হারিয়ে যাওয়া অনুভূতি পাঠ-১
আরিশা অনু
“””আমি অনন্যা। আজকের দিনটা অনেক বেশি স্পেশাল আমার কাছে। কারন এতদিন পর খুঁজে খুঁজে একটা মনের মত বাড়ি পেয়েছি…!
“””বাড়িটা তিনতলা।তিন তলায় বাড়ি ওয়ালা থাকে। আর নিচের তলায় অন্য ভাড়াটিয়া থাকে। আমরা দুইতলায় থাকবো।আমরা বলছি কারন আমার সাথে আম্মু আর আমার মেয়ে রুহি ও থাকবে।
“””বিশেষ করে রুহির পছন্দে এই বাড়ি টা ভাড়া নেওয়া। কারন ওর কোনো আবদার আমি ফেলতে পারিনা।আমার বেঁচে থাকার অক্সিজেন টাই তো রুহি……!!
“””বাড়িটা বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে বানানো হয়েছে তা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।আমার রুমের সাথে একটা খোলা বারান্দা আছে। আর ডাইনিং টা ও বেশ বড় এতে অবশ্য রুহির খেলতে সুবিধা হবে….!!!
“””আজ সকালে এবাড়িতে এসে উঠেছি আমরা।তাই সকাল থেকেই সবকিছু গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। কারন কাল আবার আমার অফিসের প্রথম দিন আর আমার কলিজার স্কুলের প্রথম দিন তাই এত তাড়াহুড়া করে সব কিছু গোছগাছ করা।
“””সবকিছু রেডি করতে করতে দুপুর গড়িয়ে গেল। এর মধ্যে বাড়ি ওয়ালা আন্টি এসে আমাদের দুপুরের খাবার দিয়ে গেছেন।অত্যন্ত ভালো মানুষ তিনি।তার কথার মাঝে কোনো অহোমিকা খুজে পাইনি আমি।অনেক নরম মনের মানুষ দেখেই বোঝা যায়…!!
“””ফ্রেস হয়ে আম্মু, আমি আর রুহি খেয়ে নিলাম।এই তিনজন মানুষের সংসার আমার।খাওয়া শেষে ক্লান্ত লাগছিল খুব তাই রুহিকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে নিজে ও একটু ঘুমালাম। আর আম্মু পাশের রুমে আছে। আম্মু ও হয়তো এত খনে ঘুমিয়ে পড়েছে…!
“””ঘুম ভাঙলো সন্ধার একটু আগে তাই উঠে ফ্রেস হয়ে বাজারের ব্যাগটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কারন রাতে ও তো কিছু খেতে হবে।
“””বাজার নিয়ে বাসায় আসলাম সন্ধার পর।আম্মু ব্যাগটা নিয়ে রান্না চড়াতে গেল আর আমি ফ্রেস হয়ে আমার সোনা টা কে পড়াতে বসলাম।
“””পড়ানোর একফাঁকে রুহি আমায় একটা ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাস করলো আম্মু এই বাবু টার পাশে দাড়ানো লোকটা কে…??
“””এটা বাবুটার বাবা সোনা..!!
“””আমার বাবা কোথায় আম্মু..? আমার সব ফ্রেন্ড দের বাবা আছে আমার বাবা কোথায়…?
“””বুঝতে পারছি না রুহির কথার কি উওর দেব চোখটা অলরেডি ঝাঁপসা হয়ে উঠেছে….;;
.
.
.
.
Continue ….