খেলাঘর পর্ব-২
লেখা-সুলতানা ইতি
মিথিলা আর অরনি বেরিয়ে পড়লো
যাওয়ার আগে মিথিলা আয়ান আর নির্ঝরিণী কে স্কুলে যেতে বল্লো, দুই টা পড়া চোর
অরনি- এই বয়সে একটু আধটু পড়া চোর হতে হয়, বুঝিস না এক সময় আমরা ও এমন ছিলাম
মিথিলা- তা ঠিক তবে আমরা ওদের মতো এমন ছিলাম না
কথা বলতে বলতে এরা স্কুলে এসে গেলো
সবাই মিলে বৈঠক বসলো অনুষ্ঠানে কে কি করবে
ইহান বলতে যাচ্ছিলো এমন সময় মিথিলাদের উপর ইহানের চোখ পড়ে
ইহান- ঐ তো মিথিলা এসে গেছে,আয় বস তোদের জন্য ই অপেক্ষা করছিলাম
মিথিলা আর অরনি বসতে বসতে বল্লো কি নিয়ে আজকের বৈঠক
সাম্মি কিছু বলার আগেই ইহান বলে
– অনুষ্ঠানে কে কি করবে, সেটা নিয়ে
অরনি- কে কি করবে মানে?
সাম্মি- নাচ,গান,কবিতা আবৃতি,বক্তিতা,এগুলা আর কি কে কোন টা নিবি বল
অরনি- আমি তো নাচবো
ইহান- আমি বক্তিতা দিবো
সাম্মি- তা হলে তো হয়েই গেলো সবাই সবার টা বেছে নিলো কিন্তু মিথিলা কি নিবে সেটা তো বলেনি
মিথিলা সবার পাশে বসেই বইয়ের মাঝে ডুবে গেলো তার পাশে যে এতো আলোচনা হচ্ছে,তা মিথিলার কান অব্দি পৌছায়নি
অরনি মিথিলার দিকে তাকিয়ে বল্লো
– মিথিলা আর এই জগতে নেই বুঝলি রে ইহু
ইহান- এই জগতে নেই মানে কি?বল ও এখন পড়ার মাঝে ডুবে গেছে
অরনি টিপ্পনি কেটে বল্লো
– কেনো এই জগতে নেই বলতে তুই মরে যাওয়া বুঝেছিস নাকি,ভাভাহ ইহু তোর দেখি মিথিলার জন্য খুবইই….
অরনির কথার মাঝে রাহি বল্লো
– কিন্তু তোরা যাকে নিয়ে এতো তর্ক করছিস সে তো শুনছে ই না
এই বলে রাহি মিথিলার বইটা ছো মেরে নিয়ে নিলো
মিথিলা- রাহি ভালো হচ্ছে না বই দে বলছি
অরনি- মিথি আমরা এখানে আলোচনা করছি,আর তুই বই পড়ছিস,এটা কেমন লাগে বলতো
মিথিলা ওকে ফাইন বল কিসের আলোচনা আর আমাকে কি করতে হবে
সাম্মি- অনুষ্ঠানে তুই কিসে অংশ
নিবি,নাচ,গান,কবিতা আবৃতি,বক্তিতা,কোন টা বল
মিথিলা- কোন টা ই নিচ্ছি না
অরনি- তা বললে হয় নাকি সবাই নিয়েছে তোকে ও নিতে হবে
মিথিলা- সবাইকে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে এমন কোন কথা নেই বুঝলি
রাহি- প্লিজ মিথি এমন করিস না
অরনি- মিথি দোস্ত তুই কোন কিছুতে না থাকলে এতিম এতিম লাগে নিজেকে, আচ্ছা ঠিক আছে তুই বক্তিতা দিস কেমন
মিথিলা- নো য়ে আমি তোদের এই সবের মাঝে নেই
ইহান- মিথিলা আমার রিকুয়েস্ট তুই কবিতা আবৃতি করবি
মিথিলা কিছুক্ষন ইহানের দিকে তাকিয়ে থেকে রাজি হয়ে গেলো কেনো জানি ইহানের কথা সে ফেলতে পারেনি
মিথিলা ইহানের কথায় রাজি হওয়াতে সবাই মুখ টিপে হাসছে
মিথিলা সবার দিকে চোখ গুরিয়ে বল্লো
– তোরা হাসছিস কেনো
সাম্মি- এমনি আর কি
অরনি- ইহু তোর কি ভাগ্যরে, তোর এক কোথায় মিথিলা রাজি হয়ে গেলো
রাহি- ইহু আমার তো মনে হয় তোর এক কথায় মিথিলা ধরবে হাজার বাজি,হি হি হি
মিথিলা – তোরা এই সব কি শুরু করেছিস, যাহ আমি কোন কিছুর মধ্যে ই নেই হয়েছে শান্তি
মিথিলার কথা শুনে সবাই এক সাথে স্যরি বল্লো
ইহান- মিথিলা এভাবে রিয়েক্ট করার মতো কিছু হয়নি বুঝলি, ফ্রেন্ড এই রকম একটু মজা করতেই পারে এতে এতো টা সিরিয়েস না হলেই হয়
মিথিলা- আমি বাসায় যাবো
রাহি- সে কি ক্লাস করবি না
মিথিলা- নাহ তোরা কর
বলে মিথিলা হন হন করে হাটতে শুরু করলো
মিথিলা চলে যাওয়ার পরে ইহান বল্লো
– তোরা সব কিছুতেই একটু বেশি বুঝিস বুঝলি
তোরা তো জানিস মিথিলা একটু অন্যরকম,তবু ও তোরা…
অরনি- আমরা কি মিথ্যা বলেছি ইহান,এটা তো সত্যি তুই মিথি কে পছন্দ করিস
ইহান- প্লিজ তোদের কাছে হাত জোড় করছি এই কথা মিথিলার সামনে বলিস না
এই বলে ইহান ও চলে গেলে মিথিলার পিছু পিছু
মিথিলা রিক্সাসার জন্য দাঁড়িয়ে আছে
ইহান গিয়ে মিথিলার পাশে দাড়ালো
ইহান- মিথিলা তুই ওদের কথায় কিছু মনে করিস না
মিথিলা- নাহ কিছু মনে করিনি
ইহান- তা হলে চল আমরা ক্লাসে যাই
মিথিলা- নারে বাসায় যাবো
ইহান- ওকে পরশু আসছিস তো
মিথিলা- পরশু কি অনুষ্ঠান?
ইহান- হুম
মিথিলা- আচ্ছা দেখি
ইহান- প্লিজ দোস্ত আসিস কেমন, দেখ পরিক্ষার পর কে কোথায় যায় কোন ঠিক নেই, তাই শেষ বার সবাই মিলে একটু আনন্দ করি কি বলিস
মিথিলা- আচ্ছা যাহ আসবো ,
এই বলে মিথিলা রিক্সা ডেকে উঠে পড়লো রিক্সা চলছে
ইহান- ইয়েস,যাই অরনিকে খবর টা দিই
মিথিলা বাসায় চলে আসলো এসে দেখে বাসার পরিবেশ টা থম থমে, সবার মুখ ভার বড় আপু ও এসেছে তার মুখ ভার কি হয়েছে মিথিলা কিছু বুঝতে পারেনি
মিথিলা জানে এখন কাউকে জিজ্ঞাস করে ও উত্তর পাবে না তাই সে স্টাডি রুমের দিকে গেলো
ফাতেমা বেগম স্টাডি রুমে গিয়ে বল্লো
– কিরে এসে ই দেখি আবার বইয়ের মাঝে ডুবে গেলি
মিথিলা মায়ের দিকে তাকিয়ে বল্লো
– কিছু বলবে মা
ফাতেমা বেগম- হুম, চুলায় রান্না বসিয়েছি,রান্না টা দেখিস,আমি আর তোর বাবা একটু বেরুবো
মিথিলা আর কিছু বল্লো না
বাবা, মা, দুজনেই যখন যাবে তখন নিশ্চই কোন ইমপ্রটেন্ট কাজ আছে
মিথিলা কিচেনের দিকে গেলো
কিচেনে আগে থেকে জিমি ছিলো
মিথিলা- কিরে আপু দুলা ভাই এলো না মেহের কে ও আনলি না কেনো
জিমি কিছু বল্লো না
প্রশ্ন পালটিয়ে করলো
– তোর পড়া শুনা কতো দূর মিথি
মিথিলা- এই তো পড়তে পারলাম আর কই, এক বার একজনে এসে ডিস্টার্ব করছে
জিমি- ওহ, ঠিক আছে, তুই যা পড়তে বস আমি এদিকা টা দেখছি
মিথিলা- না ঠিক আছে আমি তোমাকে হ্যাল্প করি
আপু বলো না কি হয়েছে তোমার মন খারাপ কেনো, মেহের কে ছাড়া তো তুমি কোথাও যাও না তা হলে
জিমি – সে অনেক কথা পরে শুনিস
দুপুর পার হয়ে যাচ্ছে
এমন সময় এলো মাসুম ফারুকি আর ফাতেমা বেগম
জিমি- মা,বাবা তোমরা ফ্রেশ হয়ে এসো টেবিলে খাবার দিচ্ছি
ফাতেমা বেগম- আয়ান আর নির্ঝর এসেছে
জিমি- না ওরা আসেনি
মিথিলা জিমি সহ সবাই খেতে বসলো
খেতে খেতে মাসুম ফারুকি মিথিলা কে বল্লো
-মা তোর বিয়ের জন্য ব্যাংকে কিছু টাকা রেখেছিলাম, এখন জামাই জিমি কে পাঠিয়েছে টাকার জন্য তাই ওগুলা তুলে আনতে হলো,
তুই কিছু মনে করিস নি তো
মিথিলা অনেক্ষন চুপ থেকে বল্লো
– বাবা টাকা গুলো আমার বিয়ের জন্য রেখেছো বলে জানতে চাইছিনা,কৌতূহল থেকে বলছি, দুলাভাই এখন টাকা দিয়ে কি করবে
মাসুম ফারুকি- আগের ব্যাবসা টা তো ওর লস হয়েছে নতুন করে ব্যাবসা শুরু করবে তাই
মিথিলা শান্ত কন্ঠে বল্লো
– তো প্রতিবার কিছু না কিছুর বাহানা দিয়ে ও টাকা নেয় আমাদের থেকে, এ নিয়ে ওকে চার বার টাকা দেয়া হয়েছে এই টাকা গুলো নিয়ে উনি যে আর কখনো টাকার জন্য আপু কে পাঠাবে না সেটার কি গ্রান্টি আছে বল্লো
মাসুম ফারুকি কিছু বলার আগে জিমি বল্লো
– এবারে দেখিস ঠিক ভালো হবে,হয়তো আর আসতে হবে না আমাকে
মিথিলা- আপু তুমি প্রতিবার এই কথা বলেছো, শুনো বাবা টাকা আর আপু কোন টা ই ঐ লোকের কাছে পাঠানোর দরকার নেই বুঝলে
মিথিলার কথা শুনে জিমি খাবার বন্ধ করে উঠে দাড়ালো আতংকিত কন্ঠে বল্লো
-তুই কি বলতে চাইছিস মিথি, আমি ওর কাছে না গেলে ও টাকার জন্য আরেক টা বিয়ে করবে
মিথিলা- করুক না আরেক টা বিয়ে তার পর দেখা যাবে
জিমি- আমি আমার মেহের নিগারকে রেখে এসেছি আমি ওকে ছাড়া থাকবো কি করে বলতে বলতে কেদে দিলো জিমি
মিথিলা- দেখ মেহের ছোট দুলা ভাই ওকে রাখতে পারবে না, দুই একদিন রেখে ঠিক দিয়ে যাবে
জিমি চোখের পানি মুছে বাবা কে বল্লো
– বাবা তুমি এখনি আমাকে টাকা দাও আমি এখন ই যাবো
ফাতেমা বেগম- তুই এমন রেগে যাচ্ছিস কেনো জিমি মিথিলা তোর ছোট বোন, ছোট জ্ঞান নিয়ে ও একটা কথা বলেছে,ও বললে ই কি আমরা শুনবো নাকি,তুই বস খেয়ে নে তার পর যাবি
মিথিলা আর একটি কথা ও বলেনি জানে কথা বললে ও কোন লাভ হবে না
মিথিলা খাওয়া শেষ করে আবার স্টাডি রুমে গেলো
মাথা থেকে সব ভাবনা ঝেড়ে ফেলে পড়ায় মন দিলো
-আপি আবার পড়তে বসেছিস?
মিথিলা খুব বিরক্তি নিয়ে নির্ঝরিণীর দিকে তাকায়
– কিছু বলবি
নির্ঝরিণী – হুম,শুনলাম বড় আপু এসেছে, কিন্তু কোথাও দেখলাম না যে
মিথিলা- হয়তো চলে গেছে
নির্ঝরিণী ভ্রু কুঁচকে বল্লো
– হয়তো
মিথিলা এবার রেগে যায়
– নির্ঝরিণী তুই কি আমার পড়ার ডিস্টার্ব করতে আসছিস,যাহ এখান থেকে
নির্ঝরিণী – নাহ, তোমার চোখ কে একটু বিশ্রাম দিতে এসছি
মিথিলা- নির্ঝরিণীইইইইইই
– ওকে ওকে, মাই ডিয়ার চশমিশ আপি,তুমি পড়ো মন দিয়ে পড়ো আমি গেলাম
মিথিলা- উফফফ এই নির্ঝরিণী টা কোন দিন শুধরাবে না
মিথিলা আবার পড়াতে মন দিলো
মাসুম ফারুকি তার বৈঠক খানায় বসে আছেন চিন্তিত মুখে
ফাতেমা বেগম গিয়ে স্বামির পাশে বসলো
– কি ভাবছো তুমি
মাসুম ফারুকি- ভাবছি অনেক ধার ধেনা করে জিমি কে বিয়ে দিয়েছে, আফসোস একটা ভালো ছেলের হাতে দিতে পারিনি মেয়ে টা কে
ফাতেমা বেগম- কি করবে বলো চেষ্টা তো কম করোনি,আমাদের মেয়ের তকদিরে হয়তো এমন টা ই ছিলো, তুমি চিন্তা করে শরির খারাপ করো না,
মাসুম ফারুকি- হুম সামান্য একটা চাকরি দিয়েতো আর সন্তানদের সমান ভাবে সব দেয়া যায় না বলো,
-বাবা কে বল্লো তুমি আমাদের সমান ভাবে সব দিতে পারো নি,,আমরা কোন ভাই বোন কি কখনো তোমার কাছে নালিশ করেছি এই নিয়ে(বলতে বলতে বৈঠক খানায় প্রবেশ করলো নির্ঝরিণী)
মাসুম ফারুকি- হুম এই দিক থেকে আমি খুব লাকি,আমার তিন রাজকন্যা কোন দিন আমার কাছে কোন কিছুর অভিযোগ করেনি
নির্ঝরিণী – তাই তো বলি বাবা চিন্তা করো না,শরির খারাপ হবে,পরে আমাদের কি হবে বলতো
মাসুম ফারুকি, স্বস্নেহে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন
আয়ান এসে বল্লো
– বাবা আমি দেখেছি তুমি ঐ শাঁকচুন্নি কে আদর করেছো, আমি তোমার একটা মাত্র ছেলে বাবা কোথায় আমাকে বেশি আদর করবে তা না তুমি শাঁকচুন্নি দের বেশি আদর করো
মাসুম ফারুকি- আয় বাবার কাছে আয়
ফাতেমা বেগম ছেলে মেয়েদের পাগলামি দেখে বল্লো,দুইজন বাবা কে নিয়ে আহ্লাদ করতে এসেছে,আর একজন সারাদিন বইয়ের বিতর ডুবে থাকবে
আয়ান- মা বুক ওয়ার্ম এর কথা বলো না তো,বড় আপু বিয়ের আগে আমাদের নিয়ে গল্প করতো গুরতে যেত,আর ঐ বই ফেত্নি কোন দিন আমাদের সাথে কথা পর্যন্ত বলে না ঠিক করে
মাসুম ফারুকি- আমার মিথি মা এমনি একটু শান্ত স্বভাবের
নির্ঝরিণী – বাবাহ আবার তুমি মেঝো আপু কে ভালো বললে,যাও তোমার সাথে কথা নেই,
ফাতেমা বেগম- আমি গিয়ে দেখি মিথিলা কি করছে,
আয়ান- দেখ গিয়ে পড়তে পড়তে বইয়ের উপর মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে
ফাতেমা বেগম বেরিয়ে এলেন, স্টাডি রুমে এসে দেখে সত্যি ঘুমিয়ে আছে মিথিলা,একটু অবাক হলেন ফাতেমা বেগম এই সময় তো মিথিলা ঘুমায় না তা হলে
মিথিলার গায়ে হাত দিয়ে ফাতেমা বেগম আতকে উঠেন মিথিলার জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে
জ্বর এতো বেশি যে মিথিলার হুস নেই
ফাতেমা বেগম সবাই কে ডেকে আনলেন
মাসুম ফারুকি ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন মিথিলা কে নিয়ে
মিথিলা কে শুইয়ে দিলো বিছানায় এনে
ডাক্তার এসে দেখে গেলো মিথিলা কে
সারা রাত সবাই মিথিলার পাশে জেগে ছিলো
রাতে মিথিলার জ্বর আর ও বেড়ে যায়, জ্বরের ঘোরে মিথিলা বকছে
নির্ঝরিণী হাসছে মিথিলার অবস্থা দেখে
ফাতেমা বেগম মেয়েকে ধমক দিয়ে বললেন
-এতে হাসির কি আছে
নির্ঝরিণী তবু ও হাসি মুখে আয়ান কে বল্লো
– ভাই কান পেতে শুন আপি জ্বরের ঘোরে পড়ছে
আয়ান- হা হা হা বলিস কি দেখি তো
হা হা হা আপি তো সন্ধিবিচ্ছেদ করছে
ফাতেমা বেগম ধমক দিয়ে আয়ান কে আর নির্ঝরিণী কে ঘুমাতে পাঠিয়ে দিলো
তার পর নিজে মেয়ের পাশে শুয়ে পড়লো
মাসুম ফারুকি- তুমি তা হলে আজ এখানেই ঘুমাও আমি বরং যাই
ফাতেমা বেগম – হুম ঠিক আছে
সকাল আট টায় মিথিলার ঘুম ভাংগে জ্বর এখন আর নেই
আয়ান হেসে হেসে জিজ্ঞাস করলো
– কিরে আপি এখন কেমন লাগছে,
মিথিলা- হাসছিস কেনো
নির্ঝরিণী – বারে হাসবে না,তুই জ্বরের মধ্যে থেকে ও পড়তে পারিস
আয়ান – তা ও কি এই সেই পড়া সন্ধিবিচ্ছেদ করছিলি
মিথিলা কিছু বল্লো না,মুখ ঘোমরা করে বসে আছে
ফাতেমা বেগম মিথিলার জন্য নাস্তা নিয়ে এসে দেখলো আয়ানরা মিথিলার রুমে
ফাতেমা বেগম- তোরা এখানে কি করছিস যা এখান থেকে
আয়ান- কিছু করছিনা মা,কিছু বলছিলাম আর কি হি হি হি
ফাতেমা বেগম- আবার হাসছিস যা তো
নির্ঝরী যা এখন,মেয়েটা কে ডিস্টার্ব করিস না তোরা
মুচকি হেসে নির্ঝরিণী আর আয়ান বেরিয়ে গেলো
ফাতেমা বেগম মিথিলা কে খাবার খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বল্লো
– এখন আর বসে থাকিস না মা,শুয়ে থাক, পরিক্ষার আগে আগে সুস্থ হতে হবে তো
মিথিলা- মা ইংরেজি বই টা দিয়ে যাও তো
ফাতেমা বেগম- এখন পড়তে হবে না মা,একটু চুপ করে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাক
মিথিলা- ঠিক আছে মা তা হলে বাংলা বই দাও একটু চোখ বুলিয়ে নিবো
ফাতেমা বেগম হেসে।বল্লো
– সত্যি তুই গ্রন্তকীট
মিথিলা- মা তুমি ও
ফাতেমা বেগম বই দিয়ে বল্লো,এই নে আমি যাই কিচেনে কাজ আছে
মিথিলা বই নিয়ে শুয়ে পড়লো
to be continue