Happily Married Part-07

0
2014

#Happily_Married🔥
#Part_7
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


কিহ!(পিয়াস আর আলিশা অবাক হয়ে)

হুম।(আলিফ রেগে)

ভাই,ভাবী এখানে একটা চিরকুট লিখে গাড়ির সিটে গুজে রেখে গেছে।(আলিশা চিরকটুটা আলিফের হাতে দিয়ে)

আলিফ চিরকুটটা খুলে পড়তে শুরু করলো,,,
চিরকুট
আমার বাবাকে বলে দিয়েন আমাকে উনি বিয়ে করতে বলছেন।সংসার করতে না।

আলিফ রাগে চিরকুট ধুমরে মুচড়ে বললো
বিয়ে তোমাকে করাতে পেরেছি। সংসারও তুমিই করবে হিয়ামনি।

এখন কি করবি?(পিয়াস আলিফের কাধে হাত রেখে)

কিছুক্ষণ ভেবে আলিফ বললো
তোদের একটা কাজ করতে হবে,,
বলেই আলিফ ওদের কিছু একটা বললো।


অন্যদিকে
আজ ফাগুনে পূর্ণিমা রাতে
চল পালায়ে যাই

Mein chali,mein chali
Dekhu peyar ki Gali
Mujhe roke na koi
Mein chali, mein chali

ছুটলে কথা,থামায় কে?
আজকে ঠেকায় আমায় কে?
(আমি জোড়ে জোড়ে চিৎকার করতে করতে গান,ছড়া গুলো বলতে লাগলাম)

তুই থামবি হিয়া?(আকাশ চিন্তিত হয়ে বাইক চালাতে চালাতে)

আরে তুই এতো চিন্তা করছিস কেনো?(আমি ওর বাইকের পিছে বসে)

তুই কি কোনো দিন চিন্তা ছাড়া আমাকে কিছু দিয়েছিস?(আকাশ রেগে)

বেস্ট ফ্রেন্ড এর জন্য এইটুকু করতে পারবি না?(আমি ঠোঁট ফুলিয়ে)

কোন এক সময় বলেছিলাম বেস্ট ফ্রেন্ড এর জন্য জানও দিতে পারি।কিন্তু কে জানতো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সত্যিই সত্যিই আমার জান চেয়ে বসবে!(আকাশ হতাশ হয়ে)

হইছে তোর আর হতাশ হতে হবে না।আরে বলছি তো কিছু হবে না রে!(আমি আকাশকে সান্তনা দিয়ে)

তুই কি করে জানলি ভবিষ্যতের কথা?তোর বরের কতো গুলো বডিগার্ড ছিলো তুই জানিস!আমার তো দেখেই আত্মআ বের হয়ে গেছিলো।কি করে যে আমি গাড়ির তেল বের করেছিলাম তুই জানিস!খালি মনে হচ্ছিল এই বুঝি কেউ দেখে ফেলল।(আকাশ)

কেউ দেখে নাই তো?আর শুন এখন যা করার করে ফেলেছি।এখন আর তোর মাথা ব্যাথা নিয়ে লাভ নেই।বরং তুই ভালো করে গাড়ি চালা।মাত্র বিয়ে হয়েছে এখনি মরতে চাই না।আমার বাসরও হয়নি।(আমি)

তোর মুখে কিছু আটকায় না?পাঠিয়ে দেই বরের কাছে?গিয়ে বাসর কর।(আকাশ ভ্রু কুঁচকে)

ওই ব্যাটা। বাইক চালানোতে মনোযোগ দে।(আমি দাত চেপে)

পরেই আকাশ ওর বকবক বন্ধ করে বাইক চালাতে মনযোগ দিলো।
আসলে আমার আর আকাশের প্ল্যান ছিল এমন,,
যখন বাবা আমার হাত পা বেঁধে দিয়েছিল তখনই আমি অনেক কষ্টে এই উপায় বের করি।আমার বাবা বলছে বিয়ে করতে সংসার করতে তো আর না।তাই আমি বিয়ে করলাম কিন্তু এখন সংসার করবো না।আর বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেছি দুই কারণে,,এক বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করলে কেউ আমাকে সন্দেহ করবে না।আর দুই বিয়ে যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে তো আমারই ভালো।

বিয়েতে যখন কবুল বলার কথা বলা হয়েছে তখনই আমাকে এমন কিছু করার ছিল যার কারণে সবার মনযোগ আমার কাছে চলে আসে আর বাহিরে আকাশ এসে গাড়ি থেকে পেট্রোল বের করতে পারে।

সেই প্ল্যান মতাবেগ আমি কবুলের সময় হাঙ্গামা করলাম।আর এই ফাঁকে আকাশ পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত যাওয়ার পেট্রোল রেখে বাকি পেট্রোল গুলো বের করে নিলো।

যখন গাড়িটা পেট্রোল পাম্পে গিয়ে থামলো।তখনই আমি আলিশকে বলি ওর ভাইকে বলতে পানি আনার কথা।আর আমার নাম যেনো না নেই। আলিশাও উনাকে বললো।আমার ভয় ছিলো উনি হয়তো যাবেন না।কিন্তু না উনি গেলো।আর thanks to ওই লোকটা যে ওই সময়ই পিয়াস ভাইয়াকে ফোন দিয়েছে।না হলে যে কি করে ম্যানেজ করতাম কে জানে?

আমি জানতাম ওই পাম্পের ওয়াশরুমের ভিতরে বড়ো একটা জানালা আছে।এই জন্যই ওইটা বেছে নিয়েছি🤪।আমি জানালা দিয়ে বের হতেই বাহিরে বাইক নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো আকাশ।এখন আমি আর ও, ওর বাইক দিয়ে রেল স্টেশন এ যাচ্ছি।সেখান থেকে কক্স বাজার ঘুরাঘুরি করবো।তারপর সব ঠান্ডা হলে বাড়ি ফিরবো।হয়তো বাবা রাগ করে থাকবে কিন্তু বাড়ি থেকে তো বের করে দিবে না।আর আমার একটু বদনাম হলো কিন্তু আমি বিয়ে নামক জিনিস থেকে তো বেচেঁ গেলাম।
নিজের প্ল্যান শুনে নিজেরই বাহ বাহ দিতে ইচ্ছে করছে!(আমি মনে মনে)

আকাশ?(আমি)

হুম।বল।(আকাশ)

আমি খুব ভালো প্ল্যান করতে পাড়ি তাই না?(আমি)

না তুই মানুষকে ফাঁসাতে পারিস।(আকাশ দাত চেপে)

অসভ্য ছেলে।(আমি মুখ ফুলিয়ে)


কিছুক্ষণ পর
আকাশ?(আমি)

আবার কি হলো?(আকাশ বিরক্ত হয়ে)

শপিং মলের সামনে একটু দাঁড়া।আমি কিছু কাপড় কিনে নিয়ে আসি।(আমি)

আচ্ছা।যা।
বলেই আকাশ বাইকটা রাখলো।আর আমি দৌড়ে দিয়ে কিছু কাপড় কিনে আনলাম।সাথে লেহেঙ্গাটাও চেঞ্জ করে আসলাম।

চল।(আমি)

হুম।
বলেই আকাশ বাইক চালাতে শুরু করলো।


রেল স্টেশন এ
আকাশ এই ব্যাগটা কোনো ভাবে বাবার কাছে পৌঁছে দিবি।আর বাবার কাছ থেকে একশো হাত দূরে থাকিস এখন।(আমি)

তাতো বুঝলাম।কিন্তু এই ব্যাগে কি?(আকাশ)

আমার বিয়ের গয়না।আর লেহেঙ্গা।এইটা ওই আলিফ লায়লাকে দিয়ে দিতে বলিস বাবাকে।আর উনি যদি ডিভোর্স চায় তাহলে বলিস আমি ফিরে এসে দিয়ে দেবো।(আমি)

এইটা কি অনেক জরুরি হিয়া?বিয়ে হয়ে গেছে তোদের এখন সুখে সংসার কর।আলিফ লোকটা অনেক ভালো।আমি শুনেছি তোর সব ফালতু শর্তে উনি রাজি হয়েছে।এমন ছেলে পাওয়া অনেক কষ্টের।(আকাশ আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করে)

যে যাই বলুক।বিয়ের সম্পর্ক আমার জন্য না।(আমি বিড়বিড় করে)

কিছু বললি?(আকাশ)

না।কিছু না তুই ওইসব বাদ দে তো।
আমরা কথা বলছি তখনই অ্যানাউন্সমেন্ট হলো।

আমার ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে গেছে।আমি উঠলাম ট্রেনে।
বলেই আমি ট্রেনে উঠে পড়লাম।

ভালো থাকিস হিয়া।(আকাশ)

তুইও।(আমি মুচকি হেসে)

কিছুক্ষণ পরই আমার ট্রেন ছেড়ে চলে গেলো।


রেল স্টেশন এ
অন্য মনস্ক হয়ে বসে আছে আকাশ।তখনই কিছু কালো রঙের স্যুট পড়া লোক ওর মুখে কালো কাপড় পরিয়ে নিয়ে গেলো।

আকাশের মুখ থেকে কাপড় সরাতেই ও দেখলো ও একটা রুমের মধ্যে রয়েছে।আর সামনে একটা লোক বসে আছে।

তুমি আকাশ তাই না?(লোকটা)

আপনি দুলা ভাই,তাই না?(আকাশ)

হুম।
বলেই আলিফ মুচকি হাসি দিলো।

আমাকে কেনো এনেছেন এখানে?(আকাশ অবাক হয়ে)

কারণ হিয়া কোথায় একমাত্র তুমিই জানো?(আলিফ)

আকাশ কিছুটা ঘাবড়ে গেল
আমি কি করে জানবো হিয়া কোথায়?

হিয়ার গয়না তোমার কাছে,ওর লেহেঙ্গা তোমার কাছে আর তুমি জানো না হিয়া কোথায়?(আলিফ ভ্রু কুঁচকে)

আপনার মনে হয় আমি বলবো?(আকাশ অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে)

তোমাকে যদি আমি এখন পুলিশে দেই।তুমি আমার বউকে কিডন্যাপ করে ওর গয়না চুরি করেছো।এমন কেস করি তাহলে তুমি তো জেলে থাকবে। তখনও কি বলবে না হিয়া কোথায়?নিজেকে বাঁচাতে হলেও তো তোমার হিয়ার কথা বলতে হবে।(আলিফ)

আমাকে যদি পুলিশেও দেন তবুও আমি বলবো,আমি জানি না হিয়া কোথায়?আমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে কখনো ধোঁকা দেবো না।আমার যতো কষ্টই হোক না কেনো?(আকাশ)

আলিফ আকাশের এই বন্ধুত্ব দেখে মুচকি হেসে বললো,,
আমি শুনেছি মেয়েটা নাকি খুব ভেবে চিনতে বন্ধুত্ব করে।যাতে ওর ভবিষ্যতে কষ্ট পেতে না হয়।তুমিও ওর সাথে বন্ধুত্ব করেছো। তবে তোমার বন্ধুত দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হলাম।হিয়া সত্যিই অনেক ভাগ্যবতী তোমার মত আর পিয়ার মত বেস্ট ফ্রেন্ড পেয়েছি।অবশ্য ও যা ভয়ানক মেয়ে,ওর বন্ধু তোমরা ভেবেই তোমাদের উপর আমার আফসোস হচ্ছে।(আলিফ)

কিছু করার নাই দুলাভাই।ওই মেয়ে যেমন ভয়ানক তেমনি ভয়ানক ওর কর্ম কান্ড।তাই আমাদের নিজেদেরই নিজেদের নিয়ে আফসোস হয় আপনার তো হবেই।(আকাশ আলিফের দেয়া শান্তনা গ্রহণ করে)

অন্যদিকে পিয়াস দরজায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভ্রু কুঁচকে ভাবছে
এখানে কি আকাশকে হায় হতাশ করার জন্য আনা হয়েছে।আলিফ তুই হিয়ার সঙ্গ পেয়ে নিজেই অদ্ভুত হয়ে যাচ্ছিস।(মাথায় হাত দিয়ে)

আচ্ছা যাই হোক।আমি তোমার বন্ধুত্বের সম্পর্কতে ফাটল ধরাতে চাই না।পিয়াস ওকে ছেড়ে দে।(আলিফ)

ছেড়ে দেবো?তাহলে হিয়ামনীর খবর কোথা থেকে পাবো?(পিয়াস অবাক হয়ে)

যা বলছি তা কর।(আলিফ)

পিয়াস কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।
আকাশ তুমি যেতে পারো।(পিয়াস সাইড দিয়ে)

পরেই আকাশ হিয়ার দেয়া বেগটা দিয়ে চলে গেলো।

তোর মাথা খারাপ হয়ে গেলো নাকি আলিফ!ওই একমাত্র জানে হিয়ামনি কোথায়?আর তুই ওকে ছেড়ে দিলি?(পিয়াস)

তোর কি মনে হয় ও বলবে হিয়া কোথায়?আর ওকে যদি টর্চার করে বা ভয় দেখিয়ে মুখ থেকে বেরও করি হিয়া কোথায়!আর এইসব যখন হিয়া জানবে তোর মনে হয় ওকে কেউ আটকে রাখতে পারবে পালানো থেকে।এই মেয়ে এমনি পালাতে এক্সপার্ট আবার যদি শোনে ওর বেস্ট ফ্রেন্ডকে কষ্ট দিয়েছি তুই ভাবছিস ও কি করবে?বা কি করতে পারে?(আলিফ)

তুই ওকে ভয় পাচ্ছিস?আলিফ রায়হান চৌধুরী কাউকে ভয় পাচ্ছে?(পিয়াস অবাক হয়ে)

ওকে ভয় পাই না,ওকে হারাতে ভয় পাই।(আলিফ বিড়বিড় করে)

কি হলো?কি বিড়বিড় করছিস?(পিয়াস)

কিছু না।(আলিফ)

আচ্ছা তাহলে এখন ভাব কি করে হিয়ামনির খোজ করবি?(পিয়াস)

ওইটা ভাবা হয়ে গেছে।তোর কি মনে হয় আলিফ রায়হান চৌধুরী এতই কাচা খেলোয়াড়।আমি হাড়ে হাড়ে চিনি আমার বউকে।ওই চড়ুই পাখি বউকে খাচায় জব্দ করতে হলে আমার ওর থেকে একশো কদম আগে থাকতে হবে।(আলিফ ডেভিল হাসি দিয়ে)

দুইটাই আজব।মনের ভিতর কি চলে কিছুই বুঝা যায় না!(পিয়াস মাথায় হাত দিয়ে)

আলিফ ফোনটা বের করে সেলিমকে ফোন করলো,,
সেলিম।ডকুমেন্ট গুলো নিয়ে এসো ভিতরে।(আলিফ)

জ্বি স্যার।
বলেই আলিফ ফোনটা কেটে দিলো।

কিসের ডকুমেন্ট?(পিয়াস)

দেখলেই বুঝতে পারবি।(আলিফ)


কিছুক্ষণ পর
সেলিম রুমে ঢুকলো।আর ঢুকেই একটা ফাইল আলিফকে দিলো।

আলিফ বসে বসে ফাইলের পেপার গুলো দেখতে লাগলো,,,

সেলিম তুমি কি কি জানতে পেরেছ বলো?(আলিফ ফাইল দেখতে দেখতে)

স্যার রেল স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে ম্যাম চট্রগ্রামের ট্রেনে উঠছে।(সেলিম)

বুঝলাম হিয়ামনি ঐখানে।কিন্তু ঐখানে কোথায় আছে তা তো আর জানি না।চট্রগ্রাম তো আর ছোটো না!(পিয়াস)

তার জন্যই তো এই সব কাগজ।(আলিফ পেপার গুলো দেখিয়ে)

এইসব কি?(পিয়াস)

আকাশের পনেরো দিনের কল রেকর্ড।যেহেতু হিয়াকে বাবা পনেরো দিন বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি।সেহেতু ওর জন্য টিকেট, হোটেল রুম বুক আকাশই করেছে।এখন আমাদের হোটেলের নম্বর বের করতে হবে।তারপরই আমার চড়ুই পাখির খোজ আমি পেয়ে যাবো।(আলিফ বাকা হেসে)

হিয়া মনি তো ওর ফোন থেকেও বুক করতে পাড়ে।(পিয়াস)

হুম।কিন্তু হিয়া এতও বকা না যে এসব করতে ও নিজের ফোন ব্যবহার করবে।(আলিফ)

একটা থেকে একটা কম না।
বলেই পিয়াসও দেখতে শুরু করলো কাগজ গুলো।

স্যার এই নম্বরে আজ থেকে আকাশ কথা বলতে শুরু করেছে।(সেলিম)

এইটা মনে হয় হিয়ার নতুন নম্বর।(আলিফ)

এইযে হোটেলের নম্বর পেয়েছি। আর সব ভালো কথা এইটা আমাদের হোটেলের নম্বর।(পিয়াস)

এক্সসিলেন্ট।এইবার সেলিম দেখো এই নতুন নম্বরএর লোকেশন কোথায়?(আলিফ)

ওকে স্যার।
বলেই সেলিম বাহিরে চলে গেলো।


কিছুক্ষনপর
সেলিম হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকে
স্যার।এই নম্বরের লোকেশন চট্রগ্রামের দিকে যাচ্ছে দেখাচ্ছে।আর হোটেলটা হচ্ছে কক্স বাজারের।(সেলিম)

দেখলি বলছিলাম না,,আমার চড়ুই পাখিকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি।পিয়াস আমার জন্য প্লিজ আমার যাওয়ার ব্যবস্থা কর।(আলিফ)

ওকে।(পিয়াস)

আমি আসছি আমার চড়ুই পাখি।(আলিফ মনে মনে)


অন্যদিকে
আকাশ একের পর এক ফোন করে চলেছে হিয়াকে কিন্তু ও ফোনই ধরছে না।

দূর এই মেয়ে সব সময় চিন্তায় ফেলে দৌড় দেয়।এখন আমি দুলাভাইয়ের কথা ওকে কি করে বলবো?(আকাশ)


অন্যদিকে
হিয়া ওর ঘুমের বেঘাত ঘটবে বলে ফোন সাইলেন্ট করে ঘুমাচ্ছে ট্রেনের মধ্যে।

সারারাত ওদের এইভাবেই চলে গেলো। পরের দিন ভোরে হিয়া ট্রেন থেকে নামলো চট্রগ্রামে।সেখান থেকে ও কক্স বাজার যাবে।


ট্রেন থেকে নামার পর কক্স বাজার আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।মাঝ পথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি বলে আরো দেরি হয়ে গেছে।সারাদিন টইটই করছি।এই প্রথম একা বের হয়েছি।বাবা কোনোদিন একা বের হতে দেয়নি।আমাকে উনার অনেক ভয় ছিলো।তবে এখন যেহেতু খাচা থেকে ছুটতে পেরেছি আর খাঁচায় বন্দি হচ্ছি না।এইসব ভাবতেই আনন্দের সাথে হোটেল রুমে ঢুকলাম। ব্যাগ পত্র রেখে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লাম।ফ্রেশ হয়েই একটা ঘুম দেয়ার ধান্দায় আছি।

আমি ওয়াশরুমে থেকে টাওয়াল পেঁচিয়ে বের হয়ে নিজে নিজে বললাম
আজকে ভালোই মজা করছি।

তাই নাকি চড়ুই পাখি।আমাকে ছেড়ে হানিমুন করতে আসছো।আবার একা একা মজাও করছো।এইটা কিন্তু ঠিক না।(আলিফ)

গলাটা চেনা চেনা লাগছে কেন?(আমি মনে মনে)

আমি ধীরে ধীরে বেডের দিকে তাকিয়ে দেখি আলিফ বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে,,,

আমার চড়ুই পাখি!তুমি কি আমাকে মিস করছো?(আলিফ চোখ টিপ মেরে)

আমি কিছুক্ষণ উনার দিকে ভুত দেখার মত তাকিয়ে রইলাম,,,
তারপর

আআআআআ(জোরে চিৎকার দিয়ে)


চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে