কালো মেয়ের প্রতি অবহেলা পার্ট-০৫
লেখা-jannatul ferdous.
দরজা খুলতেই জিহাদকে দেখতে পেলো শিমু.আজকে জিহাদের অবস্থা অারো খারাপ.ড্রিংকস করলেও জিহাদ নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে,কিন্তু আজ জিহাদ নিজের মধ্যেই নেই.
শুভ্র-সোহানী তুমি জানো তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি.তুমি কেনো আমাকে বিশ্বাস করো না।
শিমু-আমি শি…শি…শিমু.
শুভ্র-শিসসসস.সোহানী তুমি এরকম করছো কেনো অামার সাথে.আমি তো তোমারী তাই না?তুমি যা চাও আমি তাই করি তারপরেও আমাকে বিশ্বাস করো না কেনো?
(বলেই টলোমলো পায়ে আরো কাছে অাসছিলো শিমুর।শিমু তার অাগেই পিছনে সরে যায়।জিহাদ এগিয়েই ফ্লোরে পড়ে যেতে নিলে শিমু এসে ধরে)
শিমু-চলুন অাপনাকে রুমে দিয়ে অাসি.
(জিহাদকে ধরে সিড়ি বেয়ে উপরে রুমে শুইয়ে দিয়ে চলে অাসছিলো শিমু।হঠাৎ করেই হাতে জিহাদের স্পর্শ অনুভব করে শিমু।পিছনে তাকাতেই জিহাদ শিমুর হাত ধরে টান দেয়)
জিহাদ-আজ আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসবো সোহানি.এতদিন যা চেয়ে অাসছিলে আমি তাই করবো.
শিমু-কি করছেন এসব অাপনি।আমি সোহানী ন…….
জিহাদ-শিসসস.
শিমু-আ..আমার সাসাসাথে এটা করবেন না প্লিজ.
(চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পরছে শিমুর.জিহাদ সেই কান্নার দেখতেও চাইনি।
একটা ছেলের সাথে পেরে উঠতে পারেনি শিমু.অাস্তে অাস্তে সারারাত শিমুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শিমুকে ভোগ করে গেলো।নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে নিজের ইজ্জত হারালো শিমু,হয়তো এটাকেই ধর্ষন বলে.)
পরেরদিন খুব সকালে,,,,,,
শিমু-নিজের প্রতি খুব ঘৃনা হচ্ছে আজ.
(কোনো মতে উঠে একবার জিহাদের দিকে তাকালো.খুব ঘৃনা হচ্ছে শিমুর এই মানুষটার প্রতি।ইচ্ছা করছিলো এ রকম ছেলেকে মেরে পেলতে।আস্তে আস্তে নিজের রুমে গেলো)
শিমু-(নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে কান্না করছে).
কি হয়ে গেলো এসব.কীভাবে মুখ দেখাবো আমি বাবা মা কে. গ্রামের সবাই জানলে আমার বোনটারও বিয়ে হবে না.আমি এতটা খারাপ হয়ে গেলাম কীভাবে।
না আমি অার এই পৃথিবীতেই থাকবো না।একজন ধর্ষিতার এই পৃথিবীতে থাকার কোনো অধিকার নেই।উনি কোনো দিনও অামাকে মেনে নিবে না।
(অনেক্ষন ভেবে নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্তই নিলো শিমু)
আল্লাহ ক্ষমা করো আমায়,এটা ছাড়া কোনো উপায় নেই আমার.বাবা-মা আমি তোমাদের মুখ রাখতে পারলাম না.
প্রায় ৯ঃ০০টা——–
রিত্ত পুরো বাসা খুঁজে পেললো শিমুকে।কিন্তু কোথাও নেই।
রিত্ত-রহিমা অাপু.
রহিমা-বলো।
রিত্ত-শিমু কই?
রহিমা-জানি না তো। প্রতিদিন সকালে অামার রুমে যেতো,আজকে যায়নি।
রিত্ত-যাও পাপাকে ডেকে অানো।
পুরো বাড়ির কোথাও শিমু নেই।রিত্ত কান্না শুরু করে দিলো শিমুর জন্য.
চিৎকার চেঁচামেচিতে জিহাদের ঘুম ভাঙ্গলো.তারপর নিজের অবস্থা দেখে নিজেই অবাক হয়ে গেলো.
জিহাদ-কি ব্যাপার আমি রুমে কীভাবে?কাল রাতে কী হয়েছিলো কিছুই মনে করতে পারছি না কেনো?কাল কী বেশি খেয়ে পেলছিলাম নাকি?
(জিহাদ ফ্রেশ হয়ে নিছে গেলো।সবাই এতক্ষনে শিমুর জন্য কান্না করছে।
জিহাদ-রিত্ত কান্না করোছ কেন?
রিত্ত-ভাইয়া শিমুকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
জিহাদ-যাক ঝামেলা গেলো.
রিত্ত-ভাইয়া,তোর জন্য সবটা হয়েছে।(চিৎকার দিয়ে)
শুভ্র-আমি কী করলাম।
রিত্ত-এটা পড় বুজতে পারবি।(একটা চিরকুট দিলো শুভ্রের হাতে)
জিহাদ-বাহ পুলিশও চলে অাসলো।
জিহাদের বাবা-মেয়েটাকে যখন আমি এনেছি,তখন অামার কিছু দায়িত্ব অাছে।আমি তোর মত দায়িত্ব জ্ঞানহীন না।
হঠাৎ করেই পুলিশ অফিসারের কাছে একটা কল অাসলো।
ফোন রেখেই—
অফিসার-আপনারা শিমুর যা বর্ণনা দিলেন,এরকম একটা accident কেইস রাস্তায় হয়েছিলো।মেয়েটা এখন হাসপাতালে অাছে,চলুন অাপনারা।
(জিহাদের বিরক্ত লাগা সত্ত্বেও হাসপাতালে গেলো।হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলো মেয়েটা শিমুই.রিত্ত কান্না করেই যাচ্ছে শিমুর জন্য)
জিহাদ-একটা বাইরের মেয়ের জন্য এত কান্না করার কী অাছে?
রিত্ত-তোর জন্য সব হলো,তুই এতটা অমানুষ হয়ে গেলি কীভাবে?
জিহাদ-মানে আমি কী করলাম?
রিত্ত-তোর মত নিছু মনের মানুষ আমার ভাইয়া ভাবতেও খারাপ লাগছে আমার.
(বলেই কান্না করতে করতে চলে গেলো)
অনেক্ষন পর ডাক্তার বের হলো——-
জিহাদের অাব্বু-শিমু কেমন অাছে ডাক্তার.
ডাক্তার মাথা নিছু করে দাঁড়িয়ে অাছে.
রিত্ত-ডাক্তার অাঙ্কেল শিমুর কিছু হয় নাই তো?প্লিজ কিছু বলেন.
ডাক্তার-ওর কী বিয়ে হয়ে গেছে?
রিত্ত-না তো।
ডাক্তার-এটাই ভাবছিলাম।ওর গাল,গলায়,হাতে পায়ে দাগ দেখেই বুজা যাচ্ছে কাল রাতে ওর উপর কেউ পশুর মত অত্যাচার করেছে।
জিহাদের অাব্বু-তার মানে চিঠিটা সত্যি?
(শুভ্রের দিকে তাকালো)
ডাক্তার-ওর রিপোর্ট এসে গেলে স্পষ্ট হয়ে যাবে পুরো ব্যাপারটা।তবে অামি সিউর ওর সাথে পিজিক্যাল রিলেশন করা হয়েছে.
জিহাদের অাব্বু-ডাক্তার ও বাঁচবে তো?
ডাক্তার মাথা নিছু করে পেললো।
রিত্ত-অাঙ্কেল প্লিজ কিছু বলো.(কান্না করতে করতে)
ডাক্তার-আমরা কিছুই বলতে পারছি না.প্লিজ ভেঙ্গে পরবেন না।উনার নিজের বাঁচার কোনো ইচ্ছে নেই,অার এটা accident না,সুইসাইড করার চেষ্টা করছিলো শিমু।
(দয়া করে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন)
চলবে……….