.খেলাঘর…পর্ব-১৩
লেখা-সুলতানা ইতি
মিথিলা বেরিয়ে এলো কলেজ থেকে আর একটু সময় থাকলে হয়তো চোখের পানি ইহান দেখে ফেলতো
মিথিলা রিক্সা ডেকে উঠে পড়ে কোথায় যাবে জানে নেই তবে এই মুহুর্তে তার বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করছে না, রিক্সা ওয়ালা জানতে চাইলো কোথায় যাবে.
মিথিলা- কোথায় ও না মামা এমনিতেই গুরেন তো,দেখি কোথায় গিয়ে পৌছে,,রিক্সাওয়ালা মিথিলার দিকে একবার ছেয়ে রিক্সা চালাতে শুরু করলো
অরনি- ইহান তুই ঠিক আছিস
ইহান- হুম দোস্ত ঠিক করে নিয়েছি নিজেকে
যদি ও ইহান মুখে বলে ঠিক আছে কিন্তু ভেতর টা তার ধুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে
অরনি – যাবি তুই মিথিলার বিয়ে তে
ইহান- হোয়াই নোট
অরনি- ওহ আচ্ছা
ইহান- আচ্ছা দোস্ত ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না,আমি যাই
অরনি- তুই সত্যি ঠিক আছিস তো
ইহান মিষ্টি হেসে বল্লো টেনশন নিস না দোস্ত আমি একদম ঠিক আছি
ইহান সোজা কলেজ থেকে বাড়ি চলে আসে, কোন কিছুতেই তার ভালো লাগছে না
ইহান ভাবলো
-ঘুমাতে হবে আমাকে, কিন্তু ঘুম তো আসবে না, ইহান রায়হান চৌধুরীর রুমে গিয়ে সেখান থেকে কয়েক টা ঘুমের ওষুধ এনে খেয়ে নিলো,, আজ বাসা টা ও খালি মা গেছে নানু কে দেখতে বাবা তো সারা দিন বিজনেস নিয়ে পড়ে থাকে,
খালি বাসায় নিশ্চিন্তে ঘুম দেয়া যাবে
স্কুলের অনুষ্ঠানে নির্ঝরিণী ওদের যে ছবি টা লুকিয়ে তুলেছিললো সে ছবিটা বুকে নিয়ে শুয়ে পড়লো ইহান,আর তাকিয়ে থাকতে পারছে না ইহান গভীর ঘুমে তলিয়ে যাচ্ছে
মিথিলা রিক্সায় বসে ভাবছে আমি কি পারবো অন্য কারো সাথে সুখি হতে, ইহান যে আমায় সত্যি ভালোবাসে, ওর ভালোবাসা অবজ্ঞা করা কি ঠিক হচ্ছে,কিন্তু এখন তো সব শেষ,বাবার মান সম্মান ঝড়িয়ে পড়েছে,এখন কিচ্ছু করা যাবে না,
মিথিলা গভীর ভাবনায় তলিয়ে গেছে
হঠ্যাৎ তাদের রিক্সার সামনে একটা কার এসে ধাক্কা দিতে যেয়ে ও দেয়নি,অনেক টা হার্ডব্রেক করে গাড়ি টা থেমে যায়
রিক্সার ঝাঁকুনি তে মিথিলা বাস্তবে ফিরে এলো কার থেকে একটা ছেলে নেমে এসে, শুধু শুধু রিক্সাওয়ালা কে মারতে লাগলো
মিথিলা- আরেহ আরেহ করছেন কি উনার তো কোন দোষ নেই আপনি পাগলের মতো গাড়ি নিয়ে এসে সামনে পড়লেন
ছেলেটি রিক্সা ওয়ালা কে ছেড়ে দিয়ে মিথিলার দিকে তাকিয়ে বল্লো
– দেখে তো বাচ্ছা একটা মেয়ে মনে হয়,আর সে কি না আসছে আমাকে শাসন করতে,
মিথিলা- স্যরি আমি আপনাকে শাসন করতে আসিনি, আপনি ভুল করছিলেন আপনার ভুল টা ধরয়ে দিতে এসেছি,আপনি মামা কে স্যরি বলুন
ছেলেটি তাচ্ছিল্য হেসে বল্লো
এই রিক্সাওয়ালা আপনার মামা,
মিথিলা- উনি আমার নিজের মায়ের ভাই না হোক, কোন না কোন মায়ের ছেলে কোন বোনের ভাই,সো সে দিক থেকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে শিখুন
ছেলেটি রেগে গিয়ে বল্লো,এই মেয়ে ইভান চৌধুরী কে ভদ্রতা শিখাতে এসো না, সোজা নিজের পথে যাও
মিথিলা – আপনার মতো অভদ্র ছেলে তো দুনিয়াতে দেখিনি,বাবার বয়সের একজনের সাথে বেয়াদবি করেছেন আবার বড় কথা বলছেন
ইভান- এই মেয়ে একদম প্যান প্যানাবি না যা এখান থেকে নইলে, এই বলে ইভান মিথিলার হাত ধরে টানতে থাকে
মিথিলা আরেহ করছেন কি ছাড়ুন,আমি কিন্তু চিৎকার করবো
ইভান মিথিলার হাত ছেড়ে দিয়ে বল্লো ছুপ ছাপ চলে যা,আমাকে জ্ঞান দিবি না
মিথিলা আর কিছু না বলে রিক্সা ওয়ালা কে পরিমানের ছেয়ে বেশি টাকা দিয়ে বিধায় করে নিজে হাটতে থাকে
ইভান গিয়ে আবার ড্রাইভিং সিটে বসে সিটে গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে, কিছুক্ষন পর চোখ খুলে দেখলো রিক্সা ওয়ালা নেই,
ইভান- ইস কি করেছি আমি ওদের সাথে, বাসায় বাবা মা কে কিছু বলতে না ফেরে অসহায় একটা মানুষ কে অত্যাচার করলাম, আর একটা মেয়ে কে অসম্মান করে কথা বললাম ছিঃ
এখন আমি তাদের কোথায় খুঁজে পাবো,
আচ্ছা বাবা মা কি সত্যি সন্তানের ভালো চায়,তা হলে আমার বাবা মা এমন কেনো
নাকি আমার চয়েজ টা ই ভুল, উফফ কিচ্ছু ভাবতে পারছি না, ইভান কিছুক্ষন ছুপ করে থেকে মাথা ঠান্ডা করে গাড়ি স্ট্রাট দিলো
আর কারো সাথে গোল মাল করতে চায় না,গাড়ির গতি স্লো করে চালাচ্ছে
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন ঘনিয়ে এলো আজ হলুদ ছোয়া,অরনি বিকেল বেলায় এসে পড়েছে,
অরনি ইহান কে নিয়ে মিথিলার সাথে কোন কথা বলেনি যেন সে মনে মনে চাইছে মিথিলার বিয়ে টা হয়ে যাক
অরনি- মিথিলা তোর হবু বর কেমন রে
মিথিলা- জানি না,
অরণি – সে কি বিয়ে করবি আর বর কে দেখিস নি,,আচ্ছা সে কি তোকে দেখেছে
মিথিলা- মনে হয় দেখেনি
অরনি চিন্তিত চাহনিতে মিথিলার দিকে তাকিয়ে বল্লো
– তা হলে বিয়ে হচ্ছে কেনো
মিথিলা- জানি না,বাদ দে এই সব,,ইহান কি আসবে?
অরণি – বলেছিলো আসবে, এখন ও আসছে না কেনো সেটাই কথা
মিথিলা – সাম্মি রা আজ আসবে না, তবে বিয়ের দিন ঠিক আসবে বল্লো
ইহান শোয়া থেকে উঠে বসলো
সেদিন ঘুমের ওষুধ গুলো কাজ করেছে খুব, জীবনের প্রথম ঘুমের ওষুধ খাওয়াতে ওষুধ গুলো প্রায় চার পাচ দিন শরিরে কাজ করেছিলো,পুরো তিন দিন তো ঘুমিয়ে কাটিয়েছে
ভাগ্যিস বড় লোক বাবার ঘরে জন্ম নিয়েছি,তাই তো তাদের সন্তান দের গতিবিধির উপর নজর নেই,,মিথিলার মতো কোন সুইট ফ্যামেলি তে জন্ম নিলে তো কোন আগে কান্না কাটি পড়ে যেতো
এদিক থেকে ভাগ্যবান ইহান তুই
নিজেই নিজের সাথে কথা বলছে আর তৈরী হচ্ছে মিথিলার হলুদ ছৌয়াতে যাওয়ার জন্য
হলুদ শাড়িতে মিথিলা কে কেমন লাগছে,কতো বার রিকুয়েস্ট করেছি একদিন শাড়ি পরার জন্য,,পরেনি,আজ হয়তো নীতি অনুযায়ী পরবে,,আমি ও দেখবো হয়তো এই দেখাতে কোন অধিকার থাকবে না তবু ও দেখবো
ইহান তৈরী হয়ে বেরিয়ে পড়লো
মিথিলার হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরি মিথিলার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা হলুদ আর বিয়ের তত্ব নিয়ে চলে এসেছে সবাই তাদের নিয়ে ব্যাস্ত মিথিলা অরনি নির্ঝরিণী বসে আছে,কর্নারের একটা রুমে এদিকে তেমন লোকজন আসে না
এমন সময় অরনির ফোনে কল আসে
অরনি- ইহান বল কই তুই,ওহ চলে এসেছিস,, আমি নির্ঝর কে পাঠাচ্ছি
অরনি ফোন রেখে বল্লো
ইহান এসেছে নির্ঝরিণী তুমি যাও গিয়ে ইহান কে এখানে নিয়ে এসো
নির্ঝরিণী উঠে গেলো
মিথিলার বুকের ভিতর হাতুড়ি ফেটানো শুরু করলো ইহান কে কি করে ফ্যাস করবে,
ইহান রুমের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায় মিথিলার দিকে অপলক ছেয়ে আছে আজকের দিনে ও চোখ থেকে চশমা টা খোলেনি, চশমা না থাকলে চোখের গভীরতা মাপা যেতো
যেন এক হলুদ পরী বসে আছে
নির্ঝরিণী – ভাইয়া দাঁড়িয়ে পড়লেন যে আসুন
ইহান ভিতরে যায়
তার পর নানান কথার মধ্যে কেটে যায় সময়
হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হয়,আজ সবার মাঝে ইহান মিথিলা কে হলুদ ছোয়ানোর ছুতোয় একটু ছুঁয়ে দিলো,হয়তো এই ছোয়া টা ই জনম জনম স্মৃতি হয়ে বেছে থাকবে ইহানের মনের মাঝে, অনেক রাত অব্দি থেকে ইহান চলে আসে,অরনি থেকে যায় মিথিলার কাছে,
আজ মিথিলার দু চোখ কিছুতেই এক করতে পারেনি, ইহানের নেশা ধরানো চাহনি চোখের মাঝে ভেসে উঠছে
মিথিলা নিজেকে সামলে নিয়ে বল্লো
– এ আমি কি করছি আর কিছু ঘন্টা পর এক জনের বউ হবো,আর আমি কি না,এখন ও ইহান কে ভুলতে পারছি না,আচ্ছা ইহান কে তো কখনো ভালোবাসি বলিনি তবে কেনো আমার এতো ভয় এতো অনুশোচনা,ভাবতে ভাবতে ভোর হয়ে গেছে, মিথিলা আর শুয়ে না থেকে উঠে এলো
সকাল দশটায়ায় পার্লারের লোক পাঠিয়ে দিলো মিথিলার শ্বাশুড়ি একমাত্র ছেলের বিয়েতে কোন কিছুর ঘাটতি রাখতে চান না মিসেস আয়মন,তাই তো কনে সাজানোর দায়িত্ব ও তারা নিয়েছে
আজ সাম্মি রাহি ও এসেছে মিথিলার সাজানো শেষ,মিথিলার পাশে সাম্মি আর রাহি বসে আছে অরনি কি কাজে যেন বাইরে গেছে ইহান তখনো এসে পৌছয়নি
সাম্মি- মিথি তুই এটা কি করছিস তুই পারবি ইহান কে ভুলে থাকতে
মিথিলা- আমি ইহান কে ভালোবাসিনি
রাহি- কিন্তু আমরা বুঝি,তুই ইহান কে ভালোবাসিস,কিন্তু সেটা গোপন করছিস কেনো সেটা ই বুঝতে পারছি না
সাম্মি- তোর বর কি যেন নাম ওহ ইভান,তুই কি ইভানের সাথে সুখি হতে পারবি
মিথিলা অনেক্ষন ছুপ করে বল্লো
– আমি ইভানের মাঝে ইহান কে খুঁজে নিবো
রাহি- পারবি তুই, দুটি আলাদা মানুষ কে এক করতে, ভালোবেসে ইভানের সাথে সংসার করতে
মিথিলা- উফফ এতো বেশি কথা বলিস কেনো তোরা ছুপ করনা
বাহিরে হইচই শুরু হয়েছে, বর এসেছে হয়তো,,আর কিছুক্ষন পর মিথিলাদের রুমে লোক জনের ভরে গেলো,, কেউ এলো বউ দেখতে,কেউ এলো বিয়ে এজান নিতে,
মিথিলা কে কবুল বলতে বলা হয়েছে
মিথিলা চোখ বন্ধ করে আছে চোখের সামনে ইহান দাঁড়িয়ে আছে আবার চোখ খুল্লো
মিথিলার চারিদিকে তাকালো মনে হচ্ছে সব ঘুরছে
কাজি আবার কবুল বলতে বল্লো
মিথিলা কবুল বলেই অরনির কলে ঢলে পড়লো,সবার মাঝে হইচই শুরু হলো
নির্ঝরিণী – অরনি আপু মিথিলা আপুকে শুয়ে দাও দূর্বলতা থেকে এমন হয়েছে,
সাম্মি- প্লিজ সবাই এই রুম থেকে যান,, আগে জ্ঞান ফেরানো দরকার
অরনি মিথিলাকে রেখে উঠে দাঁড়ালো, নির্ঝর পানি নিয়ে এসো,ততক্ষনে রুম থেকে সবাই চলে গেছে,
নির্ঝরিণী পানি নিয়ে আসার পর মিথিলার চোখে মুখে পানি ছিটানো হয়,মিথিলার সেন্স ফিরে আসে সাম্মি তুই ঠিক আছিস
নির্ঝরিণী – আমি যাই মাকে বলে আসি আপুর জ্ঞান ফিরেছে
মিথিলা কিছুক্ষন চুপ করে থেকে অরনি কে বল্লো
ইহানন এসেছে
অরনি- হুম অনেক আগেই
মিথিলা- তুই সব সময় ওর পাশে থাকিস,ওকে কখনো একা করে যাস না
অরনি- ও কি আমার কথা শুনবে
মিথিলা- আমি জানি অরু তুই ইহান কে ভালোবাসিস
মিথিলার কথা শুনে সাম্মি রাহি অবাক হয়ে অরনির দিকে তাকায়
অরণি ইতস্তত হয়ে বল্লো
– তুই কি আমার জন্য ই ইহান কে রিজেক্ট করেছিস,,
মিথিলা- জানি না রে
অরণি – আমি কিন্তু চাইতাম তোরা দুজন যেন ভালো থাকিস
মিথিলা- আর আমি ছেয়েছি কারো মনে কষ্ট না দিতে,ইহান আমাকে ভালোবাসলে ও আমি ইহান কে তার অনেক পর থেকে ভালোবাসি,কিন্তু তুই তার ও আগে থেকে ইহান কে ভালোবাসিস, তোরা ভাবতি আমি সারাক্ষন বুঝি বই নিয়ে পড়ে থাকি,কিন্তু আমি বইয়ের মাঝে ডুবে থেকে ও তোকে খেয়াল করেছি অরু,আমি ও একটা মেয়ে আমার ও মন আছে, শুনেছি মেয়েদের সিক্সত সেন্স খুবই প্রখর আমি সেই প্রখরতা দিয়ে ইহানের চোখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখেছি,
আর আমি ইহানের ডাকে সাড়া দিলে তুই কষ্ট পাবি,কারন ইহান আমাকে চাইতো বলেই তুই ইহান কে বুঝতে দিতিস না,,যেদিন ইহান আমায় প্রপোজ করে সে দিন তোর চোখে আমি পানি দেখতে পাই,ইহান আমার জন্য কষ্ট ফেলে তুই ইহানের কষ্টে হাজার গুন বেশি কষ্ট পেতিস
অরনি-মিথিলা তুই আমাকে হারিয়ে দিলি,সব ধারনা ভুল প্রমান করলি,তুই কি করে পারলি, বল
মিথিলা কিছু বলতে যাবে এমন সময় রুমে ইহান এলো,ইহান ওদের সব কথাই শুনতে পায়
– বাহ খুব সুন্দর হয়েছে তোদের নাটক টা একজন বেষ্ট ফ্রেন্ডের মুখোশ পরে ছিলো আর একজন জেনে শুনে আমায় ব্যাবহার করেছে
খেলা করেছে আমার ভালোবাসা নিয়ে
তোদের দুজনের একজন কে ও আমি ক্ষমা করবো না
মিথিলা- তুই শুন…
ইহান মিথিলা কে থামিয়ে দেয়
কিচ্ছু শুনতে চাই না আমি,,আমি ভাবতাম তুই ভালোবাসা বুঝিস না তোর জগতে শুধু বই নিয়ে,কিন্তু না তুই তো আসল শয়তান,সব বুঝে ইচ্ছে করে আমায় কষ্ট দিয়েছিস,তুই আমাকে অবহেলা করতি,আর আমি তত মনের এখানে তোকে জায়গা দিতাম,ভাবতাম হয়তো তুই একদিন আমার ভালোবাসায় সাড়া দিবি,কিন্তু দিলিনা,একেবারে বিয়ের কার্ড নিয়ে হাজির হলি আমার সামনে
ভেবেছি না বুঝে তুই বিয়েটা করছিস, ছুটে এলাম বধুর সাজে তোকে দেখবো বলে,ভাগ্যিস এলাম,নইলে বন্ধু নামের শক্রুদের ছিনতাম কি করে
মিথিলা- তুই অরু কে ভুল বুঝছিস ইহান
ইহান- ব্যাস আর কোন কথা নয়,মিথিলা তুই কোন দিন সুখি হবি না,একটা হৃদয়ের হাহাকার তোকে সুখি করবে না,ইহান বেরিয়ে যায়
অরু মিথিলাকে কিছু বলতে যাবে তার মাঝে গেষ্টরা চলে এসেছে,সবাই বলছে অনেক দেরি হয়ে গেছে,এবার কনে বিধায় দিতে হবে
ফাতেমা বেগম আর মাসুম ফারুকি ব্যাস্ত হয়ে উঠলো,,সব রেডি করতে
এর মাঝে আয়ান এসে মিথিলা কে ঝড়িয়ে ধরে কান্না ঝুড়ে দিলো
to be continue
ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন