♥Love At 1st Sight $2
Part : 6
writer-Jubaida Sobti♥
পরদিন ভার্সেটি গেলো স্নেহা…
ক্লাসে ঢুকতেই দেখে রাহুল বসে আছে দুজনে চোখে চোখ পড়াতে… স্নেহা রাহুলকে চোখ টিপ মাড়লো?
রাহুল একটু হেসে অন্যদিকে ফিরে যায়..
ক্লাসে স্যার এসে সবার Assignment খুজতে লাগলো…
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকাতেই দেখে রাহুল তার Assignment নেহাকে দিয়ে দিচ্ছে…যতটুকু দেখে স্নেহা বুঝতে পারলো পেত্নীটা নিশ্চয় ফেলে এসেছে আর না হয়…করেনি…তাই এখন রাহুলেরটা নিয়ে টানাটানি…
নির্লজ্জ মেয়ে একটা…?
নেহা রাহুলের Assignment …তার নামে জমা দিলো… আর যারা যারা Assignment করেনি তাদের জন্য স্যারের উপদেশ ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়া…
রাহুল উঠে চলে যাবে ঠিক সেই সময় স্নেহা তার Assignment টি রাহুলের টেবিলের উপর ছুড়ে মারে..
রাহুল অবাক হয়ে স্নেহার দিকে তাকিয়ে রইলো…?
স্নেহা : Take it?..
এই বলে স্নেহা দাঁড়িয়ে পড়লো স্যারকে সরি বলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়…আর স্যার স্নেহাকে অনেক কথা ও শুনিয়ে দিলো.. ?
রাহুল কিছুক্ষণ চিন্তা করে..
স্নেহার Assignment টি জমা না দিয়ে ব্যাগে ভরে ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ে…স্যার রাহুলকে ও লেকচার না শুনিয়ে ছাড়লো না…
রাহুল ক্লাস থেকে বেরিয়ে দেখে…স্নেহা বারান্দায় দাঁড়িয়ে… আশেপাশে ঘুরঘুর করে দেখছে…
স্নেহা পাশ ফিরতেই দেখে রাহুল তার পাশে… তাই স্নেহা একটু ভয় পেয়ে যায়..
স্নেহা : এইভাবে কেউ আশে নাকি?..??পুরাই ভয় পেয়ে গেছি.. আর তুমি এইখানে কি করছো বলো তো…তোমার তো এখন ক্লাসে থাকার কথা..
রাহুল স্নেহাকে কিছু না বলে স্নেহার হাত ধরে টেনে লাইব্রেরীর রুমে নিয়ে যায়…
স্নেহা : রাহুল! কই নিচ্ছো?..?
কিছু মেধাবী স্টুডেন্ট ৩/৪ জন হবে অনেক মনোযোগ সহকারে বই পড়ছিলো…?তারা বই পড়া বাদ দিয়ে…চেয়ে থাকে..রাহুল স্নেহাকে কই নিচ্ছে… ?
সেল্ফের একটি কোণায় নিয়ে গিয়ে দাড় করায় রাহুল স্নেহাকে.. রাহুল একটু আড় চোখে সবার দিকে তাকালে সবাই আবার বই পড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে..
রাহুল স্নেহার দুপাশে কাধের উপর সেল্ফে হাত রেখে দাঁড়ায়…
স্নেহার বুক কাঁপতে লাগলো.. কারণ রাহুল স্নেহার এতোটাই কাছে যে তা স্নেহা ভাবতেও পারছে না…?
স্নেহা : [ ধীরো কন্ঠে] দেখো রাহুল? আমি কি তোমার সাথে এসব করি নাকি?..
রাহুল : [একটু হেসে] এসব বলতে?..?
স্নেহা রাহুলের দিকে তাকিয়ে থাকে…রাহুল স্নেহার চোখে চোখ রেখে হাসছে…
স্নেহা তাড়াতাড়ি নিজের চোখের উপর হাত দিয়ে দেই…
রাহুল : Hey! what happen?..?
স্নেহা : ??এইভাবে চেয়ে আছো কেনো আমার লজ্জা লাগছে…
রাহুল : ওহ! রিয়েলি..?
রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার হাত নামিয়ে দেই..
রাহুল : তোমার Assignment টা আমাকে দিয়ে দিলে কেনো?..?
স্নেহা : কারণ তোমারটা ঐ পেত্নী নিয়ে নিলো বলে…?
রাহুল : shut-up স্নেহা ও মোটেও পেত্নী না!…?
স্নেহা : ওহ তাই! তাহলে কি?.?.রাক্ষসী.. নাকি শাকচুন্নি?..
[রাহুল স্নেহার কথা শুনে হেসে দিলো.]
স্নেহা : [মনে মনে] এই মিষ্টার হ্যান্ডস্যামের আজ কি হয়ে গেলো… এইভাবে এতো নরম হয়ে কথা বলছে..আর আমার এতোটাই কাছে…??দিলেতো কম্পন শুরু হয়ে গেল।
রাহুল : কি ভাবছো?…?
স্নেহা : ?কই নাতো… কিছুনা..
রাহুল : তুমি যদি ভেবে থাকো!… তোমার এইসব নিয়ে আমি তোমার প্রেমে পড়ে যাবো… ??No way.. Miss.Dramaqueen..
স্নেহা : মানে কি?..?
রাহুল : মানে হচ্ছে! এই যে তুমি আমার জন্য মায়া দেখিয়ে যে Assignment টা দিয়ে গেলে… ওটা আমার দরকার নেই..বুঝেছো.. আমি আমার নিজেরটা দিয়ে চলি কারো সাহায্য আমার প্রয়োজন নেই…?
স্নেহা : তোমার কি মনে হয়েছে আমি এসব মায়া দেখিয়ে করেছি?..?
[স্নেহা রাহুলকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে দেই..?]
মনে হওয়ারই কথা..কারণ তোমার কাছে তো মানুষের ফিলিংস গুলো খেলনার মতো… তাই না..
শুনো?.. সবাই মায়া দেখিয়ে সব কিছু করে না…
কেউ কেউ..ভালোবেসে ও করে..?
রাহুল : ?? what?..
স্নেহা : [রাহুলের কাছে এসে]
শিসস! কুচ্ কুচ্ হতাহে রাহুল.. তুম নেহি সামজোগি্?
স্নেহা একটু বেকে হেসে..[রাহুলকে তার হাসিটা আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেই..] তেডি স্মাইল!?
[রাহুল ও হেসে দেই!…]
স্নেহা : সুট করে অনেক..?হাসিটা…
এই বলে স্নেহা লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে যায়… আর রাহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে…
মার্জান : এই স্নেহা! কোথায় চলে যাস বলতো…
স্নেহা : আরে এইদিকটা গিয়েছিলাম..
মার্জান : দেখ আমার না অনেক খিদে পেয়েছে চলনা ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খেয়ে আসি…
স্নেহা : ওকে চল!
স্নেহা মার্জানকে নিয়ে ক্যান্টিনে ঢুকতেই একটা ছেলের সাথে ধাক্ষা পড়ে…
স্নেহা : সরি সরি!
ছেলেটি : ওহ! চ্যান্ডি ?হাউ আর ইউ?..
স্নেহা : এক্সকিউজ মি?…?
ছেলেটি : i am sameer you don’t know me?..?
স্নেহা : আজিব! কোন সামির..আমি এই নামের কাউকে চিনি না…
সামির : আরে চ্যান্ডি..এসব কি বলছো…?
স্নেহা : দেখুন আমি কোনো চ্যান্ডি ক্যান্ডি না..আমার নাম স্নেহা!…
সামির : ওহ ও! i m so sorry! আমি ভেবেছি তুমিই চ্যান্ডি হবা! ? আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে..চ্যান্ডি নামের একটি মেয়ে আমার সাথে দেখা করতে আসার কথা… ওকে আমি আগে কখনো দেখিনি…তাই ভুল করে তুমি সহ…আরো তিনজনকে চ্যান্ডি ভেবে ফেলেছি..
স্নেহা : ওহ! it’s ok..
সামির : ওকে বাই!?
স্নেহা : বাই!?
সামির : বাই?
[স্নেহা আর কিছু না বলে সরে গেলো ]
মার্জান : কি আজিব ছেলে! কথা নেই বার্তা নেই..হুট করেই তোকে চ্যান্ডি ভেবে বসলো নামটাও কি আজিব!??
স্নেহা : বাদ দে তো!??
মার্জান : অবশ্যই সুন্দরি মেয়ে দেখলে এসব ভাবারই কথা?
স্নেহা : হয়েছে তোর লেকচার এইবার অর্ডার কর,
এইদিকে রাহুল লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে… বাড়ী চলে যাওয়ার জন্য গাড়ীতেই উঠছিলো..হঠাৎ পিছন থেকে নেহা ডাক দেই…
নেহা : রাহুল! কই যাচ্ছো..
রাহুল : নেহা আমার না একটু খারাপ লাগছে..আমি তোমার সাথে পরে দেখা করবো ওকে!
নেহা : কিন্তু তুমি যে বললা ক্লাস শেষে দুজন একসাথে বের হবো!
রাহুল : হে বলেছিলাম..কিন্তু আমার আজ ভালো লাগছে না কাল যাবো ওকে?..
নেহা : তোমার তো এমনিতেই এখন আর আমাকে ভালো লাগে না??
রাহুল : [নেহার কাছে এসে] কি বলছো এসব পাগলের মতো
নেহা : নয়তো কি?..আগে কথা দিয়ে কথা রাখতে… এই কদিন ধরেই দেখছি..আমার সাথে ভালো করে কথা বলছো না…
রাহুল : বলবো কি করে?.. তুমি তো সারাদিন ব্যস্ত থাকো… নয় শপিং, নয় রেষ্টুরেন্ট, নয়তো ফ্রেন্ডসদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া…
নেহা : আচ্ছা! আমার এসবে তোমার অনেক প্রবলেম হয় তাই না?…
রাহুল : আরে পাগলী প্রবলেম হতে যাবে কেনো?..তুমি বললা আমি ভালো করে কথা বলিনা তাই বললাম… ওকে সরি!
নেহা : [রাহুলকে ঝড়িয়ে ধরে] লাভ ইউ বেবি??
রাহুল : [ ঝড়িয়ে..] লাভ ইউ টু…
নেহা : ওকে বাই!..?
রাহুল : ওকে…? বাই..
এইবলে রাহুল…চলে যায়…
বাসায় গিয়ে রাহুল…ভাবতে থাকে..নেহাকে এভাবে ফেলে আসাটা উচিৎ হয়নি.. কিন্তু কি করার…কেমন যেনো সব…ওলোটপালট হয়ে যাচ্ছে…?
বিকেলে স্নেহা রাহুলের বাসায় এসে এদিক ওদিকে তাকাতে লাগলো…
হঠাৎ,পিছন থেকে ফাবিহা এসে স্নেহাকে ভয় লাগলো…
স্নেহা : আরে! ?
ফাবিহা : ??ভয় পেয়েছো টিচার…
স্নেহা : হুম! একটু একটু??
ফাবিহা : জানো টিচার..বাসায় না..ও এসেছে…
স্নেহা : কে?..?
ফাবিহা : ঐ যে.. কাটা টা!..?
স্নেহা : What!? এখন কই?..
ফাবিহা : রাহুল ভাইয়ার রুমেই আছে..
স্নেহা : রাহুলের রুমে?..??
ফাবিহা : শিসস! আস্তে টিচার চাচ্চুর গ্রেন্ডমাদার? জানলে চাচ্চুকে বকবে..
স্নেহা : [ মনে মনে] তার মানে ও যে রুমে আছে সেটা দাদী জানে না..? না জানি রুমের মধ্যে কি কি করছে..?
স্নেহা : ফাবিহা! আমার না গা ঝলছে?
ফাবিহা : ওহ ও টিচার Don’t worry না..একটা প্লান করো যাতে…ও বেরিয়ে যায়..
স্নেহা : হুম সেটাই ভাবছি..?
[হঠাৎ, স্নেহার মাথায় একটি বুদ্ধি এলো.. ]
স্নেহা : ফাবিহা?.. তোমার চাচ্চু কি ড্রিংক করে?..
ফাবিহা : u mean wine?..?
হে সেটা তো বাবাও খায়..
স্নেহা : শিসস! আস্তে আস্তে!..
স্নেহা [মনে মনে] ভাবতে লাগলো সে কোন দুনিয়ায় আছে…?
স্নেহা : আচ্ছা শোনো! তুমি গিয়ে তোমার বাবার রুম থেকে…হাফ গ্লাস! ওয়াইন আনবা… দেখো তোমার মাম্মা যাতে জানতে না পারে!..
ফাবিহা : Don’t worry আমি আরো অনেক বার বাবার ওয়াইন চুরি করেছি মা ঠেরই পায়নি..?
স্নেহা : তুমি ওয়াইন দিয়ে কি করেছো ?
ফাবিহা : টমিকে খাইয়েছি..
স্নেহা : টমি কে?..
ফাবিহা : টমি হলো চাচ্চুর কুকুর! ও অনেক চেঁচাচ্ছিলো..চাচ্চু তখন বাসায় ছিলো না তাই খাইয়ে দিয়েছিলাম…
[স্নেহা মুখ চেপে হেসে দিলো ??]…
স্নেহা : ওকে!? এখন আরেক টমিকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করো?…
ফাবিহা : ওকে…?
ফাবিহা চলে যায়…ওয়াইন আনতে…
স্নেহা কিচেনে গিয়ে..কাজের লোককে … বলতে থাকে..শোনো দাদী বলেছে..দু গ্লাস! শরবত বানাতে…আই মিন এক গ্লাস ফুল আরেক গ্লাস হাফ..
কাজের লোক : আরেক গ্লাস হাফ কেনো?..
স্নেহা : ? তা আমি কিভাবে বলবো..দাদী বলেছে তা দাদীর অর্ডার..
কাজের লোক : আচ্ছা বানিয়ে দিচ্ছি…
স্নেহা দাঁড়িয়ে থাকে…কাজের লোকটা শরবত বানিয়ে দেই…
স্নেহা : আমাকে দাও আমি দিয়ে আসি!
কাজের লোক : আরে না! আপনি কেনো কষ্ট করবেন…আমরা আছি না!
স্নেহা : আরে দাও তো কিছু হবেনা…তুমি যাও…
স্নেহা শরবত গুলো নিয়ে..উপরে যায়..ফাবিহা স্নেহাকে ওয়াইন এনে দিলে…স্নেহা হাফ গ্লাসে ওয়াইন গুলো ঢেলে দেই…
স্নেহা গিয়ে রাহুলের দরজা বাড়ি দেই..এবং রাহুল দরজা খুলে!
রাহুল : তুমি?..এইখানে কি করছো..
স্নেহা : আসলে অনেক গরম পড়ছে..তাই আমি ভেবেছি..তোমাদের দুজনের জন্য একটু শরবত দেই…
নেহা : রাহুল ?? ও এইখানে কি করছে…
রাহুল : নেহা! ও..
স্নেহা : আমি ফাবিহাকে ডান্স শেখাতে এসেছি… ?
নেহা : ঠিকমতো হাটা জানে না..এই আবার ফাবিহাকে ডান্স শেখাবে…হাউ ফানি??…
রাহুল : দেখো! বাসায় অনেক লোক আছে… আমার যদি লাগতো তাহলে ওদের বলে দিতাম…তোমার এসব নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই…যেই কাজে এসেছো সেই কাজ করো…
নেহা : ওকে রিলেক্স রাহুল! ও তো এসবেরই যোগ্য… এনেছে যখন খেয়েনি.. বাই দা ওয়ে… আমাকে শরবত এনে খাওয়ানো এটাও ওর…সৌভাগ্য..
স্নেহা : [ মনে মনে ] একবার খেয়েই দেখ তারপর কার সৌভাগ্য আর কার দূরভাগ্য তা নিজেই বুঝবি..?
নেহা একটি গ্লাস নিতে গেলে,
স্নেহা : আরে আরে…আমি দিচ্ছি ওয়েট… [ স্নেহা নেহাকে একটি গ্লাস হাতে তুলে দেই…আরেকটি রাহুলকে ]
রাহুল : [মনে মনে] ড্রামেবাজ! মাথায় কি খিচুড়ি পাকিয়েছে কে জানে!…?
স্নেহা : Enjoy Enjoy ??…
নেহা : থেংক ইউ…?
স্নেহা রুম থেকে বেরিয়ে গেলো…
ফাবিহা : টিচার! কি হলো..
স্নেহা : ? খেয়েছে..
ফাবিহা : এখন কি হবে?..
স্নেহা : ইয়ে তো সির্ফ ট্রেইলার থা বস্ ? পিকচার আভি ভি বাকি হে…
স্নেহা ফাবিহাকে…ডান্স শেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে…শুধু অপেক্ষায় আছে দাদী কখন নিচে নামবে…
দাদী নিচে নামলে,
স্নেহা : আরে দাদী তুমি এইখানে..আমি আরো তোমাকে খুজছিলাম…
দাদী : কেনো আমার রুমে গিয়ে দেখলেই তো হতো…
স্নেহা : তুমি না..কেমন আমি এসেছি কদিন হয়ে গেছে…আমাকে একবার ও নিজের রুমটা দেখালে না…?
দাদী : তোকে কি কেউ বারণ করেছে নাকি?…পাগলি মেয়ে…
স্নেহা : না আর এসব বললে হবে না..?
আমাকে তোমার রুম দেখাতে নিয়ে যাও… দাদার কি কি লুকিয়ে রেখেছো আমি সব দেখবো..
দাদী : আচ্ছা চল! দেখবি?
স্নেহা দাদীর পিছন পিছন উপরে উঠে,,
হঠাৎ রাহুলের রুমের সামনে এসে..স্নেহা দাঁড়িয়ে পড়ে…
স্নেহা : দাদী! এটা কার রুম বলোতো..এতো চেঁচামেচির শব্দ আসছে..
দাদী : কার আবার…ঐ সুপারষ্টারের..সারাদিন গিটার নিয়ে থাকে..তাই হয়তো আওয়াজ আসছে..
[স্নেহা মনে মনে ভাবতে লাগলো হায় আল্লাহ দাদীকে কেমনি পাঠায় রাহুলের রুমে..??]
স্নেহা : দাদী! বলছিলাম যে গিটারের না..কেমন যেন একটা মেয়ের শব্দ হচ্ছে..
দাদী : আরে! সিফা গিয়েছে হয়তো…তুই আয়..
স্নেহা : [? in sad mood] ওকে দাদী চলো…
হঠাৎ রাহুল দরজা খুললো..এবং দরজার সামনে দাদী আর স্নেহাকে দেখে রাহুল..ঘাবড়ে গেলো…
রাহুল : আরে দাদী?…
স্নেহা : ওহ রাহুল! এটা কি তোমার রুম?..?
.
রাহুল : ???
দাদী : তুই এখনো রাহুলের রুম দেখিসনি.. আমিতো ভেবেছি রাহুল তোকে সব দেখিয়ে নিয়েছে..
আয় চল আগে ওর রুম দেখে নে…
রাহুল : না না দাদী! আই মিন পরে দেখাবো আমি
স্নেহা ওকে..??
স্নেহা : পরে কেনো এখন দেখলে কি হবে?… ভেতরে কি কিছু লুকিয়ে রেখেছো নাকি?..?
দাদী : আগে আর পরে কি রাহুল..
স্নেহা : [দাদীর কানে ফিসফিস করে] দাদী আমিতো আগেই বলেছিলাম.. কিছু তো গণ্ডগোল আছে নিশ্চই…?
হঠাৎ পেছন থেকে নেহা এসে রাহুলের ঘারে হাত রাখলো…
দাদী অবাক হয়ে গেলো…?
নেহা : [ মাতাল অবস্থায় ] What happen রাহুল! কি হচ্ছে?..
স্নেহা : অহ????….
দাদী : ? রাহুল!
রাহুল : ও..দাদী আসলে.. ও হচ্ছে নেহা..আমার ফ্রেন্ড.. আর নেহা এটা হচ্ছে আমার দাদী..
নেহা : অউ দাদী.. হাউ কিউট…দাদী..
দাদী : রাহুল!? আমার সাথে আয় তোর সাথে কথা আছে… [ এই বলে দাদী চলে যায়]
রাহুল : [ স্নেহার দিকে এগিয়ে এসে] তোমাকে তো আমি ? পরে দেখে নিবো..
স্নেহা : ওকে? [ রাহুল চলে যায় দাদীর রুমে]
স্নেহা : এই যে মিস্ ইউনিভার্স! আপনি আবার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করছেন…বের হবেন নাকি দাদী এসে ঝাটা পেটান দিবে তারপর বের হবেন…
নেহা : ওউ.. shut-up! [ নেহার চোখ বটে আসছে হঠাৎ পড়ে যেতে চাইলে স্নেহা তাড়াতাড়ি ধরে ফেলে নেহাকে..]
স্নেহা : কি বলেছিলি…আমি ঠিক মতো হাটতে জানিনা…আর নাচ শেখাবো কি করে তাই…না..? এবার তুই দেখ তুই তো ঠিকমতো দাড়াতে ও পারছিস না..?
নেহা : দেখো… আমি!..
স্নেহা : কি তুই বল?…
নেহা : রাহুল কে বলে দিবো..
স্নেহা : আহা! রাহুলকে বলে দিবো..?ঠিকমতো দাড়াতে পারছিস না আবার গিয়ে রাহুলকে বলবি হাউ ফানি..
হঠাৎ, রাহুল এগিয়ে আসে…নেহা কে স্নেহা থেকে ছুটিয়ে…কোলে তুলে নেই..
স্নেহা : শুনো ওকে একটা লেবু…?
রাহুল : ?Just Shut-up… আর একটাও কথা বলবানা… [ রাহুল চলে যায় নেহাকে নিয়ে ]
স্নেহা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসতে থাকে…?
দাদী : [ পিছন থেকে ] আমি জানি এসব কার কান্ড…
স্নেহা Shocked হয়ে পেছনে তাকালো..?
দাদী : তবে আমি তোকে বকবো না..কারণ তুই যা করেছিস…তাতে এই ঘরের ক্ষতি হয়নি…বরং ভালোই হয়েছে..
স্নেহা : দাদী আসলে!??
দাদী : আমি তো ঐদিনই বুঝতে পেরেছি..যখন তুই রাহুলকে ছাড়া ড্রাইভারের সাথে যেতে চাচ্ছিলি না…
স্নেহা : সরি দাদী! ?
দাদী : [স্নেহার দিকে এগিয়ে এসে] পাগলী একটা রাহুলকে কি তোর পছন্দ?..
স্নেহা : ইয়েস্ দাদী ? আই মিন নো…উফফ? দাদী মানে হচ্ছে হে হে…
দাদী : আচ্ছা তাই…? চল এইবার আমার রুমে,
স্নেহা : [ দাদীকে ঝড়িয়ে ] ওহ দাদী! You are so sweet?..
স্নেহা দাদীর সাথে আড্ডা দিয়ে…বিদায় নিয়ে ফিরছিলো… হঠাৎ বাড়ী থেকে বের হতেই স্নেহা দেখে রাহুলের গাড়ী ঢুকছে…
স্নেহা : [মনে মনে] নিশ্চই অই পেত্নীটাকে বাড়ী পৌছে দিয়ে এসেছে..??
[রাহুলের চোখ স্নেহার উপর পড়লো..
চোখাচোখি হলে স্নেহা মিটমিট করে হাসতে থাকে…]
স্নেহা গাড়ীর পাশদিয়ে সাইড কেটে হেসে চলে যাচ্ছিলো
রাহুল রেগে গাড়ী থেকে নেমে স্নেহার দিকে এগিয়ে আসলো..
স্নেহার রাহুলকে দেখে হঠাৎ ভীষণ হাসি পাচ্ছিলো হাসি আটকাতে না পেরে.. স্নেহা নিজের মুখ নিজে চেপে ধরলো..
রাহুল : অনেক হাসি পাচ্ছে তাই না???
স্নেহা : মাথা নাড়ালো?..[কই নাতো]
রাহুল স্নেহাকে চেপে ধরে সজোড়ে ধাক্ষা দিয়ে..গাড়ীর সাথে লাগিয়ে দাড় করালো..?
স্নেহা : আরে! এতো জোড়ে ধাক্ষা দেই নাকি…আমি ব্যাথা পেয়েছি না?.?
রাহুল : i don’t care..তুমি ব্যথা পাও কি না পাও… শরবতে কি মিশিয়েছিলে?..?
স্নেহা : আমি?..? শরবতে..ছিঃ ছিঃ ছিঃ বলছো কি এসব..
রাহুল : এখন কিছুই জানো নাহ তাই না?.. ড্রামেবাজ?
স্নেহা : ? দেখো আমি কিছুই মেশায়নি…তোমার ঐ পেত্নীটাই নিশ্চয় ওয়াইন খেয়ে এসেছে…তাই মাতালের মতো করেছে..
রাহুল : ওয়াইন?.. তুমি কিভাবে জানো ঐটা যে ওয়াইন ছিলো..?..
স্নেহা : আমি?..ওয়াইন ছিলো..বলেছি?..?
ওহ?ও হে…মানুষ তো ওয়াইন খেলে নেশাগ্রস্ত হয়ে যায় তাই না…তাই বলেছি..
রাহুল : এতো ড্রামা কেমনি করো হে??..আমাকে কি বোকা পেয়েছো?..হুম?..আজকে যে কান্ড করেছো না তুমি সেটার জন্য তোমার অনেক পচঁতাতে হবে… মিস্ ড্রামাকুইন?
[স্নেহা হঠাৎ রাহুলের কাধের দিকে শার্টটা একটু ঝেরে দিলো…?]
রাহুল : What?..
স্নেহা : [মুখ চেপে হেসে] ময়লা ছিলো?
[রাহুল রেগে তার হাত দিয়ে গাড়ী উপর একটা বাড়ি মারলো]
[স্নেহা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে]…
[একচোখ খুলে? রাহুলের দিক তাকালে দেখে রাহুল হাসছে]
চলবে.,,,,