খেলাঘর পর্ব-১৬
লেখা- সুলতানা ইতি
পরদিন রিসেপশন পার্টি শেষে মিসেস আয়মন আর আতাহার চৌধুরী ছেলে কে বুঝিয়ে মিথিলা কে নিয়ে পাঠিয়ে দিলো মিথিলাদের বাড়ি তে
ইভান গাড়ি ড্রাইভ করছে মিথিলা তার পাশের সিটে বসে আছে
ইভানের গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে আয়ানের কথা মনে হলো
– তুমি কি তোমার বাড়িতে কথা বলেছো
মিথিলা- হুম মা আর বাবার সাথে বলেছি
ইভান- কেনো তোমার ভাইয়ের সাথে বলনি,ওরা তো তোমার ব্যাপারে ভিষন পজেটিভ
মিথিলা এবার ও ছুপ থাকলো
ইভান বুঝলো মিথিলা কথা বলতে চায় না তার সাথে, আচ্ছা এখন নায়া যদি আমার সাথে থাকতো তা হলে কি হতো,হয়তো এতোক্ষনে কথা দিয়ে আমাকে পাগল করে দিতো, ইসস যদি নায়া কে পেতাম জীবনে, আম্মু বলে মিথিলা আমার জন্য বেষ্ট কিন্তু আমি তা এক বিন্দু ও ফিল করতে পারছি না,
নায়ার চোখের গভীরতা মাপা যেতো, কিন্তু এই মেয়ে সারাদিন চশমা দিয়ে চোখ ঢেকে রাখে, লাইফে এমন একজন কে ছেয়েছিলাম যার চোখের মাঝে ডুব দেয়া যায়,পেয়েছি ও তাই,কিন্তু আব্বু আম্মুর কারনে পেয়ে ও হারাতে হলো
আরেহ আরেহ গাড়ি থামান, আমরা বাড়ি ক্রস করে চলে যাচ্ছি তো
ইভান হার্ট ব্রেক কসে গাড়ি থামায়
মিথিলা টাল সামলাতে না ফেরে গাড়ির ডেস বোর্ডে মাথা ঠুকে যায়
ইভান- ইডিয়েট, সিট বেল্ট বাধনি কেনো, এখন মাথায় লেগেছে না
মিথিলা- না মানে লাগেনি তেমন, ঠিক আছি আমি
ইভান ঠিক আছে নামো আমি গাড়ি পার্ক করে আসছি
মিথিলা – এখানে গাড়ি পার্ক করতে পারবেন না, এখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে আমাদের বাজার,সেখানে একটা গ্যারেজ আছে,গ্যারেজের মালিক কে টাকা দিয়ে গাড়ি সেখানেই রাখতে হবে
ইভান – ড্যাম ইট, আগে বলোনি কেনো, তা হলে আসার সময় রেখে আসতাম, এখন আবার যাবো?
মিথিলা ছুপ করে দাঁড়িয়ে আছে
ইভান- ঠিক আছে তুমি বাসায় যাও আমি গাড়ি
পার্ক করে আসছি
মিথিলা- গাড়ি এখন এখানে থাক আপনি ও আমার সাথে আসুন,পরে আয়ান কে সাথে নিয়ে গাড়ি রেখে আসবেন
ইভান- ঠিক আছে চলো
মিথিলা কে পেয়ে নির্ঝরিণী আর আয়ানের আনন্দ ধরে না
মিথিলা- কেমন আছিস তোরা
আয়ান- আপু ভালো ছিলাম না তোকে ছেড়ে,এখন ভালো আছি,
মাসুম ফারুকি বসে ইভানের সাথে কথা বলছে ঠিক কথা ও বলছে না দুজন ই ছুপ করে আছে ইভান বোর হচ্ছে,
ফাতেমা বেগম মিথিলা কে ডেকে বল্লো
– জামাইকে নাস্তা দিয়ে আয়,
মিথিলা- নির্ঝর তুই নিয়ে যা নাস্তা টা
নির্ঝরিণী নাস্তা নিয়ে গেলো
ইভান- আমি এখন কিছু খাবো না আয়ান কে ডেকে দাও, গাড়ি টা রেখে আসি
নির্ঝরিণী – দুলা ভাইয়া,শালি কিছু আনলে ফিরিয়ে দিতে নেই, একটু হলে গ্রহন করতে হয়
ইভান মৃদু হেসে বল্লো
– ফিরিয়ে দিলে কি হবে
নির্ঝরিণী – ফিরিয়ে দিলে ভিটামিন শালিস লভ এর অভাবে চোখ কানা রোগ হয়
ইভান হাসতে হাসতে গড়া গড়ি খাচ্ছে,
ওহ তুমি তো খুব মজা করে কথা বলতে পারো, আমার তো হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেলো
নির্ঝরিণী – তা ও ভালো পেট ব্যাথা হলে ওষুধ দিয়ে সারানো যায়,মন ব্যাথা হলে কি দিয়ে সারাতাম
ইভান হেসে বল্লো কেনো,শালিস লভ দিয়ে
নির্ঝরিণী – এমা ছিঃ ছিঃ এই কথা বললে মুখ বাকা হয়ে যাবে
ইভান আবার ও হাসতে শুরু করলো
নির্ঝরিণী – এবার খান, এখন তো আর মুড অফ নেই,খেয়ে ভাই কে নিয়ে কোথায় যাবেন যাইয়েন
ইভান- তোমার বাবা কোথায় গেলো
নির্ঝরিণী – বাবার এই সময় একটা ওষুধ আছে,ওষুধ খেতে গেছে
ইভান- ওহ তা হলে কি আমি একা ই খাবো?
তুমি ও খাও
নির্ঝরিণী – আমি খাবো না আয়ান কে ডেকে দিচ্ছি
খাওয়া দাওয়া শেষ করে ইভান আর আয়ান বেরিয়ে পড়লো
মিথিলা আর ফাতেমা বেগম কিচেনে
ফাতেমা বেগম- হ্যারে মিথি,ও বাড়ির লোক গুলো কেমন, তোর ভালো লাগছে তো সেখানে
মিথিলা- সবাই ভালো, বেশি ভালো উনার মা বাবা, তবু ও আমার সেখানে ভালো লাগে না মা
ফাতেমা বেগম- থাকতে থাকতে ভালো লাগবে
আর কি বলছিস তুই উনার মা,শ্বাশুরি কে মা বলে ডাকতে হয় জানিস না
মিথিলা মাকে ঝড়িয়ে ধরে বল্লো মা তুমি ছাড়া কাউকে মা বলে ডাকতে হবে ভাবিনি তাই
ফাতেমা বেগম কথা শেষ করতে দিলো না মেয়ে কে
বল্লো কোন কথা নয়, কোন দিন যেন আমি এই অভিযোগ না পাই, তোর শ্বাশুরির কোন মেয়ে নেই অনেক শখ করে তোকে বউ করেছে,,
মিথিলা – জানি মা
ফাতেমা বেগম- হ্যারে জামাই কেমন,তোর সাথে কোন খারাপ আচরণ করে না তো
মায়ের কথায় মিথিলার মনের পর্দায় ভেসে উঠে ইভানের কথা গুলো,তার পর মনের কথা মনে ছেপে
বল্লো
– উনি ও খুব ভালো মা
নির্ঝরিণী আপু এদিকে এসো কথা আছে
মিথিলা আর নির্ঝরিণী বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো
মিথিলা- কি বলবি
নির্ঝরিণী – অরনি আপুরা আসবে
মিথিলা খুশি হয়ে বল্লো
-ওরা জানতো আমি আসবো
নির্ঝরিণী – আমি বলেছি আপি
মিথিলা মনে মনে অনেক খুশি ইহানের কথা জানা যাবে ওরা আসলে
ইভান আর আয়ান ফিরে এলো
ইভান এসেই মিথিলা কে ডাকতে শুরু করলো
মিথিলা কই তুমি
মিথিলা – বলুন
ইভান – প্রচণ্ড খিধা লেগেছে খেতে দাও
ইভানের কথা শুনে মিথিলা ভ্রু কুঁচকে ইভানের দিকে তাকালো
ইভান- এমন গুন্ডি মার্কা চাহনিতে ছেয়ে না থেকে যাও খাবার রেডি করো
মিথিলা ভাবছে উনার আবার কি হলো হুট হাট রেগে যাওয়া মানুষ এতো মিষ্টি কথা বলছে কেনো
– মা খাবার দিয়েছে হয়তো,যা হাকিয়ে বললেন মা আর নির্জর শুনেছে
ইভান যেতে যেতে বল্লো তোমার বোনের সঠিক নাম টা কি বলো তো
মিথিলা কিছু বলার আগে নির্ঝরিণী বল্লো দুলা ভাই আমাকে আপি নির্ঝর বলে ডাকে, রেগে গেলে পুরো নাম ধরে নির্ঝরিণীইই বলে চিৎকার দেয়, আয়ান ডাকে নির বলে,মা ডাকে নির্ঝরী
বাবা তেমন কিছু বলে না, মা বলে কথা বলে বেশি
ইভান চেয়ার টেনে বসে খেয়ে খেতে বল্লো বাবা তোমার তো নামের গোডাউন দেয়া দরকার একটা ই নাম কতো ভাগ হলো,
বাই দ্যা য়ে,তোমার আপুর রাগ আছে নাকি
নির্ঝরিণী ভয়েজ টা আরেকটু নিচু করে অনেক ফিস ফিস ভাবে বল্লো
-রাগ আছে মানে একদম ধানিলংকা,দুলা ভাই সাবধান থাকবেন, আপনার জন্য আমার খুব মায়া হচ্ছে,না জানি কবে আপনি জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যান
আয়ান এসে নির্ঝরিণীর শেষের কথা টা একটু শুনতে পায়
– ও নিয়ে তুই ভাবিস না নির,দুলা ভাই জ্বললে আপুর প্রেমে জলবে, এমনি এমনি না
ইভান হাসছে আর খাচ্ছে
মিথিলা- আয়ান খেতে বসলে কথা বলতে নেই জানিস না
আয়ান ফিক করে হেসে বল্লো
– আপ্পি তুই কথা টা দুলা ভাই কে বলেছিস তাই না
মিথিলা- বেশি বুঝিস কেনো আমি তোকে বলেছি
আয়ান- কিন্তু আমি তো খাচ্ছি না আমি কথা বলতে ই পারি খাচ্ছে তো দুলা ভাইয়া
মিথিলা অস্বস্তিতে পড়ে গেলো
ইভান- নির তুমি জানো না আমি কথা কম বলা পছন্দ করি না
এবার মিথিলার কপাল আর ও কঞ্চিত হয়ে গেলো
বলছে কি লোক টা, আমার বাড়িতে এসে আমার ভাই বোন কে পেয়ে তার পাখা গজিয়ে গেছে, বাড়িতে তো সারা দিন রাগ দেখায়
মিথিলা আর কিছু না বলে চলে যায়
নির্ঝরিণী – দুলা ভাই, আমার আপি টা খুব ভালো,কিন্তু একটু কষ্ট করে তাকে বুঝে নিতে হবে
ইভান- হুম তোমার মতো শালি থাকতে দুলা ভাই কেনো কষ্ট করবে তুমি বুঝিয়ে বলো বোন কে,ইভান খাওয়া শেষ করে হাত মুছে উঠে দাঁড়ালো
নির্ঝরিণী – আপু রুমে আছে যান আপনি
ইভান চলে যায়
নির্ঝরিণী – কিছু বুঝলি ভাই
আয়ান- কি বুঝবো
আপু আর ভাইয়ার মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেনি
আয়ান- তা ঠিক বলেছিস, এখন কি করবো আমরা
নির্ঝরিণী – কি আর করবো,
ঘুমাচ্ছে মিথিলা আর ইভান গভীর রাতে ইভানের ঘুম ভেংগে যায় প্রচণ্ড গরমে,ফ্যানের বাতাস থেকে ও গরম হাওয়া বের হচ্ছে ইভান ঘামছে বিছানা ছেড়ে উঠে এদিক সেদিক হাটতে শুরু করে, মিথিলাদের বাড়িটা পুরোনো মডেলের রুমের সাথে লাগোয়া বারান্দা নেই
ইভান প্রচণ্ড বিরক্ত হচ্ছে মিথিলার উপরে
মিথিলা ঘুমাচ্ছে কোন খবর ই নেই তার পাশে একটা মানুষ ঘুমাচ্ছে না, সে কি করে ঘুমাতে পারে?
ইভান- এই মিথিলা, মিথিলা, মিথিলাআয়ায়া,
মিথিলা বেঘোর এ ঘুমাচ্ছে
ইভান একটু থেমে আবার ডাকতে শুরু করে
এই মেয়ে উঠো, মরার মতো ঘুমাচ্ছো কেনো
এবার মিথিলা উঠে বসলো ঘুম ঘুম চোখে বল্লো
– কি হয়েছে এতো রাতে ডাকছিলেন কেনো
ইভান এদিক ওদিক পায়চারি করছে,তার পর একটু থেমে বল্লো
আমি ঘুমাতে পারছি না
মিথিলা- কেনো
ইভান- ঘরে এসি নেই,আমার এসি ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস নেই, আমি শিতের রাতে ও এসি চালিয়ে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাই আর এখানে গরমের মাঝে এসি নেই থাকো কি করে তোমরা
মিথিলা- দেখুন আমরা আপনাদের মতো বড় লোক নই যে ঘরে এসি লাগাবো, আমার বাবা খুব সামান্য বেতনে চাকরী করে,আর আমরা অনেক সুখিও শুধু এসির বাতাসের মধ্যে ঘুমালে কেউ সুখি হয় না
ইভান রেগে গিয়ে বল্লো
– ইডিয়েট তোমায় লেকচার দিতে বলিনি
মিথিলা ইভানের দিকে তাকিয়ে ছুপ হয়ে গেলো
ইভান- রুমের সাথে লাগোয়া বারান্দা নেই কেনো
মিথিলা- জানি না ইচ্ছে হলে আপনি একটা লাগিয়ে নিন,,মিথিলা রাগি স্বরেই বলেছে
ইভান- হা তাই তো করতে হবে দেখছি, দেখে তোমাকে খুব ইনোসেন্স মনে হলে ও আসলে তুমি মোটেও ইনোসেন্স নও, একটা লোভী নইলে এমনি এমনি কি আর আমার মতো বড়লোক ছেলে কে বিয়ে করো, মিডেল ক্লাস ঘরের মেয়েরা এমন লোভী হয় এটা তো আমার জানা ই ছিলো, এরা এদের ইনোসেন্স চেহারা দেখিয়ে বড় লোকদের মন গলিয়ে নেয়, যেমন আমার বাবা মা তোমাকে দেখে হয়েছিলো, চিন্তা করো না এক সপ্তাহ এর মধ্যে তোমাদের আদিকালের এই বাড়ি টা ভেংগে নতুন করে বাড়ি বানিয়ে দিবো,,তাতে তোমার বাবা মায়ের ও লাভ হবে, আর তুমি তো এই উদ্দেশ্য নিয়ে ই বিয়ে করেছো যেন বাবা মাকে হেল্প করতে পারো
মিথিলা পুতুলের মতো বসে ইভানের কথা গুলো শুনছিলো, আর চোখ দিয়ে পানি গড়াচ্ছিলো, মিথিলা ইভান কে কিছু না বলেই ছুপ করে বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে পড়লো, হয়তো কান্না লুকাচ্ছে মিথিলা
ইভান রাগে ক্ষোভে খাটের এক পাশে বসে পড়লো খুব রাগ হচ্ছে বাবা মায়ের উপর,বাকি রাত টা বসে বসেই পার করে দিয়েছে
ইভান সকাল বেলায় চলে যেতে ছেয়ে ছিলো, মাসুম ফারুকি আর ফাতেমা বেগম ঝোর করে খুব,তাই অনিচ্ছায় থেকে গেলেও শর্ত দিয়েছে বিকেলের মধ্যে চলে যাবে
সবাই শর্ত মেনে ও নিয়েছে
দুপুরে খাওয়ার পরে ইভান আর এক সেকেন্ড ও দেরি করেনি, চলে যাওয়ার জন্য রেডি হলো
নির্ঝরিণী – দুলা ভাই এই দুপুরে কেউ যায় শ্বশুর বাড়ি থেকে বলেন
ইভান- অনেক থেকেছি আর থাকতে পারবো না তা ছাড়া দুপুর কোথায় আড়াইটা বাজে বেরুতে বেরুতে তিনটা বেঝে যাবে যেতে যেতে চারটা ছুঁয়ে যাবে
নির্ঝরিণী আর কিছু বল্লো না,
মিথিলা যাওয়ার সময় মা বাবা কে ঝড়িয়ে ধরে খুব কাদলো
আয়ান- আপি আবার কবে আসবি
মিথিলা কিছু বল্লো না, সে নিজেই জানে না
আবার কবে আসতে দিবে তাকে
মিথিলা কে ছুপ করে থাকতে দেখে ইভান বল্লো
– তুমি বোন কে আসতে বললে দুলা ভাইকে বললে না যে
আয়ান- বোন আসলে দুলা ভাই না এসে আর পারবে না তাই
ইভান- বড্ড পেকে গেছো,আমরা খুব শিগ্রই আসবো বুঝলে,এখানে আমার শালা শালি কে রেখে যাচ্ছি না,ইভান হাসতে হাসতে ড্রাইভিং সিটে বসলো,যেই সিট বেল্ট বাধতে যাবে তখন ই নির্ঝরিণী কোথায় থেকে যেন দৌড়ে এসে বল্লো,গাড়ি স্ট্রাট দিবেন না প্লিজ
ইভান নির্ঝরিণী কে আসতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো
নির্ঝরিণী – এটা আপনার জন্য দুলা ভাইয়া,আমার পক্ষ থেকে ছোট্ট একটা উপহার
ইভান দেখলো নির্ঝরিণীর হাতে একটা খাঁচা, আর ভিতরে দুই টা পায়রা
– পায়রা? পায়রা দিয়ে কি করবো? আর পায়রা ও কি উপহার হতে পারে
নির্ঝরিণী -গুনি জ্ঞানিরা যদি ও বলে ফুল ভালোবাসার প্রতিক, কিন্তু নির্ঝরিণী একজন বিখ্যাত গুনি মানুষ,সে রিসার্চ করে দেখলো,পায়রা হচ্ছে ভালোবাসার অন্যতম প্রতিক,
ইভান- বুঝাও
নির্ঝরিণী – এই ধরুন আপনি কবুতর গুলো পুষবেন, আর রোজ এদের ভালোবাসা ময় মুহুর্ত গুলো দেখবেন এরা পুরুষ কবুতর টা মেয়ে কবুতর টা কে খুব ভালোবাসে,আবার মেয়ে কবুতর টা ও পুরুষ কবুতর কে ভালোবাসে, এরা একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারে না, এদের কে দেখে আপনাদের দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়বে
ইভান অট্টহাসি তে ফেটে পড়লো, তার পর হাসি থামিয়ে বল্লো
– শুনো গুনি মানুষ তোমায় একটা গল্প শুনাই, এই যে আমাদের বাসায় পরিচারক গফুর চাচা, পায়রা পুষতো, তো একদিন কি হলো শুনো,
এক খাঁচার পুরুষ পায়রা,অন্য খাঁচার মেয়ে পায়রার সাথে পালিয়ে গেলো(পরকিয়া)
অবশেষে দুই খাঁচা তে একা একটা পুরুষ পায়রা আর মেয়ে পায়রা ছিলো,তো তারা দুজন একা না থেকে দুজনে সংসার শুরু করলো মেয়েরা পায়রা যখন ডিম পেড়ে তা দিতে বসলো
তখন পালিয়ে যাওয়া মেয়ে পায়রা টা ফিরে এলো, এবার পুরুষ পায়রা টা তাকে প্রথমে ঠোকরা তো,পরে পরে ও দুটো বউ নিয়ে ই সংসার শুরু করলো, তার ও দু মাস পরে ফিরে আসা মেয়ে পায়রা টা, বেনামি উড়ে আসা একটা পুরুষ পায়রার সাথে ভেগে গেলো
ইভান কথা শেষ করে আবার হাসতে শুরু করলো,
নির্ঝরিণী হাসলো না মুখ টা কালো করে বল্লো
– ঠিক আছে নিতে হবে না আপনাকে
ইভান হাসি থামিয়ে বল্লো
– আরেহ আরেহ যাচ্ছো কেনো দাও আমি নিবো শালিকার দেয়া কোন জিনিষ ফিরিয়ে দিতে নাই,তা হলে ভিটামিন শালিস এর অভাবে দিল কালা রোগ হয়
এবার আয়ান নির্ঝরিণী দুজনে এক সংগে হেসে উঠলো,
ইভান পায়রা গুলো নিয়ে গাড়ির পিছনে রেখে সামনে এসে গাড়ি স্ট্রাট করলো
গাড়ি চলছে ইভানের দৃষ্টি সামনে,
ইভান- তোমার বোন তো অনেক বেশি কথা বলে আর হাসাতে ও পারে,তুমি তো দেখছি কিছুই জানো না
মিথিলা- পড়া ও ফাকি দিতে জানে
ইভান- ও তা হলে তুমি পড়া ফাঁকি দাও না
মিথিলা- মোটেও না আমি সব সময় ক্লাসের ফাষ্ট গার্ল ছিলাম, আর আমার কখনো কারো সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে হতো না,আপনা আপনিই আমার অনেক ফ্রেন্ড হয়ে যেতো
ইভান- এই জন্য ই তো তুমি কারো সাথে মিশতে জানো না
to be continue
ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন