জুয়াড়ি স্বামী পর্ব/ ২
লেখক/ অসভ্য
????????
নীলা/ না কিছুনা ফোনটা দেয়ে যাবে একটু
খুব ছোট করে বললো জুয়াড়ি গলে কি হবে বউয়ের সাথে একটু মজাতো করতে পারি তাইনা
আমি/ কেন এত সকাল সকাল ফোন দিয়ে কি করবে
ওহহহ বুঝেছি বফ কে সান্তনা দিবে ঠিক বলছিনা
নীলা/ ছিঃ ছিঃ এসব আপনি কি বলছেন
আমার কোন বফ নেই
মা বাবার কথা খুব মনে পড়ছে তাই একটু কথা বলার জন্য ফোনটা চাইলাম
থাক লাগবেনা আমার ফোন বলবনা কথা
বলে নীলা গাল ফুলিয়ে বসে রইলো আয়নার সামনে
উফফফফ…. বউ হয়ে আসা মেয়ে গুলোর রাগ অভিমান দেখতে কেমন যে লাগে লিখে বোঝানো যাবেনা
আমি পিছন থেকে নীলাকে জড়িয়ে ধরে বললাম
আমি/ বাবু রাগ করলে বুঝি এই নাও ফোন কথা বলো মায়ের সাথে
ফোনটা নাও বলতে
নীলা/ কই দিন
ফোনটা দিতে নীলা তার মায়ের সাথে কথা বলতে লাগলো
আমি শুয়ে রইলাম
কয়েক মিনিট কথা বলে নীলা ফোনটা রেখে দিলো
এই নিন আপনার ফোন
আমি ফোনটা নিয়ে নাম্বারটা দেখতে
নীলা/ টাকা দেখতে হবেনা
আপনি চাইলে আমি দিয়ে দিবো
আমি/ মানে কি আমিতো নাম্বারটা সেভ করতেছি
নীলা/ ওহহহহ
একটু পরে হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করে এসে বালিশের নীচে হাত দিয়ে দেখি সিগারেটের প্যাকেটা খুঁজতে লাগলাম
কিন্তু খুঁজে আর কি হবে যদি কেউ সেটা লুকিয়ে রাখে
নীলা/ এটাই খুঁজছেন তাইনা
আমি/ আরে এটা তোমার কাছে কেন আমাকে দাও
নীলা/ আচ্ছা সিগারেট খাওয়াতো ভালো তাইনা
তাই ভাবছি আমিও একটা জ্বালাবো
আমি/ আরে না কি বলো তুমি সিগারেট খাওয়া একদম খারাপ প্যাকেটটা আমাকে দাও
নীলা/ সিগারেট খাওয়া যদি খারাপ হয় তাহলে আপনি খান কেন
আমি/ নেশা হয়ে গেছে তাই
প্যাকেটটা দাও বলছি নয় কিন্তু খারাপ হবে
নীলা ভয় পেয়ে প্যাকেট আমাকে দিয়ে দিলো
এর-ই মাঝে বন্ধুর ফোন
বন্ধু/ দোস্ত চলে আয় আমরা তোর অপেক্ষা আছি
আমি/ তোরা একটু অপেক্ষা কর আমি এখন-ই আসতেছি
ফোনটা রেখে দিয়ে টাকা নিয়ে বের হবো ঠিক তখন-ই নীলা পথ আঁগলে দাঁড়ালো
নীলা/ এই টাকা গুলো নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন এখন
আমি/ পথ ছাড়ো নীলা আর আমি যেখানে যাই তা তোমাকে বলতে হবে নাকি
নীলা/ হ্যাঁ অবশ্যই বলতে হবে কারন আমি আপনার বউ আর আপনি আমার স্বামী
আমি/ হ্যাঁ আমিও জানি বলার কি আছে আবার নতুন করে
নীলা/ তাহলে বলে যান কোথায় যাচ্ছেন
আমি একটু দুষ্টুমি করে বললাম
আমি/ তোমার সতীনকে ঘরে তুলতে এবার হলো যেতে দাও আমায়
নীলা হা করে তাকিয়ে রইলো আর বলে পাগল একটা
পিছন থেকে নীলার বলা কথাটা আমার কানে আসে
আমিও আবার পিছন ফিরে নীলাকে উত্তর দিলাম
আমি/ শুকরিয়া জানাও দুহাত তুলে আমার মত একটা পাগলকে জীবন সঙ্গী করে পেলে
নীলা মুচকি মুচকি হাঁসতে লাগলো
আমিও গিয়ে খেলতে বসলাম
খেলতে খেলতে আমার সব টাকা চলে গেলো
একটু পরে এক সাগর বলে কিরে শালা তুইতো ফকির হয়ে গেলি
এখন কি দিয়ে খেলবি
সাগর খেলেনা কিন্তু সবসময় আমাদের পাশে বসে থাকে টাকা নিয়ে
যে চায় তাকে দেয় কোনকিছুর বিনিময়ে
আমি একদম খালি হয়ে যাওয়াতে চোখে আঁধার দেখছি এতগুলো টাকা সব উড়িয়ে দিলাম
টাকা শেষ হতে দৌড় দিলাম বাসায়
নীলার গয়নাগাটি গুলোতো আছে ঐগুলো বন্ধক রেখে টাকা নিবো সাগরের কাছ থেকে
আমি/ তোরা বস আমি আসতেছি
এদিকে বাসায় গিয়ে দেখি সব গয়নাগাটি নীলা পড়ে ফেলছে
চলবে???