#MEANINGLESS_LIFE_PARTNER(অর্থহীন জীবন সঙ্গী)
পর্ব:4
#লেখিকা_Arshi_khan
(HAPPINESS MEANS YOU:খুশি থাকার মানেই তুমি)
গ্রীষ্মের গরমে পুরো শরীর জ্বলে যাচ্ছে।আম ও কাঠাল পাকার ঘ্রাণ এ বাড়ির চারপাশে ভরে গেছে ।এদিকে পরীক্ষার আগের দিন এই রুত এর উপস্থিতি তে খুশি হব নাকি বিরহে কান্না করব বোধগম্য হল না।আম কাঠালের দিন অথচ রুতকে কথা মতো আম খাওয়াতেই পারি নাই।এখন সেই আগের বারের মত নিশ্চুপ এই আছে এর রাগ ভাঙ্গাব নাকি পড়াতে মন দিব এই নিয়ে দ্বিধা তে আছি।কিন্ত এখন উঠে যদি আম পারতে যাই মার একটাও মাঠিতে পরবেনা।আম্মু ঝাড়ু দিয়ে পেটাবে আম গাছে উঠতে দেখলে।তাই এখন চুপচাপ পড়াতেই মন দিলাম। দুপুর এর খাবার এর সময় সবাই যখন একসাথে খাওয়া দাওয়া করছে আমি দৌড়ে দাদির ঘরের পেছনের থেকে আম পেরে আনলাম। এনে সুন্দর মত একটা ব্যাগে ভরে রাখলাম। রুত এর সাথে কথা বলার সুযোগ আর হয়ে উঠলনা।খাওয়ার পর এই আবার পরতে বসেছি।সন্ধার দিকে একটু সুযোগ হল ওর সাথে কথা বলার কিন্ত ও রাগ করে আর কথা বলে নাই।আমি ও নাছোর বান্দা কথা বললে বলুক না বললে নাই এইবার আম পাগলিকেও আম আমি খাইয়ে এই ছাড়ব।আমি আমেনাকে বলে সব আম কাটালাম।তারপর বোলে করে সব আম নিয়ে ওর হাত ধরে টেনে আমার রুমে এনে আমার খাটে বসিয়ে ওর হাতে বোল দিয়ে দিলাম।
নাও রুত তোমার জন্য এগুলো সব। (মুচকি হেসে আয়ান)
এত্ত আম?(অবাক হয়ে রুতবা)
হুম খাও।তাও রাগ করে থেক না।(রুত এর গাল টিপে আয়ান)
হুম। (বলেই খুশি মনে আম খেতে লাগল রুতবা)
আমি এক ঘ্যানে আম পাগলির আম খাওয়া দেখে গেলাম সেই সন্ধা।রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে আসলাম। কারণ সকাল দশটায় পরীক্ষা দরকার হয় ভোরে উঠে আবার পরব।আমার সাথে আয়েশা আর রুত ঘুমিয়েছে। পাশের ঘরে আঙ্কেল আন্টি আর রায়হান (শালা)ঘুমিয়েছে।আর উপরে আব্বু,আম্মু,আমেনা আর আছমা।অনেকক্ষন আমি আয়েশার আর রুত এর গল্প শুনেছি। একটা সময় চোখটা লাগতেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ভোর পাচঁটার দিকে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। পরীক্ষার টেনশন এ ঘুমের ঘরে ও শরীর কাপছিল।ভোরে উঠে কোনরকম মুখ ধুয়ে এই পড়তে বসলাম। সকাল নয়টা পর্যন্ত পড়ে রেডি হয়ে সবার থেকে দোয়া নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেলাম।
বারোটা পরীক্ষা প্রেকটিকেল নিয়ে পুরো এক মাসে পরীক্ষা শেষ হবে।এগারোটা পরীক্ষা খুব ভাল ভাবেই সম্পন্ন করতে পেরেছি।শেষ পরীক্ষার আগের দিন রাতে দাদার অবস্হা আবার খারাপ হতে লাগল। সে গত একবছর যাবত এই অসুস্থ। যা গল্পের শুরুতেই বলেছি।তবে মাঝে একটু সুস্থ ছিল। দাদাকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি আর আহা জারি পরে গেল পুরো বাড়িতে। পুরো রাত সবাই অপেক্ষা করেছে কখন সকাল হবে আর কখন দাদাকে সদর হসপিটাল এ নিবে।কিন্ত আল্লাহ পাক হয়তো দাদার হায়াত এই পর্যন্ত এই রেখেছিল। সকাল আটটার দিকে দাদা হঠাৎই পুরো নিশ্চুপ হয়ে যান।আমার হাতে এই তাকে শেষ পানি পান করিয়েছিলাম।হঠাৎই আমার দিকে হাতটা বাড়িয়ে বুড়ো বলে উঠেছিল ছোট বুবুজান আর আমার বুড়ির খেয়াল রেখ দাদাভাই।তারপর হাতটা আমার হাতেই নিস্তেজ হয়ে গেল। আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। যেই আমি এতকাল চাইলাম বুড়ো মরলে আমার এই বয়সে বিয়ে করতে হতোনা।সেই আমি এই যেন পাথরে পরিণত হলাম।ছোট বাবা আমাকে সরিয়ে দাদার পালস চেক করে হাউমাউ করে কান্না করে দাদির কোলে আচড়ে পড়লেন।সবাইকে ছোট বাবা জোর করে কিছুক্ষণ আগে বের করে দিয়েছিল।ছোট বাবার আহা জারি চিৎকার এ সবাই হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকতেই চিৎকার করে কেদে উঠলেন।পুরো বাড়িতে কান্নার রোল পরে গেল মুহূর্তেই। যখন আমি সিওর হলাম দাদা সত্যি নেই ঠিক সেই সময়ই আমি সেন্স হাড়ালাম।
পানির ঝাপটায় সেন্স আসতেই দাদার শরীর কে জড়িয়ে আমিও চিৎকার করে কান্না করতে লাগলাম। ছোট বাবা আমাকে সেখান থেকে সরিয়ে জলদি বাইরে নিয়ে আসল এক প্রকার টেনে।
ছোট বাবা দাদা কি সত্যি আমাদের ছেড়ে চলে গেছে?(আয়ান কান্না করে মাটিতে বসে পরে)
যে গেছে সে আর আসবেনা।কিন্ত তোর আর আধা ঘন্টার পর পরীক্ষা তুই এখনি রেডি হবি আর আমার সাথে পরীক্ষা দিতে যাবি।(ছোট বাবা আয়ান কে দাড়া করিয়ে)
ছোট বাবা আমি পারবনা।আমি আমার দাদার কাছে যাব।আমাকে আমার দাদা এনে দাও ছোট বাবা।(চিৎকার করে কান্না করতে করতে মাটিতে বসে আয়ান)
আয়ান বাবা দেখ যে যাওয়ার সে যাবেই।কিন্ত তোর দশ বছরের মেহনত মাঠি হয়ে যাবে আজকে পরীক্ষা না দিলে।(ছোট বাবা আয়ান কে তুলে নিজের সাথে জড়িয়ে)
ছোট বাবা সবাই কে বুঝিয়ে আমাকে জোর করে নিয়ে গেল পরীক্ষার হলে।তিন ঘন্টার পরীক্ষা দেড় ঘন্টাতে কোন রকম লিখে খাতা জমা দিতে যাব হঠাৎই ছোট বাবা ক্লাসে এসে স্যারের উদ্দেশ্য বলে গেল আমার অবস্হার কথা।পুরো ক্লাস স্তব্ধ হয়ে গেল আমার ছোট বাবার কথায় নিজের বাবার লাশ রেখে ভাইপো কে নিয়ে পরীক্ষার জন্য জোর করে এনেছে।আবার স্যারদের অনুরোধ করছে আমার প্রতি সদয় থাকার জন্য।
আমি না চাইতেও ছোট বাবার ও ফেমেলির কথা ভেবে ভাল মতো পরীক্ষা দিলাম। দুইজন বাড়ি ফিরে দেখি দাদার গোসল শেষ।খাটিয়ার উপর শুইয়ে রেখেছে।এই দেখে আমরা চাচা ভাতিজা জীবনের প্রথম বার একে অন্যকে জড়িয়ে চিৎকার করে কান্না তে ভেঙ্গে পড়লাম।
আছড়ের নামাজ এর পর কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হল।নামাজের পর জানাজা দেওয়ার পর আমরা দাদার খাটিয়া নিয়ে চললাম কবর স্থান এর উদ্দেশ্য। বাবা চাচারা মিলে খাট ধরেছে।মাঝে আমি ও একবার ধরেছিলাম।কবর এ নেমে আব্বু আর ছোট বাবা যখন দাদার লাশ কবরে রাখছিল আমি সেই সময়ই আবার চিৎকার করে কেঁদে উঠি।আসলে মানুষ ঠিকই বলে দাঁত থাকতে আমার দাঁতের মর্ম বুঝিনা।কিন্ত যখন আমরা হাড়াই তখন থেকেই নিজেদের মনে হাড়ানোর আহা জারি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা।যেমন বংশের এক মাত্র পুত্র হিসাবে আমি সর্বদাই দাদার আদর বেশি পেয়েছি। কিন্ত আমার বিয়ে করানোর কারণে গত এক বছর দাদাকে আমার একদম দেখতে ইচ্ছে করত না।কিন্ত আমি রুত কে খুশি রাখার ট্রাই করে গেছি।যার জন্য ওকে পেরেছিলাম তার উপর মিছে রাগ করে কাটিয়েছি।বুড়ো আমায় মাফ করে দিও।(আয়ান কবরের পাশে বসে মনে মনে)
সারাদিন সবাই না খেয়ে থাকার কারণে সবার এই অবস্হা বেহাল।বিশেষ করে বাচ্চাদের তো মুখটা শুকিয়ে গেছে।বাড়ির বড় বউ হওয়ার সুবাধে সবার ভাল মন্দ দেখার দ্বায়িত্ব আব্বা আমাকে দিয়েছেন। আর সব গুলোই আমার বাচ্চা ওদের এমন করুণ দশা মানা যায়না।মরা বাড়ি রান্নার জন্য চুলা জ্বালানো নিষেধ চারদিন পর্যন্ত। সেই জন্য আমি আম গাছের থেকে পাকা আম পেরে মুরি চিনি দুধ আর আম মাখিয়ে সব বাচ্চাদের ডেকে আরেক ঘরে বসিয়ে দিয়ে আসলাম। বড় মেয়েরা দাদার শোকে খেতে নারাজ কিন্ত কালকে রাতের থেকে না খাওয়া এতে ওদের শরীর খারাপ হবে।তাই জোর করে ওদের খাইয়ে এসেছি।আসলে বাড়ির সব চেয়ে বড় ছায়া যখন হারিয়ে যায় মিলিয়ে যায় এমন জায়গাতে যেখান থেকে কোনদিন ফিরবেনা এটা যেনে খাওয়ার মন মানসিকতা থাকেনা।তাও শরীর তো আর এটা মানবেনা।(আম্মু মনে মনে)
কেটে গেল আরো কয়েকমাস।সময় বহমান কারো জন্য কেউ থেমে থাকে না।সবাই আবার নিজেদের লাইফ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।পরীক্ষার রেজাল্ট হাতে পেলাম।খুব ভাল মার্ক পেয়েছি সব সাবজেক্ট এ।ফাস্ট ডিভিশন পাওয়া ভাগের ব্যাপার। তবে আল্লাহর রহমনে তা পেয়েছি। এখন ঢাকা কবি নজরুল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ছোট বাবার সাথেই ঢাকা আসলাম।হাজার মানুষের ভিরে এখন ইন্টার এ টিকে থাকার লড়াই করতেই ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া। ভাগ্য ভাল হলে হয়তো এখানে চান্স পেলেও পেতে পারি।
পরীক্ষার পর অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই আপাতত। রেজাল্ট বের হওয়ার আগে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য তিনমাস কোচিং করেছি।এখন যা হবে আল্লাহ ভরসা।
দশদিন পর কলেজ থেকে রেজাল্ট বের হল।আলহামদুলিল্লাহ দুইশ ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেই আমিও সিলেক্ট হয়েছি।কলেজে ভর্তি হওয়ার পর গ্রাম থেকে ঢাকা এসে পরতে বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হল।রেগুলার ক্লাস করতে পারতাম না।তিন মাস খুব কষ্টের মধ্যেই ক্লাস করতে হয়েছে। তাই আব্বু আমাকে কবি নজরুল কলেজের ছাত্রাবাস এ রুম নিয়ে দিল।কলেজে নতুন বন্ধু বান্ধবীর ভীরে রুত নামের যে কেউ আছে তা বেমালুম ভুলে না গেলেও প্রায় ভুলতে বসেছিলাম।
দাদার এক বছরের মৃত্যু বার্ষিকী তে আব্বু এসে কলেজের থেকে আমাকে এক সপ্তাহ এর ছুটিতে নিয়ে গেল।প্রায় ছয়মাস পর বাড়িতে ফিরে যেন প্রাণ ফিরে পেলাম।
আম্মু কেমন আছ?(আম্মুকে জড়িয়ে ধরে আয়ান)
তোকে ছাড়া যেমন থাকা যায় বাবা।(কান্না করে আম্মু)
কান্না করছ কেন আম্মু?এইতো আমি এসে গেছি।এখন পুরো এক সপ্তাহ তোমার কাছেই থাকব।(মুচকি হেসে আয়ান)
মা ছেলের আদর ভালোবাসা শেষ হলে ছেলেকে ফ্রেস হতে পাঠাও সেই শহর থেকে আসল।(আব্বু আয়ান আর আম্মুর উদ্দেশ্য)
আমি কলপারে গিয়ে মুখ হাত ধুয়ে ঘরে এসে মুখ মুছে খেতে বসলাম। আম্মু আমার পাশে বসে খাবার বেড়ে দিচ্ছে আর আমি খেয়ে যাচ্ছি। হোস্টেল এর খাবার খেতে খেতে মুখটা বাকা হয়ে গেছে।এখন খুব মজা করে খাবার গুলো খাচ্ছি। মায়ের হাতের রান্না যেমন এই হোক অমৃত এর মতো এই লাগে।খাবার খেতে খেতে সামনে তাকাতেই বিষম খেয়ে বসলাম।আম্মু জলদি পানি এগিয়ে দিতেই আমি পানিটা একবারেই শেষ করলাম। সামনের থেকে হেটে আসা ছোট রমনির দিকে তাকিয়ে আমি প্রথম বার মুগ্ধ হলাম। আমার ছোট্ট রুতকে এই কাপরে কত্তটা সুন্দর লাগছে বলে বোঝানো সম্ভব না।ছি ছি আয়ান এসব উল্টা পাল্টা কথা ভুলেও মাথায় আনবিনা ও এখন ও বাচ্চা ।(আয়ান মনে মনে)
কেমন আছ আয়ান ভাই?(রুতবা মুচকি হেসে আয়ান এর উদ্দেশ্য ওর পাশে বসে)
আলহামদুলিল্লাহ ভাল। তোমার কি খবর রুত?(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য মুচকি হেসে)
এইতো চলছে।তোমার খাওয়া শেষ হলে তারপর কি কোন কাজ আছে?(রুতবা )
নাতো কেন?(আয়ান ব্রু কুচকে)
আসলে আয়েশা আর আমি আজকে শাড়ি পরেছিতো। তাই ভাবছিলাম আমরা একটু ঘুরতে যাব।নিয়ে যাবে আমাদের?(রুতবা উৎফুল্ল কন্ঠে)
তোমাদের আঙ্কেল জ্ঞানের এত্ত অভাব জানা ছিল নাতো!এখানে সবাই একজন এর মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠান এ এসেছে।কোন বিয়ে বাড়িতে না।যে সেজেগুজে ঘুরতে চলে যাবে।গিয়ে চুপচাপ রুমে বস।(আয়ান রাগি সুরে রুতবার উদ্দেশ্য)
আমি নিশ্চুপ হয়ে সিরি বেয়ে উপরে চলে আসলাম। আমার ভিষন কান্না আসছে।আয়ান ভাই তুমি এমন কেন।দাদি বলে তুমি নাকি আমার স্বামী। তোমার কাছে কাছে থাকতে বলল সব সময়ই। শাড়ি পরিয়ে দিল যেন তোমার চোখে পরি।কিন্ত তুমি শুধু শুধু আমাকে বকা দিলে।কোথায় এক বছর পর দেখা হল বলে একটু তোমার পাশে বসাবে জিজ্ঞেস করবে পড়ালেখা কেমন চলছে,শরীর কেমন তানা শুধু শুধু বকা দিলে।(বিরবির করে রুতবা কান্না করে)
এভাবে না বললেও পারতি বাবা।মেয়েটা কত্ত শখ করে এসেছিল।বাচ্চা মেয়ে ওর কি এত্ত জ্ঞান বুদ্ধি আছে?(আম্মু হালকা রাগি সুরে আয়ান এর উদ্দেশ্য )
কালকে দাদার মৃত্যু বার্ষিক আম্মু। অথচ ও বাড়ির একমাত্র ছেলের বউ হয়ে আজকে ঘুরলে মানুষ নানা কথা শুনাবে।আর আমি এমন কিছু হোক চাইনা।আর বাচ্চা মেয়ে ও অবুঝ হলেও সমাজের মানুষ গুলো ওকে অবুঝ হিসাবে দেখবে না বরং এই বাড়ির পুত্র বধু রূপে এই দেখবে।আর সেইহিসাবে ও এমন সেজেগুজে বের হতে চাচ্ছে তাও আবার আমার সাথে ব্যপার টা আরো বেশিই কটুক্তি পূর্ণ বলে গন্য হবে।তাই ওকে একটু বকেছি।পরে ওর রাগ ভাঙ্গাব চিন্তা করনা।এখন তুমি আমাকে ডাল দাও।(আয়ান আম্মুর হাত ধরেই)
আমার ছোট ছেলেটা কবে এত্ত বড় হল বুঝতেই পারিনি!(আয়ান এর মাথায় হাত রেখে আম্মু)
খাওয়ার পর আমি কিছুক্ষণ খাটে হেলান দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কিছু কবিতার মধ্যেই স্মৃতি কবিতাটা পারছিলাম।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে পার্সোন ভাবে আমার ভীষণ পছন্দ। তার লেখা কবিতার ও গল্পের বই গুলো পড়তে আমার ভিষন ভাল লাগে।
কবিতা:স্মৃতি
লেখক:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ওই দেহ-পানে চেয়ে পড়ে মোর মনে
যেন কত শত পূর্বজনমের স্মৃতি ।
সহস্র হারানো সুখ আছে এ নয়নে,
জন্ম-জন্মানতের যেন বসন্তের গীতি।
যেন গো আমারি তুমি আত্মবিস্মরণ,
অন্তত কালের মোর সুখ দুঃখ শোক,
কত নব জগতের কুসুমকানন,
কত নব আকাশের চাঁদের আলোক।
(বাকিটা পরে নিয়েন)
এমন আরো কয়েকটা কবিতা পড়ার পর হঠাৎই পাশের ঘরে রুত এর গলার আওয়াজ পেলাম। আমি উঠে বসে একটা গেঞ্জি পরে নিলাম,লুঙ্গি পাল্টে একটা প্যান্ট পরে নিলাম। তারপর পাশের ঘরে গিয়ে রুতকে ডাক দিলাম। কিন্ত ও রাগ করে বসেই থাকল।আর মুখ ঘুরিয়ে রাখল।যা বাবা যার জন্য রেডি হলাম সে উল্টো রাগ করে বসে আছে।
রুত আমি ডাকছি কিন্তু।(আয়ান রুতবার উদ্দেশ্য)
নিশ্চুপ।(রুতবা)
থাকুক ও ওর রাগ নিয়ে ।বাচ্চাদের বেশি লাই দিতে নেই ।লাই দিলে মাথায় চরে বেরাবে।তাই রুম থেকে বেরিয়ে বাইরে চলে আসলাম বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য। (আয়ান)
*********(চলবে)********