খেলাঘর পর্ব-১৫

0
2385

খেলাঘর পর্ব-১৫
লেখা-সুলতানা ইতি

নির্ঝরিণী কাঁদছে ভাই কে ঝড়িয়ে ধরে তাদের কান্নার তালে অন্ধকার থেকে আলো তে পরিনত হচ্ছে
আয়ান নিজেকে সামলে নিয়ে বল্লো নির কাঁদিস না,চল আপু কে ফোন করি

নির্ঝরিণী – এতো সকাল সকাল ফোন দেয়া টা কি ঠিক হবে তা ছাড়া আপুর তো ফোন নেই, কার ফোনে দিবি

আয়ান- আমি বিয়ের দিন এক পাকে দুলা ভাইয়ের থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়েছি

নির্ঝরিণী – তবু ও এখন কল দেয়া ঠিক হবে না ভাই,দুলা ভাইয়া ব্যাপার টা হয় তো ভালো ভাবে নিবে না

আয়ান- তা হলে আরেকটু পরে দিবো কি বলিস
নির্ঝরিণী – সেটাই ভালো

সকাল আট টা বেজে গেছে, এ বাড়িতে সবাই এখন ও নিরব কেনো? মিথিলা বুঝতে পারছে না,,মিথিলা একটু ঘুমাতে চাইলে ও ঘুম হয়নি তার,
উঠে রুমের সব কিছু দেখতে লাগলো, ইভানের সব কিছু পরিপাটি বুঝা ই যাচ্ছে ইভান অগোছালো নয়, পুরো ইহানের উলটো,ইহান কোখন ই গোছানো ছিলো না

উফফ আবার ভাবছি ইহানের কথা, একা থাকলে ইহানের চিন্তা মাথা থেকে ফেলতে পারবো না,মিথিলা রুম থেকে বেরিয়ে কিচেন রুমের দিকে গেলো,বুয়া কিচেনে নাস্তা বানাচ্ছে
বুয়া মিথিলা কে দেখে বল্লো
-বউমনি কিচেনে আসলেন কেন,আম্মা দেখলে আমাকে বকা দিবে

মিথিলা- উনারা কেউ উঠেনি

বুয়া- হুম এতোক্ষনে উঠে যাওয়ার কথা আমার নাস্তা হয়ে গেছে টেবিলে দিচ্ছি আপনি গিয়ে বসুন

মিথিলা কিছু না বলেই বেরিয়ে গেলো
ফিরে এলো রুমে সবার আগে গিয়ে টেবিলে খাবারের জন্য বসে থাকবে ব্যাপার টা মিথিলার কাছে ভালো লাগেনি,ইভান তখন ও ঘুমাচ্ছিলো,
আমি কি উনাকে ডাকবো? ডাকলে যদি রেগে যায়,আবার না ডাকলে ও কেমন দেখায় নাস্তার সময় তো অনেক আগেই হয়েছে
– এই যে শুনছেন, এই যে শুনুন, উঠে পড়ুন একটু পরে নাস্তার জন্য ডাকবে হয়তো

ইভান এপাশ থেকে ওপাশে ফিরে শুলো,
মিথিলা- কি ঘুম রে ভাভা, এই যে আটটার বেশি বাজে এখন ও শুয়ে থাকবেন, উঠুন

ইভান এবার আর শুয়ে না থেকে উঠে বসলো
মিথিলার দিকে তাকিয়ে বল্লো
– শুনো আমার একটা নাম আছে ইভান, আম্মু আব্বু ইভু বলে ডাকে তুমি ইভান বললেই চলবে, এভাবে এই যে শুনুন এগুলা কি বলে ডাকছো দাদি মার্কা কথা সব,
আর শুনো কি আপনি আপনি করছো তুমি করে বলবা ইহান এক নিশ্বাসে কথা গুলো শেষ করে ওয়াশ রুমে গেলো

বুয়া এসে মিথিলা কে ডেকে গেলো
মিথিলার লজ্জা লাগছিলো সবার সামনে যেতে তবু ও না যেয়ে উপায় নেই, কিন্তু একা যাবো না উনি আসলে সাথে যাবো, কিন্তু উনি তো আমায় এক্ষুনি কতো গুলো কথা শুনালো, রাতে মনে হলো উনি সেদিনের ছেলেটি নয়,সকালে ধারনা চেঞ্জ করে দিলো কেমন মানুষ উনি আমি দাদি মার্কা কথা বলি

মিথিলা ঠায় দাঁড়িয়ে ভাবছে
ইভান ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে কিছুক্ষন মিথিলার দিকে তাকিয়ে থেকে নিজের কাজে মন দিলো মিথিলা যে বাস্তব জগতে নেই সেটা ইভান খুব ভালো ভাবেই বুঝেছে ইভান মিথিলা কে না ডেকেই ডাইনিং এ চলে আসলো নাস্তা করার জন্য
মিসেস আয়মন- ইভু বৌ মা কই ঘুম থেকে উঠেনি

ইভান – রুমে আছে
আতাহার চৌধুরী- এ কেমন কথা ইভু নতুন বউ কে রুমে রেখে তুই একা নাস্তা করতে চলে এলি, যা গিয়ে বউ মা কে নিয়ে আয়

ইভান একরাশ বিরক্তি নিয়ে মিথিলা কে ডাকতে গেলো
মিথিলা তখন ও দাঁড়িয়ে ভাবছিলো
ইভান মিথিলার সামনে তুড়ি বাজিয়ে বল্লো এই মিস ভাবুক কি ভাবছো এতো,

ইভানের কথায় মিথিলা চমকে উঠে নিজেকে স্বাভাবিক করে নেয়
ইভান – তুমি তো জানতে ই নাস্তা রেডি হয়েছে তা হলে টেবিলে না গিয়ে রুমে এসে কি ভাবছিলে

মিথিলা কিছু বল্লো না
ইভান – ঠিক আছে বলতে হবে না আসো আব্বু আম্মু বসে আছে তোমার জন্য

মিথিলা আর ইভান গিয়ে পাশা পাশি চেয়ারে বসলো
আতাহার চৌধুরী- গুড মর্নিং মা
মিথিলা বিব্রত হয়ে বল্লো
মর্নিং

মিসেস আয়মন নিজ হাতে মিথিলার প্লেটে নাস্তা তুলে দিতে দিতে বল্লো, একদম লজ্জা করবে না মা এই বাড়িটা তোমার নিজের বাড়ির মতো করে থাকবে, কোন অসুবিধা হলে ইভান কে বলবে সে যদি তোমার কথা না শুনে তা হলে আমাকে বলবে তার ঘাড় তেড়ামি ছাড়িয়ে দিবো

ইভান- আম্মু এটা তুমি ঠিক করলে না,দল চেঞ্জ করলে কেনো

মিসেস আয়মন- দল চেঞ্জ করলাম কোথায়,তুই কথা না শুনলে তোকে কি এমনি এমনি ছেড়ে দিবো নাকি।

ইভান- তোমার পক্ষ পাতিত্ব কথা শুনবো না আমি

মিসেস আয়মন- তুই শুনবি তোর বাপ শুনবে
আতাহার চৌধুরী জুস খাচ্ছিলো স্ত্রী কথা শুনে উনার কাশি শুরু হলো

মিসেস আয়মন- তোমার আবার কি হলো

আতাহার চৌধুরী- আমি তো তোমার কথা শুনি তবু ও বৌমার সামনে আমার ইজ্জতের ফালুদা না করে শান্তি পাচ্ছো না তাই তো

মিসেস আয়মন- বেশ করেছি, শুনো বৌ মা, তোমাকে খুব চালাক হতে হবে, নইলে ইভান কে টাইট দিয়ে রাখতে পারবে না,পুরুষ মানুষ কে যদি কড়া শাষনে না রাখো তা হলে এরা তোমার মাথায় লবন রেখে বরই খাবে
বুঝেছো

মিথিলা আস্তে করে বল্লো
– হুম
মিসেস আয়মন- হুম কি,তুমি কিচ্ছু বুঝোনি,কোন ব্যাপার না আমি আছি তো সব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য,আর শুনো কখনো আমাকে শ্বাশুড়ি ভাববে না,মা ভাববে মায়ের থেকে বেশি বান্ধুবী ভাববে তা হলে অবলিলায় সব কথা বলতে পারবে, বুঝেছো

মিথিলা খাবার বন্ধ করে থ মেরে বসে আছে শ্বাশুড়িরা এমন হয় তার জানা ছিলো না,সবার কাছে শুনলাম শ্বাশুড়ি হয় দজ্জাল মার্কা আর ইনি তো দজ্জাল কি করে হতে হয় সেটা শিখাচ্ছে,

মিথিলার এমন অবস্থা দেখে আতাহার চৌধুরী বল্লো – বউ মা অবাক হচ্ছো তাই না,অবাক হওয়ার কিছু নেই তোমার শ্বাশুড়ি এমন ই, থাকতে থাকতে বুঝতে পারবা

তার পর আতাহার চৌধুরী ইভান কে বল্লো
– হ্যানিমুন প্ল্যান কোথায় করলি

ইভানের খাবার নাকে উঠে যায় কাশি শুরু হয়ে গেলো, তার পর পানি খেয়ে বল্লো
– আব্বু মুখে একটু লাগাম দাও, কি যে বলো তুমি

আতাহার চৌধুরী- কেনো লজ্জা পাচ্ছিস শুন,আমার তো আর ছেলে মেয়ে নেই যে তাদের মাধ্যমে তোর মনের ইচ্ছে জানবো,তাই কোন লজ্জা নয় বল হ্যানিমুনে কোথায় যাবি

ইভান – এখন ও ভাবিনি পরে ভেবে বলবো

বাবা ছেলের কথা শুনে মিথিলার লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছিলো

আতাহার চৌধুরী- ঠিক আছে দেরি হলে ও চলবে কাল তোদের রিসেপশন, তার পর তুই তোর শ্বশুর বাড়ি যাবি বউ মাকে সাথে নিয়ে আর…..

আতাহার চৌধুরী কে কথা শেষ করতে না দিয়ে ইভান বল্লো
– অসম্ভব আমি কিছুতেই ওদের বাড়িরে যেতে পারবো না

আতাহার চৌধুরী- কঠোর হয়ে বল্লো
– আমি তোর মতা মত চাইনি, আদেশ করেছি,আশা করি তুমি আমার কথা অমর্যাদা করবে না,সে শিক্ষা তোমাকে আমরা দিই নি

ইভান নাস্তা পুরো কম্পলিট না করেই বেরিয়ে যায়
মিথিলার ও আর খাওয়া হয়নি,রুমে চলে আসে ইভানের আচরণ মিথিলা কে খুব ভাবাচ্ছে, তাহলে কি ইভান বিয়েতে রাজি ছিলো না এই জন্য ই কি বিয়ের আগে রিতি অনুযায়ী আমায় দেখতে যায়নি, নাকি সাথে নেয়া হয়নি,বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে
এদিকে ইহানের ও কোন খবর পাচ্ছি না সেদিন যে রাগি লুক নিয়ে বেরিয়েছে আল্লাহ জানে কেমন আছে ইহান, অরণি সাম্মি রাহি কারো সাথে কথা বলতে পারিনি, তবু ও কোন খবর পেতাম, এখন বসে বসে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই

ইভান বাসা থেকে বেরিয়ে নির্জন একটা জায়গায় এসে বসে পড়ে,আব্বু আম্মু কেনো এমন করেছে আমার সাথে শুধু বিয়েটা দিয়ে ওরা খান্ত হয়নি কি সব রিছুয়ালস সব মানতে হবে , একটা মাত্র সন্তান আমি তাদের আমার ইচ্ছের ও কোন দাম নেই
ইভানের মোবাইল টা বেজে যাচ্ছে আননোন নাম্বার তাই রিসিভ করছে না
বার বার কল আসছে দেখে রিসিভ করলো
রাগি কন্ঠে বল্লো
– হ্যালো কে
– আসসালামু আলাইকুম দুলা ভাই আমি আয়ান, কেমন আছেন

আয়ানের নামটা শুনে ইভান আর ও বিরক্ত হয়ে যায় তবু ও নিজেকে কন্ট্রোল করে বল্লো
– হুম বলো
– কেমন আছেন আপনি দুলা ভাই
– ভালো,তুমি কিছু বলবে?
– আপুর সাথে কথা বলবো
– আমি বাইরে বাসার নাম্বারে কল দাও এই বলে ইভান কল অফ করে দেয়

আপির সাথে কথা বলবে, ইসস মনে হচ্ছে আমি আপির সেক্রেটারি, অর্ডার করছে আমাকে,ঐ মেয়ের জন্য আমার লাইফ টা হেল হয়ে গেলো, কি পেয়েছে আব্বু আম্মু ওর মাঝে ওকেই বিয়ে করতে হবে আর কাউকে না

নির্ঝরিণী – কি বল্লো আয়ান?
মন খারাপ করে আয়ান বল্লো নির দুলা ভাইয়ার কথা গুলো ভালো মনে হলো না আমার কাছে সৌজন্যবোদ দেখালো না,আব্বু আম্মুর কথা থাক আমি কেমন আছি সেটা ও জিজ্ঞাস করেনি

নির্ঝরিণী – কি বলিস? আচ্ছা এগুলা এখন মা বাবা কে শুনানোর দরকার নাই, এম্নিতে বাবার শরির ভালো না

আয়ান -পাগল হয়েছিস এখন না বললে কখন বলবো,এগুলা গোপন করলেই কি আপু সুখি হবে

নির্ঝরিণী – দেখ সত্যি টা আমরা কেউ ই দেখিনি হয়তো দুলা ভাইয়া কোন কাজে বেশি ব্যাস্ত তাই তোর সাথে ঠিক করে কথা বলেনি

আয়ান- কি জানি,আচ্ছা যা তোর কথা ই থাক বলবো না কাউকে কিছু

মিথিলা একা একা রুমে বসে আছে মিসেস আয়ম মিথিলার কাছে এসে বল্লো
কি করছো মা

মিথিলা- কিছু না
মিসেস আয়মন চলো আমরা কথা বলি,, শ্বাশুরি বৌ মা দুজন দুজন কে বুঝতে হেল্প করি

মিথিলা কিছু বল্লো না শুধু একটু হাসলো
মিসেস আয়মন এসো আমরা বাগানে গিয়ে বসিয়

মিথিলা আর মিসেস আয়মন বাগানে এসে বসলো
মিথিলা চারিদিকে তাকাচ্ছে বাড়িটা আসলেই সুন্দর
-আপনাদের বাড়ি টা কিন্তু খুব সুন্দর

মিসেস আয়মন মুচকি হেসে বল্লো
– হুম কিন্তু তুমি মনে হয় এখন আমাদের কে তোমার ভাবতে পারোনি,, তাই বাড়িটা আমাদের না বলে আপনাদের বলেছে

মিথিলা ছুপ হয়ে গেলো মিসেস আয়মনের কথা শুনে
– শুধু তাই নয় তুমি এখন অব্দি আমাকে একবার ডাকোনি মা বলতে হবে এই জন্য

মিথিলা- আসলে ঠিক তা নয় আমি….

মিসেস আয়মন- বুঝেছি লজ্জা পাচ্ছো তাই তো,কোনন প্রব্লেম নেই সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি যখন এই বাড়িতে বউ হয়ে আসি, আমি ও তখন লজ্জা পেতাম,তোমার শ্বশুর কে তো দেখলে আমি পালিয়ে যেতাম,তবে এখন কার ছেলে মেয়েরা অন্যরকম এরা নিজেরা ই পছন্দ করে বিয়ে করতে চায়

মিসেস আয়মনের শেষের কথাটা মিথিলার মনে লাগলো, তা হলে সত্যি কি ইভান অন্য কাউকে পছন্দ করতো, আমি কি একবার জিজ্ঞাস করবো? না থাক এখন না

মিসেস আয়মন- আচ্ছা শুনো তোমাকে বৌমা বলে ডাকতে পারবো না, আমার কোন মেয়ে নেই আমি তোমাকে নাম ধরেই ডাকবো, তুই বললে তো কোন প্রব্লেম নেই তোমার

মিথিলা- আপনার যেমন টা ভালো লাগে,আমার কোন আপত্বি নেই

মিসেস আয়মন খুশি হয়ে বল্লো
– শুন মিথিল স্বামিদের আচলে বেধে রাখতে জানতে হয়,নইলে ওরা অন্যকারো আঁচলেন বাধা পড়ে যায়

মিসেস আয়মনের কথা শুনে মিথিলার বুকের ভিতর ছ্যাৎ করে উঠে, তবু এ নিজেকে সামলে নেয়
– আর তুমি যে ভাবে লজ্জা পাচ্ছো তাতে মনে হয় না তুমি আমার ইভুকে তোমার আঁচলে বাধতে পারবে,শুনো মেয়ে কেয়ারফুলি থাকবা,,হয়তো তোমাদের বিয়েটা ভালোবেসে হয়নি,কিন্তু বরকে ভালোবেসে, দাম্পত্য জীবন কে ভালোবাসা ময় করে তুলতে হয় বুঝেছো

মিথিলা মাথা নাড়ালো
– কি শুধু শুধু মাথা নাড়াচ্ছো,ইভু রুমে এসেছে যাও এখন ইভুর সাথে কথা বলো, আমরা কথা বলার জন্য অনেক সময় পাবো

মিথিলা – না মানে আমি রুমে গিয়ে কি বলবো

মিসেস আয়মন- বোকা মেয়ে কিছু বলবে না,, শুধু ওর কিছু লাগে কি না খেয়াল রাখবে,আমার যখন নতুন বিয়ে হয় তখন আমি লজ্জা পেলে ও তোমার শ্বশুর লজ্জা পেতো না, তিনি মাথায় পাকা চুল বাছতে দিতো আমাকে

মিসেস আয়মনের কথা শুনে মিথিলা হাসতে শুরু করে
মিসেস আয়মন – এই তো সব সময় এমন হাসি খুশি থাকবি বুঝেছিস,যা এখন

মিসেস আয়মন মিথিলা কে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে বসে বসে হাসছে হয়তো পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে গেছে তার

ইভান গাইয়েত শার্ট খুলে বিছানাই সটান হয়ে শুয়ে পড়লো, আবার কি ভেবে উঠে বসলো
এমন সময় মিথিলা রুমে এলো ইভানের দিকে চোখ পড়তেই মিথিলা পিছনে ফিরে বল্লো
ছিঃ ছি
আপুনি খালি গায়ে কেনো কিছু একটা পরে নিন

ইভান আরেহ তুমি এমন করছো যেন আমি পর পুরুষ, আমি কি দেখতে খারাপ নাকি যে তুমি ছিঃ ছিঃ করছো, ভার্সিটি তে সব মেয়ের ক্রাশ আমি ছিলাম,আবার অস্ট্রিয়া তে কতো মেয়ে আমার পিছন পিছন গুরতো,তোমার বর হিরো বুঝলে ইভান হাত দিয়ে চুলের স্টাইল করতে করতে বল্লো

মিথিলা এবার ইভানের দিকে ফিরে তাকালো ততক্ষনে ইভান গেঞ্জি পরে নিলো, মিথিলা ইভানের দিকে ছেয়ে আছে সত্যি দেখতে ইভান হিরোর মতো লম্বা ছোড়া,
বিলাইর মতো সাদা নয় তবে ফর্সা,চুলের স্টাইল টা ও দারুন ঘন চুল জেল করা, বডির মাসেল দেখে মনে হয় বক্সিন লড়তে পারবে

মিথিলা তাকিয়ে আছে ইভানের দিকে
ইভান- আচ্ছা তুমি কি চশমা ছাড়া মোটে ও দেখতে পাওনা

মিথিলা এই প্রশ্নেত উত্তর টা দিতে চায় না, আবার কি বলে কথা গুরাবে সেটা ও বুঝতে পারছে না,তাই ছুপ করে দাঁড়িয়ে আছে

ইভান -এই মেয়ে তো কথা ই বলে না এর সাথে মিশবো কি করে,,আমার নায়া মুহুর্তেই সবাই কে আপন করে নেয়,,ক্লাবে ওর সাথে প্রথম দেখা হয়েছিলো,কিন্তু ওর সাথে পরিচিত হওয়ার পর খুব আপন মনে হয়ে ছিলো ওকে কিন্তু এ তো কথা ই বলে না

ইভান- তুমি হঠ্যাৎ রুমে এলে কিন্তু কিছু বললে না, কিছু বলবে

মিথিলা- না মানে আপনার মা,ইয়ে না মানে মা আসতে বলেছিলো

ইভান- না মানে আপনার ইয়ে মা কি শব্দ এগুলা, এতো নার্ভাস কেনো তুমি,শুনো আমি নার্ভানেস একদম পছন্দ করি, বি স্টোং ওকে

মিথিলা – মাথা নাড়ালো

ইভান-মুখে বলতে পারছো না ইডিয়েট ইভান আবার রেগে যায়,, এবার রেগে গিয়ে ওয়াশ রুমে গিয়ে সাওয়ার নিতে শুরু করে,মাথাত উপর পানি পড়ছে
ইহান ভাবছে রেগে গেলে আব্বু বলে মাথায় পানি ডালতে এতে নাকি রাগ কমে যায়,আসলেই রাগ কমে গেছে,কিন্তু এই মেয়ে এতো কথা কম বলে যে ওর সাথে কথা বলতে গেলেই আমার মেজাজ খারাপ হবে কি করবো আমি

পরদিন রিসেপশন পার্টি শেষে মিসেস আয়মন আর আতাহার চৌধুরী ছেলেকে বুঝিয়ে মিথিলাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি পাঠালো

to be continue
ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে