যা বাচ্চা বউ! আমার বারো বছরে তোর বাপ আমার কোলে খেলা করছে।আর তুই চাইর বছরে বউ এর কাছে ও যাস নাই কেন?(দাদি রাগি সুরে)

এই বুড়ি শোন তোমাদের সময় আর এখন কার সময় অনেক তফাত। আর তোমার বুড়ার তো সারাদিন বউ কোলে নিয়ে বসে থাকতে ভাল লাগত সেই জন্য আমার বাপ আসছে।এখন বলে দিচ্ছি বুড়ি আমার বউ কে পাকাইবানা।আর রুত পিচ্চি যাও ঘরে যাও।বুড়ির কথায় লাফাইবা কম।(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)

তোর মুখ এত্ত পাস কে বাপরে নিয়া এসব কি কস?(দাদি মুখে হাত দিয়ে)

আমি আমার বাপ নিয়া আবার কি বলছি?আমিতো বুড়ার কথা বলছি।কানে ইদানীং কম শুনো নাকি?(আয়ান দাদির হাত ধরে)

ছাড় ছাড় আজকে যাবিগা আর দেখবি কিনা সেই নিয়া কষ্ট পাবি তানা করে আমার লগে ঝগড়া করতাছোছ।(দাদি কাপা কাপা কন্ঠে)

এই বুড়ি খবরদার এমন কথা বলবানা।আমি বিদেশ থেকে আসলেও আমার তোমারে চাই।তোমার এই ছোট্ট সতিন রে আনতে যাইতে হবে না?(দাদিকে এক হাতে পেঁচিয়ে আয়ান)

ও আমার লাইগা আইবা না।আমার হতীন এর লাইগা আইবা।থাক আমার আর বেঁচে থেকে কি হইব। হেয়তো আমার স্বামীরে নিয়ায় যাইব।(রুতবার হাত ধরেই দাদি)

তোমার স্বামী তুমিই এই রাখ।আমার লাগব না।হেয় মানুষ ভালা না।(মুখ ভার করে রুতবা)

কেন আমি আবার কি করলাম।?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য অবাক চোখে)

তোমারে আমি ভাল ভাবছিলাম আয়ান ভাই।কিন্ত তুমি রাতে আমারে ধরে জড়িয়ে ঘুমিয়েছ কেন?(রুতবা হতাশ কন্ঠে)

ঘরে যাও পিচ্চি বেশি কথা বলবা না।(ঝাড়ি মেরে)
বলেই আমি অন্য পাশে চলে আসলাম। ইজ্জতের বারোটা বাজায় দিলরে।এসব ভাবনার মাঝেই ফ্রেস হয়ে ঘরে চলে আসলাম। সকালের নাস্তা খাওয়ার পর বাইরে গেলাম বন্ধুদের সাথে দেখা করতে।আবার কবেনা কবে দেখা হবে ঠিক নেই।বারোটার দিকে এসে গোসল করে নিলাম। তারপর দুপুর এর খাবার খেতে বসলাম। আম্মু যেন দুনিয়ার সব রকম রান্না আজকে করেছে আমার জন্য। ভাত, ইলিশ মাছ ভূনা, গরুর মাংস কষা,চিংড়ি মাছ ভাজা,ডিম সেদ্ধ আম ডাল ও শেষ পাতে দই।পোলাও রান্না করতে চাইছিল কিন্ত প্লেনে ট্রাভেল করার সময় রিস ফুব না খেয়ে যাওয়াই ভাল।কিন্ত আমার আম্মু আর সব কিছুই যে রান্না করেছে তাও কিন্তু বেশ ভারী খাবার। এসব খেতে না চাইলেও আম্মু নিজের হাতে সব এক টুকরা করে নিয়ে খাইয়ে দিয়েছে।খাওয়ার পর আধা ঘন্টার মতো রেস্ট নিলাম। এর পর রেডি হতে লাগলাম। কারণ রাত নয়টার প্লেন তাই সাতটার মধ্যেই শাহাজালাল বিমান বন্দর এ থাকতে হবে।এখন বাজে দুপুর তিনটা।একটু পর বের হলে দুই-তিন ঘন্টা লাগবেই।ছোট বাবার সাথে কথা বলতে বলতে রেডি হয়ে নিলাম। তারপর মেজ সেজ বাবাদের বলে আসলাম। যতোই আলাদা হোক তাদের বাবা বলি এইটুকু বলে দোয়া না নিলে আমি তাদের উপর না ইনসাফি করে বসব।
আম্মু,দাদি,আমেনা,আছমা,আয়েশা আমাকে ধরে কান্না করে যাচ্ছে। আমি অনেক কষ্টে নিজের চোখের পানি লুকিয়ে রেখেছি।আব্বু ও নিশ্চুপ এ কিছুক্ষণ পর পর চোখের পানিটা মুখ লুকিয়ে মুছে নিচ্ছে। আমার সাথে ছোট বাবা যাবে শুধু। উনি ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে আছে।আংকেল আমার হাতটা ধরে বলল (আয়ান)

বাবা বড় ছেলের দ্বায়িত্ব হিসাবে তোমার আব্বু যেমন সবার জন্য করেছে তুমি ও করবে এটা ভেবেই আমি খুব খুশি।কিন্ত বাবা আয়ান আমার মেয়েটা তোমার বউ হয় এটা ভুললে কিন্তু চলবেনা।তুমি গিয়ে তোমাদের লেনড লাইন এ কল দিয়ে তোমার নাম্বার টা আমাকে দিও।আমি আমাদের বাজার থেকে মাঝেমধ্যেই তোমাকে কল করব।(আংকেল আয়ান এর হাত ধরেই)

আচ্ছা আংকেল রুত আর রায়হান এর খেয়াল রাখবেন। আন্টি কে নিয়ে বেরাতে আসবেন এখানে আমি নেই তো কি হয়েছে আপনার বন্ধু তো আছে।(আয়ান মুচকি হেসে)

আচ্ছা বাবা আসব।তুমি খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করবে আর কাজের ফাকে রেস্ট ও নিও।(আংকেল আয়ান এর হাত ধরেই)

আচ্ছা আংকেল আসি।
আর সবার থেকে বিদায় নিয়ে আশেপাশে তাকাতেই দেখি রুতবা একটু দূরে ছলছল চোখে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।কান্না করে দিবে এমন একটা অবস্হা। এখন সবার সামনে ওর কাছে যেতেও একটু কেমন যানি লাগছে।কিন্ত মন কিছুতেই মানতে চাইছেনা আমার যে ওকে এই মুহূর্তেই দরকার খুব দরকার।
আমি একটু রুত এর সাথে কথা বলে আসি ছোট বাবা?(আয়ান ছোট বাবার উদ্দেশ্য)

যাও জলদি এসো।(ছোট বাবা আয়ান এর উদ্দেশ্য)

আমি সবার সামনে থেকে ওর কাছে গিয়ে দাড়ালাম। সবাই এদিকে তাকিয়েই আছে ।তাতে ওর সাথে কথা বলতে আমার কেন জানি ইতস্তত বোধ হচ্ছে।
রুত আমার সাথে এসো(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য বলেই ঘরে ঢুকে গেল)

হুম। (রুতবা আয়ান এর পেছনে হাটা দিল)

আমি আমার খাটে বসে পড়লাম। ও এসে সামনে দাঁড়াতেই ওর দিকে তাকালাম। কালো ও সাদার কম্বিনেশন এ একটা থ্রিপিস পড়নে হালকা গঢ়নের ফর্সা মেয়েটার দেখা আবার কবে পাব তার ঠিক নেই।ওকে দেখে চোখের সাধ মিটছেনা কালকের থেকে।হয়তো ওর প্রেমে পড়েছি।আমি আস্তে করে ওর দুইটা হাত ধরেই আমার পাশে বসালাম।ওর হাতের তালু টা আকড়ে ধরলাম। কিন্ত ও বাধন খুলে মুখটা নিচু করেই আছে।
রুত তোমার কাছে যাওয়ার আগে আমার একটা নিষিদ্ধ চাওয়া পূরণ করার ইচ্ছে হচ্ছে।যদিও আমার মস্তিষ্ক অন্য কিছু বলছে।তবে মনকে কিছুতেই মানাতে পারছিনা।দিবে আমার ইচ্ছে পূরণ করতে?আমি শুধু একবার তোমাকে কিস করতে চাই রুত?(রুতবার উদ্দেশ্য আয়ান)

নিশ্চুপ (রুতবা)

সরি ভুল করে বলে ফেলেছি।খুব বেশিই চেয়ে ফেলেছি মাফ করে দিও।তবে একটা কথা মানতেই হবে আমি যেমন যাচ্ছি তেমন এই ফিরে আসব আর তোমাকে যেমন রেখে যাচ্ছি তেমন ভাবেই যেন এসে পাই।মনে রাখবে
Distance doesn’t mean anything when you love someone enough.(দুরত্ব মানে কিছুই নয় যখন তুমি কাউকে প্রচুর পরিমাণে ভালোবাস)আর আমি আমার বউ কে দূর থেকে ভালোবাসব।(আয়ান মুচকি হেসে)

হুম।(রুতবা আস্তে করে)

আসি তাহলে ভাল থেক ভালো রেখ সবাইকে। ফিরে আসব কোন এক গ্রীষ্মের দিনে আমার আম পাগলিকে আম খাওয়াতে।(এক হাত রুতবার মাথায় রেখে আয়ান)

তুমিও ভালো থেক আর আমাকে মনে রেখ।(আয়ান এর উদ্দেশ্য রুতবা)

আচ্ছা উঠি দেরি হয়ে যাচ্ছে। (আয়ান বলেই দাড়িয়ে গেল)

আয়ান ভাই আমি তো তোমার বউ তাহলে আমাকে আদর করলে তা তো নিষিদ্ধ হওয়ার কথা না?(রুতবা আয়ান এর একটা হাত শক্ত করে ধরে মাথা নিচু করে)

এমন কথা শুনে আমি যেন হতভম্ব হয়ে ওর দিকে তাকিয়েই থাকলাম ।বেশ কিছুক্ষন পর ও উঠে আমার সামনে দাড়াল। তবে মাথা নিচু করে।আমি এক হাতে ওর মুখটা উচু করতেই দেখি ওর চোখ থেকে অনবরত পানি পরছে।আমি ওর চোখের পানি মুছে ওর কপালে একটা দীর্ঘ চুম্বন করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলাম। পেছনে তাকানোর সাহস আর হলনা।ভালোবাসার মানুষটির চোখের পানি এত্তটা কষ্ট দেয় জানা ছিল না।
ছোট বাবার সাথে আমি বেরিয়ে পড়লাম এক অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্য। পুরো তিন ঘন্টার জার্নি করে ঢাকা এয়ারপোর্ট পৌঁছে গেলাম। ছোট বাবার থেকে বিদায় নিয়ে ইমিগ্রেশন এ চলে গেলাম। দুই ঘন্টার পর প্লেন চলতে শুরু করল তার নিজ গন্তব্যে।পেছনে ফেলে আসা ভালোবাসার মানুষ গুলোর কান্না এখন ও কানে লাগছে।
সিঙ্গাপুর এসেছি এক সপ্তাহ হল।এসে দুইদিন রেস্ট করেই কাজে লেগে গেছি।দিনগুলো আপাতত ভালোই চলছে।আব্বুর সাথে ঐদিন কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্না আসছিল।কত্তটা কষ্ট করে আব্বু সবার জন্য ঘর তুলে দিয়েছিল তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। কিন্ত সার্থপর মানুষ গুলা আমার আব্বুর দূরসময়ে তাকে ফেলে আলাদা হয়ে গেছিল।আল্লাহ সহায়ক হোও একদিন এর যোগ্য জবাব এই দিব।
দেখতে দেখতে কেটে গেল তিনটা বছর। গত ছয়মাস আগেই বড় বোনের বিয়ে দিলাম।প্রথম দুই বছর রিন আর সংসার খরচ দিতেই সময় কেটে গেছে।বোনের বিয়ে বড় ঘরেই দিয়েছি। এখন তার ছোট দেবর এর জন্য আমার আরেক বোনকে নিতে চায় আংকেল। সেই নিয়ে এই কথা বলছিলাম।হঠাৎই আম্মু রুত কে ধরিয়ে দিল।গত তিনবছরে হাতে গোনা চারবার কথা বলেছি।এই পঞ্চম বার কথা বলব।ওর শুধু নিশ্বাস এর শব্দ পাচ্ছি।
তোমার ছবি দেখেই আমার মন ভাল হয়ে যায় আর তোমাকে পেলে আমি কত্তটা আনন্দে থাকব তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।তাও কেন এমন নিজেকে গুটিয়ে রাখ রুত?(আয়ান উদ্বিগ্ন কন্ঠে)

আমার রাতের আকাশে তোমার অবস্থান ঐ ভিনদেশি তারার মত আয়ান ভাই।যাকে চাইলেও ছুয়ে দেখার সাধ্য আমার নেই। কেমন আছ তুমি?(রুতবা হতাশ কন্ঠে আয়ান এর উদ্দেশ্য)

আকাশ অভিমান করলে যেমন বৃষ্টি হয়,
নদী অভিমান করলে বন্যা হয়,
আর তুমি এমন হতাশ হয়ে আমার সাথে কথা বললে আমার মনে ও অনেক কষ্ট হয় রুত।সেই সময় ভাল থাকা যায় বল?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য চোখ বন্ধ করেই)

আর কত্ত বছর থাকবা দূরে আয়ান ভাই?(রুতবা হাল্কা কান্না করে)

যেদিন বুঝব আমার বউ টা বুঝতে শিখেছে এক কাথার নিচে ঘুমালেই বেবি হয়না সেদিন। এখন বল পড়ালেখার খবর কি?কত্ত করে বললাম সাইন্স নাও না কমার্স নিয়ে বসলে।এখন হিসাব বিজ্ঞান এর নাকি কিছুই বোঝনা?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য হালকা রেগে)

কে বলল এসব তোমায়?নিশ্চয়ই ঐ সাকচুননি টায় বলছে এসব।ওর আজকে খবর আছে।(রুতবা হালকা চিৎকার করে রেগে)

এইতো লক্ষি বউ এমন উৎফুল্ল থাকবে।তোমার কষ্ট আমাকে ভিষন কষ্ট দেয়। (আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য )

আচ্ছা। খাবার খেয়েছ?(রুতবা আয়ান এর উদ্দেশ্য)

না এখন খাব।আচ্ছা শোন ডলার শেষ হতে চলল এখন রাখি পরে কল করব।তুমি এখানে আরো কয়েকদিন থেকে যেও।আর আম্মুকে বল টেনশন না করতে আমি টাকা পাঠায় দিব।রাখি রুত?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)

হুম।(রুতবা)

ভালোবাসি রুত।(আয়ান মুচকি হেসে)

হুমম । (রুতবা চোখ বন্ধ করে)

কল কেটে রান্নাঘরে চললাম রান্নার যোগার করতে।কাজ করে এসে রান্না করে খাওয়া খুব বিরক্তিকর। কিন্ত বেঁচে থাকার জন্য কত্ত কিছু করতে হয়।তিন বছর সিঙ্গাপুর থেকে আব্বুর উপর আমার তার প্রতি ভিষন ভালোবাসা বেরে গেছে।মানুষটা সবার জন্য কি করল আর সবাই তাকে কি দিল?যাইহোক আমি আমার বোনদের ও ফেমেলির জন্য করব ঠিক আছে সাথে আমার ভবিষ্যত এর জন্য ও করে রাখছি।জদিও আম্মুর কথাতে। আম্মু বলেছিল বাবা আপন মানুষ গুলো ততোদিন এই আপন যত্তদিন তুমি তাদের চাওয়া পাওয়া পূর্ণ করতে সক্ষম সে আমি(আম্মু)এই হোই না কেন। তাই বোনদের সাথে সাথে রুতবার কথা ও চিন্তা করতে শেখো।আম্মু নিজেই আমার প্রতি মাসের টাকার থেকে দুই হাজার টাকার একটা ডিপিএজ করেছে।রুতবার নামে। আমাদের ভবিষ্যত এর জন্য যাতে কোনদিন আমাকে আব্বুর মতো সিচুয়েশন ফেস করতে না হয়।এসব ভাবতে ভাবতেই রান্না সেরে নিলাম। তারপর শাওয়ার নিয়ে খেতে বসলাম। খাওয়ার পর ঘুমাতে চলে আসলাম।সকালে উঠে কাজে যেতে হবে।(আয়ান মনে মনে)

***************(চলবে)***************

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে